অমাবস্যার রাত। সাথে একজনের যাওয়ার কথা। তার মা অসুস্থ হওয়ায় সে যেতে পারছেনা। তাই আমি একাই রওনা হলাম। কালী পূজা করতে। পাহাড়ের ভিতরে গ্রামটা। তরুণদের কয়েকজনের উদ্যোগে এবার প্রথম পূজা হচ্ছে। তাদের মধ্যে আমার এক ছাত্র আছে। সে অনুরোধ করায় পূজা করতে সম্মত হলাম। ও বলেছিল সকালে রওনা দিতে। এটা সেটা করতে করতে দেরি হয়ে গেল। ওদের স্টেশনে যখন পৌঁছালাম তখন প্রায় রাত আটটা। অন্ধকার চারিদিক। স্টেশনে পৌঁছে ওকে ফোন করবো বলেছিলাম। মোবাইল বের করে ফোন করতে যাবো এ সময় এক ছেলে এসে বললো- ঠাকুর! আপনি এসে গেছেন। অরিন্দম আমাকে পাঠিয়েছে আপনাকে নিয়ে যেতে। আমার নাম সুমন।- সুমনের বয়স বাইশ-তেইশ বছর হবে। তাই তাকে তুমি সম্বোধন করে বললাম- তোমাদের পূজোর সবকিছু ঠিকমতো সম্পন্ন হয়েছে তো! কালীপূজোয় অনেক কিছু দরকার, সব জোগাড় করতে পেরেছ! প্রথমবার কিনা- তাই জিজ্ঞাসা করছি। সুমন হেসে বললো- আপনি যেরকম তালিকা দিয়েছেন। তার সবই জোগাড় করা হয়েছে। গ্রামের সবাই খুব খুশী।
এরপর অনেক কথা বলতে বলতে অন্ধকারে পথ চলতে লাগলাম। হাঁটার অভ্যেস নেই বলে খানিকটা যেতেই ক্লান্তি লাগছিল। তখন সুমন বলল-ঠাকুর! পূজা শুরু হতেতো দেরী আছে। পাহাড়ী পথ। একটানা হাঁটতে আপনার কষ্ট হচ্ছে। এই মাচাটাতে বসে একটু জিরিয়ে নিন। আমার একটু পরিশ্রম হচ্ছিল। তাই মাচায় বসলাম। সুমনের দিকে তাকাতে মনে হলো সে আমাকে কিছু একটা বলতে চায়। কিন্তু আমি কিছু মনে করবো ভেবে আলোচনা সেদিকে নিয়ে যেতে পারছেনা। তাই তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম- আচ্ছা সুমন! সেই প্রথম থেকেই আমার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে কিছু একটা বলতে চাইছ। কোন অসুবিধা হয়নিতো।- না না ঠাকুর! পূজোর কোন অসুবিধা নয়। অসুবিধা আমার আর শুক্লার। - কী অসুবিধা! আমাকে খুলে বল। - ঠাকুর! আপনি গুণী লোক। পরম পণ্ডিত। আপনিই আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।-বা-রে, কী সমস্যা সেটাতো আগে বল। -ঠাকুর! এখান থেকে ঐ যে আলো দেখতে পাচ্ছেন সেখানেই পুজা হবে। এই সামান্য পথ আপনাকে একা যেতে হবে।- আচ্ছা, ঠিক আছে। সে না হয় যাবো। কিন্তু তোমার সমস্যার কথাতো বললে না। - ঠাকুর! আপনি জ্ঞানী। সব অবস্থায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারেন। আপনিই আমাদের বিয়েটার ব্যবস্থা করতে পারেন। - ও তাই বলো। শুক্লার সাথে তোমার বিয়ে দিতে ওর আত্মীয়রা আপত্তি করছে। তোমার পক্ষ হয়ে বলতে হবে এই তো। -ঠাকুর! আপনাকে কিছু বলতে হবে না। আপনি শুধু মন্ত্র পড়ে আমাদের বিয়েটা করিয়ে দিবেন।- সে কি কথা। বিয়ের তারিখ দেখতে হয়। আয়োজন করতে হয়। সাক্ষী দরকার হয়। আরো কতো কি! এ সময় দেখলাম ঘরের পেছন থেকে একটা মেয়ে বেরিয়ে এসে প্রণাম জানাল। বয়স আনুমানিক ঊনিশ কি বিশ হবে। সে এসে সুমনের পাশে দাঁড়ালো। দুজনকে দেখতে এতো ভালো দেখাচ্ছিল যেন সাক্ষাৎ হর-পার্বতী।
