বন্ধু

ক্ষোভ (জানুয়ারী ২০১৪)

মুক্ত মনের লেখক
  • ১২
  • ৬৬
নাবিল,ঐ নাবিল,ওঠ,তাড়াতাড়ি ওঠ বাবা।।
কিরে,উঠিস না কেন?এত ডাকা লাগে,একটা খারাপ খবর পেলাম এইমাত্র।
তাড়াতাড়ি ওঠ না বাবা,প্লিজ...
মা,তুমি এটা কি শুরু করলে?ভোর পাঁচটার সময় আমাকে ডাকছ,তাও এত করে?
দেখলে না,আমি ৩টার দিকে ঘুমাতে আসলাম,ব্লগে কাজ ছিল,করতে করতে দেরি হয়ে গেল,প্লিজ এখন ডেকো না।
ঘুমের ঘোরে মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম,মায়ের চোখে জল।
চমকে উঠে মাকে জিজ্ঞাসা করলাম,কি হয়েছে মা?তুমি কাদছ কেন?এত রাতে কি হল তোমার?আব্বু দেরী করে ফিরলো বলে সেইতো না খেয়ে শুয়ে পড়লে,এখন আবার কান্না কর কেন?
প্লিজ,আমাকে একটু ঘুমাতে দাও,সকালে এক্সাম আছে।
মা আরো জোরে কেঁদে উঠলো,বলল,রিয়া আজ রাতের ফ্লাইটে ব্যাংকক যাচ্ছিলো।
গুরুত্ব না দিয়ে বললাম,হুম যাচ্ছিলো,তো কি?আমার অবশ্য কষ্ট হচ্ছিলো ওকে বিদায় জানানোর সময়,কিন্তু এটা তো কয়েকদিনের জন্য।এজন্য তুমি কাদছ?
আমাকে একটু বলতে দে প্লিজ,ও যে বিমানে যাচ্ছিল সেটা পৌছানোর আধঘন্টা আগে ক্রাশ হয়েছে...কেঁদে কেঁদে বলল মা।
কি বললে মা?বলছো কি তুমি এসব?তুমি কিভাবে জানলে?কে বলল তোমাকে?মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো আমার।কয়েক মুহুর্তের জন্য পৃথিবীর সবকিছুই ভুলে গেলাম।সব ঘুম হারিয়ে গেলো।
মা বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,তুই ফোন অফ রেখেছিস বলে রিয়ার ছোট চাচা মিজান সাহেব আমাকে ফোনে জানালেন।
আচ্ছা,ঠিক আছে,তুমি কেদনা,একটু কান্না থামাও,আমি দেখছি।।
তুই কি দেখছিস?
কিছুনা,যাও তুমি,দেখি।বলেই শার্টটা ঘাড়ে নিয়ে বাইকের চাবি হাতে দৌড়ে বেরিয়ে গেলাম।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না,চোখ ফেটে যাচ্ছিলো।শরীরের সবটুকু শক্তি ব্যায় করে ইচ্ছামতো কাদতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।কিন্তু আমি এখন আগের মত নেই,রিয়ার সাথে পরিচয়ের আগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়েও অনেক কেদেছি,কিন্তু এখন আর কাদতে মন চায় না।রিয়া আমাকে শিখিয়েছে,কান্না পুরুষের জন্য না।যতই ঝড় আসুক না কেন,সত্যিকারের পুরুষ হলে সেটা জয় করার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়,পরিশ্রম করতে হয়।
বাইক নিয়ে ভোর পাচটার সময় ছুটলাম বিমান-বন্দরের দিকে এবং কয়েক মুহুর্তের মধ্যে সেখানে পৌছলাম।এতো অল্প সময়ে পৌছে যাব ভাবতে পারিনি।অবশ্য কিছুদিন আগে হলেও পৌছে যেতাম কিন্তু রিয়াকে সাথে নিয়ে চালাতে চালাতে জোরে বাইক চালানো একরকম ভুলেই গেছিলাম প্রায়।
বাইক থেকে নেমে এক দৌড়ে বিজিএ এর কাউন্টারে পৌছলাম।এত সকালে যতটা ভিড় এখানে থাকে তার থেকে কয়েকগুন বেশী ভিড় লক্ষ্য করলাম।ভিড় ঠেলে কোনমতে ভিতরে গিয়ে কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করতেই এক মহিলা কর্মী আমাকে বললেন-
