কোন এক নিষ্প্রাণ শীতের রাতে প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করে
এনেছিলাম তাকে পৃথিবীর বুকে,
দু'চোখ ভরে ছিল সীমাহীন ভয়; কুলটা হওয়ার ভীষণ লজ্জা
প্রসবের মরণ যন্ত্রণা উপেক্ষো করে
ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম তাকে শিশির ভেজা গালিচায়!

স্বরণে আছে আজো, প্রেমে ডুবে আমি কিছু করিয়াছিলাম অর্জন;
মূহুর্তেই সব জলাঞ্জলি দিয়ে করিয়াছি বিসর্জন।
মনে পরে আজো এই চৈত্রের প্রহরে, সেদিনও ছিল চৈত্র মাস;
আজি আমি করিতাছি এহন' আমার স্বপ্ন ধরণীতে বাস।

স্বচ্ছতার পসরা সাজিয়ে বসেছিল আজ শিশিরকণা
মেঘেরাও বলেছিল ধীরে,উড়াল দিতে আজ নেইকো মানা
অলস চাদর ডেকেছিল কোমল দুর্বাঘাসে,
তবুও আমি বসে আছি আজকে তোমার পাশে।

বন্ধু, কেমন আছো তুমি ?
তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে হয় ।
প্রতিদিন জানালায় চেয়ে থাকি,

আমার আনন্দদিনে তুমি নারী ব্যথিত হলে
জগতটা দুলে ওঠে তিন সেকেন্ড

ভাবেন কখন?
- মঙ্গল চিন্তায় অধির যখন।
- আশ্চর্য!!

কাঁদবার জন্য আমন্ত্রণ
রুহুল আমীন রাজু
সেদিন আমার বুকে কাঁদবার জন্য আমন্ত্রণ করলো সুলক্ষী
হঠাৎ এক বৃষ্টি ঝরা রাতে আমি ওর গৃহে উপস্থিত ।

শিউলি ঝরা রাতে যখন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা
তখন মনে হয়েছিলো শিউলি ফুলগুলো বোধহয়,
সেই রাতে ঝরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ছিলো ।
ওরা যেনো শুধু শুরুভী ছড়াতেই ব্যস্ত ছিলো

মানুষের তরে মানুষ
সবি একসাথে বসবাস
উঁচু-নিঁচু ভেদাভেদ ওরে
কেনরে শ্রেনিবিন্যাস।

ফাগুনের একটি দিন
যেদিন আমার ভালোবাসা বিসর্জন।
ঐ মেয়েটি একটি বদ উদাহরন
যার জন্য আমি ফুল আর কবিতা
জমা রাখি অসংখ্য এবং প্রদান করি।

আমি কোন কিছুতেই ভালো হতে পারিনি।।
না কবিতার বইয়ে,না কবির খাতায়-
কিংবা খুব যত্নে লেখা

প্যারিস থেকে ব্রাসেলস হয়ে বিসর্জনের বাজনা,
সভ্যতারই বোরখা ঢাকা, স্বার্থচিন্তা ভাবনা।

বেদনাটা বুকের বোঝা , একলা বয়ে বেড়ায়
নিরুপায় নির্জন পথে একলা , জনপদ শূন্য
হাঁপিয়ে উঠেছে একলা জীবন , গভীর দু'কুলে ।

তুমি যতো দূরেই যাও, থাক আমার অন্তর জুড়ে
না দেখলে এক পলক তোমায়, মন আগুনে পুড়ে
দহন নিয়ে আর কতো কাল, আস না সখি ফিরে
তুমি হীনে শূন্য বুকে, অপেক্ষায় ছোট্র নীড়ে।

আমি জানি তোমার আর আমার মাঝে বিস্তর তফাৎ;
তাইতো তোমার চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের মূলে আঘাত
হানতে চাইনি কখনও।