পার্থিব জগতের প্রতি আমার কোন লোভ নেই
একথা অনেকেই বলেন ,
তারাই আবার এই জগতের দিকে
অতি আগ্রহে দৌড়ে চলেন।

প্রতিক্ষণে
হেঁটে চলি যতনে
ধীরে চলা
স্বচ্ছ জল-বালু ঘোলা,

অসূয়াপরায়ণ আজ রুগ্ন মানবতা।
পৃথিবীর মোহনায় তাই শত কোটি কষ্ট।
উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ অসহিষ্ণু হ'য়ে উঠছে দিন দিন!
অসীম আশা সসীমের কাছে--- "রক্ষা করো" ।

আমার মাথায় তোমার স্মৃতিগুলো
ঠিক যেন ভাইরাসের মত
করে চলেছে বংশবিস্তার।

সুলেখা ও হাত রেখেছিল একদিন হাতে
বলেছিলো দুর্বার ঘৃণা তার পয়সাতে।
আহা এ যে স্বর্গীয় প্রেমের ই বাণী!
এ প্রেম নিখাত খাঁটি জানি।

মোহময় প্রান,
জীবনের বাঁকে বাঁকে,বয়ে চলা নদীর ঢেউয়ে,
উত্তাল গতিময় চন্দের শেষে,
আছড়ে পড়া বালুচর বেশে,

যুক্তাক্ষর লিখতে সময় লাগে শিশুর,
আম-জাম লিখতে খেতে লাগে বড়ই মধুর,
'সম্পর্ক' লিখতে শিখলেও..
বোঝা কঠিন, সময় লাগে প্রচুর।

চলে যাব একদিন এ পৃথিবীর সবকিছু ছেড়ে,
হবে না কেউ চলার সাথী চলে যাব দুহাত নেড়ে।
সোনায় সাজানো সংসার মাটির মমতার ঘর,
দূরে ঠেলে দিয়ে মৃত্যু আমায় করে দেবে পর।

আমি সেই নীলাকাশে নিজেকে হারাতে চাই না
যেখানে লোভ দেখিয়ে ঘুরেফিরে লক্ষ্য নক্ষত্রাদি!
যেখানে নজরবন্দী সব পুণ্য পাপী’র লালসাকামনা
সেই অজানায় নিজেই নিজেকে হারাতে পারিনা।

এই যে প্রেমিকেরা এত ভালবাসি ভালবাসি বলে
বিনিময়ে কিছু কি চায়?
চায় চায়। শরীর চায়, রক্ত চায়, মাংস চায়।
রক্ত মাংসের পিন্ড চায়।
প্রেমিকারাও তাদের প্রেমিকের কত যত্ন নেয়!

শহরে সেদিন তুমুল বৃষ্টি
তবু স্রোতের প্রতিকূলেই বেছেনিল মানূশ দুটো।
দূর জলের উপর বৃষ্টির ফোটা সময় থমকে দেয়।
হাতের রাখা হাত নির্ভরতার কথা বলে, আশ্বাস দেয়।

মাধবীলতার পাতার ফাঁকে সকালের সোনা রোদ্দুর,
আনমনা ভাব
কথার অভাব
স্বপ্নেরা ভেঙে চুরমার হয়;হয়ে যায় বড় নিষ্ঠুর।

আমি জেগে আছি;
স্তব্ধতার শব্দ শুনবো বলে জেগে আছি আমি।
দূরের পাহাড় তার অনাদি কালের কালো
স্রোত বুকে নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে;

কপালে কে জানি উদিত
সূর্যটাই বসিয়ে দিয়েছে
যেন উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তেপান্তর মধ্য চুলের দুই পারের

বলি নি তো,আমাকে ভালবাসতেই হবে।
তুমি শুধু আমার কবিতা লেখা প্রহর হবে।
আমার লেখা প্রতিটি কবিতা,
প্রথম পঠিত হবে তোমার দুটি অধরে।