বড়ই ক্ষমতা তোমার ঘুণপোকা প্রথম তোমার কারুকাজ দেখে অবাক হয়েছিলাম যেদিন আমার প্রিয় লৌহকাঠের টেবিল মিহি করে দিলে । ছাত্র - শিক্ষকের কদমবুসির বাঁধন একদা শুনতাম আজ যখন দেখি জনৈক ছাত্র মহান শিক্ষকের হাত টান দিয়ে বলে "চলেন দেরি না করে তাড়াতাড়ি মিছিলে" বুঝি তোমার ক্ষমতার বহর বাড়িয়েছ বহুগুনে । হাজার বছরের গড়া সম্পর্কের বাঁধন আর বৃদ্ধ দাদুর হাতের কর গুনে পরিবারের সদস্য হিসাব করার দিন শেষ, এখন ঘরের চার বছরের বাবুটা এক মুহূর্তে বলে দেয় আমরা মাত্র তিনজন , বুঝি তোমার বড়ই ক্ষমতা সত্যি ঘুনপোকা । গ্রামের সবচেয়ে ভালো ছেলেটা মাথা নুইয়ে চলত সর্বদা ; অথচ স্কুল বিতর্কের মঞ্চে উঁচু হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে কলম দেখা যেত কারনে অকারনে সে হত অনেক পরিবারের ছোটদের আদর্শ , শুনলাম একদিন জীবনের ডাকে গেল শিক্ষার বড় পরিসরে এইতো সেইদিন দেখি তার মুখটা পত্রিকার পাতায় আজো দেখি হাত উঁচু, সেই হাতে কলমের বদলে পিস্তল আর মুখে ক্রুর হাসি । হুম স্বীকার করতেই হবে তোমার ক্ষমতা অসীমে ঠেকেছে, কারন বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য নাকি আজ বৃদ্ধাশ্রাম খোলা হচ্ছে অহরহ তাই তোমায় সালাম করতেই হবে "ঘুনপোকা" ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
ব্যতিক্রমও কখনো কখনো উদাহরণ হয়ে যায়, আফসোস একটুকুই ব্যতিক্রমী মাকসুদুল আলমরা কখনোই কবিতা হবেন না। কবির স্বাধীনতা... চাইলে তিনি একপাশটা দেখতে দেখাতে পারেন।
ভাইজান , সূর্য এর একপাশ দেখেন , চাঁদের এক পাশ দেখেন , আর প্রতিদিন সকাল বেলা ঘর হতে বের হতে গিয়ে আয়নার একপাশ দেখেন কিন্তু কথা বলছেন দু পাশ নিয়ে । বুঝলাম না । নাকি বুঝাতে চান নাই ।
সিপাহী রেজা
প্রয়োজনে পিস্তলও প্রয়োজন, একে শুধুই নেগেটিভ ভাবে নিলে ইতিহাসকে অপমান করা হয়ে যাবে, হয়ে যাচ্ছে! বিপ্লব কখনো কখনো জ্ঞানের পাশাপাশি মারনাস্ত্রকেও ডিজার্ভ করে... লেখার সময় এদিকটাও খেয়াল রাখার দরকার ছিল বৈকি! এক পাশ বাঁচিয়ে অন্যপাশকে ভরে দিলেই বরং ভালো হতো।
সিপাহী রেজা , প্রথমে ধন্যবাদ দিতে চাই , গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য । তবে যদি পিস্তলের সাথে চোখে মুখে প্রতিজ্ঞার ছাপ দেখা যেত তবে তাকে হয়ত বিপ্লবের উপমা দেয়া যেত । যেহেতু কবি বলেছেন , ক্রুর হাসি তাই বোধ হয় তা ' অবক্ষয়ের নমুনা ' । আর ইতিহাস কি করে অপমানিত হয় ? হতে পারে সমালোচিত , না হয় আলোচিত । আবার ও ধন্যবাদ কবিতার গতিপথ নিয়ে বলার জন্য ।
মারণাস্ত্রের যে খারাপ দিকটা আপনি তুলে ধরেছেন লেখায় তাও আবার একজন ট্যালেন্ট ছাত্রের মাধ্যমে সেটা একরোখা হয়ে গেছে। এই মারণাস্ত্র বেশির ভাগ সময়েই এমন ট্যালেন্ট ছাত্রের মাধ্যমে বিপ্লব এনেছে, অন্ধকারের দেয়াল ফুটো করে আলো এনেছে। সুতরাং একরোখা ভাবে বখে যাওয়ার চিত্রটা আপনার লেখায় আমাকে একটু অবাক করলো, এইযা। যাহোক লেখা চালিয়ে যান। ধন্যবাদ।
রোদের ছায়া
'ঘুণপোকা কবিতাটি মূলত আমাদের সমাজের নানা অবক্ষয় নিয়ে লেখা' ......এটা বলে দেবার দরকার ছিল না কিন্তু পূর্ণতা বিষয়টিকে ঠিক খুঁজে পেলাম না যেন।। আমার ভুলও হতে পারে এক্ষেত্রে । শুভকামনা থাকলো । আগামিতে আরও সুন্দর প্রাণবন্ত কবিতা পাবার প্রত্যাশা রইল।। ( ভোট বন্ধ কেন ?)
রোদের ছায়া , আসলে পূর্ণতা নিয়ে লিখা না , এই লিখাটা অপূর্ণতা নিয়ে । আমি নতুন লিখক গল্প ও কবিতায় , শুরু হতে দেখি ভোট বন্ধ । কেন বন্ধ তা আমি জানি না । কারণটা যদি আপনার জানা থাকে , আমাকে জানালে একটা প্রশ্নের উত্তর পাব । ও আরেকটা বিষয় , সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে লিখা এটা কেন বলে দিলাম , তার উত্তর পাঠকদের মন্তব্যগুলো দেখলেই বঝতে পারবেন আশা করি । শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ।
মিলন বনিক
বাস্তবতার আকড়ে লেখা সুন্দর কথামালা...অনন্য কবিতা..আজ যখন দেখি জনৈক ছাত্র মহান শিক্ষকের হাত টান দিয়ে বলে
"চলেন দেরি না করে তাড়াতাড়ি মিছিলে" - খুব সুন্দর...
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
বড়ই ক্ষমতা তোমার ঘুণপোকা
প্রথম তোমার কারুকাজ দেখে অবাক হয়েছিলাম
যেদিন আমার প্রিয় লৌহকাঠের টেবিল মিহি করে দিলে // অনেক ভাল একটি কবিতা ...........আর পাগলামীটাও ভাল খুব ভাল লাগলো ......অনেক ধন্যবাদ ............
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।