জীবনটা এতটা আধাঁরে ভরে যাবে ভাবিনি কখনো
তুমি এভাবে চলে যাবে প্রত্যাশা ছিল না আমারও
তবুও চলে গেলে তুমি, যেতে হতো আজ নয়তো কাল।
আমাকে আধাঁর করে, তুমি চলে গেলে
জানি ফিরবেনা আর

আমি যদি বলি, ক্লান্তি আস্‌লে কবিতা আসে মাথায়,
কবিরা তাহলে ক্লান্ত; তার মানে এইতো দাঁড়ায়!
তুমি যতই জটলা পাকাও আঁধারি ছাদের কোণায়
আকশের ছাদে চাঁদের আলো সমুদ্র হয়েই গড়ায়!

প্রতিহিংসায় ক্ষুন্ন করে, ধর্মীয় মুল্যবোধ
শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ড ক্ষমা, নয় প্রতিশোধ
প্রেমের মশাল জ্বেলে বাড়িয়ে দাও হাত
জয় হোক মানবতার, বন্ধ হোক সংঘাত।

শিক্ষা হলো আলো আর মুর্খতা আঁধার,
যে আঁধার দূর করে আলোক আনবো।
সেই আলোক ছোয়ায় এধার-ওধার,
জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্ব রহস্য জানবো।

হে বিধাতা!
আমি জানতে চাই এ ধরা কী সুখ শুন্য?
নইলে আমার জীবন কেন সৃষ্টি করা হয়েছে কষ্টের জন্য?
কষ্টের সাথে পাঞ্জা করে লড়ে যাচ্ছি দিন রাত্রি
লড়ে যাচ্ছি, লড়ে যাবো কারণ আমি কষ্টেরই-যে যাত্রি।

উত্তাল সমুদ্র,উত্তপ্ত ভূমি
ও সাথে ঝড়ো হাওয়া জানান দিল;
এল রে এল সেই তুমি৷

নষ্ট সময়, নষ্ট পথে
নষ্ট রাতে; নষ্টামিতে_
কষ্ট ভীষণ,হরেক রকম!
লাল-সালু; অকালবোধন।

কোনো এক সন্ধ্যাবেলায়,
আকুন্ঠতায়,
দুলছিলো মন;

অন্ধকার তুমি কার?
যার ঘরে এখনো ইলেকট্রিসিটি পৌঁছায়নি, তুমি কি তার?

অন্ধকার তুমি কার?
ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়েছে যে প্রেমী যুগল, তুমি হয়তো তার!

ধ্রুব নীল গাঢ় প্রভা নক্ষত্রের মত
যদি জ্বলো আকাশের করুণ নৈঋতে
যেন রাখো এইখানে থেমে গ্যাছে স্মৃতি
এইখানে নিভে গ্যাছে প্রথাহত প্রাণ

নীল কষ্টের বলিরেখা জমেছে; আঁধারের সমস্ত শরীরে
চিহ্ন রাখেনি নিষ্পাপ চোখ, নিশ্চুপ জল পতনের।
যে কয় ফোঁটা ঝরেছিল নিঝুম উপাসনালয়
তৃষ্ণার্ত দেয়াল তাও চুষে নিয়েছে নিরবে।

জলজ্যান্ত আঁধারটাকে গিলে খেলো সূর্যের আলো
আর পুরোনো শহরটা নতুন মলাটে প্রস্তুত আবারো ৷
ইট,কাঠ,আর পাথরের শহরে আবার একটা ভোর
পেশাজীবী,কর্মজীবিরা সময়ের সাথে সাথে দৌড় ৷

"প্রবেশ নিষেধ" লেখা দেখেও
ভয় না পেয়ে
এক অচেনা গুপ্তচর
প্রবেশ করে অস্তিত্ত্বের অন্ধকার মহলে।
তোমার হৃদয় নদীতে

আষাঢ় যে চলে গেছে কাল
চেনা পথে এসেছে শ্রাবণ;
প্রকৃতিতে ধরণি উত্তাল
সবেতেই বিরহিনী মন।

কালোর্ত্তীন সময়ের স্রোতে ভেসে যায় যাপিতজীবন,
প্রতি দিনের পুরোনো হয়ে যাওয়া মায়া, স্বপ্ন, যা কিছু আপন।
আধ পুরোনো ওয়ার ড্রোবের কাপড়ের ভাজে ভাজে স্বপ্নিল প্রেম গুলো কাঁদে।