সুশীলা ভাল নেই, সাত-সাতটি বছর সুশীলা হাসতে ভুলে গেছে, সাত-সাতটি বছর সুশীলা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে, সাত-সাতটি বছর সুশীলা চাকরি করে। যতক্ষণ বাড়িতে থাকে ততক্ষণ স্বামীর সেবায় নিরত থাকতে হয় তাকে, নইলে স্বামীর বাক্যবাণ আর শাশুড়ীর জাঁদরেল হাত দুটোই সমানভাবে বর্ষিত হয় তার শরীর আর মনের ওপর, সুশীলার মনে হয়,ব্যথাটা যেমন শুধু শরীরে নয় মনেও সমানভাবে অনুভূত হয়, সুখটাও শুধু শরীরের নয়, মনেরও দরকার খুব।
আর পাঁচটি মেয়ের মতো হতে চায় নি সুশীলা, আর পাঁচটি মেয়ের মতো কখনও প্রেম করে নি সে।
সুশীলার বিয়ে হয়েছিল আট বছর আগে, বিয়ের এক বছর পরই সুশীলার স্বামী পঙ্গু হয়ে যায় মারাত্মক এক পথ-দুর্ঘটনায়, তারপর কেটে গেছে সাত-সাতটি বছর।
স্বামীর চাকরিটাই জুটেছে তার কপালে
একটু সাজ-গোজ করে বেরোলেই স্বামীর সন্দেহের তীর সুশীলার সুপুষ্ট শরীরটাকে ফালা ফালা করে দিয়ে যায়, অশ্রাব্য ভাষায় মনটাকে বিষিয়ে দেয় অহরহ! সুশীলা অনুতাপে দগ্ধ হতে হতে ভাবে, যদি একটাও তার প্রাক-বিবাহ প্রেম থাকতো! যে সারাক্ষণ কেবল তার কথাই ভাবে, তাকে পেল না বলে বিয়েই করলো না আর। জীবনের ফাঁকগুলো ভরে যেত, তার কথা ভেবে ভেবে; শরীরের না হলেও মনের সুখের অভাব হত না বোধ হয়!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।