রাতের আঁধারে হেঁটে চলি নীরবে,
শোনতে পাই নিজের পায়ের আওয়াজ,
পথ এগোলেই হারিয়ে যায় পথ,
পেছনে ফিরে দেখি কুয়াশার আঁধার।

আঁধার আমার ভালো ছিলো
চাইনি এমন হিংস্র আলো
আঁধার আমার সহায় ছিলো,
নিঠুর আলো আমার ঘর পুড়ালো।

এখানে আলো ছিল
ঝলমলে মুক্তোর মতো আলো
যে আলোয় ভর করে খেলা করতো সুন্দর।
এখানে আলো ছিল
শিশুর হাসির মতো শুভ্র আলো।

আষাঢ় যে চলে গেছে কাল
চেনা পথে এসেছে শ্রাবণ;
প্রকৃতিতে ধরণি উত্তাল
সবেতেই বিরহিনী মন।

তোমাদের প্রভু গৌতম বুদ্ধ যদি বলে থাকে
মানুষ ও জীব হত্যা মহাপাপ তবে কি তোমরাই তোমাদের
প্রভুর বাণী ও শান্তির বিরোধীতা করছো না ?

কোন কিছুই আগের মত
আর লাগেনা ভালো ।
আধারটাকে ভালো লাগে
ভাল্লাগেনা আলো।

জলজ্যান্ত আঁধারটাকে গিলে খেলো সূর্যের আলো
আর পুরোনো শহরটা নতুন মলাটে প্রস্তুত আবারো ৷
ইট,কাঠ,আর পাথরের শহরে আবার একটা ভোর
পেশাজীবী,কর্মজীবিরা সময়ের সাথে সাথে দৌড় ৷

ভালোবাসা নষ্ট হয়ে গেছে
জীবন জ্বলে দূর পাড়াগাঁয়ের কুপির মতন
চুলোয় চড়াব যে দু’মুঠো চাল
দুর্মূল্যের বাজার…

ন্ধ্যে হলে ভালবাসার দেব, ফিরত বাড়ি।

আধো আলো অন্ধকারে,
আমি কাছে গিয়ে মুখ তুলে তাকাতাম
তার বুকের মাঝে মুখ ঘশতাম প্রাণপণে
যতটা গভীরে যায় যাওয়া...

ঝিঁঝিঁপোকার ডাকা ডাকিতে
সন্ধ্যাটা পার হলে,
একটু পরেই রুপালি চাঁদটি
খড়বাগানে হাসে।

আলোর মাঝে বেঁচে থাকা, আঁধারকে করি ভয়,
তবু আলো ভালো বাসেনা আমায়,
মন আঁধারেই রয়।

দু'হাতে মুখ ঢেকে বসে থাকি আজকাল।
তাকিয়ে দেখার চাইতে সেই ভাল
দু'চোখে বুজে আঁধারে ডুব মারা।
আঁধার সোহাগ করলে নিশাচরের মতো জেগে ওঠে বোধ;

মানবতা আজ ডুকরে ডুকরে কাঁদছে আধারে,
পরবাসী জনতা অন্ন পানিহারা,
ঘন মেঘে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন
কাদামাটি একাকার, খিধের জ্বালায় হাহাকার।

হয়তো সময় যাবে থেমে
হয়তো সূর্য যাবে ডুবে
হযতো কেই রবে না পাশে
কিন্তু আমার বন্ধুগলো রবে জীবনভরে ৷

ছিমছাম নিশ্চুপ ঘন অন্ধকার
একটু একটু ভয় আর একটু একটু ভাললাগা।
এইতো ছিল বেশ নিজের মতন,
হঠাৎ কোথা থেকে এলো -রসিক আলো
করতে অন্ধকারের বস্ত্র হরন !