সুমন বললো- আমি বড় হয়েছি অনাথ আশ্রমে। পড়ালেখায় ভালো ছিলাম বলে সবাই খুব ভালোবাসতো। যখন বয়স হলো তখন ভাবলাম মা বাবা ছাড়া কারো জন্ম হয় না (অবশ্য আদম, যীশু ব্যতিক্রম)। সেই থেকে বেরিয়ে পড়লাম কেউকে কিছু না জানিয়ে। বেরিয়েই বুঝলাম জগৎ অনেক কঠিন জায়গা। ক্ষুধার কষ্ট, আশ্রয়ের অভাব যখন তীব্র হয়ে উঠল তখন এগিয়ে এল আরেক এতিম রহমান চাচা। খাবার দিল, আশ্রয় দিল। কাজ দিল তাঁর সহকারী হিসেবে। খুব অল্প সময়ে হয়ে উঠলাম গাড়ির চালক। ছোট গাড়ি থেকে ধীরে ধীরে যাত্রীবাহী বড় গাড়ির চালক। দক্ষতা থাকায় চালাতাম পাহাড়ী এলাকায়। গুছিয়ে নিয়েছিলাম নিজেকে সব দিক থেকে। জন্ম নিল স্বপ্ন। ঘর বাঁধার স্বপ্ন। গেলাম এক পরিচিত জ্যোতিষীর কাছে। তিনি হাতের রেখা দেখে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকলেন। বললেন আমার হিসাব ভুল না হলে আপনার পরমায়ু মাত্র বাইশ বছর। বাইশ বছর বয়সে দুর্ঘটনায় আপনার মৃত্যু হবে। আমি বললাম বিয়ের রেখা কি বলে। তিনি বললেন -ঠিক বুঝতে পারছিনা। বিয়ের রেখা বেশ স্পষ্ট। এবং আমার হিসেবে আপনার তেইশ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু সেটাতো সম্ভব নয়। -আমার বেশ বই পড়ার অভ্যেস। আমি পথের দোকান থেকে হস্তরেখার একটা বই কিনে আনলাম। খুব ভালো করে মিলিয়ে দেখলাম জ্যোতিষী যথার্থই বলেছেন। আমার আয়ুরেখা স্বল্প, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর যোগ আছে, তবে বিবাহ রেখা দীর্ঘ এবং সুস্পষ্ট। হিসেব করলে তা প্রায় তেইশ বছরে বিয়ের সম্ভাবনা নির্দেশ করে। আমার তখন একুশ। এই অল্প সময়ে আমাকে আমার মা বাবা ও জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করতে হবে। আমি জীবিকার জন্য গাড়ি চালাতাম। আর প্রতিটি যাত্রীকে লক্ষ্য করতাম। অসংখ্য মানুষের মধ্যে কে আমার আত্মীয়। যাকে দেখে মন বিচলিত হতো তাকেই অনুসরণ করতাম। হাজিরা দেখতাম, যাঁরা অতীত-ভবিষ্যৎ বলতে পারে তাঁদের কাছে যেতাম। নিজেও কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করতাম। এ থেকে আমার মনে হল যেদিন রাহুর অবস্থান পরিবর্তন হবে সেদিনই আমার মৃত্যু হবে। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। গাড়ি চালানো ছাড়িনি। ভাবতাম যদি কোন আত্মীয়কে পাই যাত্রী হিসেবে।
সেদিন অনেক ভেবে গাড়ি চালাতে শুরু করলাম। প্রথমে সব ঠিক ছিল। পথ থেকে উঠলো শুক্লা (নামটা পরে জেনেছি)। ওকে দেখে আমার মনে হলো এই মেয়েটাইতো আমার স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটা। যে আমার স্ত্রী হবে। আমি তার দিকে তাকাতেই একটা অজানা আনন্দে আমার মন ভরে গেল। আমি যেন আকাশে উড়ে যাচ্ছি এমন একটা ভাব কাজ করতে লাগল। ভাবনার গভীরে হারিয়ে গেলাম। গাড়ি চলছে প্রচণ্ড গতিতে। যাত্রীরা নিশ্চিন্তে নিজের আসনে বসে আছে। আমি যথেষ্ট সতর্কতার সাথে এক একটা বাঁক অতিক্রম করছি। পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি বিকেলের নিরুত্তাপ রবি পাহাড়ের নীচে অদৃশ্য হতে যাচ্ছে। আমার মানসপটে ভেসে উঠছে আমার ও শুক্লার বিয়ের ছবি। চোখের উপর যেন একটা পর্দা পড়ে গেছে। আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিনা। ঠিক তখন প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগল একটা গাছের সাথে। মুহুর্তে ছিটকে পড়লাম আমি একটা খাদে। আশ্চর্য আমি নই খাদে পড়েছে আমার শরীরটা। তাহলে, তাহলে কি আমি! আমার মনে পড়ল শুক্লার কথা। গাড়ির কথা, যাত্রীদের কথা। কোথায় তারা। আমি তাদের খুঁজতে খুঁজতে পাহাড়ের উপর রাস্তায় এলাম। দেখলাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যাত্রীদের দেহ। আশপাশের এলাকা থেকে হৈ হৈ করে ছুটে আসছে মানুষ। সহযোগিতার জন্য। জীপে তুলে দেয়া হচ্ছে আহত যাত্রীদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার জন্য। এর মধ্যে লক্ষ্য করলাম। কয়েকজন সহযোগিতার বদলে যাত্রীদের ঘড়ি, মোবাইল, মানিব্যাগ, হাতব্যাগ সরিয়ে নিচ্ছে। আমি চেষ্টা করলাম চিৎকার করে ওদের থামাতে। কিন্তু আমার কথা ওরা শুনতে পেল না। আমি অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকলাম। একটু পরেই দেখলাম আমার শুক্লা পড়ে আছে রাস্তার পাশে। এখনো প্রাণ আছে। গোঙানোর শব্দ আসছে। হায়! ঐ লোকগুলো ওর কাছে পৌঁছে গেছে। ওরা ইশারায় কী যেন বললো। তারপর শুক্লাকে কাঁধে তুলে নিয়ে গেল একটা দোকানের পেছনের কক্ষে। আমি ওদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ওদেরকে অনুসরণ করলাম। দেখলাম আমি যা ভেবেছি তাই। মানুষরূপী পশুগুলো শুক্লার উপর অকথ্য অত্যাচার করে তাকে ফেলে দিল পাশের খাদে যেখানে আমার শব পড়ে আছে। তারপর ওর নিথর দেহ থেকে বেরিয়ে এল ও। আমার দিকে তাকিয়ে বললো- আমি শুক্লা। তুমি? আমি সম্মোহিতের মতো উত্তর দিলাম- আমি সুমন। বললাম- চল গাড়িটার কাছে যাই।
গিয়ে দেখি প্রায় সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সামনে যারা ছিল তারা একটু বেশি আহত হয়েছে। অন্যরা ততটা নয়। কারো মৃত্যু হয়নি। একটা সেনাবাহিনীর গাড়ি এসে গাড়িটাকে নিয়ে গেল। রাত যত গভীর হচ্ছিল তত আমাদের পরিচয় নিবিড় হচ্ছিল। শুক্লাও বড় হয়েছে অনাথ আশ্রমে। একটা সংস্থাতে কাজ করার জন্য ও সাক্ষাৎকার দিতে যাচ্ছিল। আমরা নিশ্চিত হলাম কেউ আমাদের খুঁজবেনা। আমাদের দেহের সৎকার না হলে আমরা মুক্তিও পাবো না। সকাল হওয়ার আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা এ অবস্থা থেকে নিজেদের উন্নয়নের চেষ্টা করবো। মা কালীর ইচ্ছায় ধীরে ধীরে আমরা একটা ঘনত্ব অর্জন করলাম। এবং মানুষের মতো একটা আবরণ শরীর লাভ করলাম। আমার মা-কে আমি খুঁজে পেয়েছি। তিনি এ গ্রামেই থাকেন। তাই আমরা এখানকার গ্রামবাসীদের মঙ্গলের জন্য ওদের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করেছি। এখন আমাদের ইচ্ছা আমরা বিয়ে করবো। আপনি যদি আমাদের মন্ত্রের মাধ্যমে বিয়েটা দেন তাহলে প্রেতলোকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাবো। প্রেতলোকের নিয়ম বড়ই কঠিন। এখানে আমাদেরকে এজন্য বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। ঠাকুর! আমরা কথা বলেছি। আপনি যদি আমাদের বিয়েটা দেন তবে ওরা আমাদের মেনে নেবে। আমাদের এই উপকারটা করুন ঠাকুর।
সুমনের কথা শুনে আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। এতটা পথ আমি একটা ভূতের সাথে কথা বলতে বলতে এসেছি। দুইটা ভূতের সাথে আমি বসে আছি এটা ভেবে আমার মুখ থেকে কোন শব্দ বের হচ্ছিল না। একটু চেতনা ফিরতেই আমার মনে হলো ওরাতো আমার ক্ষতি করতে পারতো। জোর করতে পারতো। ভয় দেখাতে পারতো। কিন্তু ওরা তা না করে আমাকে অনুরোধ করছে। তাহলে ওদের বিয়েটা দিতে অসুবিধা কোথায়। আমি ওদের বললাম- তোমরা তোমাদের ওখানকার নিয়ম অনুসারে কি কি করতে হবে তা ঠিক কর। আমি কালী পূজা শেষ করেই তোমাদের বিয়েটা পড়াবো। ওরা খুশি হয়ে আমাকে পূজার প্যাণ্ডেল পর্যন্ত পৌঁছে দিলো। তারপর এক নিমেষে উধাও হয়ে গেল। আমি প্যাণ্ডেলে ঢুকতেই অরিন্দম দৌঁড়ে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো- স্যার! আমরা আপনাকে স্টেশনে না পেয়ে বারবার ফোন করলাম কিন্তু আপনার ফোন বন্ধ পেলাম। অবশেষে কিছুক্ষণ আগে আমরা হতাশ হয়ে ফিরে এলাম। কিন্তু আপনি একা একা কিভাবে এলেন? আমি বললাম- কেন, সুমন পৌঁছে দিল। অরিন্দম বললো- সুমনের সাথে আপনার দেখা হয়েছে। বললাম-হ্যাঁ, সুমনের সাথে, শুক্লার সাথে দেখা হয়েছে। কথাও হয়েছে। বলেছি পূজা শেষ করে ওদের বিয়ের ব্যবস্থা করবো। অরিন্দম বললো- স্যার, ওরা না বললেও আমি আপনাকে ওদের কথা বলতাম। আপনি যদি ওদের একটা ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমরা আপনার কাছে ঋণী থাকবো।
