স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে হলি খেলেছিলো ,
যারা আমার বোনের সতীত্ব নাশ করে হত্যা করেছিলো আমি সেই নরপশুদের রক্ত দিয়ে হলি খেলবো
আলতা পরাবো আমার সতীত্ব হারানো বোনের পায়ে ।

বৃষ্টিতে আজ ভিজছে খোকা
খুকু ধরেছে বায়না ।
ক্ষীরের সাথে ডালপুরী আমি
কখনো ভালো খায়না !

ঠমক হয়ে যাচ্ছে দিন-দিন চেনা সব
নদীর বুকে জল ঠমক
পাখনা খোলা পাখিরা ঠমক
আমার চোখে সূর্য ঠমক!
জানো নন্দিনী—

কামনা তুমি তো ছিলে আমার ভালোবাসার প্রথম প্রকাশ,
শৈশবের সেই প্রথম দেখা থেকে আজ কৈশোরের প্রাপ্তকালে,
তুমি আমার হৃদয়ের মাঝের অন্ধকারে এক আশার আলোর প্রকাশ ।

মুখোশগুলো যখন খসে পড়ে তখন
চেহারাগুলো সব এক রকম লাগে।
কেউ হায়না কেউ নেকড়ে কেউ আবার কাল কেউটে।
কামনা আর লালসার ছোবলে ছোবলে বিষ ঝরে পরে।

তুমি ছিলে আকাশের নীলে নীলে
নিশ্চুপ নৈশব্দ মাঝে নিঝুম নিমগ্ন সুখে
আমি মেঘ হতে চাইলাম না বলেই ছোঁয়া হলনা তোমাকে!
ইচ্ছে করেই আমি মেঘ হতে চাইতাম না তখন..

তোমাকে কেন্দ্র করে বাঁচি আমি, তোমায় করি পূজো,
প্রজাপতির ডানার শত রঙ এর মত, তুমি আমার প্রিয়
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে মনের আদ্যোপান্ত,
তুমি আমার দুরন্ত মনের একটুখানি প্রশান্ত,

প্রিয় ভাষানী,প্রিয় মুজিব আর কতোকাল থাকবে অভিমান করে ? 
আর একবার বজ্রকণ্ঠে ডাকো দিশেহারা জাতিকে
১৬ কোটি মানুষ আজও তোমাদের অপেক্ষাতে ৷
কোথায় জিয়া,কোথায় আতাউল গনি ওসমানী

তোমাকে অনেকদিন দেখিনা যে প্রিয়!
কেমন আছো? কোথায় আছো? অবেলায়
সেই নুপূরের শব্দ- আমারেই দিও;

মনে পড়ে কি তোমার-
একদিন সমুদ্র তীরে পড়ন্ত বিকেলবেলায়
হাতে- হাতে রেখে বলেছিলে,
তুমি আমার, আর আমি শুধু তোমারি
হয়ে থাকবো চিরকাল।

এক ছুটির দিবসে মনের হরসে,
বেরিয়ে পড়ি জঙ্গলে যাবার মানসে।
হাঁটতে হাঁটতে সেই গহীন জঙ্গলে-
গেলাম একাকী যেথা, হৃদয় হিল্লোলে।

প্রাক-প্রাথমিক নষ্ট কবিতার জল।
অংকেতে নেই মন,কষ্ট পাবার ছল।
যা কিছু ছিল, হারিয়ে গেছে।
অজানার উদ্যেশে ছুটে চল।
চলনা? ছুটে চল।

বলি বলি করে, হল না বলা-
হৃদয় কোনে থেকে যায় অলিখিত সংলাপ
অসহায় সংকলনের ভাষায় অপ্রত্যাশিত বক্তব্য
যন্ত্রণায় বিক্ষুব্ধ,অব্যক্ত।

প্রিয়তমা দেখো,
বৃক্ষ তার বোঁটা ও মুকুলের বুকে
ফুল ও ফলকে প্রেম দিয়ে বন্দি করে রেখেছে
তারা আনন্দের নহরে বাসনার সংসার করছে

এমনি বর্ষার দিনে,
দু’ফোটা চোখের জল
মুছে দিয়ে ছিলে
বলে ছিলে ক্ষতি হয়নি কোন কিছু
আমিতো রয়েছি পাশে
এমনি বর্ষার দিনে।