উচ্ছ্বসিত…….

উচ্ছ্বাস (জুন ২০১৪)

জি সি ভট্টাচার্য
‘বাবুজী, এসেই শুয়ে পড়েছেন, কেন? পাহাড়ী পথে হেঁটে কি খুব ক্লান্ত লাগছে?’ হোটেলের বালক ভৃত্য এসে প্রশ্ন করলো।

‘আপনাকে চা এনে দেব? সাথে আর কিছু কি লাগবে? গরম পকৌড়া পাবেন দশ টাকা প্লেট’।

‘তা আনো, ভাই….কফি হ’লেই ভালো হয়। এই পঞ্চাশটা টাকায় যা হয় আনো। আমার ছেলের জন্য এক গ্লাশ দুধ যদি আনতে পারো….কি আর বলি ভাই। সারাদিন দৌড়ে বেড়াচ্ছি যে । এখন খুবই ক্লান্ত লাগছে। নৈনা দেবীর দর্শন করেছি পূজো দিয়ে, রোপ ওয়েতে করে টিফিন টপে উঠেছি। হিমালয় ট্রাভেলিং থেকে এ০সি০ বাসের টিকিট করিয়েছি দিল্লী অবধি। আবার কাঠগোদাম-দিল্লী রেলের টিকিট কনফার্ম হয় নি দেখে রেলের সিটি বুকিং কাউন্টারে গিয়ে লাইন দিয়ে এক দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে তবে ক্যানসেল করিয়েছি। এখন ফিরছি টুটা পাহাড় থেকে সোজা তোমাদের এই গভীর খাদ ডিঙিয়ে…’

‘সে কি বলছেন আপনি? না….না…..অসম্ভব কথা । জরুর মাল রোড থেকে সড়ক ধরে এসেছেন’।

‘না তো । তা অসম্ভব বলছো কেন? এখনি আমরা এলাম তো’।

‘না না, হতেই পারে না। জরুর কোথাও কিছু ভূল হয়ে গেছে….আমি যাই এখন কফি আনতে….অন্ধেরা হয়ে আসছে তো…দেরী হ’লে পকৌড়া ফিনিস…..’ বলেই সে চলে গেল।

আমার মনে একটা জোর খটকা লাগলো। তাই উঠে পড়লুম। চঞ্চল বাথরুমে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে এলো দেখে আমি ও গেলুম। ভাগ্যে গরম জলের ট্যাপ আছে নইলে বরফ ঠান্ডা জলে হাত পা ধুতে হ’তো আমাকে…..ওরে বাবা। অবশ্য রুম হীটার ও আছে। ভাবলুম হীটার চালিয়ে দিই এখনই। একটু ঘর গরম হ’লে তবে তো পরীর দেশের রাজকুমার ছেলে চঞ্চলের বাইরের পোষাক বদলানো যাবে।
তখনই সন্ধ্যের পর বাইরে বেশ কুয়াশা নামছে। কালকের মতন বরফের মতন হাওয়া ও চলবে খানিক পরে। দারুণ ঠান্ডা পড়া ও শুরু হবে । কে বলবে তখন যে এটা জুন মাস। নৈনীতাল বলে কথা ।

আধ ঘন্টায় গরম কফি আর পকৌড়া এসে গেলো। আমি দরজা বন্ধ করে দিয়ে আগে চঞ্চলের ও তারপরে নিজের বাইরের ড্রেস চেঞ্জ করে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসলুম। চঞ্চলের দুধ সাদা হাতে দুধের গেলাস ধরিয়ে দিয়ে নিজে কড়া কফিতে চুমুক দিলুম।

আঃ…বাঁচলুম। পথের চড়াই আর সিঁড়ি ভাঙার পরিশ্রমে ফিরে এসে তখন গরম যা লাগছিল সেটা কেটে যাওয়ায় তখন আমার বেশ শীত করছিলো। এই জন্যই নৈনীতালের কোন হোটেলের ঘরেই ফ্যান থাকে না।

এসেছিলাম একটা শিশু পত্রিকার সাহিত্য সভায়। অবশ্যই শ্রোতা হিসেবে। বক্তৃতা করতে বা সন্মানিত হ’তে নয়। সে সব আমার কর্ম নয়। ওই সবে আমার বড় সংকোচ হয়। এমন কি তাঁরা থাকবার জন্য ব্যবস্থা করলে ও আমি সেখানে চঞ্চলকে নিয়ে থাকতে যাই নি। সব কমন সিস্টেম বলে। ডরমিটারী ব্যবস্থা।

‘চঞ্চল, কি রকম একটা ব্যাপার মনে হয় আজ হয়েছে বলো তো? বয় ছেলেটা কিছু একটা যেন চেপে গেলো না?’