ধৈর্য ধরুন স্যার,অনুগ্রহ করে ব্যাপারটা আমাদের বুঝতে দিন,নিজেকে একটু সামলানোর চেষ্টা করুন,আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি সেখানের সাথে যোগাযোগ করার।সর্বশেষ নিউজটাই আমরা আপনাকে জানাবো।আপনি প্লিজ ওয়েটিং রুমে বসে রেষ্ট নিন।
আরে,আপনি কি বলছেন?এখন কি রেষ্ট নেওয়ার সময়?ঐযে,ঐ বৃদ্ধার দিকে চেয়ে দেখেন তো,ঐ যে নব্য বিবাহিতা মহিলা,ঐ যে দাড়ি মুখে টুপি পরা লোকটা,ওনারা কি এখানে রেষ্ট নিতে এসেছে?একরকম চিৎকার করে বলছিলাম আমি।

স্যার,আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন কেন?ধৈর্য ধরুন,নিজেকে একটু শান্ত করার চেষ্টা করুন,ওয়েটিং রুমে যান,অপেক্ষা করুন।
আমি আর কথা না বলে সোজা রুমে ঢুকতেই অনেক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করলাম আর সবাই কাদছে,কেউ কেউ ধৈর্য ধরে নিজেকে সামলে অন্যকে থামানোর চেষ্টা করছে।ওদের দেখে আমি আরো ভেঙ্গে পড়ছিলাম।পিছনের দিকে একটা চেয়ারে বসে নিজেকে বারবার বলছিলাম,কাদিস না,কাদিস না,ধৈর্য ধর,রিয়া তোকে বিপদে ধৈর্য ধরতে শিখিয়েছে এবং এটাও বলেছে যে,কান্না কোন সুপূরুষের কাজ না।
রিয়া আমার বন্ধু।প্রায় দুবছর আগে প্রথম যেদিন থেকে ব্লগে টিউটেরিয়াল লেখা শুরু করেছিলাম তখন থেকেই ওর সাথে আমার পরিচয়।প্রথমদিকে ও আমার লেখা টিউটোরিয়াল গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তো,কোন ভুল থাকলে রিপ্লে করে শুধরানোর অনুরোধ করতো আর নতুন কিছু শিখতে পারলে সেটাকে আরো মজবুত করার জন্য আমার কাছে নানা ধরনের হেল্প চাইতো।সেই থেকেই ওর সাথে আমার কথা বলা।আর আমি...?
আমি সাধামাটা একটা ছেলে,বন্ধুদের সাথে মেশার ইচ্ছা বেশী হয় না,ক্লাসে মেয়েদের সাথে কথা বলি না বলে “হিংসুটে” নামের একটা পদবী ছিল আর সবাই বলতো,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া,মেয়েদের সাথে কথা বলা বা গল্প করা এসব আমি পছন্দ করি না তার একটাই কারন,আর তা হলো,আমি দাম বাড়াই,নিজের ক্রেডিট বেশী বলে দেখাইতে চাই।কিন্তু আসলে সেটা না,এর সত্যিকার কারন হলো,আমি পারি না।আমাকে দিয়ে ওসব হয় না।আমি একা থাকতেই বেশী পছন্দ করি।এটাই আমার ক্যারেক্টার...
রিয়ার সাথে পরিচয় হওয়ার আগে আমার কাছে ‘বন্ধু’কথাটার গুরুত্ব অন্যরকম ছিলো আর এখন তার পুরোটা উলটো।এখন বন্ধু কথার মানে বুঝি।বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা,দুর্বলতা,বন্ধুর সাথে শেয়ার,ফাজলামি,সময় কাটানো এসবের একটা বিশেষ গুরুত্ব এখন আমার কাছে।ওর সাথে প্রথম দিকে শুধু ব্লগের রিপ্লে আর ইমেইলে দুচারটে কথা বিনিময় হত।তারপর আস্তে আস্তে পরিচিত হই,আর তারপর বন্ধুত্ব।কিছুদিন ফোনে কথা বলার পর আম্মুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম আর আমিও ওর আম্মুর সাথে কথা বলে খুব খুশি হয়েছিলাম এটা শুনে,যে রিয়া আমার সম্পর্কে ওর মাকে যতটা জানালে তিনি খুশি হবেন ঠিক ততটূকুই জানিয়েছিল।
কিছুদিন পর একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।
আম্মুর পাশে বেশ লম্বা,হালকা পাতলা গঠনের একটি মেয়ে বসে আছে।আম্মুর কাছে যাইতেই মেয়েটি বলে উঠলো,
-দোস্ত,গুড মর্নিং...
এত্ত দেরী করে ঘুম থেকে উঠিস কেন?
আজ ক্লাস নেই বুঝি?
কথা শুনেই টের পেলাম,এটা আর কেউ না,রিয়া।
এতদিন অনেক কথা বলেছি,কিন্তু ওর ছবি পর্যন্ত দেখিনি,চিনবো কিভাবে যে ও রিয়া?আমি ছুপ করে আম্মুর পাশে বসে পড়লাম।
-এইতো,ভালো,নিচু স্বরে উত্তর করলাম।
তুই?আগে বলবি না যে আসবি?
-আগে বলব কেন?দ্যাটস সারপ্রাইজ।।আসতে মন চাইলো,আন্টির সাথে ফোনে কথা বলে বাসার ঠিকানা নিয়ে চলে আসলাম।ক্যানরে,আগে বললে আসতে বারন করতি?
-আরে,না।খুব ভালো লাগছে,ক’দিন ধরে তো তোকে দেখতে চাইছি,ছবি দিতে বলেছি,কিন্তু দিলি না তো...
-দেব কেনো?একটা ধ্যাড়া ছেলে আমার কাছে ছবি চাইবে,আর আমি দিয়ে দেবো?আমি কি এতোই বোকা?
দেখছেন আন্টি,আপনার ছেলে কি বলে?
-ঠিকই তো,একটা ছেলেকে ছবি দিবে কেন?আম্মু ওকে সাপোর্ট করে বলল...
তোরা কথা বল,আমি রান্নাঘরে যাচ্ছি,ফ্রেশ হয়ে নে তাড়াতাড়ি,এটা বলে আম্মু চলে গেলো।
-তারপর?আজ ক্লাস আছে?ভার্সিটিতে যাবি নাহ?
আমি আম্মুকে বলে এসেছি,বিকালে ফিরবো,আর এতসময় আমার জানের দোস্ত টার সাথে থাকবো।
-হুম,ভালোই হবে।ভার্সিটি যাবো,
চল,বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।
অবশ্য আমার বন্ধু বলতে কয়েকটা ক্লাসমেট বৈ কিছু নয়।
ততক্ষনে আম্মু নাস্তা রেডি করে ডাক শুরু করলো।
আম্মুর কাছে গিয়ে কিছু মুখে নিয়ে,ভার্সিটির উদ্দেশ্যে ছুট দিলাম।রিয়া কিছু খেতেই চাইলো না কিন্তু আম্মু জোর করে নিজের মেয়ের মত কিছু মুখে তুলে দিলেন।
ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে রিয়া বলল,
-তোর আম্মুকে দেখেছিস,প্রথম দিনেই মেয়ের মত করে খাইয়ে দিলেন।খুব মজা লাগলো।
-মেয়েই তো,খাইয়ে দিবে না তো কি?তুই আমার বন্ধু,আর আমাদের বন্ধুত্বটা পরিমাপ করার সামর্থ শুধু মায়েরই আছে।
রিয়া একগাল হেসে বলল,এইবার থাম,অনেক হইছে।
ভার্সিটিতে পৌছতেই বন্ধুরা ছুটে আসলো,
-কিরে,এতো দেরী করলি যে মামা?
-তোর সাথে উনি কে?
-কে উনি,আগে কখনো দেখিনি যে?
-তোর রিলেটিভ নাকি ইয়ে...?
