বন্ধু আমার মনের খাচায়
বাধলো নারে ঘর,
পোষা প্রাণীর মতো সেও
হইয়া গেল পর।

নিলামে উঠিয়েছে সনাতনী সমাজ
হাজার প্রিয়ার লাল টুকটুকে ঠোঁট।
নিয়েছে কিনে লুটেরা বণিক রাজ

কাগজ কলম নিয়ে
বসে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা ।
কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও লিখতে পারিনা
দু’লাইন কবিতা ।

অন্ধকারে অদৃশ্য ভৌতিক ছায়া গ্রাস করে আছে
আমার আলোহীন মনের অচেনা অলিতে গলিতে।
জ্যোতিহীন দু’ নয়ন শুধু দেখতে পায় অন্ধকারে
উম্মাত্ততার নগ্ন নৃত্য, তাতা থৈ থৈ তাতা থৈ থৈ ।

কোন এক নিষ্প্রাণ শীতের রাতে প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করে
এনেছিলাম তাকে পৃথিবীর বুকে,
দু'চোখ ভরে ছিল সীমাহীন ভয়; কুলটা হওয়ার ভীষণ লজ্জা
প্রসবের মরণ যন্ত্রণা উপেক্ষো করে
ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম তাকে শিশির ভেজা গালিচায়!

বেদনাটা বুকের বোঝা , একলা বয়ে বেড়ায়
নিরুপায় নির্জন পথে একলা , জনপদ শূন্য
হাঁপিয়ে উঠেছে একলা জীবন , গভীর দু'কুলে ।

আবেগ হারিয়ে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে যেনো! ধীরে ধীরে
আগের মত দেখিনা স্বপ্ন এখন কাউকে ঘিরে
লিখতে পারিনা আর আবেগীয় কাব্য কিংবা ছড়া

মূল্যবোধের অবক্ষয় ঠেকেছে তলানীতে,
সম্মানিত অপদস্থ আজ অপাঙ্ক্তেয়’র হাতে।
নদী-খাল জবর দখল, কে করিছে জানা

আমার ভীষণ ছুটির প্রয়োজন,
বেশীদিন না,আবার এক বা দুইদিনও না,
কমপক্ষে দশদিন ছুটির প্রয়োজন,
ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যাব না,

নকল সিংহাসনে বসে জাহির করিনা
অসম্ভব ক্ষমতার কথা
বলিনা ব্যাকুল আদ্র সুরে কোন ভালবাসার কথা

স্বরণে আছে আজো, প্রেমে ডুবে আমি কিছু করিয়াছিলাম অর্জন;
মূহুর্তেই সব জলাঞ্জলি দিয়ে করিয়াছি বিসর্জন।
মনে পরে আজো এই চৈত্রের প্রহরে, সেদিনও ছিল চৈত্র মাস;
আজি আমি করিতাছি এহন' আমার স্বপ্ন ধরণীতে বাস।

আবার ফিরে এলো যে বসন্ত, এলো বৈশাখ।
এলো নতুন দিন।
সেই সাথে মনে পড়লো কত স্মৃতি, কত কথা,
কত না পাওয়ার অপূর্ণ প্রাপ্তি বিরহ,বেদনা।

স্বাধীনতা তুমি,
সাধারনের কণ্ঠে ধ্বনিত মুক্তির গান;
স্বাধীনতা তুমি,
শাষণ-শোষণ অত্যাচারের অবসান।

আমি প্রেম থেকে ফিরে এসে
আবার প্রেমে পরে যাই,
দু দিকের দু রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে
স্থির হয়ে যাই ।

পশ্চিমে গেছ?
ওই যে যেখানে রক্তিম সূর্যটা জ্বলতে জ্বলতে, পুড়তে পুড়তে
কোনো এক শীতল স্রোতের কোলে বিসর্জন দেয় নিজেকে।
কেন সে বারবার বারবার পোড়ে, প্রতিদিন সাজায় বিসর্জনের
নিদাঘ মঞ্চ?