চিঠি এসেছে ওপারের তরে,
চলে যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে ;
জীবন ফুরিয়ে এলো,
দিনের আলো শেষে সন্ধ্যা নেমে এলো।

সেদিন মেঘলা দিনে
রিকশায় আমরা দুজনে..
এলোমেলো প্রেমের গল্প তখন
আর তারপর
নিস্তব্ধতায় কথোপকথন..

গভীর আধার রাত
করিতে ধ্বংস, আজ
উদ্যত কিছু কালো হাত ।

বছর ফিরে আসলো আবার দুর্গোৎসব,
মাকে পেয়ে সন্তানেরা দেখে দুচোখ ভরে অপলক।
ষষ্টিতে দেবী মা দুর্গা -
ফিরলো ঘরে রাঙ্গা দুটি
পায়ে,

মনে হয় পৃথিবীটা দাঁড়িয়ে আছে
এক অতল খাদের ধারে-
পলকে ঘটে যাবে বিপর্যয়
ঝোড়ো হাওয়ার সামনে কম্পমান প্রদীপ শিখার মত

যেদিন আমাকে আবার ভালোবাসবে
আলতো ছুঁয়ে দিতে চাইবে বারবার,
দূরে কোন এক প্রান্তরে একা ফেলে আসা
এই আমাকে ফিরিয়ে নিতে আসবে আবার।

আমার বুকের ভেতর জমাটবাঁধা আঁধার
একটা দেশলাই কাঠি জ্বেলে দাও
তাতে সামান্য হলেও
আলোর দেখা তো পাবো!

একেত পাপীয়সী সত্তা নিয়ে জীবন যাপিত
সেই স্বর্গ বিচ্যুত কাল হতে,
তার উপর
আঁধিয়ারের অতুলন্ত গহ্ববরে ডুবিয়ে রেখেছ,
নিহাস সমুদ্রে আমি সাঁতরাই মুক্তির অন্বেষায়-

এক পেয়ালা আফসোস এবং গোটা চারেক স্তুতি বাক্যলোভী
অর্জুন; এদের জন্য করুণা হয়।
কতোটা নির্লজ্জ একবার ভাবুন!
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে ব্রেকিং নিউজের দখলটা এদের চাই-ই চাই?

আমার এক টুকরো আঁধার চাই ,
যেখানে কেবল আমি মুখ লুকাই ।
আমি ভেন্টিলেটরে পুষি চড়াই,
নেই কোনো প্রতিবাদের লড়াই।

এই যে শুনছিস,
আচ্ছা সে কি এখনো আমার কথা মনে করে?
সে কি এখনো আমায় নিয়ে কেঁদে মরে?
তার তো আমাকে নিয়ে বাঁচার কথা ছিল,

আন্ধার রাইতে কি হাতাও মরদ
গা- গতর কালাইয়া গ্যাছে বর্ষা ভেজা
ভাদ্দরের শালিকের পয়ার ওডা শরীলে
বাইন মাছ কয়ডা পড়ছে জালে ?

আশার প্রদীপ যত নিভে গেলো সব,
থেমে গেলো জীবনের শত কলরব।
যে দিকে তাকাই শুধু ধুঁধু বালুচর,
জীবন মানেই আজি আঁধারের ঘর।

দিনের আলোয় ভালোমানুষ , আঁধারেতে ভয়ংকর ,
আঁধার নামলে " এসব মানুষ " হিংস্র পশুতে রূপান্তর ।
দিনের আলোয় সাধন-ভজন , আহারের আগে দেবতার নাম ,
আঁধার নামলে " ব্লো-হট " গান , আর সঙ্গে চাই নারীর ঘ্রাণ ।

আমি শিরিষের ডালপালা ছেড়ে
পাখ-পাখালির বাসা হতে
সবুজ কচি ঘাসের দেশে
এসেছিলাম মানব জন্ম নিয়ে।