প্রশ্ন করো কেমন আছি কৈশোর

শিশু (সেপ্টেম্বর ২০১৯)

কাজী জাহাঙ্গীর
  • ৯৪
কৈশোর
তোমাকে পেরিয়ে যৌবনে সীমানায়
আমি এখন দুর্দান্ত পুরুষ
দুমড়ে মুষড়ে একাকার করার আকাঙ্খা বাহুতে অহর্নিশ
কিন্তু তুমি পেয়েছো যেরকম
এখানে এখন সেরকম খেলার মাঠ নেই
কাকতাড়ুয়ার হাতে নাইলনের রশি বেধে
ধানের জালা ফেলা জমির এককোণে বসে টিন পেটানের সেই জমিটি
এখন চাপা পড়েছে বিশাল অট্টালিকার নীচে
ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জোয়ার জলে জাল ফেলে
মাছ ধরার সেই মাটিয়াল খাল এখন বিশাল নর্দমায়
মরে ভুত হয়ে গেছে কারখানার কালো বর্জে।
এবার আমাকে প্রশ্ন করো কৈশোর, আমি কেমন আছি…
আমার কাটা গায়ের ঘা’য়ে না হয় একবার লাগাও লবন
তোমার মতো উচ্ছলতায় এখন ইচ্ছে হলেই
দৌড়ে যেতে পারিনা জমির আ’ল ধরে
‘শফি কন্ট্রাকটরের খামার বাড়ী’,
চিংড়ি ঘেরের থাবায় উজাড় হয়েছে কেওড়া বন সেই কবে
ভেড়িবাঁধের ঘাসের সবুজ কার্পেট মোড়া পাড় নেই
কেওড়ার শ্বাসমুল ‍উঠা সমুদ্র পাড়ের ম্যানগ্রোভের ছোঁয়াটা নেই
হলুদ মঞ্জরীতে দোলো বাবলাকাঁটার ঝুলে থাকা ডালও নেই,
অসংখ্য বস্তির উচ্ছিষ্ঠ মলে ভরপুর ভেড়িবাঁধে
আমি এখন পড়ে থাকা যেন পরিত্যক্ত সুবোধ আবেগ
কৈশোর- তুমিতো ভালোই ছিলে
কেমন আছি, আমাকে প্রশ্ন করোনা কৈশোর…।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোজাম্মেল কবির নিজের দুরন্ত শৈশবে ঘুরে এলাম কবি... শুভ কামনা, সাথে ভোট।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
মোঃ মোখলেছুর রহমান হা হা হা ভাইজান ভিয়েতনাম থেকে কবে আসলেন! কবিতার কথা কিছু বলব না তাহলে সবাই জেনে যাবে, কিছু কিছু ক্ষেত্র কিপটে থাকা ভাল। শুভ কামনা রইল।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী কি বলবো আমার ভাষা নেই। আপনার কবিতাতে বরাবরের মতো একটা মায়ার সৃষ্টি হয়। যা পড়া শেষেও কেমন যেন রেষ থেকে যায়। আসলে কবি শৈশব, কৌশর আর যৌবনের ধাপ পেরিয়ে বার্ধক্যের ভিতরে সেই কৌশরের বিভিন্ন আকুতি তুলেছেন। যেমন- তখন ছিলাম আমি এক দুর্দান্ত পুরুষ, কাকতাড়ুয়ার হাতে নাইলনের রশি বেধে ধানের জালা ফেলা জমির এককোণে বসে টিন পেটানের মতো শক্তি। এখন আর ইচ্ছে হলে দৌড়ে যেতে পারি না শফি কন্ট্রাকটরের খামার বাড়ী’,। কৌশরকে প্রশ্ন করে বলেছেন- এখন চাপা পড়েছে বিশাল অট্টালিকার নীচে ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জোয়ার জলে জাল ফেলে মাছ ধরার সেই মাটিয়াল খাল এখন বিশাল নর্দমায় মরে ভুত হয়ে গেছে কারখানার কালো বর্জে।। এখন আর নেই- চিংড়ি ঘেরের থাবায় উজাড় হয়েছে কেওড়া বন সেই কবে ভেড়িবাঁধের ঘাসের সবুজ কার্পেট মোড়া পাড় নেই কেওড়ার শ্বাসমুল ‍উঠা সমুদ্র পাড়ের ম্যানগ্রোভের ছোঁয়াটা নেই হলুদ মঞ্জরীতে দোলো বাবলাকাঁটার ঝুলে থাকা ডালও। অথচ এখন অসংখ্য বস্তির উচ্ছিষ্ঠ মলে ভরপুর ভেড়িবাঁধে আমি এখন পড়ে থাকা যেন পরিত্যক্ত সুবোধ আবেগ......।। সুতরাং এতো চমৎকার লেখা দিয়ে বিমুগ্ধ করে ফেলেছেন ভাইয়া। অনেক শুভ কামনা এবং বরাবর ভোট রইল আপনার জন্য।।