এক/
মেজাজটা কিড়কিড় করে তার। এত অনিয়ম কাহাতক সহ্য করা যায়! গাড়ীতে চড়লে ট্রাফিক জ্যাম। গায়ে গায়ে লেগে থাকা সড়ক যানগুলো যেন অচল রেলগাড়ি। এই রাস্তায় গাড়ি চালানো আর ওয়াসা’র ড্রেনে জাহাজ চালানো সমান কথা…..হেঁটে চলবেন? তার উপায় কই? হাঁটার জায়গায় হকার, দোকানপাট, নয়তো মুখব্যাদান খোলা ম্যানহোল। ময়লা আবর্জনায় দেশটা ছেয়ে গেছে। নষ্ট মানুষ আর বর্জ্যের একটা ভাগাড় যেন শহরটা।
এমনিতেই মেজাজ আছে খিচড়ে, তার উপর অফিস টেবিলের কাঁচে ধুলার আস্তরন দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। হুংকারে ত্রস্ত পিয়ন জানপ্রাণ দিয়ে ঘষে কাঁচের ছাল তুলে ফেললেও বসের সন্তুষ্টি পেল না। ধুরর….মনিটরটাও ময়লায় ঘোলা হয়ে আছে। মনিটরে ঘুষি মারতে গিয়ে নিজের নড়বড়ে লিকলিকে বাহুর ভঙ্গুরতার কথা ভেবে বাস্তববাদী হলেন। তার উপর জিনিসটি নিজের। ল্যাপটপটি তো আর পিয়নের কর্ম এলাকার মধ্যে নেই। তাই উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে পারলেন না।
মেইল চেক করার বাহানায় পছন্দের গদ্য-পদ্য সাইটে উঁকি দেন। একটু আধটু শখের লেখালেখি করেন। ‘ভবের হাটে মজুতদারী’ নামে একটা গল্প আর ‘ছিদ্র পাতার ফাঁকে কুয়াশা গলে’ নামে একটা আধুনিক কবিতা লিখেছেন। পাঠকের মন্তব্য পড়ে আরো তেতো হয় মেজাজ। ‘হায়মনি’ সাহিত্য সর্দারের দরবারে এসব ক্ল্যাসিক বুঝার লোক কই! ইন্টারনেট কবি ভেবে নিজেকে আধুনিক ভাবতেন, সম্প্রতি বোধোদয় ঘটেছে। ভাবলেন কিছু সমসাময়িক লেখকের লেখা পড়তে হবে। সামনের আসরে একটা চটি লিখা যায় কিনা এই ভাবনাও মনে ঘুরপাক খায়।
এদিকে প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এত তীব্র ছিল না। রাস্তার বিড়ম্বণা, ধুলো-বালি, হৈচৈ চিৎকারের পেরেশানিতে আজকাল কাবু হয়ে পড়েন। নাহ্ নিজের দিকে একটু নজর দেয়া দরকার। টেবিলে ফাইলের স্তুপ। কাজের প্যাটরা না খুলেই উঠে পড়লেন।
দুই/
ছোটখাট ডাক্তারে তার ভরসা নেই। তারপরও একটু বাজিয়ে নেয়ার জন্য অফিসের মেডিকেল সেন্টারে পুঁচকে এমবিবিএস-এর কাছে গেলেন। ব্যাটার উপর গেলেন আরো ক্ষেপে। গজগজ করতে লাগলেন মনে মনে….। তার ধারণার সাথে মেলেনি বলে। তিনি ভেবেছিলেন, বেশ ক’টা টেস্টের লিস্ট ধরিয়ে দেবে। তারপর রিপোর্ট দেখে টেখে তার পরিচিত ক্লিনিকে ভর্তির পরামর্শ দেবে। তিনিও ডাক্তারকে এক চোট নেবেন, বিলাত আমেরিকার ডাক্তারদের ব্যবহার নিয়ে জ্ঞান দেবেন। তা আর হলো কই? এই ব্যাটা এক নজর বুলিয়েই বলে দিল- ‘‘চোখের ডাক্তারের কাছে যান।’’ এই দেশে এসব ডাক্তারের ভবিষ্যত অন্ধকার….খুঁতখুতে মনে পরামর্শটি মেনে নিলেন।
অফিস শেষে পরিচিত চোখের ডাক্তারের কাছে গেলেন।….সপ্তাহখানেক পর। ডাক্তারের চেম্বার হতে বের হলেন আসমত সাহেব। আকাশটা তার কাছে অনেক ঝকঝকে লাগলো। শহরটা বেশ তকতকে। অফিসে গিয়ে টেবিলের গ্লাসটা ধুলোমুক্ত নতুনের মত পেলেন। চারিদিকে পরিবর্তনের আভাস। যাক্, অবস্থার একটু উন্নতি হয়েছে। উত্তর দক্ষিণের বিভক্তিতে সিটিতেও গতি এসেছে। প্যাদানিতে পিয়নটা সিধা হয়েছে। ক’দিন থাকবে….দেখি, নিজের মনেই আওড়ালেন।
