এইসব পথশিশু, পতিত কিবা জারজ নষ্ট নয়তো ভ্রষ্ট, যে নামেই ডাকো না কেন রোজ ভোরে কলি হয়ে ফুটে, হায়! দিনান্তে পড়ে ঝরে — অস্তরাগের বেলায়, বড় বেশি অভিমানে…
নয়তো - এক দস্যুর হাতে এক নিষ্পাপ ফুলের সকরুণ মৃত্যুর ফেনিল ঢেউ তুমি, এক প্রলয় ঝড়ে সপ্তরঙা মেঘের বাগান, বৃষ্টির কান্না হয়ে - এই বেলা প’রে ঝরে রক্ত-ক্লেদ’মাখা পৃথিবীর বিষণ্ণ প্রান্তরে ।
কিংবা পথিক যুবার ক্ষণিকের ভুল করা পদধূলি তুমি যার ধূলির কণা - পথ থেকে পথে মিলিয়ে গিয়ে মহাশূন্যে… রয়েছে প’রে কোন’কালে — অথচ এই মর্ত্যের ক্রোড়ে ঠায় পড়ে আছে এই নষ্ট ফুলের রেণু পথিকের পদচিহ্নের মত, হারানো পথের বাঁকে বাঁকে ।
জগতের সব আলো মেখে নিয়ে সূর্যমুখীর মত হাসবে বলে, জনকের তরে সম্ভাষণের মানবীয় অধিকার চাইবে ভেবে এইসব পতিত ছেলের দল — রোজ ভোরে চেয়ে দেখে এক নষ্ট পৃথিবীর অবাক সূর্যোদয়… তারপর, দিনান্তে ঘুমিয়ে পড়ে, আঁধারের বুকে — ফের অভিমানে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
হেলাল মুহাম্মদ
রোজ ভোরে চেয়ে দেখে
এক নষ্ট পৃথিবীর অবাক সূর্যোদয়…
তারপর,
দিনান্তে ঘুমিয়ে পড়ে, আঁধারের বুকে —
ফের অভিমানে ।"--- সুন্দর কবিতা। ভাল লেগেছে।
তানি হক
রোজ ভোরে চেয়ে দেখে
এক নষ্ট পৃথিবীর অবাক সূর্যোদয়…
তারপর,
দিনান্তে ঘুমিয়ে পড়ে, আঁধারের বুকে —
ফের অভিমানে ।....অসাধারণ লাগলো ..প্রিয়র তালিকায় তুলে নিলাম ...কবিকে সুভেচ্ছা ধন্যবাদ ..
আহমেদ সাবের
বৃত্তের বাইরের একটা অসাধারণ চিন্তা। "পথিকের পদচিহ্নের মত, হারানো পথের বাঁকে বাঁকে ।" - এই সব পতিতদের "সূর্যমুখীর মত" হাসবার আর বাবা ডাকার অধিকার থাকবেনা কেন? অসাধারণ কবিতা। "জনকের তরে সম্ভাষণের" চেয়ে "জনকের প্রতি সম্ভাষণের" কি বেশী মানানসই? কবি ভাল বলতে পারবেন?
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।