হে কপাল তোমায় তিলক পরালাম,
আদর করেছি কত।
তোমার জনৈক কত কত কি নিয়েছি,
মাদুলি তাবিজ শত।

দিলে ছেড়ে আমায় অসুখ বনে
অশনি পড়ল যে মনে,
গণৎকার এসে একি শুধাইল মোরে

সুলক্ষী ও শুভ’র সম্পর্ক ঈশ^র প্রদত্ত- ’ঐশ^রিক’
কথাটির ঘোষণাকারী স্বয়ং সুলক্ষী .....
এরপরও কেন প্রশ্ন... ? কেন ভয়াবহ ঘৃণা...???

সব শেষ চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই বাকি
তবু ও দিন শেষে তুমি আমায় আশায় থাকি
ঈশ্বরের ইচ্ছেয় হয়তো আমাদের এই দুরুত্ত
তাতে কি কমছে না একটু ও সেই গুরত্ত ।

সেদিন গভীর রাতে হাটতে হাটতে,
বেরিয়ে পড়ি একলা, যাচ্ছি মহল্লাতে।
ইচ্ছা, ঘুরিয়া ঘুরিয়া দেখিব পাড়ার,
বিত্ত্বহীন লোক আছে কিনা অনাহার।

সারা রাত স্বপ্নরা ভীষণ দিয়েছে কষ্ট
শিলা বৃষ্টির মতো -গুলির ছিদ্র হওয়া ক্ষত,
ভাঙ্গতে চায় নি নৈঃশব্দের ঘুম !

মাসের না পেরুতেই ফুরালো চালের ডিব্বা,
বাজারে এসে পণ্যের দাম শুনে কামড়ে ধরি জিহ্বা।
হা হা করি আমি পড়াতে পারিনা সন্তানকে ভালো স্কুলে,
বাড়িওয়ালা একমাসের ভাড়া না পেলে অপমান করে মুখ খুলে।

বেলা, তুমি যখন আজকাল 'ভালোবাসি' বলো
আমি তাতে জীবন খুঁজি।
কথার জীবন
বোধের প্রাণ
প্রাণের বোধ
পাইনে তা আমি-
'প্রাণহীন ভালোবাসি'র কোনো জবাব দিতে পারি না আমি।

বলি নি তো,আমাকে ভালবাসতেই হবে।
তুমি শুধু আমার কবিতা লেখা প্রহর হবে।
আমার লেখা প্রতিটি কবিতা,
প্রথম পঠিত হবে তোমার দুটি অধরে।

সবকিছুরই কার্যকরণ আছে
যা কিছু ঘটে সবই সূত্র মেনে ঘটে
ছোট থেকে বড়, কঠিন থেকে কঠিনতর...

জীবন একটা বিরহ কাব‌্য
গদ‌্যে-পদ‌্যে সাজানো-
বেসামাল।

আমি সেই পথে হাঁটি , যে পথে ঝরেছে পাতা
স্বপ্নবৎ, বসন্ত পেড়িয়ে ।
না কী বসন্ত ছিল তখনো ?

আমরাকি শুধুই স্তন্যপায়ী মেরুদন্ডী অ্যানিমল্!
সম্ভবত এর চাইতেও ঢের অধিক কিছু
প্রতিটি প্রাণীর অল্প কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে
অথচ হোমো সেপিয়েন্সের বৈশিষ্ট্য অসীম
আবার একটার সাথে অপরটার বিস্তর তফাৎ

অভিনয়ে প্রথম পুরষ্কারটা তোমার,
হোক আমার দ্বিতীয়টা,
জানি তুমি ভাল নেই, সুখে নেই আর,
নিয়তিই যে হায় পথের কাটা।

একদিন হয়তো হিমেল হাওয়া
আমায় ছুঁয়ে যাবে না
পায়ের নিচে নরম ঘাসেরা
নুয়ে পরবে না।