সবাই একসাথে প্রশ্ন করতে থাকল।
তখন আমি বললাম,
-আমাকে একটু কথা বলতে তো দে,ও রিয়া,আমার বন্ধু।
আর রিয়া,ও বোরহান,ও জিহাদ,ও তুহিন আর ওর নাম মাহমুদ।
এরা সবাই আমার ডিপার্টমেন্টের ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট।
তখন মাহমুদটা পিছন থেকে বলে উঠলো,
-থাক,ভাবীর সামনে আমাদের এতো প্রশংসা করা লাগবে না।
আমি একপ্রকার উত্তেজিত হয়ে সবাইকে বললাম-
ও আমার বন্ধু,তোরা যেইটা মিন করেছিস সেটা কখনই না।কেন বুঝিস না,ও আমার বন্ধু।
তোদের সামনেই বলছি,ও আমার লাইফের সবথেকে সেরা বন্ধু।কখনো ও আমার ভাই,কখনো বোন,কখনো আবার আমার অভিভাবক,আমার টিচার,আমার স্বত্বা,আমার নিজের কপি।
ও যদি চায় আমি তোদের সাথে কথা বলা অফ করে দিতে পারি,তাই বলে এই নয় যে ও আমার গার্লফ্রেন্ড।
আর আমি কখনই সেটা ভাবিও না,তোদের থেকে এক্সপেক্ট ও করি না।ও আমার বন্ধু,আর আমি বেচে থাকতে আমার বন্ধুত্বকে অসন্মান করতে দিবো না,নিজেও কখনো সেই চেষ্টা করবো না।
সবকটা ততক্ষনে মাথা নিচু করে আমাকে শুনছিল,আমি একটু বেশীই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম।
-রিয়া,চল,বাসায় ফিরে যাই।আজ ক্লাসে যাব না,বাসায় গিয়ে টাইম পাস করবো।
পাশ ফিরে তাকাতেই দেখি,রিয়ার মুখটা লাল হয়ে গেছে,ছোখদুটো ফুলে ফেটে যাচ্ছে আর নিঃশব্দে কেঁদে চলেছে।
-কিরে,কাদিস কেন? চল।ওরা তোকে বোঝেনি,আমাদের সম্পর্কটাকে বোঝেনি,ওদের সাথে থেকে লাভ নেই।
-ভাইয়ারা,আপনারা শুধুশুধুই একটু ভুল বুঝলেন আমাদের,আসি,পরে কথা হবে।
আমি আর কারো সাথে কথা বললাম না।
রিয়ার হাতধরে ক্যাম্পাস থেকে সোজা বেরিয়ে গেলাম।
-কাদিস না তো,তুই কাদলে আমার খারাপ লাগে।মাথাটা এমনিতেই খারাপ হয়ে আছে।
-তুই এতো বেশী উত্তেজিত হয়ে গেলি কেন?তুই উত্তেজিত হয়ে ওই কথাগুলো বললি বলেই তো আমার কান্না পেয়ে গেলো।
-তো কি করবো?উলটাপালটা কথা শুনে হজম করে যাব?
-ভালো হইছে,এইবার একটু মাথা ঠান্ডা কর,ওরা তো নেই।
-তাহলে তুই কান্না বন্ধ কর।
-তুই মাথা ঠান্ডা না করলে আমি কান্না বন্ধ করব না।
-আচ্ছা,বাবা,ঠিক আছে,তুই অফ যা।আমি ঠিক হচ্ছি।
অফ যাইতে বলায় রিয়ার চোখের পানির মধ্যে দিয়ে হাসির একটা আচ বয়ে যাচ্ছিল।
বাসায় পৌছতেই আম্মু জিজ্ঞাসা করল-
কিরে,ক্লাসে যাস নি?
ফিরে এলি যে?
কি হয়েছে মামনি?ফিরে এলে যে তোমরা?
আমি কোন কথা না বলেই সোজা বেডরুমে গিয়ে ফ্যালফ্যাল করে কেঁদে ফেললাম।নিজেকে খুব বোকা মনে হতে লাগলো।আমাকে আর রিয়াকে সবাই ওরকম মনে করলো কেন সেটা আমি বুঝেই পাচ্ছিলাম না।
বারবার শুধু কয়েকটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল-
গার্লফ্রেন্ড কি লাইফের সব?
বন্ধুত্বের কি কোন দাম নেই?
একটা মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব মানেই কি সে গার্লফ্রেন্ড হবে?
একটা মেয়ে একটা ছেলের বেষ্ট ফ্রেন্ড হতে পারে না?
আমি কেদেই চলেছিলাম।ততক্ষনে রিয়া আম্মুকে সবকিছু খুলে বলল,তারপর আমার রুমে এসে আমার পাশে বসল।আম্মুও এলো।
-কিরে,কাদছিস কেন?
-কাদছিস কেন তুই?
দুজনের একই প্রশ্ন শুনে উত্তর না দিয়ে পারলাম না।
কাদো কাদো সুরে বললাম,ওরা কেমন?কেন ওরা এরকম উলটাপালটা বুঝলো?
-আরে বোকা ছেলে,ওরা হয়তো তোদের ঠিকমত বোঝেনি,তাই বলে ফেলেছে।
আজ বোঝেনি তো কি হয়েছে?কাল অথবা পরশু ঠিকই বুঝবে।
আম্মু মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো।
-আন্টি আপনি ওর জন্য একটু পানি নিয়ে আসুন তো,চিকন সুরে বলল রিয়া।
তারপর আমার হাতটা ধরে ঐ কথা গুলোই বলেছিল,যে কথাগুলো মনে করে আজ আমি কাদছিনা।বলেছিল-
-ছেলে মানুষের কাদতে নেই।
কান্না ছেলেদের জন্য না।যত বড় ঝড়ঝাপটা ই আসুক না কেন,ধৈর্য ধরে পরিশ্রমের দ্বারা জয়ী হওয়াই ছেলেদের কাজ।
কান্না বন্ধ কর,একটু আগে তো আমার কান্না থামালি,আর এখন নিজেই বাচ্চাদের মত ভেউ ভেউ করে কাদছিস?
ওর কথাগুলো শুনে নিজেকে থামানোর চেষ্টা করলাম।
দুপুরে ও আমাদের বাসায় খেল আর বিকালে যাওয়ার সময় আমাকে কানের কাছে এসে বিড়বিড় করে বলল-
-তোকে পেয়ে আমি যে খুবই ভাগ্যবতী তা বুঝে গেলাম।
তোর সাথে পরিচয় না হলে জীবনের বেষ্ট পার্টটাই মিস করে ফেলতাম।
কথা দিচ্ছি,যতদিন বাঁচি,তোকে ছেড়ে যাবনা।
সারাজীবন তোর বন্ধু হয়েই থাকবো।
তোর যখন ইচ্ছা,আমার জন্য কবিতা লিখিস,কিন্তু-
আমি সিউর,তুই প্রেমের কবিতা লিখবি না,সেটা হবে বন্ধুত্বের।
আর এটাও আমি জানি যে,
আমাদের অর্ধনগ্ন সমাজে একটা ছেলে আর একটা মেয়ের বন্ধুত্বকে বাচিয়ে রাখার জন্য যা করা দরকার তুই তার সবই পারবি,
আর আমিও সেটা করতে চেষ্টা করবো।
আসি রে,তোকে দেখতে ইচ্ছে হলে ফোন দিব...বাই।
-হুম,যা...বাই।
সেদিনের পর থেকে নিজেকে অন্যরকম ভাবে আবিষ্কার করলাম।রাতে শয়তান বন্ধুগুলা কনফারেন্স করে ফোন দিল।সবাই একসাথে সরি বলার জন্য ফোন দিয়েছিল।ওরা বলেছিল যে,ওরা একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে,আমি যেন ওদের উপর রাগ না করি।আমি বুঝলাম,একটু বাড়াবাড়ি করা মানুষের অভ্যাস,তাই সবার উপর থেকে রাগ চলে গেলো।।
আজ সন্ধায় আমি ওকে আর ওর আম্মুকে এখানে এগিয়ে দিতে আসলাম,ওর আব্বু ব্যাংককে বিজনেসে ব্যাস্ত,তাই ভেকেশনে ওরাই যাচ্ছে।ওকে বিদায় দিতে আমার প্রচন্ড খারাপ লাগছিল,কিন্তু কদিনের জন্য যাচ্ছে এটা ভেবে হাসিমুখে বিদায় দিলাম।যাওয়ার সময় এই ওয়েটিং রুমেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
-দোস্ত,পৌছে ফোন দিব,টেনশন করিস না।
যত তাড়াতাড়ি ফেরা যায়,ফিরতে চেষ্টা করবো।
-কেন?
-তোর জন্যে। 
-উহ,যাচ্ছিস আব্বুকে দেখতে,উনার সাথে থাকবি,সময় দিবি,তারপর আসবি।আমার জন্য তাড়াতাড়ি আসতে কে বলল?
-তোকে ছেড়ে অত্ত দূরে থাকব কিভাবে?
