—দিন দিন তুমি কিন্তু বড্ড বেশী হ্যাংলা হয়ে যাচ্ছো। — সবই তো জানো দেখছি,তবে তুমিই-বা কেন আবার বাঁদরটাকে কলা দেখাচ্ছো ? — বুঝেছি,আসলে তা নয় ; বাড়িতে ছোটো-বড় কেউ নেই, সেজন্য তুমি এখন তারই ফায়দা নিচ্ছ। — তাই বুঝি ! তবে তাই হোক। — ছাড়ো ! অনেক বেলা হয়ে গেছে। — যদি না ছাড়ি ? — লক্ষ্মীটি ছাড়ো ! ঘরে আমার কত কাজ পড়ে আছে। — থাক ! ওসব পরে হবে। — না ;এবার ছাড়ো। বিয়ের সময় বেশ তো বলতে ‘একটু টোকা মারলেই লাল হয়ে যাবে, এমন মেয়েকেই বিয়ে করব’। তবে আমার মতো কালো-মেয়েকে শুধু শুধু এত ভালোবাসা কেন ? — আসলে তখন তো আর জানতাম না :কালো-মেয়ের কালো-মনের কথা। —এই,মিথ্যুক কোথাকার ! আমার মন কালো ? — উঃ-হুঁ ! ভালো। খুব ভালো। — আচ্ছা তোমার মা-বাবা আমাকে কবে মেনে নিয়ে ঘরে তুলবে,বলতে পারো ? — নাই-বা তুলল ক্ষতি কি ! এখানে আমরা তো বেশ ভালোই আছি। তাছাড়া সবাই তো আর আমার মতো কালো-মেয়ের চোখের ভাষা পড়তে পারে না। তুমিও সেসব ভেবে ভেবে শুধু শুধু আর কষ্ট পেও না কেমন ? — তোমাকে এত ভালো ভালো কথা বলতে কে শেখালো ? আর কেই-বা এত সাহস জোগালো ? — কেন আমার কালো-মেম। — তুমি তোমার কালো-মেমকে কতটা ভালোবাসো ? — দেখাছি,তার আগে আরেকটু কাছে আসো। — এই এসব কি হচ্ছে ! অসভ্য কোথাকার। — কি বললে আমি অসভ্য ? তাহলে এবার নাহয় একটু অসভ্য লোকের অসভ্যতামিই দ্যাখো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।