প্রিয়তমা দেখো,
বৃক্ষ তার বোঁটা ও মুকুলের বুকে
ফুল ও ফলকে প্রেম দিয়ে বন্দি করে রেখেছে
তারা আনন্দের নহরে বাসনার সংসার করছে

যে-শহরে এক টুকরো প্রেম প্রাপ্তিতে
ধীরে ধীরে কয়েক ফোঁটা জল পরিনত হয় সীমাহীন এক মহা সমুদ্রে
তবু ভালোবাসা আছড়ে পড়ে কর্দমাক্ত কোন নিষিক্ত নর্দমায়
কষ্টের নির্বাপণ সে শহরে হয় না
উদ্দাম লহরীর ন্যায় কেবলই উচ্চারিত হয় হৃদয় বিদারী অশরীরী হাহাকার।

জৈষ্ঠ্য মাসের প্রচন্ড খরতাপে
ভ্যাবস্যা গরমে একদম গা ঘেষে বসা একটি শরীর,
রৌদ্রর খরতাপে চুকচুকে ঘামে ভেজা।

মাথার উপর নীল আকাশটায় ঘুরে বেড়ায় চিল শকুনেরা,
তীক্ষ্ণ ঠোঁটে অভুক্ত উদরে চেয়ে আছে শ্যেন চোখে,
রক্ত মাংসহীন দেহের স্বাদ পেতে ওত পেতেছে তারা,
কঙ্কালসার দেহটাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ভাঙবে উপোস।

আমি আমার জন্য জন্মেছি ।
মনটাকে স্বার্থপর করেছি।
এক গ্লাস টিউবওয়েলের জলেও
আমি রাজি......!!

যত রঙ্গে থাক আনন্দে
যত বিরহে কাঁদে অঙ্গনে,
যত স্বপ্নে দিবা রাত্রে
যত সুখ থাকে বক্ষে।

এমনি বর্ষার দিনে,
দু’ফোটা চোখের জল
মুছে দিয়ে ছিলে
বলে ছিলে ক্ষতি হয়নি কোন কিছু
আমিতো রয়েছি পাশে
এমনি বর্ষার দিনে।

সূর্য ডোবা শেষ কিরণে জেনে নিও
আমি আছি
ঠিক ভোরের প্রথম আলোয়
যেমনটা ছড়িয়ে থাকি ।

এ জগতে আমার মতো আছে কতো জনা,
মধুর খোঁজে ঘুরে বেড়ায়,যায়না করা মানা।
প্রভাত আলো ফুটলে পরে মনটা দেয় সারা,
তাদের আগে নাগেলে মধু লুটে নেবে তারা।

উড়ে চলি বহুদূর পাখা মেলে
পদ্মা ,দজলা বা নীল নদ ছেড়ে
আটলান্টিক ওপাড়ে
শুধু পথ চলা ৷

সীমান্ত এঁকেছ। আর... অরণ্য গহন।
নিষিদ্ধ প্রলেপ তো তোমারই প্রচলন।
শেকল দৃশ্যমান। বেড়ি পায়ে রেখেছোতো আজও।
বার বার কেন তুমি সংস্কার সাজো?

বাক্স বন্দী,
বিধবার লাল শাড়ি।
তব কালো চুলের বেণী এখনও কোমর অবধি দোলে!
কামনার শিরা-উপশিরায় লেগে থাকে পুরুষের ক্ষুধা।

মুখোশগুলো যখন খসে পড়ে তখন
চেহারাগুলো সব এক রকম লাগে।
কেউ হায়না কেউ নেকড়ে কেউ আবার কাল কেউটে।
কামনা আর লালসার ছোবলে ছোবলে বিষ ঝরে পরে।

মেঘমালারা আকাশ পথে
আর আমি...
কি জানি কি ভেবে,
ছুটছি সেই মেঘমালার পিছে।

নিস্তব্ধ মেঘাস্পদে রাতের আঁধারে,
ব্যথিত হৃদয় মম কেবল খুঁজে ফিরিছে তোমায়।
বেদনার গ্লানি অক্ষিপক্ষ্ণে অশ্রুকে স্বাগত জানিয়েছে,
বিষন্ন মন সেজেছে পরাজিত সৈনিকের সাজে।