-এইটা কোন কথা :0
-যাহ,আমি ওয়েট করবো
আন্টি,যান তাহলে,আমি আসি।
-আচ্ছা বাবা,যাও।তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরো নয়তো আম্মু টেনশন করবে।
আমরা পৌছে জানাবো।
রিয়ার মা হাসিমুখে বললেন আমাকে।
আমি মাথা নিচু করে হেটে বের হয়ে আসলাম,খুব মন খারাপ হল।

-এই যে,আপনি,কি যেন নাম আপনার?আপনি এরকম নিরিবিলি বসে আছেন কেন?আপনি একটা বাড়ন্ত ছেলে মানুষ,এখানে যারা বয়ষ্ক লোক আছে তাদের একটূ সান্তনা তো দিতে পারে,নাকি?
পাশ থেকে একটা মিস আমাকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলে উঠল।
আমি চমকে উঠে উত্তর করলাম-
জ্বী,হ্যা।
এতক্ষনে আমি স্বাজ্ঞান হলাম।
দৌড়ে কাউন্টারে গেলাম।সেখানের এক ক্রুর মাধ্যমে জানতে পারলাম,বিমানের ক্রাশটা একটা নদির উপর হয়েছিল,তাতে মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম,বাংলাদেশী যাত্রীদের মধ্যে যারা যারা সুস্থ আছেন বা বেচে আছেন তাদের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে আনা হবে যত দ্রুত সম্ভব,আর যাদের অবস্থা জটিল তাদের ওখানেই রাখা হবে।আর এখানের যারা বাড়ি ফিরে যেতে চায় সাবধানে যেতে পারে,আর এখানে থাকলেও সমস্যা নাই।
এখানে থেকে কোন লাভ নেই বুঝতে পেরে আমি বাসায় ফিরে আসলাম,এসে আম্মুকে সান্তনা দিলাম।আমার দৃড় বিশ্বাস ছিল,এমনটা হতে পারে না,হওয়ার কথাও না।
সকালের সুর্যোদয় হতেই ফোন,ইন্টারন্যাশনাল নম্বর থেকে কল।
-হ্যালো।
-হ্যালো।
-বাবা,আমি রিয়ার আম্মু।
-আন্টি,আন্টি আপনি ঠিক আছেন তো? রিয়া কোথায়?ও কেমন আছে?
কাদতে কাদতে রিয়ার আম্মু বললেন-
-আমি ঠিক আছি বাবা,আমাদের সবাইকে হাসপাতালে আনা হয়েছে,রিয়ার মাথায় প্রচন্ড আঘাত,এখানকার ডাক্তাররা বলছে,অবস্থা আশংকাজনক।
প্রচুর রক্তক্ষরনের ফলে মস্তিষ্কের ব্যাপক ড্যামেজ হয়েছে।
সাথেসাথেই নেটোয়ার্ক ফেইলর হয়ে লাইনটা কেটে গেলো।
আমি তখন আবার ছুটে বিমানবন্দরের কাউন্টারে গেলাম,সেখান থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম,হাসপাতালের স্থানটা জানার চেষ্টা করলাম।ক্রুরা জানালো,Nakhan shaon শহরের কাছাকাছি দুর্ঘটনাটি ঘটায় যাত্রীদের Nakhan Shaon এর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।পরবর্তি ফ্লাইট দুপুর একটায় হওয়া স্বত্বেও পুর্বের বিমানের যাত্রীদের আত্মীয়দের নিয়ে ১০টায় বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ত্যাগ করবে।এর জন্য প্রয়োজনীয় পেপার্স এর বদলে শুধু পারমিশন লেটার হলেই হবে।
তখন আগের ক্রু মহিলাটি আমার কাছে এসে বলল-
-তুমি যদি যেতে চাও তাহলে তৈরি হয়ে এসো।
আমি সব রেডি করে রাখছি।
ওনার কথায় আমি স্বস্তির ছোয়া পেয়ে বাসায় এসে আম্মুকে নিয়ে রিয়ার উদ্দেশ্যে
রওনা হলাম।প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার পথ,কিভাবে সৃষ্টিকর্তাকে মনে করতে করতে গেলো,বুঝলাম না।
দুপুরের দিকে সেখানে পৌছলে আন্টি আম্মুকে আর আমাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।বেড এ শোয়া অবস্থায় আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলেন,আম্মু নানাভাবে ওনাকে সান্তনা দিচ্ছিলেন।
তখন এক ডক্টরের মাধ্যমে জানতে পারলাম,রিয়া ইমার্জেন্সি ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।এসময় ডাক্তার এসে বললেন,নেগেটিভ সাইডের রক্তের খুব অভাব,কিছুক্ষনের মধ্যেই O নেগেটিভ রক্ত (O-)শেষ হয়ে যাবে।আপনারা একটু ব্যাবস্থা করুন।
-আমি ওনাকে বললাম,আমার রক্ত নিতে পারেন,যতখুশি,তত নিন,কিন্তু আমার বন্ধুটিকে বাচান।
তখন তিনি রক্ত নিলেন।তিনদিন আমি আর আম্মু হাসপাতালেই ছিলাম।এর মধ্যে আন্টি কিছুটা সুস্থ,কিন্তু রিয়ার অবস্থা প্রায় সেরকম।
সারাদিন সৃষ্টিকর্তার কাছে রিয়ার সুস্থতা কামনা করতে করতে কাটিয়ে দিলাম,একদিন আমি কখন কি খেয়েছি,কতটুকু ঘুমিয়েছি তা আমার মাথায় নেই।মাঝে মাঝে রিয়াকে হারানোর ভয়ে ভিতরটা কেঁদে উঠছে,আবার তখনই রিয়ার শেখানো কথাগুলো মনে ভেষে উঠছে।সুপুরুষের কাদতে নেই,বিপদ এলে প্রার্থনা করতে হয় আর পরিশ্রম দিয়ে ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করতে হয়।
সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো প্রায়,রিয়াকে ইম্মারজেন্সি ইউনিট থেকে নরমাল ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে।আমি আর আম্মু রিয়ার বেডের পাশে বসে ছিলাম,আন্টি পাশের বেডে শুয়ে ছিলেন,ওর মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে শান্ত রাখতে পারছিলাম না।চোখগুলো নিস্তেজ,চুলগুলো আগের মত নেই,সারা মাথায় ব্যান্ডেজ,এইভাবে ওকে দেখতে হবে স্বপ্নেও ভাবিনি।
এমন সময় ওর জ্ঞান ফিরলো,আস্তে আস্তে চোখদুটো খোলার চেষ্টা করলো।ডাক্তার বললেন-
-That’s miraccle,You all are so lucky,This Young Boy is made for protecting their Friendship.He proves it by his believe.

এবার আর আমি চোখের পানি ঠেকাতে পারলাম না।
রিয়া হাসার ভঙ্গিতে অস্পষ্ট কন্ঠে আমাকে ডাকল,আমি ওর মাথার কাছে গিয়ে বসলাম।
-নিচু হ শয়তান।
বিড়বিড় করে বলল রিয়া।
-এখন কেমন লাগছে?
-দুনিয়ার সবথেকে সুন্দর অনুভুতিটা অনুভব করছি।
তোকে আমি বলেছিলাম না,আমি বিশ্বাস করি,যে
এই অর্ধনগ্ন সমাজে বন্ধুত্বের কোন দাম না থাকলেও তোর কাছে আমি দেখেছি,তোকে বিশ্বাস করেছি,বলেছি যে তুই পারবি আর আমিও চেষ্টা করবো?
আমি মরার আগেই দেখে ফেললাম,আমার বিশ্বাসটা সত্যিই।
আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবতী রে।
কিন্তু তুই খুব তাড়াতাড়িই দেখিয়ে দিলি,যে তুই পারিস।
আমারটা বাকি রইল।
-তোরটা বাকি রইলো কোথায়?
এইযে,তুই আমাকে ছেড়ে যাসনি,এটা দিয়ে তো তুইও প্রমান করে দিলি যে তুই ও পারিস।
-যাহ,আবার ঐতিহাসিক কথাবার্তা শুরু করেছিস...
মুখ লাল করে বলল রিয়া।
তখন রিয়া আমার হাতটা ধরে বলল,
-এরকম একটা চান্স পেয়েও যখন তোকে ছেড়ে যাইতে পারিনি,তাহলে আর যাওয়া হবে না।
কয়েকমাসের মধ্যে রিয়া পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলো।।
প্রথম যেদিন পুরোপুরি সুস্থতা অনুভব করল,সেদিন প্রথম বাইরে বেরিয়েই আমার বাসায় চলে আসলো,আমি ওকে নিয়ে ভার্সিটি ক্যাম্পাসে এসে মাঠের এক কোনায় বসলাম।
তখন রিয়া আমাকে বলল,আমি যে পুরোপুরি সুস্থ,তোর অনুভুতিটা কি?