সুমনের মা অনুষা দেবী পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। বললেন- সব দোষ আমার। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সুমনের বাবার সাথে আমার পরিচয়। ও ছিল বিশিষ্ট শিল্পপতির একমাত্র ছেলে। ক্রমশ আমরা ঘনিষ্ট হতে থাকি। আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে হওয়ায় ওদের পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নিতে চায় নি। আমরা কালীবাড়িতে গিয়ে বিয়ে করি এবং লেখাপড়া শেষ করে আমি শিক্ষিকা হিসেবে উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করি আর সুস্ময় যোগ দেয় একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে। ওর পরিবার থেকে আমাদের উপর বিভিন্ন রকমের চাপ আসতেই থাকে। সুমন জন্মানোর আগে একরাতে বাসায় ফেরার পথে ও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়। আমি ক্লিনিকে গিয়ে দেখি ওর বাবা ও আত্মীয়রা সবাই ওখানে। ওরা আমাকে ওর সাথে কোনভাবে দেখা করতে দেয় নি। পরে খবর পাঠালো সুস্ময় পৃথিবীতে নেই। আমি সুমনের জন্মের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। জন্মের সময় নিকটবর্তী হওয়ায় স্থানীয় একটি মাতৃসদনে ভর্তি হলাম। ওখানে এক চিকিৎসক সুস্ময়দের আত্মীয় ছিলেন। তিনি খবরটা আমার শ্বশুরকে জানাই। তিনি আমাকে দেখতে আসেন। আমার মন তখন অজানা এক আতঙ্কে ভরে উঠেছিল। পরে যখন সুমনের জন্ম হল তখন আমি পরিস্কার তার কান্না শুনতে পেয়েছি অথচ আমাকে অজ্ঞান হওয়ার ঔষধ দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হল। জ্ঞান ফিরলে ওরা বললো আমার মৃত সন্তান হয়েছে। স্বামী-সন্তান হারিয়ে আমি যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তখন আমাকে বদলি করা হল এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এখানে এসে সবার সাথে মিলে মিশে আমি এ অঞ্চলের একজন হয়ে উঠলাম। এতদিন পর যখন সন্তানকে ফিরে পেলাম তখন সে প্রেত। -সুমনের মায়ের কথা শুনে আমার বুকে একটা কষ্ট জমাট বাঁধল। আমি ভাবলাম যে করেই হোক ওদের বিয়েটা দিতে হবে। পূজো সুন্দর ভাবে শেষ হলো। শুরু হলো বিয়ের আয়োজন। সুমন ও শুক্লা আগেই সব ব্যবস্থা করে রেখেছে। মনুষ্যলোক ও প্রেতলোকের আত্মীয় পরিচিতরা সবাই উপস্থিত হয়েছে। এসেছে শুক্লার মৃত মা-বাবার আত্মা, সুমনের বাবা অবশ্য আবার জন্মগ্রহণ করেছেন এইখানে অরিন্দম নামে, তবে জাতিস্মর নয় বলে পূর্বজন্মের স্মৃতি তাঁর তেমন মনে নেই। শুধু মাঝে মাঝে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেসটা আছে। আর অনুষাকে দেখলে কেমন যেন খুব আপন মনে হয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
সুমন মারা যাওয়ার পরও একটা আবরণ শরীর লাভ করলো। আর তার সাথে কথা বলা খুবই ভৌতিক ব্যাপার। সুমনের মায়ের গল্পটা খুবই দুঃখজনক। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।