তোমরাই

বাংলাদেশ (ডিসেম্বর ২০১৯)

কাজী জাহাঙ্গীর
  • ১২
  • ১৫০
ছোটবেলায় দাদীর কাছে শুনতাম নদীর মোহনায় জড়ো হওয়া অসংখ্য গাঙচিল গুলো
তাদের সুমিষ্ট কলরব দিয়ে বন্দরে বরন করে নেয় দুর দুরান্ত থেকে আগত জাহাজগুলোকে।
তোমরা যারা আজ আমাদের বাঁচিয়ে দিলে আপন স্বকীয়তায়,
তোমরা যারা সব কাঁটাগুলে উপড়ে ফেলে, আজ মসৃন করে দিলে আমাদের স্বাধীনতার বন্ধুর গিরিপথ,
তোমরা সবাই শুভ্র গাঙচিল ছিলে।
তিরিশ লক্ষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গাঙচিল সেজে বুকের রক্তে রাঙীয়ে দিয়ে পরাধীনতার এক রক্ত নহর
সাতকোটি অসহায় যাত্রীর ভারে ভারাক্রান্ত এক জলযান তোমরাই ভিড়িয়ে দিয়ে গেলে স্বাধীনতার ঝলমলে বন্দরে।
শুভেচ্ছার অমিয় ধারায় মুখরিত অসংখ্য গাঙচিলের মত
তোমরাই বুকের রক্তে জ্বাজল্যমান শোনীত নদীর সীমানা ডিঙিয়ে
দৃপ্ত উচ্চারণে তোমাদের, নোঙর করিয়ে দিলে স্বাধীনতার বন্দরে এই সবুজ বাংলাদেশ।
দাদী বলত সাদা সাদা পায়রাগুলো মুক্ত বিহঙ্গের মত উড়ে উড়ে অজানায় হৃদয়ের সব কালিমাগুলো বয়ে নিয়ে যায়
আর তার শুভ্রতায় নতুন করে বাঁচার প্রেরনায় ভরে দিয়ে যায় আমাদের অবিশ্রান্ত মন।
তোমরা যারা জীবনকে দত্তক দিয়ে মৃত্যুপুরীর দেশে, বেরিয়ে পড়েছিলে স্বেচ্ছায় অজানার মেঠোপথে
মানচিত্রের খোঁপায় গুজে দিতে প্রষ্ফুটিত এক শাপলা কুসুম…
তোমরা যারা বেছে নিয়েছিলে অমাবস্যার তমিস্রাকে জোনাকীর মত জ্বলে জ্বলে আজীবন
ঝলমলে রূপালী আলোয় রাঙিয়ে দিতে ঘোর অমানিসায় নিমজ্জিত এই সবুজ ব-দ্বীপ
তোমরা সবাই শান্তির পায়রা ছিলে,
এক মৃত্যু দুতের প্রহরা থেকে তুলে নিতে আপন নিবাস
আমরাই যেন তোমাদের তুলে দিয়েছি সেই হায়েনাদের কাছে শুভ্রতার বুকে একে দিয়ে রক্ত প্রলেপ
যেন সব কালিমার অমানিসা থেকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে দিশেহারা এক বিপন্ন লোকালয়,
আমরাই তোমাদের বানিয়েছি শ্বেতকপোত।
বায়ান্নর রক্ত রঙিন রাজপথ থেকে উড়িয়ে দিয়ে তোমাদের, যেভাবে এগিয়েছিলাম খুজে নিতে নতুন নিবাস
মায়ের কথার পান্ডুলিপী এঁটে নিশ্ছিদ্র হৃদয়ের পিঞ্জরে পিঞ্জরে,
তার পথ ধরেই একাত্তরে উড়িয়েছি তোমাদেরে একাগ্রতায় আরো
তোমাদের পালকে শুভ্র হাওয়ায় যেন গড়ে উঠে এক দুর্ভেদ্য প্রাচীর টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায়।
সালাম, রফিক, জব্বার…
মৃত্যুপুরীর জমদুত থেকে ফিরিয়ে না নিয়ে তোমাদের দত্তক জীবন
তোমরইত এখন শুভ্র কপোত হয়ে একটানা উড়ে উড়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া
সমৃদ্ধ করো আমাদের প্রেরনার আড়ং, তোমরাইত এখন দোয়েলের মিষ্টি বোল মানচিত্রের প্রকৃতি অরণ্যে
তোমরাইত এখন রয়েল বেঙ্গল, হুংকার দিয়ে আড়াল করে নিতে এই মাটি সব হায়েনাদের শেন্য দৃষ্টি থেকে।
রব, মতিউর, জাহাঙ্গীর...
আকাশ থেকে পাতাল পয্যন্ত ছড়িয়ে দিয়ে তোমাদের চেতনার আবীর
তোমররাইত এখন আপান নিবাস আমাদের এক নতুন সবুজ চত্বর স্বাধীন বাংলাদেশ ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাইদ খোকন নাজিরী অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন কবি।অজস্র ধন্যবাদ।
সেলিনা ইসলাম চমৎকার কবিতা। শুভ কামনা রইল।
মোঃ মোখলেছুর রহমান অনেক ঠকালেন এতদিন, হা হা! শুভ কামনা সব সময়।
Abdul Hannan সুন্দর হয়েছে ভাই,
এই মেঘ এই রোদ্দুর অনেক ভালো লাগলো লেখা। ভালো থাকুন ভাইয়া। অনেকদিন আমার পৃষ্টায় আপনাকে দেখি না :(
মাসুম পান্থ চমৎকার লেখা,
Ariful Islam Sobuj অনেক অনেক মানের লেখা।
MD. MOHIDUR RAHMAN ভাষা, শব্দ অনেক উচ্চ মানের, লেখাচালিয়ে যাবেন আশাকরি..
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী কি যে সুন্দর আপনার কবিতা! ‍কিস্তু ভোট দেবার অপশনতো দেখছি না!
ভোটসহ শুভেচ্ছা রইলো।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

তিরিশ লক্ষ শহিদ মানেই বাংলাদেশ সালাম রফিক জব্বার মানেই বাংলাদেশ দুই মা বোনের হারানো সম্ভ্রমই এদেশের সম্ভ্রম তাই আমার ভাবনায় যাদের আত্ম বলিদানে এই দেশ পেয়েছি ওরাই বাংলাদেশ... অনেক অভিবাদন তোমাদের ‘তোমরাই বাংলাদেশ’

২৪ আগষ্ট - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী