বাবাকে কখনও ভয় পেয়েছি বলে মনেই পড়েনা। অথচ বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কারো মুখে কোন কথা সরেনা! আমার বাবা নাকি জ্যান্ত বাঘ, তাঁকে দেখলেই সকলে, আড়ালে গিয়ে বলে, বাঘ আসছে, ওরে ভাগরে ভাগ!
আমার বাবার দোষ অবশ্য আছে, শাসন দণ্ড হাতে নিয়েই রাখেন যেনো ভুলেও কেউ ভুল না করে পাছে! সকাল-বিকেল একই কথা বলেন কিভাবে ঈশ্বরচন্দ্র ‘বিদ্যাসাগর’ হলেন! ছটফটে চঞ্চল কিশোরের দল হাতে নিয়ে ব্যাট আর বল, চোখে মুখে একটাই স্বপ্ন হতে হবে শচীন টেন্ডুলকার এমন ভাবনাতেই সদা মগ্ন।
ছুটে পালানো কিশোরের দিকে চেয়ে পা টিপে টিপে বাবার পাশটিতে গিয়ে, কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলি, কি প্রয়োজন ‘বিদ্যাসাগর’ হয়ে পেট কি আর ভরে শুধু বিদ্যা দিয়ে! তোমার চারপাশে দেখো চোখ মেলে তাকিয়ে মূর্খেরা কেমন ছুটে চলেছে মার্সিডিজ বেঞ্জ হাঁকিয়ে! সেদিন আর নেই গো বাবা, কেউ পড়েনা হেসে ‘লেখা পড়া করে যে গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে’।
ঘোলাটে চোখে বাবা তাকিয়ে থাকেন আমার মুখপানে, বাবার লক্ষ্মী মেয়ে আমি ঠিক বুঝি ঐ ঘোলাটে চোখের মানে। বাবার কুঁজোপিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে নীরবেই বলে চলি, ছিলাম অজপাঁড়া গাঁয়ের নামগোত্রহীন ফুলকলি। জানতে পারিনি জন্মদাতা কে, কেইবা জন্মদাত্রী তুমিই আমার সকাল-সন্ধ্যা, তুমিই দিবা-রাত্রি। তিনদিনের সেই অসহায় শিশুটিকে ধূলায় লুটাতে দেখে অঝোর ধারায় কেঁদেছিলে তুমি শিশুটিকে বুকে রেখে। তোমাকে দেখে অযথাই সবে ভয়ে কাঁপে থরথর, তারাতো জানেনা, আমি শুধু জানি কী মায়ায় গড়া তব অন্তর! তুমি জাদুকর, তুমি কারিগড় ধূলিকে বানাও সোনা স্বপ্ন দেখাও, স্বপ্ন সাজাও, নিরলস স্বপ্ন বোনা। অন্ধকে দাও জ্ঞানের আলো, দূর্বলেরে শক্তি পাঁক থেকে তুলে কমলকলিকে দিয়েছিলে শুভমুক্তি।
কেউ জানেনা, কেউ দেখেনা কী বিশাল তোমার হৃদয় আমি শুধু জানি সে হৃদ সরোবরে ভালোবাসা চির অক্ষয়
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন
..................স্তুতি...বিষয়টা চমৎকার আর বৈচিত্রে ভরা। অন্তমিল, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু ছন্দের কথাটাও একটু ভাবার দরকার, নাকি? শুভেচ্ছা রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।