এই যে ঠায় দাঁড়িয়ে আছিস, সেই কমরেডদের হাত ধরে নতুন বন্ধু পাবার লোভ হয় বুঝি! এবার অঘ্রাণেই হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে তবু রাজনীতির মাঠ কিন্তু খুব গরম শীত কাতর যুবক; হয়তো একটু ওম নিতে বেরিয়েছিল। হ্যাঁ বিশ্বজিত বেরিয়েছিল, হেঁটেছিল রাজপথে একটু উষ্ণতা ছুঁয়ে দেখতে কাকে কি বলি! তুইতো সেদিকেই চেয়েছিলি, গাছগুলো কি তোর দৃষ্টি আটকেছিল, অথবা পাথুরে দালানগুলো? দৃষ্টিপথের বাধা ডিঙ্গিয়ে খুঁজছিলি কি আমায়? বিরানব্বইয়ের মার্চে তোর পিছনেইতো ছিলাম বুলেটের লেনদেন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব... তুই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলি, আমি পিছনেই ছিলাম।
জানিস রাজু আমি সেদিনও ছিলাম, হ্যাঁ সামনেই দাঁড়িয়েছিলাম ছিলাম তাকিয়ে থাকা মানুষের ভিড়ে, সচল চিত্রধারক যন্ত্রের পেছনে পলকহীন চোখে দেখেছি, শরীরের কোথায় কোপালে কতটুকু রক্ত ঝরে, কতটুকু অনুনয়ে কতটা জেদ চাপে... খুব ঈর্ষা হচ্ছে তোর? বুলেটের মাঝে মানব দেয়াল তুলে ভেবেছিলি ওরা দু’পায়ে হাটে বলে থেমে যাবে? আরে বোকা ওদের মস্তিষ্ক থাকে পকেটে, পকেট থেকে চোখ দেখা যায় নারে আমি বেঁচে বর্তে থাকব, ভালই থাকব তোর যত ঈর্ষাই হোক পাথর চোখে দেখার জন্য দাঁড়াচ্ছিনা তোর সাথে তোর মত বোকামি কজন করে?
(মঈন হোসেন রাজু, শহীদ বলা যায় কিনা বুঝি না। ১৯৯২সালের ছাত্রদল আর ছাত্রলীগের বন্দুক যুদ্ধ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে বেরিয়েছিল, মানবতায় সন্ত্রাস রুখবে বলে। কিন্তু সন্ত্রাস ওকেই র“খে দিয়েছে। আজ টি.এস.সি-র সামনেই দাঁড়িয়ে আছে পাথরের দেহ, চোখ নিয়ে যাকে আমরা রাজু ভাস্কর্য বলে জানি)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।