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ধন্যবাদ এত গবেষণা’র জন্য সিদ্দিকী...
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত ভাই , ভাল লাগল সুন্দর একটি কবিতা পড়ে আর অনুরোধ রইল আপনার আপনার লেখা যাতে নিয়মিত পড়বার সুযোগ পাই । শুভকামনা আর ভালবাসা রইল ।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ধন্যবাদ দাদা, আপনাদের দোয়ায় ইনশাআল্লাহ...
আইরিন অসাধারণ কবি।
মাইনুল ইসলাম আলিফ অনেকদিন পর..............ফেলে আসা কৈশোর কে নিয়ে অসাধারণ স্মৃতি রোমন্থিত একটা কবিতা।কৈশোরের বাঁধ ভাঙা আবেগ ফুটে উঠেছে কবিতায়।ভোট রইলো।আমার বাড়ি ফেরা গল্পটা পড়ার আমন্ত্রণ রইলো জাহাংগীর ভাই।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ব্যস্ততায় সময় হয়ে উঠেনা....। ধন্যবাদ অলিফ মনে রাখার জন্য।
নাজমুল হুসাইন বাব্বাহ!এত রাগ করে থাকে,জাহাঙ্গির ভাই?কতদিন দেখিনা আপনার লেখা!আপনি যখন আমার কবিতা পড়ছিলেন আমিও তখন মনোমুগ্ধ হয়ে আপনার কবিতা আবৃত্তি করছিলাম।শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
অনেক ধন্যবাদ নাজমুল ভাই
শাহ আজিজ নস্টালজিয়া , আমাদেরও খায় কুরে কুরে । কৈশোর ইজ বেষ্ট ।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
আমি আপনারটায় সবে কমেন্ট থেকে হাত উঠালাম, তার আগেই দেখি নোটিফিকেশনে আপনি চলে এসেছেন আমার পাতায়, এটা যেন আমার পরম সৌভাগ্য। এটাও একদিন সেই কৈশোরের মত আমাকে নষ্টালজিক করবে হয়তো। অনেক ধন্যবাদ আপনার পদধুলির জন্য। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশায়।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

কবিতার বিষয় যখন ‘কৈশোর’ তখন স্বভাবতই কৈশোরের স্মৃতি, স্তুতি, প্রাপ্তি বা হারিয়ে যাওয়া সময়ের স্মৃতিভস্মে সন্তরনের কথায় আসবে। তার মাধ্যমে সব লেখকই আর একবার হয়তে ফিরে যাবেন সেই হারিয়ে যা্ওয়া দিনগুলোর কাছে। আমারও তা ই হয়েছে। অতিত বর্তমানের মাঝখানটায় দাড়িয়ে নিজেদের পাওয়ার আনন্দ আর হারানোর ব্যাথা উপজীব্য হওয়া সব কবিতাকে বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ধরে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই...

২৪ আগষ্ট - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী