কার সাথে তুই করিস প্রেম
কার সাথে তোর খেলা।
কার লাগি তোর মন কেঁদে ফেরে
শুধুই সারা বেলা।

অমসৃণ পথ হেঁটে যেতে যেতে
একদিন নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল তোকে যে মৃত্তিকা,
সে মৃত্তিকার ঘ্রাণ মেখে মেখে প্রজাপতি ডানা মেলেছিস তুই
নরোম রোদের উষ্ণতায় দিয়েছি তোকে একআকাশ নির্ভরতা; সাথে উদারতা
শেষ বিকেলের অবসরেও ছিল যত ব্যস্ততা!

নিজের জঠরে পরম যত্নে তিল তিল করে আকার দিলে তুমি
নিসংকোচে স্বর্গের বাণী আমার অন্তরাত্তায় জড়িয়ে দিলে ভূমি,
সারা দিনমান, মাস, বছর ব্যাপী আদ্যপান্ত যন্ত্রণা সহিয়াছিলে

রাণী চলল সুদূর এক প্রবাসে,
নতুন এক ছোট্ট অতিথির আগমনের আশায়
মিলিয়ে গেল তার অন্তর্জালা এক অস্থির দীর্ঘশ্বাসে।

শুধু 'তুই' আসবি বলে,
একজন মমতাময়ী 'মা' প্রচন্ড কষ্ট, প্রচন্ড ব্যথা ভুলে,
এক চিলতে হাসি মুখে, সবকিছু সহ্য করে,
আর তুই বেড়ে উঠিস ধীরে ধীরে,

বয়স হয়েছে অনেক তাদের
তবুও তারা পথে,
দুমুঠো অন্যের সন্ধানে
বের হয়েছে কাজে।

এই খানে এসো নাকো তুমি
এই বালুকাময় উনুনে
দিও না পদচিহ্ন তোমার
এখানে আমার পদ চিহ্নগুলো
মিশে যাবে শ্রমিকের ঘামে

ভোরের মিষ্টি বাতাসে ভেসে আসে সুঘ্রাণ
আড়মোরা ভেঙে ওঠে সূর্যমুখী ফুল
হাঁটি হাঁটি পা পা করে সকাল গড়িয়ে দুপুর
হামগুড়ি দিয়ে সূর্যটা তখন হারিয়ে যায়
সাদা মেঘের আড়ালে তোমাকে তখন খুব মনে পড়ে।

রাস্তার পাশে জন্ম ওদের
রাস্তার পাশেই বেড়ে ওঠা।
ভালোবাসা কি
জানে কি তারা
পাই কি ভালোবাসা?

আজ মাঝরাতে গভীরে
স্বপ্নের ভেতর খোকা খোকা বলে
মা আমাকে মমতা ভরা কন্ঠে ডাকলো।
তখন সাত আসমানের উপর থেকে
প্রশান্তময় জান্নাতের দরজাগুলো খুলে গেলো

কবিতার এক একটা শব্দ যেন এক একটা অমূল্য ধাতু!
শ্রমিক যেমন কঠোর শ্রমে নিজ কর্ম সিদ্ধ করে-
তেমনি কবি তাঁর মস্তিষ্কের মগজ গলিয়ে শব্দ বের করেন!

আমি এমনই এক বৃক্ষ যার
ডালপালা বেয়ে ছড়িয়ে আছে
কাঁচা সবুজের রোদ
আর ইতিহাস হয়ে পড়ে আছে
নামগোত্রহীন শিকড় বেয়ে বীজ।

বেশ মজার খেলা
সারাদিন ঢেউয়ে ঢেউয়ে দোল খায় ভেলা
একই খেলা আর কত ভাল লাগে
দু একবার জেদ ধরে,
চল সবাই এবার ঘরে ফিরে যাই।

সময় যায়, আমাদের আকাল যায় না
সে খবরও ওরা রাখে না।
ওরা আমাদের টাকায় বিদেশ যায়, ফূর্তি করে
আত্মদানের ভঙ্গিমা দেখায়।

ভালোবাসি ভালোবাসিগো তোমায়
তাইতো যখন নামাজে যাই
দুহাত তুলে চক্ষু ভিজাই
তোমার কোমল হাতের পরশ