যৌবনের ঊষায় কি হয়েছিলে প্রত্যাখ্যাত কোন ষোড়শীর গভীর কালো চোখের তাড়ায় ডুবেছিল হিয়া? কোন রঙ্গিন স্বপ্ন তোমায় হয়ত রেখেছিল করে আপ্লুত। স্বামী হারা মা’র নারী ছেড়া ধন এভাবে অভিমানে চলে যেতে হয়? অজেয় শক্তি মনের কেন হাল ছেড়ে দেয়? বন্ধু পারিনি ফেরাতে তোমায়। সে ব্যর্থতা আজ কেবলই পোড়ায়।
জীবনের প্রান্তে হেনেছিলে কি অভিযোগ? সদা হাস্যজ্জ্বল মুখে জানি মানায় না অভিশাপ বড়জোর হয়েছিলে ক্ষুব্ধ; সে মহত্ব মোদেরে করেছে কেবলই ক্ষুদ্র।
কেন তবে এমন অভিশপ্ত মৃত্যু? বন্ধু ঘুমাও সুখে, আমরা থাকি পরে এই পিশাচের অন্তঃপুরে। যাদের তরে এভাবে চলে যেতে হয়; তাদেরে তুষ্টিতে যারা নিত্য খুনি হয় তুমি যেন করোনা ক্ষমা তাদেরে। অভিশাপে তোমার নির্বংশ হোক ভণ্ড প্রতারকের দল আরও ভয়ংকর মৃত্যু যেন নির্ধারিত রয়।
দুহাত পেতে যারা নিত্য ভিক্ষা মাগে, হীন স্বার্থ সাজে হন্তারক হায় বিধাতা কত তৃষ্ণায় করেছ কাতর তাদেরে! এত অশ্রু, এত আর্তনাদ, এত ধ্বংস এত নিনাদ তবু কি হয় ক্ষান্ত! স্বর্নপুরি শ্মশান করিতে রক্তের হলী খেলে। কতজন পোড়ে, কত কাতরায় ছিন্ন ভিন্ন দেহ লয়ে। অনাহুত ঝরে অগুনতি প্রাণ, জীবন্ত অঙ্গার প্রাণাধিক সন্তান অসহায় বাবার সম্মুখে। রেহাই পায়না যখন গর্ভজাত শিশু। তখনো কাপে না কি আরশ তোমার! তখনো তুমি পাষাণ? কি করে নিশ্চুপ থাক?
অবোধ শিশু ভয়ে চিৎকার করে প্রিয় বাবার বীভৎস মুখাবয়বে প্রিয়ার চোখে নেই অশ্রু; প্রার্থনা, অন্তত বেঁচে থাক প্রিয়তমে। কাঁদতে ভুলেছে মা, বকে প্রলাপ সন্তানের শবদেহ বুকে চেপে। এ কোন অভিশাপ, হে মহান তোমার? এবারে রেহাই দাও অভাজনে। দু’এক মৃত্যুই যদি পারে সহস্র মৃত্যুর দায় শুধিতে, তবে তাই হোক। ইসরাফিলেরে চাই না খোদা, হোক অবসান আজরাইলে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুমন
স্রষ্টার সৃষ্টিই যখন নিজেকে ধ্বংসে উদ্বেলিত হয় তখন স্রষ্টার চেয়ে দেখা ছাড়া গতি কী? যাদের বোধোদয় হওয়ার কথা তারা হয়েছে বোবা-কালা-বধির... ভাল লাগল কবিতা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।