এমন সময় ছিল যখন বাতাসে ছিল সুর
গান গাইতো পাখি, বৃষ্টিতে ছিল ছন্দ
গাছ-গাছালি ছিল সমঝদার শ্রোতা
মেঘ বালিকারা নৃত্য করতো দল বেধে।

চোরাবালিতে দিয়ে ডুব
নিয়ে মনে আশা,
সন্ধান পাবো নিশ্চয় আমি
সোনা খাসা খাসা।

পাখির কামনা, মুক্ত আকাশ
ক্লান্ত পথিকের কামনা, শীতল বাতাস
মেঘের কামনা, উঠুক ঝড় ।

স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে হলি খেলেছিলো ,
যারা আমার বোনের সতীত্ব নাশ করে হত্যা করেছিলো আমি সেই নরপশুদের রক্ত দিয়ে হলি খেলবো
আলতা পরাবো আমার সতীত্ব হারানো বোনের পায়ে ।

মনে পড়ে কি তোমার-
একদিন সমুদ্র তীরে পড়ন্ত বিকেলবেলায়
হাতে- হাতে রেখে বলেছিলে,
তুমি আমার, আর আমি শুধু তোমারি
হয়ে থাকবো চিরকাল।

“আমারও আছে অন্তর, ইচ্ছা হয় মেঘের মতো উড়িআকাশে,
ইচ্ছা হয় ফুলের রেণু, ধূলিরকণা, শিশিরবিন্দুহই,
নয়তো শালিক, দোয়েল কিংবা বকের মতো উড়িবাতাসে,
নয়তো ভাসি শাপলা, শালুক, পদ্মহয়ে ঝিলের জলে।”

অনেকদিন চেয়ে থেকে না পাওয়া কি কামনা নয়?
কামনার তাড়নায় সব কিছু পেটে-পিঠে সয়!

মণে হয় যে আমি পুঁচকে মন্দ বাতাস হতে হবে
স্বচ্ছন্দে ঝাঁকতে হবে স্বেচ্ছার মত সেখানে
যেখানে মনের টান হয়

তোমাকে কেন্দ্র করে বাঁচি আমি, তোমায় করি পূজো,
প্রজাপতির ডানার শত রঙ এর মত, তুমি আমার প্রিয়
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে মনের আদ্যোপান্ত,
তুমি আমার দুরন্ত মনের একটুখানি প্রশান্ত,

আমার কামনায় ছিলেনা তুমি
কি করে এই অকপট সত্যটা বলি
কামনায় থাকেনা মা থাকেনা দানার কনা
থাকেনা সেই কামনায় দেয়ালের লক্ষ্মীসরা

স্নিগ্ধ গোধুলীর মিইয়ে আসা আলোয়
আলোর ফোয়ারা ছুটিয়ে দৃশ্যপটে তুমি
সমুদ্রের খোলা হাওয়ায় বাধন হারা চুলে
আঙ্গুল চালিয়ে লাজুক চোখে চোরা চাহুনি।

বাহিরে অঝোর শ্রাবণ,
একটু কি আমি বৃষ্টি ছুঁতে পারি
অথবা তোমার হাতে হাত রেখে
টি এস সির মোড়ে

ইচ্ছে হলেই আকাশে উড়ি
ইচ্ছে হলেই ঘুরি,
চাঁদের দেশে পসরা নিয়ে
ইচ্ছে করি ফেরি ।

পুষ্পরেণু ছড়ানো ছিল যোগ দেয় ভাত কাপড়
রেগে ওঠা চরিত্রে সেও দিয়ে দেয় এক থাপ্পড়

এভাবে জীবনের রামধনু আঁকা যৌগ চালচিত্র
বেড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া স্বভাব সুলভ মিত্র

আমি আমার জন্য জন্মেছি ।
মনটাকে স্বার্থপর করেছি।
এক গ্লাস টিউবওয়েলের জলেও
আমি রাজি......!!