তোতা পাখির মতো বলবে ভালবাসার হৃদয়ছোঁয়া
মিষ্টি কথা! আমি তারই প্রতীক্ষায় বসে-
বেলা গড়িয়ে যায়
দেখা নেই তোমার
পায়চারি করি অস্থির এই আমি

মানুষের কাছে’ই তো ছুটে আসে মানুষ
ভুল থেকে’ই যে হয় নির্ভুল
ভুল থেকে’ই যে ফুটে ফুল ।

নিথর হয়ে গিয়েছি,
প্রতীক্ষার কালক্ষেপণ যেন বাকপ্রয়োগের আড়ালে,
যেন অন্য অবনীর ক্ষণকালের অতিথি হয়ে;
নিরজনে নিশ্চুপে ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে।
রয়েছি আমাতে আমি বাকহীন,

সময় জুড়ে পালা বদলের খেলা
মধু আহরনের প্রতি দৃষ্টি,
জীবন ছন্দ দুলছে আহা
কেমন বলো যে কৃষ্টি !

ক্লাসিক সময়ের বিড়ম্বনায়
চোরা কাঁটার আঘাত সয়েছি কতো!
সেই কবে সিঁকেয় তুলে রেখেছি
দু’লাইনের প্রথম পবিত্র চিঠি।
যেখানে জড়িয়ে আছে আমার
দোলক অনুভূতির খসড়া।

জীবন তরীতে অনন্তকাল ভেসে বেরিয়েছি আমি
কখনো দুর্বার, কখনো মন্থর গতিতে।
গন্তব্যের অপেক্ষায় থেকেছি - কবে আসবে সেই দিন?

আমার অস্থির মন ছুটে যায় নক্ষত্রের পানে,
নতুন স্বপ্নের সঞ্চার অদৃশ্য চোখের কোণে-
নিয়ত আশ্রয় খোঁজে দূর নীলিমায়।

সুখ পাখি
আকাশ পাণে,
দুঃখ সেতো
সঙ্গী বর্তমানে।

আমি নির্জনে বসে।
ভাবি বারেবার কষ্ট কেন এত বেশী জীবনে আমার।

আজ কোনো কাজ নাই, শরীর আর সমুদ্র কাছাকাছি;
যেমন কাছাকাছি প্রতিদিনের সকাল ও সন্ধ্যা, উপলব্দির
পর উপলব্দি আসে আর ছাড়পত্র লিখে ফিরে যায়,
রাত্রির অন্ধকারে দিকভ্রষ্ট হয় চেনা পথিক, কেবল বেঁচে
থাকে মিলনের সুখস্মৃতি আর বিরহের মধ্যবর্তী অনুসর্গ!

হে ঈশ্বর-
তোমার শক্তির ক্ষমতা ভিজে যাচ্ছে
চোখের অন্ধকারের চারপাশে
আমাদের দু'ঠোঁট পেতে রেখেছি
ছোবল খাব বলে অসহিষ্ণুর কাছে ৷

শেষ সম্বল রমিজ মিয়ার এক বিঘা মোটে জমি
সে তো জমি নয়, যেন সোনা ফলা প্রিয় মাটি,
অভিন্ন দাগের পৈত্রিক জমি খাজনাও পরিশোধ
সারা জীবনের সম্পদ তার, এতদিনও ছিল খাঁটি ।

এখনো হাতে আমার উটেনি, উটেনি ক বাঁশি,
রাশ রাশ ভারায়, রসেরি ধারায় দেইনি ক ফাঁসি, আমি প্রস্তুত, সদা প্রস্তুত শুধুই তোমার বলার অপেক্ষায়।

কোন এক কথার বিষাক্ততায়,
নির্মল এই মনের,
এই কোন প্রতিক্রিয়া?
এই কোন অস্থিরতা?

বয়ে চলেছি অনামিকায়
খয়েরী থেকে কালচে হয়ে যাওয়া রক্তের ছোপ
নখের নীচ থেকে শ্বাপদের লোলুপ হাসি দেয়।
মনে করায় জ্বলে ওঠা ব্যররথতা-
তীব্রস্বরের গোঙ্গানি বেরিয়ে আসে অস্ফুট
অথচ অক্ষম আক্রোশে!