দিলে ছেড়ে আমায় অসুখ বনে
অশনি পড়ল যে মনে,
গণৎকার এসে একি শুধাইল মোরে

আমি সেই পথে হাঁটি , যে পথে ঝরেছে পাতা
স্বপ্নবৎ, বসন্ত পেড়িয়ে ।
না কী বসন্ত ছিল তখনো ?

চো‌খের জ্ব‌লে যতবার লি‌খি জীবন না‌মের কাব্য
ধু‌য়ে যায় সব কা‌লির ছলা, জীবন নয়‌তো নব্য।
অর্থ খু‌জেই দৌ‌ড়ে আমি হা‌ফি‌য়ে উঠিা চিরকাল
জীবন ব‌লে থম‌কে দাড়া , পা‌বিনা খু‌জে এ অতল।

সব শেষ চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই বাকি
তবু ও দিন শেষে তুমি আমায় আশায় থাকি
ঈশ্বরের ইচ্ছেয় হয়তো আমাদের এই দুরুত্ত
তাতে কি কমছে না একটু ও সেই গুরত্ত ।

হে কপাল তোমায় তিলক পরালাম,
আদর করেছি কত।
তোমার জনৈক কত কত কি নিয়েছি,
মাদুলি তাবিজ শত।

চরম উৎকণ্ঠায় কেটে গেল রাত
হিম শীতল আমেজ মিশ্রিত মুহুর্ত কষ্টদায়ক
অরণ্যের স্নিগ্ধতা , লালিত্যময়, চমৎকার নিবন্ধ
স্বচক্ষে অবলোকন করার ব্যর্থ প্রয়াস।

তোমার নেশায় মত্ত হয়ে
ছাড়লাম বাড়ি ঘর,
সুখি যেন হও ললনা
আমার প্রেমের পর।

কখনো পদ্মপাতায় খেয়েছ গরম ভাত?
সাথে মাটির খুরিতে দুধসাদা ঝরনার জল,
নুন, তেল ,কাচালংকা দিয়ে
চড়ুইভাতি করেছো কখনও মনে মনে ?

শিশর ভেজা গোটা পৃথিবী ইন্দ্রিয় নির্ঘুম
কৃষ্ণ দ্বাদশীর প্রস্ফুটিত আবরণে
ভালোবাসি রাত জাগা চাঁদকে
দূরে চলে যাওয়া কোনো অজানা পথকে
অপেক্ষারা সেই বিকেলের স্বপ্ন বৃষ্টিকে

কালো দীঘল কেশ যখন চিরহরিৎ
শুভ্র সিঁথি হয় হালকা বাদামী
চিরল পাতাগুলো আমার সামনে
চির যৌবনা ললনা; প্রেরণার উৎস।

সবুজ শ্যামল চারদিক রঙতুলির আঁকা নীলাভ সাদা আকাশ
নিঃশব্দে ভৈরব একা কাঁদে খিলক্ষেত মায়া তাকে জড়িয়ে রাখে
পেটের ক্ষুধা তাকে অস্থির করে তোলে মনের ক্ষুধা ভুলে যায়
বেকার এ পার্থিব জীবনে প্রবেশ নিরূপায় হয়ে প্রকৃতিতে মিশে।

ক্রমে দুনিয়ার মোহ, করল আটক
রঙিন স্বপ্ন নয়নে, মিটে না পিপাসা,
নিজের আয়ত্তে নিতে, করছি নাটক;
বাড়ছে মনে অহম, মেকি ভালবাসা।

কোথায় হারালো সেই সারল্য
সেই নির্মল আবেগ
কোথায় হারালো সব; কোথায়?

কপালে কে জানি উদিত
সূর্যটাই বসিয়ে দিয়েছে
যেন উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তেপান্তর মধ্য চুলের দুই পারের

আমি সুদর্শন নই
চটপটে নই
আড্ডাপ্রিয় নই
তাই তোমার কাছে অদ্ভূত আমি।