মনোজ

কৈশোর (মার্চ ২০১৪)

ছন্দদীপ বেরা
  • ১০
  • ৭৮
মনোজে আগে প্রচুর চঞ্চল ছিল , এখন শান্তশিষ্ট হয়ে গেছে । কিন্তু পাঠের অমনোযোগিতাটা রয়েই গেছে । এখনও পড়া ধরলে এমন ভালে শিক্ষক মহাশয়ের সামনে দাঁড়াবে যেন কোনোদিনও বই পড়েনি ।
ক্লাসে সবার চেয়ে আলাদা । মাঝে মধ্যে ক্লাস না করার জন্য ক্লাসের বাইরে বেরিয়ে যেত ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে । স্যাররা যাতে জানতে না পারে তাই হলঘরে চলে যেত , যে ঘরটায় গত কয়েক বছর কেউ যায় হয়নি । পড়াশোনার ব্যাপারে খুব হালকা মনের ছিল ।
আমরা যদি বলতাম - এরকম করলে পরীক্ষায় পাশ করবি কী করে ?
তাহলে সগর্বে উত্তর দিত – ওসব টেকনিক আমার জানা আছে ?
কিন্তু সে টেকনিক কী তা আমরা কেউই জানতাম না । আমরা সবাই ভাবতাম ও গুল মারছে । কিন্তু পরীক্ষার ফলের দিন দেখি একটা বিষয়েও ফেল নেই । সব বিষয়েই B , A নয়তো A+ । কিন্তু কী করে পেল তার খোঁজ আমরা পাইনি । কিন্তু এটা বুঝতে পেরেছিলাম যে ও কোনো অসৎ উপায় অবলম্বন করছে ।
ঠিক এভাবেই একের পর এক ক্লাস কেটে যেতে লাগল । কিন্তু মনোজের টেকনিকটা আমরা আর জানতে পারিনি ।

সময় কেটে এল মাধ্যমিক । সবারই প্রস্তুতি । কিন্তু সেই সময়েই হল মনোজের অসুবিধে । মাধ্যমিকে আর তার টেকনিক মনে হয় কাজ করবে না ও বুঝতে পেরেছিল । কারণ , মাধ্যমিকের কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম মনোজ পড়ার জন্য চেষ্টা করেই চলেছে । স্কুলে যখনই আসত তখনই দেখতাম হাতে একটা না একটা বই । টিফিন টাইমটাও ছাড়ত না । টিফিন খেতে যতক্ষণ লাগে তাও ফাঁক দিত না । কোনো একজন স্যারের ক্লাসে যে বিষয় পড়ানো হচ্ছে সে বইটা রাখবে ওপরের টেবিলে আর অন্য আর একটা বই রাখবে নিচের ড্রয়ারে । কোনো স্যারের কোনো নোট মিস করত না । কিন্তু ভাল বুঝতে পারত না । এমন কি বানানও ঠিক লিখতে পারত না । -------কিন্তু অধ্যবসায় ছাড়া কিছু হয় না ? একদিনে কি আর হয় ?----মনোজের ক্ষেত্রেও তাই হল । যত চেষ্টা করে পড়া আর হয় না ।---একটা বই দু-তিনবার করে পড়েও ঐ বই-এর কিছুই পরীক্ষার মত করে তৈরী করতে পারত না ।
প্রথম পরীক্ষার দিনই তার টেকনিক আমরা জানতে পারলাম । টুকলি । পরীক্ষা-কক্ষে টুকলি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে মনোজ । তাও ওকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় । ও সফলও হয়েছিল । কিন্তু আর বেশিদূর এগোতে পারে নি ।
আমার কলেজে যাওয়ার সময় দেখা হলে কথা বলে কিন্তু তার মাঠে ঘাটে জীবনের জন্য তার ক্ষোভ নেই । বলে – এ সব কাজ কাওকে না কাওকে করতেই হবে । না হলে পৃথিবী চলবে কেমন করে ।
কৈশোরের দুষ্টুমি থেকে এ ও কি কম পাওয়া ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক সুন্দর গল্প...ভালো লাগলো...
Salma Siddika ভালো লেগেছে, কিছু বানান ভুল আছে, আশা করি পরের লেখায় ভুল থাকবে না. শুভ কামনা রইলো।
সকাল রয় আরো লিখুন। পড়ি
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) পাওয়া না পাওয়ার দোলাচল , তবুও দুরন্ত কৈশোর । মানে না বাধা ,
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আলমগীর সরকার লিটন বেশ লাগল গল্পটা-------
তাপসকিরণ রায় ভাল লেগেছে আপনার গল্প--এমনটাই হয়--আর এমন ধরণের ছেলেদেরও দেখতে পাওয়া যায়।
মোঃ আক্তারুজ্জামান সত্যি সবার আর সব কিছু হয় না। সুন্দর লিখেছেন। বাস্তবতা সমৃদ্ধ লেখা।
নাফিসা রহমান দারুন সুন্দর...
ওয়াহিদ মামুন লাভলু কৈশোর প্রবণতার বাস্তব চিত্র। ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
Dhanyabad apnar matyabyer jonnyo .shubheccha neben
দীপঙ্কর বেরা Bhalo boktybo , jibon ke e bhabeo dekha jay, khub bhalo laglo. Aro onek lokhben porben onek suvechha

০২ সেপ্টেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী