অনেকখানি বড় হবার আশা নিয়ে,
চলতেছি মায়ার বন্ধন বিসর্জন দিয়ে।
বড় হব অনেক বড়,লক্ষ্য একটাই,
লক্ষ্যপানে অটল থাকলে আসবে সাফল্যই।

রক্তে তোমার বইছে জানি
প্রতিশোধের আগুন
মাঘ যেমন এসেছে জীবনে
আসবে আবার ফাগুন।

একুশ কি তবে সন্তানহারা
প্রলাপ বকা মায়ের কাঁদন
নাকি বৃদ্ধার ষোড়শীকালের বাল্যপ্রেমের
নষ্টালজিক বিরহ বাঁধন?

পৃথিবীর সীমানা থেকে একটু দূরে
সবাই আসতে না পারে ,
এখানে সবাই সুন্দর নারী হয়ে আসে
ফুলের মালা বদল এখানে এসে তারা করে ,

আর কত দিন থাকব আমি
তোমার আশায় বসে।

মানুষের তরে মানুষ
সবি একসাথে বসবাস
উঁচু-নিঁচু ভেদাভেদ ওরে
কেনরে শ্রেনিবিন্যাস।

বেদনাটা বুকের বোঝা , একলা বয়ে বেড়ায়
নিরুপায় নির্জন পথে একলা , জনপদ শূন্য
হাঁপিয়ে উঠেছে একলা জীবন , গভীর দু'কুলে ।

স্বপ্নের রঙগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিবর্ণ হলো
শাপলা দোয়েল কাঁদে অবিচারে অনাদরে,
সুশাসনের সুস্বাদ নেই; মোহ করে সব গ্রাস
গাংচিল আর ইলিশের ঝাঁক আসেনা পদ্মাচরে !

আমি যেন জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক ত্যক্ত ঘুমন্ত পথিক।
এই পৃথিবীতে কেউ বা জন্মেছে সোনার চামুচ মুখে নিয়ে।
আমি জন্মেছি দুঃখের পাথর বুকে বেঁধে।

অন্ধকারে অদৃশ্য ভৌতিক ছায়া গ্রাস করে আছে
আমার আলোহীন মনের অচেনা অলিতে গলিতে।
জ্যোতিহীন দু’ নয়ন শুধু দেখতে পায় অন্ধকারে
উম্মাত্ততার নগ্ন নৃত্য, তাতা থৈ থৈ তাতা থৈ থৈ ।

বন্ধু, কেমন আছো তুমি ?
তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে হয় ।
প্রতিদিন জানালায় চেয়ে থাকি,

কয়েকটা মাছি ওড়াউড়ি করছে রেলস্টেশন,নদীঘাট, হাটবাজার
পৃথিবীর মতো ওদেরও মাথার চারদিকে চোখ, তবে কি ওরাও পৃথিবী?

একটিবার বাইরে এসে দেখো
অমলিন জোৎ¯স্না।
একটিবার হাত বাড়িয়ে দাও
আমার হাতে।
নেবে তো নাও যত খুশী,
আকাশটা তোমাকে দিলাম।

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেতে চেয়েছিলে,
পাহাড়চূড়ায় জমে থাকা শুভ্র বরফের অটল গাম্ভীর্যের মাঝে;
দিগন্ত রেখায় ছুঁয়ে থাকা নিষ্পাপ মেঘের ভীরু লাজনম্র স্পর্শের শিহরণ।

আবার বছর ঘুরে ফিরে এলো পহেলা বৈশাখ
নতুনের আবাহনে রঙের দোলায় দোলায়িত এই বৈশাখ।