আসমত সাহেবের স্ত্রী আবার ভিন্ন গড়নের মানুষ। ধীরস্থির কিন্তু বুদ্ধিমতি। স্বামীর চোখের ছানি অপসারণের বিষযটি তিনি ডাক্তারের কাছ থেকে জেনেছিলেন। তবে আসমত সাহেবকে এসব জানাননি। তাকে বলা হয়েছিল- আরো গুরুতর কিছু। তা নাহলে তিনি মানতেন না। যে ব্যক্তির চশমা ঘষা কাঁচের মত হয়ে গিয়েছিল। পরের ঘাড়ে দোষ চাঁপানোর আগে একবার চশমা খুলে চারপাশটা দেখেন নি। চোখে ছানি পড়েছে- তিনি মানতেন? দৃষ্টি ঘোলার কারণে ভুল নজরে দেখা ধুলিমলিন আশপাশের দায়-দায়িত্ব পুরো জাতির কাঁধে চাপাবেন। নিজের নজর আর দৃষ্টিযন্ত্রের ত্রুটি দেখার মানসিকতা যে তিনি অনেক আগেই খুইয়েছেন। পুরণো চশমার ছাতলা পড়া কাঁচ দুটো সযত্নে রেখে দেন শাম্মী বেগম।
তিন/
আসমত সাহেব মোটামুটি ভাল চাকরিই করেন। কাজ-কর্মে সুনাম আছে। দিন-দুনিয়ার খবর রাখেন। আলোচনা সমালোচনায় পটু মানুষদের একটু আপডেট থাকতে হয়। ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারানগর গ্রামে বাল্যবিবাহ ঠেকানোর খবর থেকে বারাক ওবামার মধ্য-আফ্রিকা নীতি, আশাশুনির খাল ভরাট থেকে শুরু করে গ্রীনল্যান্ডের বরফ গলার খবর সবটাতেই তিনি মনোযোগ দেন। বড় ধরণের কোন গোল টেবিল আলোচনায় তাকে নেয়া গেলে একাই মাত করতে পারতেন। কিংবা টিভি চ্যানেলের মধ্যরাতের টক-শো’ বক্তাদের আদর্শ হতে পারতেন তিনি। তবে সমস্যা হলো টিভি, পত্রিকার নানা রকম নেতিবাচক খবরগুলোই তাকে বেশী আকৃষ্ট করে। এগুলো নিয়ে মাথাভর্তি করেন, আর চলে চিৎকার চেচামেচি, বিষোদগার।
ছোট্ট গোছানো সংসারে দু’সন্তান তার। ছেলেমেয়ে দুটোই লেখাপড়ায় ভাল। তবে গত কয়েক দিন আসমত দম্পতির মনে দুর্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সপ্তম শ্রেনীতে পড়া ছেলেটা আজকাল কেমন যেন মনমরা থাকে। গত মাসের ক্লাশ পরীক্ষায়ও নাকি একটু খারাপ করেছে। শ্রেণীশিক্ষক বিষয়টা অভিভাবকদের নজরে এনেছেন। শাম্মী বেগম ব্যাপারটি স্বামীকে জানালেন। আসমত সাহেব বাইরের অতি গুরুত্বপূর্ণ(!) বিষয়ে নজর কমিয়ে ছেলে-মেয়েদেরকে একটু বেশী সময় দেয়ার সিদ্বান্ত নিলেন।
চার/
বাংলা ধারাবাহিক নাটক দেখছেন শাম্মী বেগম। লম্বা সময় জুড়ে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে নাটকের এক আধ দৃশ্য। সিকোয়েন্স ধরে রাখা কঠিন। এক নাটকেই রাত পার। স্বামী ভদ্রলোক ছেলের সাথে পড়া নিয়ে বসেছেন। এই সুযোগে টিভিটাকে ‘খবর’মুক্ত করে নিশ্চিন্তে পছন্দের অনুষ্ঠান দেখছেন। এ ভাগ্য তার সচরাচর হয় না। দিনভর ছোট ছেলের ‘ডোরেমন’, সন্ধ্যে থেকে কর্তার ‘খবর’, মাঝখানে বড় মেয়ের হিন্দি ডেইলি সোপ। মধ্যরাতে আবার সাহেবের টক-শো। শাম্মী বেগম আছেন জগাখিচুরি সংস্কৃতিতে!
শান্তি নেই এর মধ্যেও। পড়ার ঘর থেকে হৈচৈ এর শব্দ শুনে উঠে পড়েন। গিয়ে দেখেন, ছেলে কাঁচুমাচু হয়ে এক কোনায় দাঁড়িয়ে। পিতৃপ্রবর কার সাথে যেন মুঠোফোনে যুদ্ধংদেহী তর্কে লিপ্ত। কথা শুনে বোঝা গেল ছেলের স্কুল শিক্ষককে জ্ঞান দিচ্ছেন। নিজের ছেলেবেলার শিক্ষকের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্তমানের শিক্ষকদের অবক্ষয় আর শিক্ষা ব্যবস্থার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছেন। ছেলেকে আস্তে করে পাশে ডেকে নিয়ে পুরোটা শুনে প্রমাদ গুনলেন মা।…ভালই ফ্যাসাদ দেখছি. ছেলের মাথা নষ্ট আর স্কুলে যাওয়া বন্ধের সূচারু ব্যবস্থা করছেন তার অতি বিদগ্ধ স্বামী।
লম্বা একটা শ্বাস ছাড়লেন শাম্মী বেগম। হাল ছাড়লেন না। টিভি বন্ধ করে ভাসূরের সাথে ফোনে দীর্ঘ আলোচনা করলেন।
পরদিন ছেলে স্কুল থেকে মুখ কালো করে ফিরলো। খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিল। দিনের পুরোটা সময় দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। এবার স্বামী দেবতারও টনক নড়লো। তিনিও বড় ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করলেন। স্ত্রীকে জানালেন, কাল একজন নামজাদা মনোচিকিৎসকের কাছে ছেলেকে নিয়ে যাবেন। বড় ভাই এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দিয়েছেন।
পাঁচ/
মনোবিদ ডাঃ কোরাঈশীর চেম্বার। জুনিয়র ডাক্তার কেসহিস্ট্রির জন্য তথ্য নিচ্ছেন। আসমত সাহেব শাম্মী বেগমের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছেন।….এই ছোকড়া ডাক্তারের সাথে বুড়ির এত কি কথা! যত্তসব….। এর মাঝে একবার বাথরুমে ঘুরে এলেন। নোংরা বাথরুম নিয়ে এটেনডেন্টকে খিস্তি করতে ভুললেন না। এখানকার কাজ শেষ। বড় ডাক্তারের কাছে ডাক পড়ল। তার চেম্বারে জুতো খুলে ঢুকতে হবে।‘‘…তোদের পরিচ্ছন্নতার যা ছিরি, আমার মোজা নোংরা করি আর কি,’’ বলতে বলতে জুতো নিয়েই চলে আসলেন। আসল রোগী কে, এই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে তাদেরকে রুমে ঢোকালো আয়া।
ডাক্তার সাহেব কেসহিস্ট্রি পড়লেন। ছেলের সাথে যতটা নয় মা-বাবার সাথে কথা বললেন বেশী। একটি ব্যবস্থাপত্র লিখলেন, নিজের কাছেই রেখে দিলেন। ছেলেকে সরিয়ে বাবা-মা’কে কিছু করণীয় বলে দিয়ে রোগীর বাবাকে পরদিন একা আসতে বললেন। পরদিন বিকেলে যথারীতি আসমত সাহেব কোরাঈশীর চেম্বারে গেলেন। ডাক্তার সাহেব তাকে বোঝালেন, তার ছেলের মানসিক সমস্যাটি অনেকটা ‘‘সোশ্যাল ফোবিয়া”। তবে এতটুকু বাচ্চাকে চিকিৎসার নামে বারবার এখানে টেনে আনলে উল্টো মানসিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই পিতাকে গুরুদায়িত্ব নিতে হবে। আসমত সাহেব মনোচিকিৎসকের নিকট থেকে সাজেশন নেবেন। বাসায় যেয়ে স্বাভাবিক ব্যবহারের ছলে ছেলের মাথায় এগুলো ঢোকাবেন।
এমন উদ্ভট চিকিৎসা পদ্ধতি জীবনে শোনেননি আসমত সাহেব। পানির মত পরিষ্কার বুঝতে পারছেন, এই ডাক্তার নিজেই উন্মাদ। তবে সেয়ানা পাগল, ফিসের ব্যাপারে টনটনা, দিব্যি রোগীর পকেট কাটছে। কিন্তু কী বলবেন, উনি তো নামজাদা চিকিৎসক! তার উপর চিকিৎসার টাকা বড় ভাই দিচ্ছেন। অগত্যা কী আর করা! মনে বিশাল খেদ নিয়ে পরদিন ক্লিনিকে আসেন। রিসেপসনিস্টের হাসির জবাবে মনে মনে ভেংচি কাটেন….পাগলখানার অভ্যর্থনাকারী, ছেড়া চপ্পলের নতুন ফিতা….আবার ছাগলের মত হাসে!
