বাড়ির উত্তর পাশে ধানি জমি। দক্ষিণ পাশে পুকুর। তার পাড়ে দু’টি কদম গাছ। এখন বর্ষাকাল। ফুলে ফুলে শোভিত হয়ে আছে কদম গাছ দু’টি। গাছের উপর পাখি গান আর খেলা করছে। কাক, কোকিল, ময়না, চড়–ই, বাবুই, দোয়েল, লেজ নাচানি, ধান শালিকসহ আরো লাল, নীল, বেগুনি, খয়েরি রঙের নানান রমমের পাখি। মনোরম পাখিগুলো অবিরাম হেসে খেলে মুখরিত করে তুলছে অঁজপাড়া গাঁয়ের এই পুকুর পাড়কে। তার পাশে একটা বাঁশ বাগান। বাতাসের শো শো শব্দ বাঁশ পাতার মাঝে নতুন সুর তুলেছে। পুকুরের পানিতে খেলা করছে মাছ। স্বচ্ছ স্ফটিক জলরাশি। বাতাসের সাথে ঝিলিক দিচ্ছে ছোট ছোট ঢেউ; তার উপর পড়ছে ঝকঝকে সোনালি রোদ। দুপুর গড়াগড়ি খাচ্ছে আকাশে। দূরে গগনের বুকে সাঁতার কাটছে একটা চিল। আকাশের বুকে ছুটে চলছে তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ; আর মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে বেগুনি রঙের খন্ড খন্ড মেঘও। দলবেধে উড়ছে বক আর টিয়া পাখি। আকাশের এখন ফুরফুরে মেজাজ। না বৃষ্টি না দমকা হাওয়া। নীরব, নিথর, নিস্তব্ধ, চুপচাপ হয়ে সে ধ্যানমগ্ন হয়ে আছে।
পুকুরে চাল ধুতে এসেছে সায়মা। হালকা পাতলা গড়নের গ্রামের সহজ সরল নিরীহ একটি মেয়ে। ছিপছিপে কোমর। বাঁশির মত নাক। গোলাপের মত লাল ঠোঁট। বয়স আঠারো কি উনিশ হবে। বাবার নাম খালেক উদ্দিন। তিনি আর বেঁচে নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের গুলিতে মারা গেছে। তার এক সপ্তাহ পর লাশ পাওয়া গেছে হালদা নদীতে।মায়ের প্যারালাইস্ড হয়েছে আজ এক বছর। সে-ই সবার বড়। ছোট দুটি ভাই স্কুলে পড়ছে। তাদের নাম দোলন আর খোকন। দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধার একটা সার্টিফিকেট পর্যন্ত জোটেনি তাদের বাবা খালেক উদ্দিনের কপালে। স্বাধীনের পর তার সামনেই অনেক হোমরা চোমরা মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট পেয়েছে। পেয়েছে রাজাকার ও তাদের বাচ্চাকাচ্চারাও। তাদের ছেলেমেয়েরা সরকারী চাকরি পেয়েছে কোটার ভিত্তিতে। তাকে প্রতিদিন অনেক কাজ করতে হয়। অফিসে যাওয়া, ভাত রান্না করা, বাজারে গিয়ে সদাই করা, মাকে ওষুধ খাওয়ানো, হাস-মুরগিকে খাদ্য খাওয়ানো থেকে শুরু করে আরো অনেক অনেক কাজ। এসব করতে করতে সে হাঁপিয়ে উঠেছে। আর যেন সে পেরে উঠতে পারছেনা সময় আর অবস্থার সাথে। দু’একবার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে গিয়েও কোন কাজ হয়নি। সেখানেও চলে দেন দরবার, লবিং আর তদবির। ব্যর্থ হাতে ফিরে আসে সায়মা। আর মনে মনে ভাবে, ’ছি ছি ছি কী লজ্জা, কি অপমান, যে দেশে টাকার বিণিময়ে মুক্তিযুদ্ধের সনদ পাওয়া যায়। ধিক তোমাকে হে দেশ, ওয়াক থু... থু...। ত্রিশ লক্ষ মা-বোনের রক্ত আর ইজ্জত কি বৃথা যাবে!’ আমরা তো এরকম দেশ চাইনি। মুক্তিযোদ্ধারা কি এজন্য দেশ স্বাধীন করেছে!
পুকুর পাড়ে চুপচাপ বসে আছে সায়মা। সে অপলক নেত্রে আকাশের দিকে চেয়ে আছে। কী সুন্দর মোহনীয় নীল আকাশ! সে আকাশ দেখছে। পানিতে খেলা করা মাছ দেখছে। দেখছে পুকুর পাড়ের কদম গাছের থোকা থোকা ফুল আর গাছের ডালে গান গাওয়া পাখি। তার খুব ইচ্ছে করছে মেঘ হয়ে আকাশে ছুটতে। মাছ হয়ে পানিতে খেলা করতে। ফুল হয়ে ঝুলতে। পাখি হয়ে গাইতে। কিন্তু এর কোনটাই যে তার ভাগ্যে নেই। প্রকৃতির নিষ্ঠুর নিয়মের বন্ধনে সে আজ আবদ্ধ। সংসার নামক নির্মম সত্যের যাতাকলে সে আজ পিষ্ট। অক্টেপাসের কঠিন মুষ্ঠির দলনে তার যৌবন মাখা কচি শরীর ক্ষত বিক্ষত। সে সংসারের এই কঠিন গ্লানি থেকে সে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু কে দেবে তাকে মুক্তি? কে দেখাবে সঠিক পথ? তবুও সে খুঁজতে থাকে সঠিক পথের দিশা।
এভাবে একদিন আচানক অফিসের এক বসের সাথে তার পরিচয় ঘটে। নাম আরিফ। দেখতে লম্বা চওড়া। গায়ের রঙ গৌর বর্ণের। সুদর্শন যুবক বলা যায়। প্রথম দেখাতেই সায়মার চোখ ভরে যায়। পহেলা বৌশাখের দিন সায়মাকে একটি প্যাকেট দেয় আরিফ। প্যাকেট খুলে দেখে, সুন্দর নীল একটা শাড়ি। সায়মার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখা দেয়। সেই অন্তরঙ্গতা থেকে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে তিনবার বিছানায় গড়াগড়ি পর্যন্ত থেতে হয়েছে তাকে। তারপর আরিফই তাকে আর কাছে ডাকেনি। আসলে গরীব লোকের মেয়েরা হল বড় লোকদের কাছে কাদামাটির মত; যেভাবে খুশি তারা তাদেরকে ব্যবহার করে। সে কথা ভাবতেই সায়মার মুখ লজ্জায় কালো হয়ে যায়। পুকুরের পানিতে টপ টপ ঝরে পড়ছে চোখের পানি। ছোট ছোট ঢেউয়ের সাথে সে অশ্র“ মিশে যাচ্ছে পুকুরের পানিতে। হাঁসেরা দল বেধে তার সামনে গিয়ে পানিতে চরছে। একটা হলুদ পাখি কদম গাছ থেকে উড়ে ও পাড়ের জাম গাছটায় গিয়ে বসলো।
চাল ধুয়ে বাড়িতে ফিরছে সায়মা। পুকুর থেকে উঠতেই একজন পুরুষের চোখে চোখ পড়লো সায়মার। সায়মার চোখ লজ্জায় লাল হয়ে উঠে। সায়মার এর আগে কোনদিন দেখেনি। চেনার তো প্রশ্নই উঠে না। আগন্তুক পুরুষটি নতুন-ই বটে। কিন্তু ভদ্রলোকটি সায়মাকে চিনতে মোটেই বেগ পেতে হয়নি। তবুও না চেনার ভান করলো সে। জিজ্ঞাসা করলো-
এটা কি সায়মাদের বাড়ি?
সায়মা বললো, না তো...
আচ্ছা এটা কি খালেক সাহেবের বাড়ি?
এবার সায়মা মাথা নাড়িয়ে বললো- হ্যাঁ
আপনি খালেক সাহেবের কি হন?
আমি তার মেয়ে,
আপনার নাম?
জাকিয়া সুলতানা সায়মা। সবাই সায়মা বলেই ডাকে।
বাহ্ খুব সুন্দর নাম তো !
অবশ্যই আপনিও অনেক সুন্দর।
সুন্দর না সুন্দরী?
ও সরি সুন্দরী। অনিন্দ্য সুন্দরী। রূপের রাণী। চোখ ধাঁধানো রূপসী।
এবার খুশি হয়েছেন তো ?
অনেক হয়েছে, আর তেল দিতে হবে না। এবার আমার পিছন পিছন আসুন।
কোথায়?
জাহান্নামে।
যাবেন?
অবশ্যই যাবো। তবে একটা শর্ত আছে।
কী শর্ত?
