এই যে শুনছিস,
আচ্ছা সে কি এখনো আমার কথা মনে করে?
সে কি এখনো আমায় নিয়ে কেঁদে মরে?
তার তো আমাকে নিয়ে বাঁচার কথা ছিল,

কোন কিছুই আগের মত
আর লাগেনা ভালো ।
আধারটাকে ভালো লাগে
ভাল্লাগেনা আলো।

শিক্ষা হলো আলো আর মুর্খতা আঁধার,
যে আঁধার দূর করে আলোক আনবো।
সেই আলোক ছোয়ায় এধার-ওধার,
জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্ব রহস্য জানবো।

কোনো এক সন্ধ্যাবেলায়,
আকুন্ঠতায়,
দুলছিলো মন;

গভীর আধার রাত
করিতে ধ্বংস, আজ
উদ্যত কিছু কালো হাত ।

আঁধার আমার ভালো ছিলো
চাইনি এমন হিংস্র আলো
আঁধার আমার সহায় ছিলো,
নিঠুর আলো আমার ঘর পুড়ালো।

বছর ফিরে আসলো আবার দুর্গোৎসব,
মাকে পেয়ে সন্তানেরা দেখে দুচোখ ভরে অপলক।
ষষ্টিতে দেবী মা দুর্গা -
ফিরলো ঘরে রাঙ্গা দুটি
পায়ে,

আজকে তোকে ফোন দিলাম,
রিসিফ করার আগেই কেটে দিলাম,
ভয় হয়েছিলো যদি তুমি বুঝে যাও আমি,
তাহলে ভাব্বে এখনো আমি তোমার প্রতি দুর্বল।

সযত্নে আমি গোপন করে রেখেছি, নীল খামে জমা রাখা কিছু স্মৃতিপট
বিমর্ষ রাতের অথিতি মনে করে চোখের কোণে লুকিয়ে থাকা নোনাজল,
রুমালের ভাঁজে গুঁজে রাখা সে নীল জোছনা কিংবা হঠাৎ আঁতকে উঠা আর্তনাদ।

সারাদিন পরিশ্রমের পরে,
চলে আসে রাতে,
রাত যে হলো ঘুমানোর সময়,
কিছুক্ষনের জন্য।

আলোর মাঝে হাসি আমি
আঁধারেতে লুকাই,
জোঁকার মনের মানুষ আমি
অনাহারে শুকাই।

জনম জনম ধরে রাত্রিগুলো কেন শুধু কালো হয়
কেন দিনের মতো করে কথা বলে না ওই চাঁদ?
বৈশাখী ঝড় এসে ভালোবাসা বেসে গেলে তবু
সাগরের ঢেউ বলো কেন মুছে দেবে পদচিহ্নগুলো!

এখানে আলো ছিল
ঝলমলে মুক্তোর মতো আলো
যে আলোয় ভর করে খেলা করতো সুন্দর।
এখানে আলো ছিল
শিশুর হাসির মতো শুভ্র আলো।

হাটতে হাটতে ক্লান্ত, এক প্রান্তে,
এসে দাড়ালাম।
ভাবনায় ব্যস্ত, মনের উপর ন্যস্ত,
চোখ বুঝে কল্পনায় হারালাম।

বিচ্ছিন্ন ছন্দে ছড়ানো রাস্তা-খুপরি-অফিস
মাথায় যেন শুধু পায়ের যোগাযোগ, আসলে
পাতার তলদেশে সরু সরু শিরা--শরীর
থেকে রক্ত শুষে নেয় শুঁয়োপোকা রোগ।