‘‘মনটা একটা সাদা কাগজ। এলোমেলো ভাবনায় সেটা হয় মসীলিপ্ত আবর্জনা, গুছিয়ে ভাবলে হয় সুন্দর কবিতা।….’’ মনোবিদ বলে চলেন। আসমত সাহেব অনেক কষ্টে গিলেন, আর নিঃশব্দে আহত সিংহের মত গজরান, ‘‘….ব্যাটা, লাইনে চল। ঢের পদ্য কবিতা লিখেছি, তোকে জ্ঞান দিতে হবে না।’’ ডাক্তার চালিয়ে যান, ‘‘নিজেকে ধূলামুক্ত রাখতে জুতো পড়েন, রোদ-বৃষ্টি থেকে মুক্ত থাকতে ছাতা মেলেন- এটাই নিয়ম। নিজেকে নেতিবাচকতা থেকে দূরে রাখার জন্যে বন্দি করা। প্রকৃতির যত সুন্দর, সমাজের যত সহমর্মিতা-সৌকর্য তাতে ফিরে আসুন, নিজেকে মেলে ধরুন। বাঁচার জন্য যেমন আত্মমগ্নতা, আরো সুন্দর বাঁচার জন্যই তেমনি খোলস ভেঙে বের হওয়া…..।”
‘‘বাগে পেয়ে গেলানো হচ্ছে….’’ গজগজ করতে করতে কখন যে আচ্ছন্ন হয়ে ঘুম ঘুম ভাব এসে গিয়েছিল টের পাননি। আলতো শব্দে ঘুম ভাঙলে চারিদিকে তাকিয়ে কিঞ্চিত লজ্জা পেলেন। স্মার্ট ভঙ্গিতে উঠে পড়লেন, দেখলেন ডাক্তার অতি মৃদু স্বরে আরেক রোগীর সাথে কথা বলছেন। আয়া জানালো, আজ তার কাজ শেষ, পরের দিন আবার আসতে হবে। কতগুলো স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দিল।
পর পর পাঁচদিন গেলেন আসলেন। আরো শুনলেন, “……পাতাঝরা গাছের দিকে দেখুন, পুরণো ঝরিয়ে কেমন সবুজ সতেজ হয়ে ওঠে।” আসমত সাহেব জানালা দিয়ে দেখলেন, দু’দিন আগে দেখা পার্কের মৃয়মান গাছগুলো বসন্তের ছোঁয়ায় কেমন সবুজ হয়ে উঠেছে! ‘‘নিজেকে আগে চিনুন, বদলান, তারপর অপরকে দেখুন, তারপর নজর দিন সকলের উপর।”
ছয়/
অফিসে সহকর্মী বয়-বেয়ারা আসমত সাহেবের ব্যবহারের পরিবর্তন দেখে অবাক হতে থাকলো। আজকাল সাহেব প্রায়ই হেসে কথা বলেন। আঁতেলপনা কমেছে। বাড়ীতে ছেলের সাথে গুজুর গুজুর করেন। শাম্মী বেগম দেখেন বাবা-ছেলে খোশ মেজাজে। কান পেতে শুনলেন বাবা ছোটকালের দুষ্টুমির কথা ছেলেকে শোনাচ্ছেন। ছেলে খিলখিল করে হাসছে। বড় মেয়ে এবং তিনি পারিবারিক আড্ডায় যোগ দেন। এক ফাঁকে শাম্মী বেগম নিঃশব্দে উঠে গিয়ে ডাঃ কোরাঈশীকে ফোনে কি যেন বললেন।
ডাক্তারের চেম্বারে আসমত সাহেব ঢুকলেন। মোজা পরা খালি পা দেখে ডাক্তার আড়ালে মুচকি হাসলেন। আজ রোগী কম। দু’জন একসাথে চা খেলেন। টুকটাক কথাবার্তা হলো। একটা মোটা মুখবন্ধ খাম ধরিয়ে দিলেন আসমত সাহেবের হাতে। ‘‘সময় হলে এক সময় পড়ে দেখবেন”- মুদু হাস্যে হাত মিলিয়ে বিদায় দিলেন আসমত সাহেবকে। যোগ করলেন, ‘‘প্রয়োজন পড়লে ছেলেকে নিয়ে আসবেন আবার।’’
আর আসার প্রয়োজন হবে না জানেন আসমত সাহেব। খামটিও খুলে পড়ার প্রয়োজন বোধ করলেন না। তিনি অতটা বোকা নন। নতুন দৃষ্টিতে তিনি পৃথিবী দেখতে শিখেছেন।
০২ ফেব্রুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