আমি তখন বললাম,গলা ছেড়ে বলতে ইচ্ছা করছে,
-হে সমাজ,শোন-
বন্ধুত্বটা এমন একটা বন্ধন যার মধ্যে ভালোবাসা,স্নেহ,দায়ীত্ববোধ সবকিছুরই মিশ্রন আছে।
হোক সে ছেলে অথবা মেয়ে,বন্ধুত্বের প্রতি সন্মান দেখানোই আসল।
ছেলে-মেয়ে,বাবা-মা,সিনিয়র-জুনিয়র কোন বিষয় না,বিষয়টা হচ্ছে বন্ধুত্ব,যার মধ্যে আছে ভালোবাসা,কেয়ার,দায়িত্ববোধ,সন্মান,দুষ্টুমির এক মহা-মিশ্রন।
এটাকে খারাপ চোখে দেখা বন্ধ করো।
বন্ধুত্বকে সন্মান করতে শেখো।
বিপরীত মন্তব্য নয়,ভালোবাসার সহিত গ্রহন করো...

আমি মন থেকে সব আবেগ,ভালোবাসা,বিবেচনা আর সমস্ত আকাংখা দিয়ে বলে যাচ্ছি আর রিয়া ততক্ষনে হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ আক্তারুজ্জামান বন্ধুত্বটা এমন একটা বন্ধন যার মধ্যে ভালোবাসা, স্নেহ, দায়িত্ববোধ সবকিছুরই মিশ্রন আছে- কথাগুলি খুব ভাল লাগল। গল্পও অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
আশা সুন্দর গল্প। পিতা-মাতা-পুত্র-কন্যার বাইরে পৃথিবীতে যতগুলো সম্পর্ক আছে তার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটাই আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে হয়। কারণ শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সম্পর্কেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায়। আর ছেলে-মেয়ে অর্থাৎ বিপরীত লিঙ্গের সাথে অকৃত্রিম ভালোবাসার বন্ধুত্বটি দারুণ করেই ফুটিয়ে তুলেছেন। যা পড়তে গিয়ে অতি আবেগে আচ্ছন্ন বোধ করতে বাধ্য হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক সাবলীল লেখা । ভালো লাগলো। পত্রিকা http://pratichchhabi.blogspot.in/ দেখুন ।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
ঐশিকা বসু গল্পের আবেগ মন ছুঁয়ে গেল। লিখে যান।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
এফ, আই , জুয়েল # গল্পের আবেগী আবহ অনেক সুন্দর ।।
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৪
Thank u....
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৪
সুমন দারুন আবেগী গল্প। সমাজ নামের যে আয়নাটা আমরা নিজেরা নির্মান করেছি তাতে সবসময় সত্যটা দেখা যায় না। বেশির ভাগ যা দেখতে চাই তা-ই দেখায় সে। এই আয়নাটার প্রতি ক্ষোভ থাকাটা একটা স্বাভাবিক আচরণ অন্তত যেখানে নির্মলকে কুলষিত দেখায়..
ভালো লাগেনি ৯ জানুয়ারী, ২০১৪
হুম, ঠিকই বলেছে :( ।ধন্যবাদ :)
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
দীপঙ্কর বেরা ভালো লাগলো লেখাটি
ওয়াহিদ মামুন লাভলু ভাল লিখেছেন। শুভকামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ৬ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ... দোয়া করবেন :)
ভালো লাগেনি ৮ জানুয়ারী, ২০১৪
Sajib Toy অনেক ভালো লাগলো... চালিয়ে যাও :D
ভালো লাগেনি ২ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ :) চেষ্টা করবো... দোয়া রাখবেন
ভালো লাগেনি ২ জানুয়ারী, ২০১৪
Nixon Ok সুন্দর লিখেছেন... ক্যারি অন ব্রো
ভালো লাগেনি ২ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ ব্রো... :)
ভালো লাগেনি ২ জানুয়ারী, ২০১৪

২৬ ডিসেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