কত নদী কেঁদেছো ?

মা (মে ২০১৯)

মাইনুল ইসলাম আলিফ
  • ১৩
  • ৫৯
কবির কবিতায় হয়না লেখা শেষ
কি তোমার স্নেহের আবেশ।
স্পর্শের সুভাস মেখে দুহাতে তোমার
দাওনি পেতে যন্ত্রনার লেশ।

শিল্পীর তুলিতে হয়না আঁকা
তোমার মমতার পুরোটা ছবি
নিজের জন্যে রাখোনি কিছু
উজার করে দিয়েছো সবই।

কত রাত জেগেছো তার
কে রেখেছে খবর ?
কে জানে কত ভোর জলাঞ্জলি দিয়ে
কতটা তুমি করেছো সবর ?

কতটা কষ্টের নীলে তুমি
এঁকেছো দূর নীলিমা ?
কে জানে কত পথ দিয়েছো পাড়ি
ছড়িয়ে ত্যাগের মহিমা।

কত জ্বালা সয়ে গেছো
নিরবে নিভৃতে অভিমানে
নখের আঁচড়ে আঁচড়ে কতটা ক্ষত
কে তার কতটা জানে ?

অশ্রু আড়াল করে তুমি
কত নদী কেঁদেছো ?
কে জানে কত প্যারা দুঃখ তুমি
নিজের মলাটেই বেঁধেছো ?

দশটি মাস ধরে পেটে মা তুমি
আমায় করেছো ধারণ
তিল তিল করে বড় করেছো
দুঃখ দিয়েছি তবু অকারণ।

রাখিনি খোজ তোমার, ডাকিনি
কাছে তোমায় কোনদিন।
অবহেলায় বারবার আড়াল করেছি
অগনিত তারার মতো তোমার যত ঋণ।

তোমার কাছেই প্রভূ চাই তাওফিক
ঈমানে আমায় করো চির সজীব।
মায়ের সেবায় শক্তি দিয়ে,
জান্নাত আমায় করো নসীব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Jamal Uddin Ahmed খুব সুন্দর কবিতা, ভাই। অনেক শুভ কামনা।
এস জামান হুসাইন আমি মুগ্ধ, মুগ্ধতায় ভরা আপনার ছড়া। ভোট দিলাম। রইল দোয়া ও ভালবাসা।
সালাহ উদ্দিন শুভ কবিতার নামটাই হৃদয়ে গেথে যাওয়ার মত। অসাধারণ সৃষ্টি, শুভ কামনা।
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
সাব্বির হোছাইন কল্লোল হে আল্লাহ্ “মায়ের সেবায় শক্তি দিয়ে, জান্নাত আমায় করো নসীব।” - আমিন ।।।।।
আমিন।আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
মোঃ মোখলেছুর রহমান মাইনুল ভাই অনেক ব্যস্ত ছিলাম," উজার করে দিয়েছো সবই" সত্যিই তাই।শুভ কামনা রইল।
ব্যস্ততার ভীড়েও সময় করে আমার পাতায় এসেছেন সেজন্য অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।আশা করি ভাল আছেন মোখলেছ ভাই।আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
Ahad Adnan খুব ভালো লাগলো পড়ে। শুভকামনা।
রঙ পেন্সিল অসাধারণ কবিতা। খুব ভালো লাগলো
Jamal Uddin Ahmed আলিফ ভাই, আশা করি ভাল আছেন। অনেক আবেগপূর্ণ লেখা লিখেছেন। শুভ কামনা।
আলাহামদুলিল্লাহ।জাযাকাল্লাহু খাইরান।
ম নি র মো হা ম্ম দ অনবদ্য কবিতা ,ভোট রেখে গেলাম

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মা, এমন একটি শব্দ।শব্দটি মুখে উচ্চারণ হতে দেরি হয় ভেতরে অশ্রু প্রবাহে দেরি হয় না।ভেতরের এই অশ্রু যেমন দেখা যায় না তেমনি চোখের কোণে জমতে থাকা অশ্রু ফোঁটা লোক চক্ষুর আড়ালেই থাকে বটে কিন্তু নিজের থেকে লুকানো যায় না।মায়ের কষ্টের বিবরণ দিতে থাকলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হবে কিন্তু মায়ের দুঃখগাথা শেষ হবার নয়।যে মা এত কষ্ট নিরবে নিভৃতে সয়ে যায় তাকেই কিনা আমরা খেয়াল করি না।অযত্নে অবহেলায় ফেলে রাখি।আদর ভালবাসা দেবার সময় মেলে না।হায় কি হতভাগা আমরা।এক সাহাবী নবীজী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে জানতে চাইলেন কার খেদমত আগে করবো? উত্তরে নবীজী বললেন তোমার মায়ের।সাহাবী আবার একই প্রশ্ন করলেন ।উত্তরে নবীজী বললেন মায়ের ।সাহাবী তৃতীয় বার একই প্রশ্ন করলেন ।উত্তরে নবীজী বললেন মায়ের।সর্বশেষ একই প্রশ্ন করলে নবীজী (সাঃ) বললেন তোমার বাবার খেদমত করবে। সুতরাং মাকে কষ্ট না দিয়ে বরং তার সেবা করে আল্লাহর কাছে জান্নাত হাসিল করার তাওফিক কামনা করা উচিত।আল্লাহ সবাই কে সেই তাওফিক দান করুন ।আমিন।

২৪ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