এসটন দুই বছর জেল খেটেছে। সেদিন সেলুন থেকে বের হয়ে চার্চষ্ট্রীট এর ফুটপাতে হেটে যাচ্ছিলো এসটন। এখানে সে পার্টটাইম কাজ করে। কাজ শেষে ফিরার পথে সাদা চামড়ার বন্ধু টেইট এর সাথে দেখা। কথা বলতে বলতে কিছু দূর হেটে যায় দুজনে। সামনে চার রাস্তার মোড়ে পুলিশ দুজনকেই ঘিরে ফেলে। দুজনের দেহ তল্লাশি করে টেইট এর পিঠে ঝুলানো ব্যাগে গাঁজা পাওয়া যায়। এসটন এর কাছে কিছুই খুঁজে পায়নি পুলিশ। কিন্তু পুলিশ সেদিন রাতেই মা বাবাকে ডেকে টেইটকে তাদের হাতে তুলে দেয়। এসটন এর সাঁজা হয় দুই বছর। সাদা চামড়ার সম্মান বাঁচাতে টেইট এর অপরাধ এসটন এর কাঁধে চাপিয়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনার বছর তিনেক পর নিউইয়র্ক এর রাস্তায় মৌন মিছিল। কয়েকজন ভারতীয় আছে কালোদের মিছিলে। সাথে আছে কজন বাংলাদেশী। দূর থেকে দেখে বাংলাদেশী কি ভারতীয় তা বুঝা যায় না। সাদা চামড়ার পুলিশ ড্যারেন উইলসনের গুলিতে কালো চামড়ার নিরস্ত্র কিশোর মাইকেল ব্রাউন নিহত হওয়ার পর নতুন করে ইস্যুটি আবার চাঙ্গা হয়। ঘটনাটি ঘটে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে কিন্তু ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের সবখানে । এই আন্দোলনের নাম দিয়েছে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার। কালো মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে কিছু আমেরিকান সাদা চামড়ার মানুষও। আরও আছে ইউরোপের নানা দেশ থেকে আসা কিছু অভিবাসী। এদের সাথে নিউইয়র্কের পথে নামে ফায়াজ। বন্ধু এসটন এর কাছ থেকে কালোদের গল্প শোনার পর ফায়াজ নিজেকেও তাদের দলভুক্ত মানে কালো মনে করতে থাকে। এই মনে করা মনের মধ্যে শুধু শুধু আসেনি। দিনের পর দিন মন কিছু একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছিলো। কালো বন্ধু এসটন এর কাছে তাদের ক্রীতদাস পূর্বপুরুষের গল্প না শুনলে হয়তো উত্তর জানা হতো না। এসটন তাকে শুনিয়েছে ষোলশ নব্বই সালে প্রথম ইউরোপীয় জাহাজ বিশ জন আফ্রিকান দাস নিয়ে উত্তর আমেরিকার উপকুলে নোঙর করার গল্প। তারপর দাসের জাহাজ আর থামেনি। একের পর এক দাস ভর্তি জাহাজ এসে ভিড়তে থাকে উত্তর আমেরিকার উপকুলে। প্রিয় মাটি প্রিয় মানুষ আর নিজস্ব সংস্কৃতি পিছনে ফেলে আটলান্টিক পাড়ি দিতে বাধ্য হয় আফ্রিকার কালো মানুষ গুলো। হাতে পায়ে শিকল বেধে ছয় সাতশ মাইল উপকুলের পায়ে হাটা দুর্গম পথ পার হয়ে বিক্রির জন্য তোলা হয় বাজারে। কম বয়সী আর ভালো স্বাস্থ্য যাদের তারা ভালো দামে বিক্রি হয়। অসহনীয় দীর্ঘ ভ্রমনে অনেকেই পথে মারা যায়। পোষ মানাতে বাড়ির আঙ্গিনায় বেশ কিছুদিন শিকলে বেধে রাখতে হয় কোন কোন দাসকে। যেভাবে বন্য পশুকে পোষ মানাতে বেঁধে রাখা হয়। কিনে আনা দাসের মানবিক অধিকার বলে কিছু নেই। বিয়ে করার অধিকার নেই। মজুরি পাওয়ার অধিকার নেই, নেই সম্পদের মালিক হওয়ার অধিকার। কাজ থেকে ছুটি পাওয়ার অধিকারও নেই। সভ্যতা আলোকিত করেছে পৃথিবী। আলোকিত মানুষের মন। সেই দিন বদলেছে। হাতে পায়ে শিকল নয় সম্মানের সাথে অভিবাসন করা হচ্ছে এখন। আলোকিত এই পৃথিবীর কোন চোরা গলিতে এখনো হয়তো পৌঁছেনি সভ্যতার আলো। সেখানে আজও যেন আদি ভৌতিক অন্ধকার। সেই অন্ধকার মাঝে মাঝে গ্রাস করে গিলে খেতে চায় গোটা পৃথিবীর সভ্যতা।
২ উনিশ আগস্ট দুই হাজার পনের ফায়াজের আঠারো পূর্ণ হবে। সে মনে মনে সব ঠিক করে রেখেছে। এই দেশটাকে সে নিজের বলে ভাবতে চায়। মা বাবা শিখিয়েছে এভাবেই। কিন্তু মা বাবা যেভাবে চায় সন্তান সেভাবে চায় না। দেশ যেভাবে চায় তা কারো পছন্দ কারো আবার না। নানা জনের চাওয়া গুলো এক করতে চাওয়ায় বিপত্তি। মা বাবা সন্তানের চাওয়া গুলোও এমনই। আমরা অধিকার ধরে রেখে সন্তানের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। যা আমেরিকার প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীদের বড় মনকষ্টের কারণ। ছেলে বড় হয়েছে। মা চায় কিছু বিষয় ছেলের সাথে আলোচনা করতে। সেদিন তাই নিয়ে কথা হচ্ছিলো। -এই মাটিতে তোমার জন্ম। এখানে তোমার পূর্ণ অধিকার। সবটুকু তোমাকে আদায় করে নিতে হবে। নইলে ঠকবে। মায়ের কথা শুনে ফায়াজ চুপ করে থাকে। একবার মায়ের চোখের দিকে তাকায়। মা সন্তানের চোখ পড়তে জানে। কপালে ভাঁজ পড়ে মায়ের। ছেলের মনে কিছু কঠিন প্রশ্নের আভাস দেখে মায়ের বুক চমকে উঠে। মা আবার বলে -তুমি মনে হয় কিছু বলতে চাইছ বাবা... -হ্যা চাইছি। মুখ খুলে ফায়াজ। আবার চুপ করে থাকে। -ভয় নেই বাবা বলো তুমি কি বলতে চাও। -আচ্ছা মা তোমরা এই দেশে কেন এসেছিলে? -এসেছি আমাদের উন্নত স্বচ্ছল জীবনের আশায়। তোমার সুন্দর আগামীর আশায়। -মা তুমি কি জানো কদিন আগে একজন বাঙ্গালী তার চাকরী হারিয়ে বেকার হয়ে সংসার কিভাবে চলবে সেই হতাশায় আত্মহত্যা করেছে? -হ্যা জানি। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। -শুধু এশিয়ার দেশ চীন আমেরিকার কাছে যেই টাকা পায় তা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে লাখ লাখ মানুষকে পথে বসতে হবে এটা কি জানো? -আমিতো বাবা অর্থনীতি বুঝি না। হতে পারে তোমার কথাই সত্যি। তবে জেনে রাখো তেমন কিছু হলে আমাদের সরকার জনগণের জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। এই দেশের সরকার ঋণ করে হোক চালাকি করেই হোক নিজের দেশের মানুষকে তো ভালো রাখছে! তা ছাড়া সভ্য মানুষের দেশে তোমার জন্ম তা নিয়ে তোমার কি গর্ব করা উচিৎ না বাবা? -তা না হয় করলাম। কিন্তু তুমি যাকে সভ্যতা বলছ এই সভ্যতাকে কি তুমি মনে প্রাণে মেনে নিয়েছো মা? -হ্যা নিয়েছি, অবশ্যই নিয়েছি! -না মা তুমি মেনে নাওনি। তুমি কোনো দিন মেনে নিতে পারবে না। তাই তুমি রবি ঠাকুর আর নজরুলের গান শুনো। -সেখানে যে আমার শিকড়! -আমারও? -না, তোমার হবে কেন? তোমার যার গান শুনতে ইচ্ছে হয় তাই শুনবে যা করতে ইচ্ছে হয় করবে। সেখানে তোমার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। এখানে তোমার জন্ম, ধরে নিতে হবে তোমার শিকড় এখানেই। -আচ্ছা মা একটা কঠিন প্রশ্ন করলে রাগ করবে নাতো? -কি যে বলিস বাবা, রাগ করবো কেন? আমরা আলোচনা করছি! -মনে করো কদিন পর আমি আমার গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে বাসায় উঠে পড়লাম। তুমি আর আব্বু আমাকে ধমকালে, রাগ করে গালে একটা থাপ্পড় দিলে। আমি পুলিশে ফোন করলাম। পুলিশ এসে তোমাদের দুজনকে ধরে নিয়ে গেলো। তখন তোমাদের কি কষ্ট হবে? ফারহানা হা করে ছেলের মুখের দিকে কিছুক্ষণ শুধু তাকিয়ে রইলো । তার সত্যিই মন খারাপ হলো কিন্তু তা সে কিছুতেই লুকাতে পারছে না।
৩ আশিকুর আর ফারহানা দম্পতি উনিশশ পচানব্বই সালে আমেরিকায় আসে। সাতানব্বই সালে একমাত্র ছেলে ফায়াজের জন্ম। ফায়াজ জন্মের পর মাত্র দুই বার তার মা বাবার দেশে বেড়াতে যায়। প্রথম বার ফায়াজের বয়স মাত্র দুই বছর। সে সময়ের কথা কিছু মনে নেই। দুই হাজার পাঁচের কথা মনে আছে। দুই মাস বাংলাদেশে থেকে সে বুঝতে পারে তার মা কেন দেশের জন্য আপন মানুষের জন্য মাঝে মাঝে চোখের জল ফেলে। মায়ের দেশে না আসলে তার জানা হতো না পরিবার কাকে বলে। সাদা রঙ করা পুরোনো বাড়িটাতে দাদা দাদী চাচা ফুপু সবাই মিলে কি আনন্দে প্রতিটি দিন কাটায়! একেকটা দিন স্বপ্নের মতো মনে হয়। চার দিকে শুধু প্রাণের পরশ। দাদার হাত ধরে ধানের ক্ষেতে হাটতে আনন্দ। আম গাছের পাকা আম পেড়ে খেতে আনন্দ। পুকুর থেকে বড়শী দিয়ে দাদার রুই মাছ ধরা দেখতে সে আরো আনন্দের। তার পর থেকে দেশের জন্য মায়ের কান্না দেখে এর কারণ বুঝতে সহজ হয়েছে। তখন থেকে রবি ঠাকুর আর নজরুলের সাথে পরিচয় হয় ফায়াজের। একটু একটু করে তাদের গান ভালো লাগতে শুরু করে। মা বাবা দুজনের গায়ের রঙ ফর্শা। যতো ফর্শা আর দেখতে যতোই সুন্দর হোক তারা সবাই কালোদের তালিকায়। এই নিয়ে মা বাবার মনে কোন কষ্ট নেই। তাঁরা অনেক কিছু মেনে নিয়েই এই দেশে এসেছে। বাসে ট্রেনে রেস্টুরেন্টে একটু আধটু অপমান তাচ্ছিল্য সয়ে নিজেকে তাদের মতো করে তৈরি করে নিতে সব ধরণের কসরত তারা করেছে। প্রথম প্রজন্মের কাছে আমেরিকায় অভিবাসন ছিলো স্বপ্ন তা আর যাই হোক স্বপ্ন পূরণ আসল কথা। তাদের আশা পরের প্রজন্মকে এতো অপমান সইতে হবে না।
৪ ফায়াজ আজকাল সময় পেলে বাংলা গান শুনে। রবি ঠাকুরের গান নজরুলের গান। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল দেখে। মায়ের কাছে বেশ অবাক লাগে। মায়ের দেশের প্রতি ছেলের টান দেখে মায়ের বুক ভরে যায়। বাংলাদেশের খবর গুলো বেশী খেয়াল করছে, মা তা বুঝতে পারে না। একটা খবরে ফায়াজের চোখ আটকে যায়। ঈদ এর আগে গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবীতে ঢাকায় সড়ক অবরোধ করেছে। পুলিশ শ্রমিকদেরকে ধাওয়া করে দশ বারো জনকে গ্রেফতার করেছে। টিয়ার গ্যাস আর লাঠি চার্জে বাকীরা পালিয়ে বাঁচে। গত সপ্তাহে গ্যাপ এর শোরুম থেকে পঞাশ শতাংশ ছাড়ে একটা ডেনিম প্যান্ট কিনে আনে ফায়াজ। বিশেষ ছাড় বাদ দিয়ে দাম পড়ে উনপঞ্চাশ ডলার। মেড ইন বাংলাদেশ। এর লাভের অংশ তার মায়ের দেশের খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর হাতে যাবে। কিন্তু এই শ্রমিক গুলো মাস শেষে টাকা পায় না কেন? আমেরিকান কোম্পানি গুলো কি টাকা পরিশেধ করে না ঠিক মতো? ফায়াজের মাথায় কঠিন ভাবে আঘাত করে ব্যাপারটা। খোজ খবর নিয়ে এক ভয়াবহ তথ্য বের হয়ে আসে। পৃথিবীর যে কোন দেশের চাইতে কম দামে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের পোষাক তৈরী করে। আমেরিকা ইউরোপের পোষাক ক্রেতা সংগঠন গুলো নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে দর কষাকষি করে সর্বনিম্ন মজুরিতে পোষাক উৎপাদন করতে অনেকটা বাধ্য করে। হাজার হাজার পোষাক কারখানা ব্রেক-ইভেন পয়েন্টে তাদের ব্যাবসা চালাতে হিমশিম খায়। এমনকি লোকসানে চালায় কারখানা গুলো। মাস শেষে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারে না। এদের কেউ কেউ আবার ইচ্ছে করে শ্রমিকদের ঠকায়। আমেরিকার বাজারে যে ডেনিম প্যান্ট শত ডলার বিক্রি হয় সেটা বাংলাদেশ থেকে আনতে খরচ হয় মাত্র পনের থেকে বিশ ডলার! ফায়াজের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে বাংলাদেশের গরিব মানুষ গুলোর জন্য। এই মানুষ গুলো হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও যেনো আমেরিকার দাস।
৫ পচিশ আগস্ট রাতে বাড়ি ফিরেনি ফায়াজ। রাতভর অস্থিরতায় কাটে মা বাবার। তার বন্ধুদের সাথে ফোনে কথা বলে কোথাও খোঁজ মিলেনি। পরদিন দুপুরে পুলিশে জানানো হয় ব্যাপারটা। পুলিশ বিকেলে ফোন করে জানায় ফায়াজ গত রাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশে গেছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Fahmida Bari Bipu
মোজাম্মেল ভাই, গল্পটা পড়লাম। সাবলীল সহজ ছন্দে গল্প বলা, বরাবরের মতই। নতুন করে কিছু বলার নেই। যদিও গল্পের বিষয়ভাবনার সাথে আমি একমত নই। প্রবাসে যে দ্বিতীয় প্রজন্ম বেড়ে ওঠে, তাদের মনের গভীরে শিকড়টা এত শক্তভাবে এঁটে থাকে না। বরং প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের মাঝে দূরত্বটা তৈরীই হয় এই ' ডিফারেন্স অব আইডেনটিটি' বোধ থেকে।এটা আমার দেখা কেইস স্টাডিগুলো থেকে বলতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ আপা আপনার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য। বিষয়ভাবনার সাথে একমত না হওয়াটাও একটা ব্যপার কারণ মানুষের অভিজ্ঞতা বিশ্বাস থেকে সৃষ্টি হয় নিজস্ব মতামত। সেখানেও আমার শ্রদ্ধা রইলো।
Salma Siddika
ফায়াজের মত আমিও একদিন দেশে চলে যেতে পারতাম যদি! হয়ত যেতে পারব কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে ভয় হয়। আপনার গল্পটা পড়ে সাহস পেলাম। হয়তো কোনদিন আমিও ফ্লাইট ধরে দেখে চলে যেতে পারবো।
অনেক ভালো লিখেছেন। ভোট দিয়ে গেলাম।
আমি খুব আশাবাদী এই দেশ একদিন অনেক উপরে উঠবে... হয়তো আমি আপনি থাকবো না সেদিন। সেই প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য বাংলাদেশের বীজ বুনার এখনই সময়... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
আপনার আবেগ আর দেশপ্রেমকে আমি শ্রদ্ধা করি । কিন্তু বাস্তবতা খুবই নির্মম, তবে আমাদের অযোগ্যতা আর ব্যর্থতাকেও হিসেবে না নিলে বিষয়টা একেবারে একপেশে হয়ে যাবে । অবশ্য আপনি তা করেন নি । ভাল লাগল চমৎকার গল্পটা ।
প্রসঙ্গ যদি হয় দেশপ্রেম সেখানে আবেগ অনিবার্য বলে আমার মনে হয়। আজকাল দেশে দুর্নীতি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা বাস্তবতাকে অতিমাত্রায় গুরুত্ব দেয়া অথবা বাস্তবতায় ঘাবড়ে যাওয়া থেকে হতে পারে। সেখানে মানুষের যোগ্যতা এবং যুক্তি পরাজিত হয়... গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।