অশান্ত ঊর্মিমালার পাশে কিছু উর্বর মাটি । একটা জীবন্ত দেশ , কিছু জীবন্ত মানুষ । কিন্তু সবাকার প্রাণ যেন শুধু তাতেই । বাংলা- এ এক কালজয়ী শক্তিমান ইতিহাস ।
ইংরেজ ঢুকেছে তাতে রেলে চড়ে । আরব ঢুকেছে হয়ে ঘোড়ায় সওয়ার । ধর্মের ছাঁচে ঢুকেছে সংস্কৃত কি পালি । কিন্তু বাংলা- নিজেই গড়েছে নিজের ভাবের প্রকাশ ।
তোমাদের দেশে থাকুক না সাদা ময়ূর , শ্বেত সারস কিংবা ম্যাগপাই নাম্নী অনন্যারা । দোয়েলের শিস তাদের তবু অজানা , অধরা । বাংলা- এ যেন পাখির মুখে শিস আনা ভাষা ।
আহমেদ সাবের
গল্প-কবিতায় স্বাগতম। বাংলা ভাষা ও দেশকে নিয়ে নান্দনিক কবিতা। "ইংরেজ ঢুকেছে তাতে রেলে চড়ে ।" - কথাটা কি ঠিক? ইংরেজরা ভারতে আসার প্রায় ১০০ বছর পর ১৮৪৯ সালে ভারতে রেল পরিবহনের সূচনা হয়। আর "ধর্মের ছাঁচে ঢুকেছে সংস্কৃত কি পালি ।" - সংস্কৃত আর পালি তো বাইর থেকে আসেনি। বাংলা ভাষার জন্মের অনেক আগ থেকেই বর্তমান বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের প্রচলিত ভাষা। সে যা হোক, কবিতা অসাধারণ লেগেছে।
আমি ঐতিহাসিক তথ্য হিসেবে রেলের কথাটা বলি নি , বলেছি এই কারনে যে, রেল ছিল ইংরেজ আমলের সব চেয়ে জনপ্রিয় আবিষ্কার এবং বহুল ব্যবহৃত যানবাহন । আমি যতদূর জানি যখন বাংলা , ভাষা হিসেবে নিজের স্বকীয়তা পেতে শুরু করে, তখন সংস্কৃত আর পালি ধর্মীয় উপাসনা ছাড়া অন্যত্র আর ব্যবহার হতে দেখা যায় নি ।
Bengali evolved circa 1000–1200 CE from eastern Middle Indo-Aryan dialects such as the Magadhi Prakrit and Pali, which developed from a dialect or group of dialects that were close, but not identical to, Vedic and Classical Sanskrit - Wikipedia. মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যের নাম হয়তো শুনে থাকবেন। তিনি সংস্কৃত ভাষায় লিখতেন। বাংলা ভাষার জন্মের প্রায় সাত শত বছর আগে তার জন্ম।
আমি কিন্তু অনেকটা একথাটাই বলতে চেয়েছি । সংস্কৃত বাংলার প্রস্ফুটনের আগে হয়ত এ অঞ্চলে ব্যবহৃত হত , কিন্তু বাংলা আসার পর তা ধর্মীয় ভাষায় পরিণত হয় । আমি এতটুকুই জানি .
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।