শীতের শিশিরে লেখা উপমা

শীত (জানুয়ারী ২০২০)

মাইনুল ইসলাম আলিফ
  • ১৯
  • ৫২৯
শীত এলে ক্ষেতে ক্ষেতে ফলে
ফুলকপি ওলকপি গাজর টমেটো শিম ।
ঢেঁকি পালং মুলা আর লাল শাকে,
ভেজা শীতে জমে ওঠে স্বাদের হিম।

মহান রবের অপার কৃপায়
চাষীদের মুখে ফুটে হাসির রেখা ।
সময়ের শস্যদানায় চেয়ে দেখি
বিচিত্র সৃষ্টির উপমা লেখা।

শীতের পরশে শিশির ভেজা জল ,
নিপুন সজীবতায় সবুজের বুকে
ভীড় করে মন খারাপের দল।

পাপড়ি মেলে ফুল , ভেদ করে
ঘন কুয়াশার শুভ্র আবরণ ।
গাঁদা কৃষ্ণকলি সূর্যমুখী জিনিয়ার
মিষ্টি সৌরভে ভরে উঠে সারাটা উঠোন।

ফুলের সুবাসে আর দূর্বা শিশিরে
জাগে হিমেলাভ শিহরণ ।
আগাম বসন্তের ছোঁয়ায় পল্লবিত হয় ,
নৈসর্গ পিয়াসীর মন বাতায়ন।

জলপিপি হরিয়াল সারস আর বালিহাঁস ,
উত্তর মেরু আর সাইবেরিয়ার ঝাঁক ঝাঁক পাখি ,
হাওড় বাওড় বিল আর জলাশয়ে ,
অমিয় আনন্দে করে বাস।

অনিন্দ্য সুন্দর পরিযায়ী পাখি শীতের আবেশে ,
নিরাপদ আশ্রয়ের প্রত্যাশা নিয়ে
হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসে এদেশে।

অতিথি পাখিদের আনন্দ মাটি করে দেয়
বিবেকহীন শিকারীর নির্মম আঘাত ।
প্রত্যাশার চোখে তাক করে বন্দুকের নল ,
এতটুকু তাদের কাঁপে না হাত।

শীতকালে রাত বড়,অনেক ছোট দিন ।
রোজা রেখে দিনময় , নামাজ শেষ রাতে ,
পূণ্য দিয়ে দিতে হবে শোধ চোখের ঋণ।

থরথর করে কাতরায় কেউ কেউ
হাড়কাঁপানো এই শীতে।
এগিয়ে যাও পারো যদি
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যেতে।

শুকরিয়া মেহেরবান -
শীতের শস্য দানায় খাদ্য করো দান।
ফুলের সৌন্দর্যে আঁক সৌরভের বাগান ।
পরিযায়ী কলরবে ভরিয়ে দিয়েছো আবহমান ।
পোক্ত ঈমানের নির্মাণে দিয়েছো সোপান ।
দান করে নসীবে জান্নাতের সুযোগ করেছো মহান।

তাওফিক দিও-
শিকারীর নির্মমতার রুখে দেই হাত ।
গরম কাপড়ে বিলিয়ে দেই নাজাতের রাত ।
নত সেজদায় পাপ মোচনে করি মোনাজাত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস জামান হুসাইন শীতের পরশে শিশির ভেজা জল , নিপুন সজীবতায় সবুজের বুকে ভীড় করে মন খারাপের দল। ভালো লাগল । ভোটের অপশন পেলাম না ।
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০২০
nani das মাত্রা তাত্রা বুঝে কখনই লেখি নি, বুঝতেও চাই নি, যা তুলে ধরতে চেয়েছেন সেটা বুঝেছি। দারুন লেখা। আসবেন আমার কবিতাতেও ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
ধন্যবাদ প্রিয় ।নিশ্চয় আসবো আপনার পাতায় ইনশাআল্লাহ।
ফয়জুল মহী দারুণ ছন্দ বর্ণ । মনোমুগ্ধকারী ভাবনায় অনন্যসাধারণ লিখনী । শুভেচ্ছা সতত ।
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
জাজাকাল্লাহু খাইরান।আপনার জন্যও অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি।
মোঃ মোখলেছুর রহমান অনেক ভালবাসা কবি!
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০২০
জাজাকাল্লাহু খাইরান।আপনার জন্যও অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি।
Omor Faruk আপনার ধর্ম বিশ্বাস আমার খুব ভাল লেগেছে ,যা আজ কাল খুব কম মানুষের দেখা যায়
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০২০
জাজাকাল্লাহু খাইরান।আপনার জন্যও অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি।
Omor Faruk আমি কখন আপনার কবিতা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছি ,
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০২০
জাজাকাল্লাহু খাইরান।আপনার জন্যও অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি।
ওমর ফারুক chomotkar kobita mainul bhai.vote dilam.
ভালো লাগেনি ১৪ জানুয়ারী, ২০২০
জাজাকাল্লাহু খাইরান।আপনার জন্যও অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি।
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধার। ভোট রইল প্রিয়।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
জাজাকাল্লাহু খাইরান।আপনার জন্যও অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি।
গোলাপ মিয়া অসাধারণ হয়েছে। ভোট রইল।আমার গল্প কবিতায় আপনাকে আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০২০
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।নিশ্চয় আসবো আপনার পাতায় ইনশাআল্লাহ।
আশরাফুল আলম চমৎকার।অনেক ভালো লেগেছে।ভোট ও দোয়া রইলো।আমার পাতায় দাওয়াত রইলো হে প্রিয় বন্ধু।
ভালো লাগেনি ১১ জানুয়ারী, ২০২০
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।নিশ্চয় আসবো আপনার পাতায় ইনশাআল্লাহ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

