নামের কি বিচিত্র মহিমা ! নাম দিয়েই যায় চেনা । রামগোপালবাবুর একটি পোষা বিড়াল ছিল । পোষা মানে মাস কয় আগে বিড়ালটা বাড়িতে এসে পড়ে । দু-একদিন খেতে দেয় । তাতে সে থেকে যায় । রামগোপালবাবু তার নাম দেন – ঝিমলি । রেগে গিয়ে একদিন মারলেন হাতের কাছের কি একটা দিয়ে । তাতে তার কানের কাছে কেটে যায় । সেই ঝিমলিকে রাস্তার কুকুর করল তাড়া । তারপর ঝিমলি সেই যে হারিয়ে গেল আর তার দেখা নেই । ইতিমধ্যে রামগোপালবাবুর মেয়ে বিয়ে হয় পাশের গ্রামে । প্রথমবার সেই বাড়িতে গিয়ে দেখেন তাদের বাড়িতে বিড়াল । সবাই পুষি বলে ডাকছে । ভাবাবেগে রামগোপালবাবু নিজের বিড়ালের কাণ্ডকারখানার কথা বলতে লাগলেন । হঠাৎই কাটা কান দেখে সে আলোচনা বন্ধ করে দেন । দু-একবার আদর করার ইচ্ছে হলেও আর বিড়ালটাকে ঘুরেও দেখলেন না । ইতিমধ্যে আরো কিছুদিন কেটে গেল । রামগোপালবাবু রিটায়ার্ড করেছেন । তাই বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গেলেন । খানিক দূরে বাসে গেলেন । প্রায় দশ বছর পরে দেখা । বেশ জমিয়ে আড্ডা মারছেন তাদের বাড়ির সামনের উঠোনে বসে । বন্ধু পত্নী চা দিয়ে গেলেন । বিস্কুটের গন্ধ পেয়ে এক বিড়াল উপস্থিত । বন্ধু ডাকলেন – চুক চুক , আয় আয় রুমকি । রামগোপালবাবু বললেন –বিড়াল পুষেছিস । বা ! বেশ নাম রেখেছিস তো ! বেশ বেশ । বলেই বিস্কুটটা হাতে তুলে নিলেন । মুখে কামড় দিতে যাবেন দেখেন কান কাটা ! ফলে বিষম খেলেন । সেই রামগোপালবাবু আরো কয়দিন পরে পার্কে ঘুরে বাড়াচ্ছেন । সকালে যেমন আসেন । দেখেন একটা লোক নেকড়াতে বেঁধে পুঁটলি করে কি একটা আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিলেন । রামগোপালবাবু জিজ্ঞেস করলে লোকটি বললেন – টম বিড়াল মারা গেল । আমাদের কাছে মাসখানিক মত ছিল । তখন ভাল করে সেদিকে তাকিয়ে দেখেন । বিড়ালের মুখটা বেরিয়ে আছে আর কানটা কাটা । মনটা খারাপ হয়ে গেল । রামগোপালবাবু সেদিন মর্নিং ওয়াক না করে বাড়ি ফিরে আসেন ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।