‘হ্যাঁ, কাকু। …’

‘বেশ সবটা আলোচনা করে নিই আমরা এখন একবার। বাসের টিকিট দিয়ে তো এজেন্ট বললো যে বাস ছাড়বে মাল রোড নয় টুটা পাহাড় থেকে। ঠিক?’

‘হুঁ, তা ঠিক, কাকু…’

‘তা ফেরবার পথেই তুমি জায়গাটা তখনই দেখে রাখবে বলে জেদ ধরলে। মাল ক্রসিং থেকে তাই আমরা দ্বিতীয় পথটা ধরে এগিয়ে গেলাম হোটেল অশোক ছাড়িয়ে। মধ্যে আরো একটা পথের পরে চতুর্থ পথে আমাদের এই হোটেল। শেষ পথটা সোজা লেক বা মাল রোড। হোটেল হিমালয় হয়ে লেক ঘুরে চলে গেছে। ঠিক তো?’

‘হ্যাঁ, কাকু……’
‘হুম…..তারপরে আমরা টুটা পাহাড় পৌঁছে যে দুটো মাত্র ছোট দোকান সে’খানে আছে সেই দোকানের দোকানদারদের সাথে কথা বলে, নিশ্চিন্ত হয়ে তবে আমরা ফিরেছি…’

‘তা ও ঠিক, কাকু’।

‘তা কোন পথে এলাম আমরা? বয়টা যেমন বললো তেমন করে? সোজা সড়ক ধরে? আমার সব যেন কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে আজ’।

আমার কথা শুনে হেসে ফেললো চঞ্চল।

‘হিঃ…..হিঃ……হিঃ……..তুমি একলা থাকলে সেই পথেই ফিরতে, কাকু। তা ঠিক। কিন্তু তোমার সাথে যে একটা অখদ্যে ছেলে আছে না, কাকু। সেটা তো কোন কম্মের নয়, অকম্মার ধাড়ী একটা যে। মা তো বলে বেশী সুন্দর ছেলের না নিকুচি করেছে….’

‘হঠাৎ ফেরার পথের ডান দিকে একসার সিঁড়ি রেলিং সমেত দেখেই সে ছুটলো সেই পথে….ওই তো সামনেই আমাদের হোটেল দেখা যাচ্ছে, কাকু। তুমি এসো। তিন মিনিটে এই পথে আমরা পৌঁছে যাবো ….এই বলে’।

‘হুঁ….কোন প্রমাণ আছে যে আমরা তখন ওই পথে নেমেছি নীচে?’

‘আছেই তো, কাকু। কাকু বেচারা আর কি করে তখন? বাধ্য হয়ে দুষ্টু ছেলেটার পিছনে ছুটলো ইয়া উঁচু উঁচু সিঁড়ি ভেঙে। এই দেখো নীচে থেকে তোলা আমার মোবাইলের সেই ফটো…’

‘হুঁ…..তার মানে আমরা সড়ক পথে ফিরি নি। বয় ছেলেটা আমাকে বিভ্রান্ত করবার জন্য বাজে কথা বলেছে। কিন্তু কেন? সে যাক….তারপর, চঞ্চল?’

‘তারপর আর কি, কাকু? নিজেই তো দেখেছো যে সে পথ তো পথ নয়। যেন গোলোক ধাঁধা। চারহাত সোজা রাস্তা তো আবার দশ খানা করে সিঁড়ি। আবার সোজা পথ হাত কয়েক। আমরা পথ হারিয়ে ফেলে ঘুরতে লাগলুম আর যত নীচে নামি ততোই অন্ধকার ঘিরে আসে। দূরে সামনে আমাদের এই হোটেলের গায়ে তখন ও বেশ রোদ্দুর চক চক করছে’।

‘তারপরে? বলে যাও, চঞ্চল…’
‘কি বলবো, কাকু? দুষ্টু এই এক ছেলে নিয়ে তুমি যে কতো হয়রান হও তার কি ঠিক আছে, কাকু’?

‘পথে হঠাৎ করে এক জায়গায় আমি লাফিয়ে গিয়ে তোমাকে জড়িয়ে ধরে আটকে ও দিলাম একবার। কি হয়েছে? না পথে ছিলো একটা পোকা….বেশ বড় সড়ই….তবে সবুজ ঘাসে বসে ছিল বলে তুমি দেখতেই পাও নি, কাকু। কিন্তু পা ফেললেই তোমার জুতোর তলায় পড়তো পোকাটা…..তোমার এই পাগল ছেলের সে সহ্য হয় কখনো? বলো না…. হিঃ……………হিঃ………….হিঃ……’

‘আর তার পরেই তো দেখলাম সেই লাল সোয়েটার পরা আমারই বয়সী পাহাড়ী ছেলেটাকে। অদ্ভূত নাম কাকু ননা…..পাহাড়ী ভাষায় তার মানে না কি বাচ্ছা…’

‘তুমি কোথায় দেখলে তাকে?’

‘কেন? একটা বড় পাথরের আড়ালে। একা একা কি খেলছিল লাফিয়ে লাফিয়ে…এক্কা দোক্কার মতন অনেকটা…’

‘আমি গিয়ে তাকে হিন্দিতে বললাম-‘ভাই, আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। সামনের ওই বড় হোটেলে যাবো। রাস্তাই পাচ্ছি না খুঁজে আর দেখ না অনেকটা নেমে এসেছি আর অন্ধকার ও হয়ে আসছে….আমার বড় ভয় করছে, ভাই….’

‘ছেলেটা অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে খানিকক্ষন তাকিয়ে রইলো। কিছুটি বললো না। আমার মনে হ’লো যে সে পাহাড়ী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষাই বোঝে না। আমি হতাশ হয়ে পড়লুম, কাকু। একটা দশ এগারো বছরের পাহাড়ী ছেলে হিন্দী ও না জানতেই পারে। আশ্চর্য কী? তবু ও আমি আবার কথাগুলো বললুম ছেলেটাকে, ইসারা করে পথের দিকে দেখিয়ে ও দিলুম’।

‘ছেলেটা চুপ। ফিরেই আসবো ভাবছি হঠাৎ সে হিন্দিতে বলে উঠলো-‘তুমি খুব ভূল করেছো, ভাই। এটা পাহাড়। তোমাদের শহর না। এখানে শুধু চড়াই আর উৎরাই আর গভীর খাদ। আর আছে পাহাড়ী জীব জন্তু। তবে তুমি দুষ্টু ছেলে হ’লে ও পোকা মাকড় গাছ পালা পাহাড় বন সব সত্যিই ভালোবাসো। শহুরেরা তা বাসে না। তারা বড় নিষ্ঠুর হয়….বড় স্বার্থপর। তাই তারা কিছু দেখে ও দেখে না শুনে ও শোনে না বুঝে ও কিছুই বোঝে না । তারা আমার দেখা ও পায় না। আমি তো এইখানেই থাকি, খেলি, বেড়াই কিন্তু…………’
‘তা থাক। তোমার মনটা আমি দেখে নিয়েছি। তোমার দামী কালো চশমাটা খুলে তোমার মুখের রূপ সৌন্দর্যটুকু আমাকে একটু দেখাবে?’

‘আমি চশমাটা খুলতেই সে হাততালি দিয়ে পাহাড়ী ভাষায় কি যে বলে উঠলো আমি বুঝতেই পারলুম না, কাকু তবে সেটা যে তার উচ্ছ্বসিত কন্ঠের প্রশংসা তা ঠিক মনে হ’লো। শেষে সে হিন্দিতে বললো-‘ভাই, তুমি খুব সুন্দর ছেলে। আমাদের দেশে এসে বিপদে পড়লে আমাদের বদনাম হবে। তবে তুমি কাউকে আমার কথা বলবে না। বললে ও কেউ বিশ্বাস করবে না। আমার পিছনে চুপচাপ চলে এস তোমার কাকুর সাথে। দুই পাহাড়ের মাঝে একটা গভীর খাদ আছে। তার পোল পার হয়ে তবে ওপরে ওঠবার সিঁড়ি পাবে। অনেক সিঁড়ি ভেঙে যে সড়ক পাবে সেটা পার হয়ে আরো ওপরে উঠতে হবে। তবে হোটেল রোড পাবে। এসো…..’

‘তারপরে, চঞ্চল? কই আমি তো সেই ছেলেটাকে একবার ও দেখতে পাই নি। শুধু তুমিই এগিয়ে যাচ্ছো আমাকে ইসারায় সঙ্গে আসতে বলে, তাই তো মনে হ’লো’।

‘পাবে না তো। সে অনেকটা আগে ছিলো আর সেই কথা তো ননা বলেই দিয়েছে তবে পোলটা দেখিয়ে আর সঙ্গে করে পার করে না দিলে মুস্কিল হয়ে যেতো। জরাজীর্ণ পোল দেখেছো তো, কাকু….’

দরজায় বেল বাজলো। চঞ্চল তাড়াতাড়ি নিজের নাইট ভিজন চশমা পরে গায়ে শাল জড়িয়ে নিলো।

আমি দরজা খুলে দিলুম।

সেই বেল বয়। কাপ প্লেট নিতে এসেছে।

সে চলে যাবার আগেই আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলুম—‘ভাই, তুমি তখন যে বললে আমরা ওই পথে আসিনি। আমাদের ভূল হয়েছে কোথাও। কেন বলো তো?’

‘সে নির্বিকার পাহাড়ী মুখ আরো গম্ভীর করে বললো-‘কেননা ওই পথে খাদ আছে গভীর। জরাজীর্ণ একটা পোল ও ছিলো। এইবার বর্ষায় সেটা ভেঙে পড়েছে। তিনজন আহত হয়েছিলো। একজন পাথর আঁকড়ে ধরে কোনমতে ঝুলছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ননা বলে একটা ছোট সাহসী ও খুব পরোপকারী ছেলে হাত ফস্কে গভীর খাদে পড়ে মারা যায়। তার বডি তুলতে ও পারা যায় নি কেননা বর্ষার জলে তখন খাদ ভর্তি। আর তেমনি ঠান্ডা ও পড়েছিল। পাহাড়ে বৃষ্টি হ’লেই খুব বাড়ে ঠান্ডাটা’।

হঠাৎ চঞ্চল প্রশ্ন করলো—‘আচ্ছা ভাই, ননা কি একটা লাল সোয়েটার পরে ঘুরতো?’

সামনে যেন এক বিকট ভূত দেখার মতন চমকে গিয়ে ছেলেটা বললো—‘তু….তুমি কি করে জানলে, ভাই?’

চঞ্চল অপরূপ সুন্দর মুখে ভ্রুভঙ্গি করে বললো---‘এ জানা আর এমন কঠিন কী, ভাই? আমি হয়তো আরো অনেক কিছুই জানি। যেমন ধরো আমার বেশ মনে হয় তুমি সেই সুযোগে তোমার বন্ধুর গচ্ছিত রাখা টাকাটা তুমি বন্ধুর মাকে না দিয়ে নিজেই সবটা মেরে দিয়েছো। তাই না? এটা কি ঠিক হয়েছে, ভাই? তুমিই বলো না……………অবশ্য কালই সে এসে তোমার সাথে দেখা করে সব হিসেব চাইবে। বলেছে। তখন না হয় তুমি ………………’

‘না……না…………না…………..তাকে আসতে হবে না…………দোহাই……….বারণ করে দাও ভাইটি আমার ….নইলে………আ আমি এখনি গিয়ে বুড়িকে সমস্ত টাকা দিয়ে আসছি…….ওরে বাবা রে…..গেছি রে ….মরেছি রে……খেয়েছে রে……’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোজাহারুল ইসলাম শাওন মরেছিরে...। কিন্তু না এত ভালো লিখেন কেমনে?
ওয়াহিদ মামুন লাভলু সুন্দর উত্তেজনাকর লেখা। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এফ রহমান গল্পের শুরুটা চমৎকার লেগেছে। নৈনিতাল , দার্জিলিং শুধু লেখকদের লেখনীতে পড়ে যাচ্ছি কবে যে চাক্ষুষ করতে পারবো।
প্রজ্ঞা মৌসুমী এই জুনের গরমে বসে পাহাড়ের ঠাণ্ডা ওয়েদারতো লোভনীয় লাগছে। মাঝে এসে একটু বোরিং লাগছিল কিন্ত তারপরতো ভূতুড়ে চমকটা বেশ। একটানা পড়ায় ঘন ঘন 'কাকু' শব্দটা কানে লাগছিল। এডভেঞ্চার, পাহাড় আমার বরাবরই বেশি ভালো লাগে... অনেক শুভ কামনা...
thank you. use of the word kaku frequently is the habit of children. best wishes.
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো -----,, অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।

২৩ এপ্রিল - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