শীত মৌসুমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনুপম মহানুভবতায় আর অপার কৃপায় নানা রকম শস্য, সবুজ শাক সবজির ফলনে চাষীদের মুখে ফুটে ওঠে হাসির রেখা। আল্লাহর সৌন্দর্যের আরেক প্রতিলিপি ফুল।ফুলের সৌরভে চারিদিক সুবাসিত হয়ে ওঠে আর আনমনে শুকরিয়া জাগে আল্লাহর প্রতি। শীত মানেই হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসা অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত জলাশয়। সাইবেরিয়া আর উত্তর মেরু থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আসা এ পরিযায়ী পাখিরা বাসা বাধে হাওর বাওর বিল ঝিল আর উন্মুক্ত জলাশয়ে।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো অনিন্দ্য সুন্দর এই অতিথি পাখিদের আমরা নিরাপদ আশ্রয় দিতে পারিনা।এক শ্রেণীর লোভী মানুষের জন্য এরা একটা ভীতিকর অবস্থায় পতিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কারণ এদের বন্দুকের নল থেকে এরা নিরাপদ থাকতে পারেনা। অনেক নজরদারি এড়িয়ে এরা এদের হত্যা করে ব্যবসা করছে।অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে অকারণে পাখি হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।রাসুল (সাঃ) বলেছেন “ যে কেউ যথাযথ কারণ ছাড়া কোন পাখি হত্যা করবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার হিসাব নেবেন।“ (নাসাঈ শরীফ ৪৪৪৫) হযরত আমের ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “ শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা” (তিরমিজী ৭৯৫) শীতকালে দিন ছোট তাই রোজা রাখা সহজ কারণ শীতের রোজায় রোজাদার গরমের তৃষ্ণা অনুভব করেন না আবার রাত বড় তাই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে আল্লাহ পাকের নৈকট্য আদায় করা সহজ হয়। এই শীতে আরকটি নেক আমল করতে পারি তা হলো , এই হাড় কাঁপানো শীতে যাদের একটি গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই তাদেরকে ইচ্ছা করলেই কিছু গরম কাপড় অথবা কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারি।এতে দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক খুশি হবেন। তাই নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “যে মানুষের প্রতি দয়া করে না আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।“ শেষ প্যারার আগের প্যারায় শীতে আল্লাহ পাকের দেয়া নেয়ামতগুলো উল্লেখ করে এবং শেষ প্যারায় আল্লাহর কাছে শীকারীদের লোভ থেকে অতিথি পাখিদের বাঁচানোর, গরম কাপড় আর অর্থ বিলিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং শীতের ছোট দিনে রোজা রাখা ও বড় রাত্রিতে জেগে মহান আল্লাহর কৃপা হাসিল করার তাওফিক চেয়েছি।আশা করি পাঠকগণ কবিতায় বিষয় সামঞ্জস্যতা খুঁজে পাবেন।

২৪ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "সংসার”
কবিতার বিষয় "সংসার”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৫