রক্তে তোমার বইছে জানি
প্রতিশোধের আগুন
মাঘ যেমন এসেছে জীবনে
আসবে আবার ফাগুন।

বন্ধু আমার মনের খাচায়
বাধলো নারে ঘর,
পোষা প্রাণীর মতো সেও
হইয়া গেল পর।

একুশ কি তবে সন্তানহারা
প্রলাপ বকা মায়ের কাঁদন
নাকি বৃদ্ধার ষোড়শীকালের বাল্যপ্রেমের
নষ্টালজিক বিরহ বাঁধন?

আর কত দিন থাকব আমি
তোমার আশায় বসে।

শিউলি ঝরা রাতে যখন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা
তখন মনে হয়েছিলো শিউলি ফুলগুলো বোধহয়,
সেই রাতে ঝরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ছিলো ।
ওরা যেনো শুধু শুরুভী ছড়াতেই ব্যস্ত ছিলো

বন্ধু, কেমন আছো তুমি ?
তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে হয় ।
প্রতিদিন জানালায় চেয়ে থাকি,

আমার ভীষণ ছুটির প্রয়োজন,
বেশীদিন না,আবার এক বা দুইদিনও না,
কমপক্ষে দশদিন ছুটির প্রয়োজন,
ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যাব না,

একটিবার বাইরে এসে দেখো
অমলিন জোৎ¯স্না।
একটিবার হাত বাড়িয়ে দাও
আমার হাতে।
নেবে তো নাও যত খুশী,
আকাশটা তোমাকে দিলাম।

আমি কোন কিছুতেই ভালো হতে পারিনি।।
না কবিতার বইয়ে,না কবির খাতায়-
কিংবা খুব যত্নে লেখা

স্বাধীনতা তুমি,
সাধারনের কণ্ঠে ধ্বনিত মুক্তির গান;
স্বাধীনতা তুমি,
শাষণ-শোষণ অত্যাচারের অবসান।

রাতে লম্ফতে সলতে চোখে
অধমরা প্রানে সপ্তমী একেঁছিলে।
তুমি অভয়া,

বাউন্ডুলেরা এ পৃথিবীতে কিছু করেছে কোন কালে?
ইতিহাসের দীর্ঘ পৃষ্ঠার কোন এক কোণে
লোক মুখে প্রাণ পাওয়া প্রাণোচ্ছ্বল লৌকিক কাব্যকথা বা প্রবাদ প্রতিবাদে

স্বপ্নের রঙগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিবর্ণ হলো
শাপলা দোয়েল কাঁদে অবিচারে অনাদরে,
সুশাসনের সুস্বাদ নেই; মোহ করে সব গ্রাস
গাংচিল আর ইলিশের ঝাঁক আসেনা পদ্মাচরে !

কী আছে আমার অর্ঘ্য করব তর্পণ
আছে প্রাণ শীর্ণ দেহ তারে দিনমান
খাটিয়ে সাজিয়ে যাই পরের বাগান
নিতান্ত এ নরাধম অতি সাধারণ।

অনেকখানি বড় হবার আশা নিয়ে,
চলতেছি মায়ার বন্ধন বিসর্জন দিয়ে।
বড় হব অনেক বড়,লক্ষ্য একটাই,
লক্ষ্যপানে অটল থাকলে আসবে সাফল্যই।