জানি না কবে, কখন-কেমনে,
হলেম আমি উদ্বেলিত।
গুঞ্জনেতে কান পাকিয়ে,
করলুম যাত্রা অবধারিত।
পথিমধ্যে দেখি,
মিছিল ঘনিয়ে যেন লোকারণ্য।
সম্মুখে গিয়ে শুনি,
আরও সে কত বৃত্তান্ত।
গোচর হল গন্তব্য এক,
সেথায় নাকি আছে নারী এক!
রূপেতে নাকি যায় তারে চেনা,
সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় সে নাকি অপ্সরা।
বলতে আমার নাই যে দ্বিধা,
বর্ণন শুনে গেলাম যে মূর্ছা।
চোখ নাকি তার পটলচেরা,
ভ্রু জোড়ায় তার আবার অমানিশার ছায়া।
হাসলে তার ঝরে যে মুক্ত,
তার পরিমাণ নাকি পর্বতশৃঙ্গ।
ঠোঁট যেন তার নয় কোন ঠোঁট,
সিঁদুর রাঙ্গা মেঘেতে গোলাপি ভোর।
কেশ তার পৃষ্ঠদেশে এমনে মেলা,
আঁধার কাল পুকুর জলে চন্দ্রদীপ্তির খেলা।
নাসিকায় নথ যেন পাগল করা,
সঙ্গে বাঁকা ঠোঁটের ভঙ্গিমায় সে যে অপরূপা।
রূপে গুণে তার নেই যে জুড়ি,
সকলে কহে সত্যই সে সুন্দরী।
পৌঁছে দেখি কোথায় কী!
ফ্যাকাসে হয়েছে সেই নারীমূর্তি।
চুপিসারে প্রার্থীরা বলে, হায়-
এখন কেমনে হবে উপায়!
জিজ্ঞাসিনু প্রত্যেকেরে,
এই পরিণতি হল কেমনে?
বলে সে নারী করেছে পণ,
করবে সে বিবাহ এক জন।
রূপ দেখে যে তার করবে সঠিক উক্তি,
বরমাল্য হবে সেই জনার সত্যি।
প্রার্থী গেল একে একে বাসনা জানাতে সোৎসাহে,
ফিরল যে সাথে সাথে ব্যাজার করে মুখটারে।
সকলে কহে দেখতে নারী বেশ বেশ,
আমি বলি হয়ত সে ছিল বেশ!
আজি কই সে রূপ যৌবন?
রূপে তার নাই যে শানশৌকত।
শুনে সেই বক্তব্য হল নারী আসক্ত,
মোরে নিয়ে রটাল বিবাহের চক্রান্ত।
সঙ্গোপনে নিয়ে কহে সে নারী,
আমার এ অন্তর পূর্ণ হল আজি।
বুঝলাম এ নয় কোন ক্ষুদ্রনারী,
রুপের প্রশংসায় হয় না সে উন্মাদিনী।
সত্যান্বেষী নারীর দুশ্চিন্তা রইল না যে আর,
বৎসরান্তে পেলাম বণিতার কান্তিমান আধার।
০৭ মে - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
১২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