তুমি যদি সাথে থাকো।
সায়মা বললো, না আমি জাহান্নামে যেতে চাই না। আমি পাঁচ ওয়াাক্ত নামাজ আর দোয়া কালাম পড়ি জাহান্নামে যাওয়ার জন্য? আশা করি খোদা আমাকে বেহেস্তই দিবেন।
সায়মা আগন্তুককে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলেন। অন্দরের ভেতর গিয়ে সায়মার মায়ের সাথে দেখা করলো এবং পা ছুঁয়ে কদমবুচি করলো। সালামার মা মাজেদা খাতুন সহজেই ভাগিনাকে চিনে ফেললো। আতিক ছোটবেলার অনেক সময় নানার বাড়িতে কাটিয়েছে। বাড়ির পাশের হালদা নদীতে ঝাপ দিয়ে গোসল করতো। বাগানে বাগানে ঘুরে ফিরে পাখির ছানা, ফুল, গাছের সাথে সে বেশি সময় কাটাতো। প্রকৃতির এমন মোহনীয় দৃশ্য দেখে আতিক মোহিত হয়ে নাওয়া -খাওয়া ভুলে যেত। মাজেদা খাতুনের মনে পড়ে কতদিন যে, তার স্বামী ভাগিনাকে দুপুরে ভাত খেতে ডাকাডাকি করে না পেয়ে চা বাগানের ভেতর থেকে ধরে এনে তারপর ভাতের পাতে বসিয়েছে। খালেক তার ভাগিনাদেরকে অসম্ভব রকম øেহ করতো। সে জীবিত থাকতে স্ত্রীকে বলে গিয়েছে, আমার ভাগিনা-ভাগিনীরা হল আমার নিজ ছেলেমেয়ের মত। আমার মৃত্যুর পর আমার ভাগিনা ভাগীনিদের আদর আপ্যায়নে যেন কমনি না হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর মাজেদা খাতুন সে কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলছে আজ পর্যন্ত।
আতিক মামীকে দেখতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো, আহ্ ! মামী অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার আগের সে সুন্দর চেহারা আর উদ্দামতা আর নেই। তরে একটা বিষয় আতিকের মনে ভীষণভাবে দাগ কেটেছে, তা হলো; মামীর আন্তরিকতায় আর ভালবাসার মিষ্টিকথাগুলো এখনো ঠিক আগের মতই আছে; একটুও পরিবর্তন হয়নি। আতিক হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নিল। সায়মা ফুফাতো ভাইকে ভাত বেড়ে দিল। আতিক ভাত খেতে লাগলো আর সায়মাকে দেখতে লাগলো। আর বললো জানো, প্রথমে আমিতো তোমোকে দেখে তাজ্জব হয়ে গেলাম। তুমি কতো বড়ো হয়ে গেছ! বুঝলে আর একমাস পর বিয়ে করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পাত্রী দেখাও সেরে ফেলেছি। বিয়ের পরা কতো মজা হবে। ভাত রান্না হলে বউ ভাত খেতে ডাকবে। তোমার মতো ভাত বেড়ে দিবে। আর হাত পাখা দিয়ে বাতাস করবে। উফ্ ইচ্ছে করছে এখনি বিয়ে করে ফেলি। সায়মা লজ্জায় শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললো। ভাত খাওয়া শেষে সায়মা আতিককে শোয়ার ঘর দেখিয়ে দিয়ে নিজে মায়ের সাথে শুতে চলে গেল। আতিক পুরো একটা খাটে হাত পা ছাড়িয়ে শুয়ে আছে। কিছুতেই তার ঘুম আসছেনা। সে শুধু এপাশ ওপাশ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর উফ্ মশা মশা বলে চিৎকার জুড়ে দিল। এবং মামীকে ডাকতে লাগলো। মামী মশারি দিয়ে সায়মাকে আতিকের ঘরে পাঠালো। সায়মা তার সুন্দর দু’টি হাত দিয়ে আতিকের খাটে মশারি টাঙিয়ে দিল। মশারি দেয়া শেষ হলে সায়মা আতিককে বললো এই যে ভদ্র মহাশয় এবার চুপ করে শুয়ে পড়–ন। আর ডাকাডাকি করবেন না। আমি গেলাম। আতিক বললো, একটা কথা শুনুন না হয় আবার ডাকবো। সায়মা বললো কি কথা? আতিক সায়মার এক হাত ধরে বিছানার পাশে বসালো। সায়মা চিৎকার করতে গিয়েও কি কারণে আবার চুপ হয়ে গেল।
আতিক বললো, সায়মা তুমি আমাকে বিয়ে করবে?
