এই ক্লান্ত দুপুরে
নির্জন শহরে
আমি একা বসে বারান্দায়-
হালকা হাফসাচ্ছি
মৃদু বাতাস খাচ্ছি,

পূর্ব কালে ব্যক্তি মেনেছিলেন...
ঋণী থাকা... এক দীনতার ভাবনা
অন্য ব্যক্তির উপকারের ভার বহন করিবার লাঞ্ছনা
দৈনিক আবশ্যকতাগুলির পূর্ততার জন্য অন্য ব্যক্তির স্তাবকতা

আগুন যদি লাগে আরো দৃঢ় হয় প্রাচীরকারন তা মাটি দিয়ে তৈরী বলে,
কিনতু তারও তো একটা সীমা আছে
প্রথমে দৃঢ় হবে, তারপর দৃঢ়তম, তারপর ঝামা, অতঃপর ছাই।
তারপর আর কিছুই থাকেনা বাকী

সন্ধাবেলা সুর্য আড়ালে
ঘরে হয়ে একা বন্দি,
হাওয়াই হাওয়াই কথা ভাসিয়ে
করেছিলে সাথে মোর সন্ধি।

আমার ঋণ
এ পৃথিবীর কাছে, প্রকৃতির কাছে
সন্ধ্যার তারার কাছে, রাতের জোনাকির কাছে
ভোরের শিশিরের কাছে, সকালের রবির কাছে
দুপুরের রোদ্দুরের কাছে, পড়ন্ত বিকেলের কাছে।

মানবতা আমি দেখে নিয়েছি
তোর শেষ বিন্দু,
তাই ইচ্ছে নেই, দেখাবার শুরু
তোর কাছে আমি শষ্য দানা সমেত দামী।

দেশের প্রতি আমাদের
আছে অনেক ঋণ
জীবন দিয়েও শোধ হবেনা
এ ঋণ কোন দিন।

এই যে প্রতিদিন বেঁচে থাকা,
এ যেন তিলতিল করে দেনা মেটানো -
এক অনন্তের অজানা ঋণের|

ও নদী জবাব দাও
জলের তৃষ্ণা কতোটা গভীর হলে
গাঙচীল নীড় খুঁজিয়া বেড়ায়
নদীমাতৃক বাংলায়?

মনে পড়ে পুরোনো সেই সব কথা---
যা চেয়েছি, তার চাইতেও বেশী দিয়েছো ;
আমি তোমায় কিছুই দিতে পারিনি!
নিজেকে হারিয়ে ছিলাম কর্ম-ব্যস্তময় জগতে।

দিন দিন ভারি হচ্ছে জাতির ঘাড়ে ঋনের দায়
আমজনতা হিসাবে আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে
হাত-পা বাঁধা অসহায়।

জামা কাপুড় কিনতে গিয়ে খুব ভাল একটা পোশাক
আমার পছন্দ হল,কিনার সামর্থ্য ছিল না
মনে মনে বললাম- সৎ ভাবে থাকি পরকালে
অনেক পরা যাবে

একটি দিবস ভালোবাসার
একটি দিবস মায়ের
একটি দিবস ভাষার জন্য
জিবন দেয়া ভায়ের।

বানাতে তোর জীবন সাঁকো
ঠাই দাঁড়িয়ে রোদে,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি
সুখ জাগানো বোধে।

জন্ম দিয়ে বাবা তুমি করিলে আমায় ঋনি,
কেমন করে শোধ করিবো এ ঋন,নয়তো আমি ধনি ।
জন্ম দিয়ে ক্ষান্ত হওনি দিয়েছো অনেক ভালোবাসা,
বাবা আমার জীবনে তুমিই আমার আলোর আশা ।