বেধেছিলি তুই মমতার বাঁধনে
ভুলি কি করে সেই মায়া মুখ ?
নেই তুই পাশে জীবনের আহবানে
তোর মমতা তেই খুজি ফিরি সুখ ।

এ শহরে তোমার অসংখ্য অবদান।
র্কনি হাতে কত ভিত্তিই গড়েছো তুমি
শীতাতপ সুউচ্চ কাংখিত নির্মাণ

অমসৃণ পথ হেঁটে যেতে যেতে
একদিন নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল তোকে যে মৃত্তিকা,
সে মৃত্তিকার ঘ্রাণ মেখে মেখে প্রজাপতি ডানা মেলেছিস তুই
নরোম রোদের উষ্ণতায় দিয়েছি তোকে একআকাশ নির্ভরতা; সাথে উদারতা
শেষ বিকেলের অবসরেও ছিল যত ব্যস্ততা!

ছিন্ন মলিন কদকায় শ্রমিক-মজুর
আপন তরে গাহি সাম্যের গান
উচ্চবৃত্তে মত্তে শুরায় আপন বলয়
কেতাদুরস্ত বেঢ়বের লহন
পূজ্জনী পূজারী সদা ভগবান
রুধিবে কে তারে সাধ্য কার?

মাগো, তুমি আমায় জন্ম দিয়েছ
তোমার বুকের দুধ পাণ করিয়েছ
অনেক কষ্ট করে আমায় তুমি-

মা তুমি কেমন আছো?
আছো কেমন সুখে?
মন বলে যে ভালো নেই তুমি
দিন কাটে তোমার দুঃখে-দুঃখে।

বেশ মজার খেলা
সারাদিন ঢেউয়ে ঢেউয়ে দোল খায় ভেলা
একই খেলা আর কত ভাল লাগে
দু একবার জেদ ধরে,
চল সবাই এবার ঘরে ফিরে যাই।

ভোরের মিষ্টি বাতাসে ভেসে আসে সুঘ্রাণ
আড়মোরা ভেঙে ওঠে সূর্যমুখী ফুল
হাঁটি হাঁটি পা পা করে সকাল গড়িয়ে দুপুর
হামগুড়ি দিয়ে সূর্যটা তখন হারিয়ে যায়
সাদা মেঘের আড়ালে তোমাকে তখন খুব মনে পড়ে।

কেন পরশিলে ও গো প্রাণো রায়!
তব বিরাহনলে হল মম চিত্ত ছাই।

কবিতা, আমায় দাও গো ছুটি এবার, আমৃত্যু!
কলম ধরলে, মহাকাপুনি আজকাল ভর করে আঙ্গুলের ডগায়
স্মৃতি জমে রাখা স্নায়ুগুলো হয়ে যায় গাঢ় বৃত্ত
ফাঁস লেগে যায় পারাপার সেতুর ধূসর সাদা পাতায়!

ভালোবাসি ভালোবাসিগো তোমায়
তাইতো যখন নামাজে যাই
দুহাত তুলে চক্ষু ভিজাই
তোমার কোমল হাতের পরশ

তৃতীয় মৃত্যুর পর!
ক্ষুধা, তৃষ্ণা, স্পৃহা, সংকোচ; সংশয়-
আশা, স্বপ্ন-সাধ, জর-জড়তা-ভয়
চাহিদা, কামনা, বাসনা সব করেছি জয়!

কখনো চাই নি ,ভাবিনি, ডাকিনি
ছোট আকাঙ্খায় স্বপ্নে দেখিনি তেপান্তরের অশ্বপদধ্বনি,
তবুতো এসেছো,পাটি পাতা মন জুড়ে বসেছো ,

নিজের জঠরে পরম যত্নে তিল তিল করে আকার দিলে তুমি
নিসংকোচে স্বর্গের বাণী আমার অন্তরাত্তায় জড়িয়ে দিলে ভূমি,
সারা দিনমান, মাস, বছর ব্যাপী আদ্যপান্ত যন্ত্রণা সহিয়াছিলে

কার্তিক রোদেলা সকালে তোমার আগমন।
দূর্গতিনাশিনী দশভূজা বধিতে অসুর।
মন্ডপে মন্ডপে বেজে চলে ঢাক মন্দিরা।
ফুল ফলে নতুন কাপড়ে সজ্জিত তোমার ভূষন।