তুমি বৃষ্টি চেয়েছিলে ঝুম বৃষ্টি,
আষাঢ় ধারা শ্রাবণের মতো সৃষ্টি।
যদিও আমি চেয়েছিলাম অনাধারুন দৃষ্টি,
পারলামনা, তবু তোমার চাওয়াটা পূর্ণ করে দিতে!
মাঠঘাট, পথ, নদী-নালা ভরে দিতে স্রোতস্বিনী হয়ে।

ছোট্ট খোকার মনের মাঝে
প্রশ্ন আসে কত!
কে সাজালো রাতের আকাশ
তারার মেলায় শত?

হঠাৎ মনে হয় এলেন বুঝি তিনি
ঘড়ির কাঁটায় ভর করে, উড়ে উড়ে
দাগকাটা তালিকা একহাতে, অন্যহাতে পরোয়ানা –

আমাবস্যারা হামাগুড়ি দিয়ে চলে আসে একবারে বুকের কাছে
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা দুঃখগুলোর মতো ।
আর সুখটা? ঐ যে দুরের এক বিন্দু আলোর মতো
মই বেয়ে চাঁদ’টা ছুঁতে চাওয়ার মতো

এলোমেলো হয়ে যায় সকল ভাবনা
কোন চাওয়া আমার পূর্ণ হয় না
এটা কি আমার দুর্ভাগ্য নাকি ব্যর্থতা
এর কোন কারণ খুঁজে পাই না।

আমার হাতে বিষাদের কলম
সামনে তবুও সাদা কাগজের স্তুপ
আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেট জ্বলে
পুড়ে হয় শেষ, তবুও
কষ্টতো হয় না শেষ!

অপরের সন্দেহের দণ্ডকথা গুনগুনাও
শুধু নিজের সন্দেহ কথা ফুরফুরাও না-
এভাবে ময়লা জমে শ্যাওলা গায়ে,ইউপোকা বাসা বাঁধে
তুমি ছাড়া আর কেউ দেখে না -জানে না।।

বিবর্ণ কষ্ট গুলি খুঁচিয়ে খুচিয়ে
হৃদয়কে করেছে রক্তাক্ত
দৃষ্টিকে ঝাপসা করেছে অশ্রুর ঘনঘটা ।
তুমি তখনও ফিরে চাওনি ,

মৃত্তিকার বুক চিড়ে শুঁকে দেখি
রক্ত -রক্ত ঘ্রাণ।
' তাজা ' রক্তের গন্ধে ওঠে __
রক্তে মহাঝড়, মহাপ্রাণ ।

অঝর ধারায় নয়ন বারি
ঝরে ছিল যে দিন
বেজে ছিল বিরহের বীণ
ভুলতে পারি নাই সেই দিন ।

ফেলে আসা বিবর্ন সময়ে আলো ফেললে
তাতে কি বর্তমান আলোকিত হয়, হয় না
অতীত ভুলের আবর্জনা ঘাটলে
দুর্গন্ধই ছড়ায় কেবল

মিথ্যের সঙ্গে সতত যার বসবাস,
বলো, কীভাবে করবে সে সত্য প্রকাশ?
কীভাবে সে মুখোমুখি হবে দুনিয়ার?
প্রকৃতি দিয়েছে কি তারে সে অধিকার?

মহাকাশ হানা দেয় স্বপ্নের মাঝে
দেখাবে অপুরুপ শোভা তার কালকের সাঁঝে,
চন্দ্র ছিল সাক্ষী হইত আমার স্বপ্নের
ঘুমটা ভেঙেছিল রাত্রি দুপহরের,

নাম না জানা ওই বৃদ্ধ লোকটি
গোপন করে তার অনুক্ত শোকটি
আছে ঘুমিয়ে থাকা পুকুরঘাটে বসে
নিঝুম জলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে-
আলতো একটা করুণ হাসি হেসে।

পৃথিবীটা হইতো যদি এমনতর
রইতো সিমানা কারো মালিকানা অধিকার
বিধাতার জমিনে সবে মোরা ভাগিদার
নহে কেউ পর অধীন