মাসের না পেরুতেই ফুরালো চালের ডিব্বা,
বাজারে এসে পণ্যের দাম শুনে কামড়ে ধরি জিহ্বা।
হা হা করি আমি পড়াতে পারিনা সন্তানকে ভালো স্কুলে,
বাড়িওয়ালা একমাসের ভাড়া না পেলে অপমান করে মুখ খুলে।

আমি জেগে আছি;
স্তব্ধতার শব্দ শুনবো বলে জেগে আছি আমি।
দূরের পাহাড় তার অনাদি কালের কালো
স্রোত বুকে নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে;

শিশর ভেজা গোটা পৃথিবী ইন্দ্রিয় নির্ঘুম
কৃষ্ণ দ্বাদশীর প্রস্ফুটিত আবরণে
ভালোবাসি রাত জাগা চাঁদকে
দূরে চলে যাওয়া কোনো অজানা পথকে
অপেক্ষারা সেই বিকেলের স্বপ্ন বৃষ্টিকে

বলি নি তো,আমাকে ভালবাসতেই হবে।
তুমি শুধু আমার কবিতা লেখা প্রহর হবে।
আমার লেখা প্রতিটি কবিতা,
প্রথম পঠিত হবে তোমার দুটি অধরে।

ক্রমে দুনিয়ার মোহ, করল আটক
রঙিন স্বপ্ন নয়নে, মিটে না পিপাসা,
নিজের আয়ত্তে নিতে, করছি নাটক;
বাড়ছে মনে অহম, মেকি ভালবাসা।

কখনো পদ্মপাতায় খেয়েছ গরম ভাত?
সাথে মাটির খুরিতে দুধসাদা ঝরনার জল,
নুন, তেল ,কাচালংকা দিয়ে
চড়ুইভাতি করেছো কখনও মনে মনে ?

ব্লাকহোলে পড়ে থাক
হয়ে সব কালো কাক,
ছিপ ফেলে বসে থাকে
মহাকাল- উজবুক ।

হে স্বঘোষিত কবি-কি পেলে
স্মৃতির রক্ত ঝরায়ে প্রতীক্ষায় থেকে,
মধ্যরাতের নিঃশব্দের জানালা খুলে
কবিতা লিখে !
কি পেলে হে কবি !

প্রতিক্ষণে
হেঁটে চলি যতনে
ধীরে চলা
স্বচ্ছ জল-বালু ঘোলা,

মোহময় প্রান,
জীবনের বাঁকে বাঁকে,বয়ে চলা নদীর ঢেউয়ে,
উত্তাল গতিময় চন্দের শেষে,
আছড়ে পড়া বালুচর বেশে,

এই যে প্রেমিকেরা এত ভালবাসি ভালবাসি বলে
বিনিময়ে কিছু কি চায়?
চায় চায়। শরীর চায়, রক্ত চায়, মাংস চায়।
রক্ত মাংসের পিন্ড চায়।
প্রেমিকারাও তাদের প্রেমিকের কত যত্ন নেয়!

অসূয়াপরায়ণ আজ রুগ্ন মানবতা।
পৃথিবীর মোহনায় তাই শত কোটি কষ্ট।
উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ অসহিষ্ণু হ'য়ে উঠছে দিন দিন!
অসীম আশা সসীমের কাছে--- "রক্ষা করো" ।

তোমার নেশায় মত্ত হয়ে
ছাড়লাম বাড়ি ঘর,
সুখি যেন হও ললনা
আমার প্রেমের পর।

সবকিছুরই কার্যকরণ আছে
যা কিছু ঘটে সবই সূত্র মেনে ঘটে
ছোট থেকে বড়, কঠিন থেকে কঠিনতর...

মাধবীলতার পাতার ফাঁকে সকালের সোনা রোদ্দুর,
আনমনা ভাব
কথার অভাব
স্বপ্নেরা ভেঙে চুরমার হয়;হয়ে যায় বড় নিষ্ঠুর।