সায়মা কোন কথা বলছে না। শুধু নিচের দিকে চেয়ে থাকলো। কিছুকক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে মায়ের ঘরে চলে গেল। পরদিন আতিক নাস্তা শেষ করে তার ব্রিফকেস থেকে মামীর জন্য একটা খয়েরি রঙের শাড়ি আর সায়মার জন্য নীল একটা শাড়ি বের করল। মামী শাড়ি পেয়ে আনেক খুশি হল কিন্তু সায়মা খুশি হতে পারল না। কারণ এই নীল শাড়ির প্রলোভনই তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সতীত্ব হরণ করেছিল। নীল শাড়ির দিকে তাকিয়ে সায়মা মূর্তির মত চেয়ে থাকে আর ভাবে এই শাড়ি বুঝি আবার তার জীবনে ফিরে এসেছে। তবে ভয়ে, শঙ্কায়, উৎকন্ঠায় তার হাত কাঁপতে থাকে। না জানি এই শাড়িটি আবার কোন অপয়া হয়ে এসেছে তার জীবনে। সে শুধু শাড়ির দিকে চেয়ে থাকে। একবার হাত বাড়ায় আবার গুটিয়ে নেয়।
সায়মার মন ভালো নেই। আজ বেশ কিছুদিন হল চাকরিতে যাওয়ার সময় এলাকার একটি ছেলে তাকে প্রেম নিবেদন করছে। ছেলেটির নাম বিটলু। সে ছেলেটি মোটেই ভালো নয়। না যে রকম কাজে কর্মেও সে রকম। মদ, গাঁজা, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসীতে সে ভূত হয়ে আছে তার জীবন। সরকারি দলের ছত্রছায়ায় এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চলে। গতকাল সে ছেলেটিই তাকে একটা উপহারের প্যাকেট ধরিয়ে দিল। বাড়িতে এনে খুলে দেখে একটা নীল শাড়ি। আবার একটা ভয় আর উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে সায়মার চেহারা আর শরীরে।
এক সপ্তাহ পর আতিক আবার মামার বাড়ি গেল। রাতে ভাত খাওয়ার পর সায়মা আতিককে ডকলো। একটা কথা বলবে বলে। তখন রাত এগারটা। গ্রামের সবাই ইতোমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। সায়মা আতিককে অতীতের সব ঘটনা খুলে বললো। আরিফ আর বিটলুর কথাও বললো। ঘরের উত্তর পাশে একটা ধানি জমিতে গিয়ে তারা দু’জন দাঁড়ালো। সায়মার পরনে আতিকের দেয়া নীল শাড়ি। কিছুদিন হল আবাবস্যা কেটে গেছে। এখন পূর্ণিমা চলছে। চাঁদের আলো আকাশ থেকে গলে গলে পড়ছে পৃথিবীর বুকে। জোনাক পোকাও আলো জালিয়ে চলছে চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে। চারদিকে সুনসান নিরব রাত। আকাশে সাদা মেঘ ছুটে চলছে। তারারা আলো ছুড়ে দিচ্ছে পৃথিবীতে। চাঁদের আলো খেলা করছে সায়মার নীল শাড়ির আঁচলে। একটা আলের উপর আতিক আর সায়মা পাশাপাশি বসলো। দু’জন অনেকক্ষণ হিম হয়ে বসে রইল। সায়মা প্রথমে মুখ খুললো, আকাশে কী সুন্দর চাঁদ আর তারা দেখছো?
না দেখছি না।
কি দেখছো?
আমি দেখছি পৃথিবীর চাঁদকে!
কোথায়?
আমার পাশেই সে বসে আছে।
সায়মা আতিকের হাত ধরে বললো, তুমি কি সত্যিই আমাকে বিয়ে করবে?
হ্যাঁ সত্যিই করবো।
তোমাকে যেদিন প্রথম পুকুর ঘাট থেকে আসতে দেখলাম; সেদিন থেকেই তুমি আমার হৃদয়ের রাণী সেজে মনের মাঝে আসন পেতে আছো। আমার মনে-মননে হৃদয়ের চারপাশে, অস্থি-মজ্জায় কেবলই তুমি শুধুই তুমি আর তুমি। সায়মার চোখ বেয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়ছে সবুজ ঘাসের উপর। আতিক বললো, সত্যিকারের প্রেমকে কোন কিছুই কলঙ্কিত করতে পারে না। সায়মার হৃদয়ের বাঁধ আর মানছেনা। সে লুটিয়ে পড়লো আতিকের লোমশ বুকে। আতিক পরশ মমতায় সায়মাকে জড়িয়ে ধরলো। বুকের উপর লেপটে থাকলো শিশুর মতো। দূরে একটা শিয়ালের ডাক শুনে সায়মা চেতন ফিরে পেলো। সায়মা মনে হয় এতদিন এরকম একটি জায়গার নির্ভরশীল, নিরাপদ জায়গা খুঁজে ফিরছিলো। আজ তার সন্ধান পেয়েছে। তখন নীল শাড়ি, নীলাকাশ, চাঁদের আলো, জোনাক পোকার আলোর পিদিম, নিস্তব্ধ রাত জিরিজিরি বাতামেসর সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে প্রকৃতির সাথে।
০৫ জুন - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