১৯৭১ এর ভয়াল সময়। মার্চের শেষ, এপ্রিলের শুরু। পাকিস্তানী বাহিনী আস্তানা গাড়ে গোপালগঞ্জে। স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় হত্যা করতে থাকে নিরীহ লোক জনদের। লুট-ধর্ষণ চলতে থাকে অবাধে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় তারা বাড়ির পর বাড়ি। লোক জন বাড়িঘর ছেড়ে, আশ্রয় নেয় বিলের মাঝে,আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে, দুর্গম এলাকায়। পিতা মাতার ভিটে ছেড়ে, অনেকে পালিয়ে চলে যায় ভারতে।খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাদের।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালী পাড়ায় সংগঠিত হতে থাকে মুক্তি যোদ্ধারা। দলের অগ্রভাগে লিয়াকত আলী শেখ। সাথে, মুসলিম- কৃষক, জেলে, যুবকেরা এসে নাম লেখায় মুক্তিবাহিনীতে।
বন্ধু শুভ্রাংশু ব্যানার্জী। সবে ভারতের আগর তলা থেকে গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে দলে যোগ দিয়েছে সে। দল বেঁধে গ্রামের হিন্দু বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে শুভ্রাংশু।বাবা স্কুলের শিক্ষক।বয়স ও হয়েছে অনেক।দেশের প্রতি,দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা তার সীমাহীন। দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে, তিনি ছেলেকে মুক্তি যুদ্ধে পাঠিয়ে দেন।
যেমন বাবা, তেমন ছেলে।বাবার সব গুনই পেয়েছে সে।তার সবচেয়ে বড় গুন , মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।তার জানা আছে যুদ্ধ কৌশল, আর মনের মাঝে দুর্দান্ত সাহস।তার জন্য বেশ কয়েকটি অপারেশনে পুরো দল নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়।নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও সহ যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে পিছপা হয়নি সে কোন দিনও।এভাবে দিন যতো যায়,তার জনপ্রিয়তা ততোই বাড়তে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে পুরো গোপালগঞ্জে। সহযোদ্ধারা তাকে দেবতার মত শ্রদ্ধা করতে থাকে।
তাদের হাতে তখন অস্ত্র-সস্ত্র বলতে- দু একটি হাল্কা মেশিনগান, রাইফেল, দোনলা গাদা বন্দুক ও কিছু গোলা-বারুদ।কিন্তু মনোবল তাদের অনেক।ঠেকাতে হবে পাকসেনাদের আক্রমণ,বাঁচাতে হবে এলাকার জনগণকে।স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে, হানাদারদের হাত থেকে।
স্বল্প অস্ত্র-সস্ত্র ও অপ্রতুল মুক্তিসেনা নিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে জয়লাভ করা দুরূহ ব্যাপার।তাই তারা গেরিলা কায়দায় যুদ্ধ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।সাধারণ মানুষের বেশে তারা ওত পেতে থাকে পাকিস্তানী বাহিনীর চলাচলের পথে।কখনো ঝোপের আড়ালে, কখনো খালে বিলের পানিতে, কচুরিপানার মাঝে শত্রুর জন্য অপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।তারপর সময় বুঝে ঝটিকা আক্রমণ চালায় তারা।কিছু বুঝে উঠার আগেই পাকিস্তানী সৈন্যরা লুটিয়ে পড়ে মুক্তি যোদ্ধাদের বুলেটের আঘাতে।কোথা থেকে কারা গুলি করে, কিছুই বুঝতে পারে না তারা।বাকিরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।কিন্তু ফলাফল শূন্য। তখন পলায়ন ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না তাদের।
লিয়াকত বাহিনীর শক্তি দিন দিন বাড়তে থাকে।ভারত থেকে সদ্য ট্রেনিং নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের দলে যোগ দেয়, নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধারা।তাদের একমাত্র পণ, ‘‘দেশ স্বাধীন করবো অথবা মরবো।” তাদের গেরিলা হামলার ভয়ে,খান সেনারা দিশেহারা।
ঢাকা থেকে খাদ্য ও মালামাল বোঝাই জাহাজ এসে ভিড়ে গোপাল গঞ্জের অদূরে মধুমতীর তীরে।খবর পায় শুভ্রাংশু। জাহাজের পাহারায় রয়েছে তিন জন রাজাকার।যে করেই হোক মাল খালাসের আগেই ঐ জাহাজ ডুবিয়ে দিতে হবে নদীর বুকে।সম্মুখ যুদ্ধের চেয়ে কৌশলে কাবু করতে হবে তাদের।
রাতের আঁধারে কয়েক জন সহযোদ্ধা নিয়ে অপারেশনে বেড়িয়ে পড়ে শুভ্রাংশু।সবার কোমরে বাঁধা ধারালো ছোরা।জাহাজ থেকে এক দেড় মাইল ভাটিতে নেমে পড়ে তারা মধুমতীর বুকে।।বর্ষার ভরা নদী।গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।প্রচণ্ড স্রোত উপেক্ষা করে, জাহাজের দিকে এগিয়ে যায় তারা।জাহাজের কাছে পৌছতে তাদের প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়।প্রথমেই জাহাজে উঠে রাজাকার তিন জনকে সাবাড় করে ।তার পর নদীর পানিতে ফেলে দেয়।ঝামেলা শেষ।
এবার চটপট জাহাজের নোঙর উঠিয়ে,ভাটির দিকে চালিয়ে নিয়ে যায় জাহাজ।রাত আর বেশি বাকি নেই।যা হোক কিছু একটা করা দরকার।শাখা নদী শৈলদহ বেয়ে এগিয়ে যায় তারা বেশ খানিকটা ভিতরে।নদী বাক নিয়েছে বড়াল গ্রামে।তার পর দ্রুত জাহাজ ডুবিয়ে দেয় নদীর বুকে।নিরাপদে কাজ সমাধা করতে পেরে সস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে তারা।
সকাল হতেই ঘাটে জাহাজ দেখতে না পেয়ে, পাকিস্তানী সেনারা জাহাজের খোজে বের হয়ে যায়।কোথায় জাহাজ?জাহাজের ‘জ’ ও খুঁজে পায় না তারা।পরের দিন রাজাকার বাহিনী খবর নিয়ে আসে, বড়াল গ্রামে শৈলদহ নদীর বাকে, লিয়াকত বাহিনী জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে।খবর শোনা মাত্র, তেলে বেগুনে জলে উঠে খান সেনারা।ক্যাপ্টেন হুকুম দেন-“আগ লাগা দো ওহি গাঁওমে।মার ডালো সবকো।”
পাকিস্তানী সেনারা দোসর রাজাকারদের সাথে নিয়ে, আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রওনা দেয় বড়াল গ্রামের উদ্দেশ্যে।নদী পথে এগিয়ে চলছে লঞ্চ।পত পত করে উড়ছে পাকিস্তানের চাঁদ তারা খচিত পতাকা।শৈলদহ নদীর মোহনায় এসে ডান দিকে মোড় নিয়ে, লঞ্চ ঢুকে পড়ে শৈলদহ নদীতে।
হানাদার বাহিনীর আক্রমণের কথা,আগেই জানতে পারে লিয়াকত বাহিনী।তারাও প্রস্তুত আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য।
নদীর পাড়ে বড়াল গ্রাম।বর্ষায় বাড়ি গুলোকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মনে হয়। চার পাশে পানির সাথে পাল্লা দিয়ে সবুজ ধান ক্ষেত বেড়ে উঠেছে।নদী তীর থেকে কিছুটা ভিতরে, গাছ পালায় ঘেরা একটি বাড়িতে আগে থেকেই পজিশন নেয় মুক্তি যোদ্ধারা।সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হছে। পাকিস্তানীদের লঞ্চ কাছাকাছি পৌঁছুতেই গর্জে ওঠে মুক্তি যোদ্ধাদের হাতের রাইফেল।পাকিস্তানী সেনারাও পাল্টা গুলি চালায় ।দ্রুত লঞ্চ পাড়ে ভিড়িয়ে অস্ত্র হাতে নেমে পড়ে পাকিস্তানী সেনারা।বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকে তারা।
পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা গুলি চালায় থেমে থেমে।সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে আসে।এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত হয়নি।পাকিস্তানী সৈন্যদের অনেকেই হতা হত হয়।তবুও তারা হার মানতে রাজি না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে তারা সামনে এগোতে পারছিলো না।গান বোট নিয়ে যতো বার তারা সামনে আগানোর চেষ্টা করে, ততবারই প্রাণ দিতে হয় তাদের।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে ।দূরে মসজিদ থেকে পবিত্র আজানের ধ্বনি শোনা যায়।পাখিরা দল বেঁধে বাসায় ফিরে।ধীরে ধীরে আঁধার নামে।বৃষ্টিও যায় থেমে।থামে না শুধু পাক হানাদার বাহিনীর গুলি বর্ষণ।
মুক্তিযোদ্ধারাও জবাব দেয় গুলির বিনিময়ে।তাদের গোলা বারুদ ও ফুরিয়ে আসতে থাকে।তাই হিসেব করে গুলি চালাতে হয় তাদের।এ ভাবে আর কিছু সময় পাকিস্তানীদের ঠেকিয়ে রাখতে পারলে,রাতের আঁধারে তারা নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারবে।পালানো ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোন পথ খোলা নেই তাদের সামনে।
দুটো নারকেল গাছের আড়ালে থেকে পাশাপাশি যুদ্ধ করছে লিয়াকত ও শুভ্রাংশু । লিয়াকত একটু মাথা উঁচু করতেই ,আচমকা একটি গুলি এসে লাগে তার ঘাড়ে।সাথে সাথে সে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।দ্রুত ক্রলিং করে লিয়াকতের কাছে চলে আসে শুভ্রাংশু।জড়িয়ে ধরে বন্ধুপ্রতিম লিয়াকতকে।
সহ-যোদ্ধাদের পিছু হটার নির্দেশ দিয়েই,লিয়াকতকে মাটির উপর দিয়ে টেনে নিয়ে বাড়ীর পিছনে ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে সে।তার পরেও দু একটা গুলির ছোড়ে,যাতে পাকিস্তানীরা বুঝতে না পারে তাদের পিছু হটার কথা।
ধান ক্ষেতে পানি প্রায় বুক সমান।সেই ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে শুভ্রাংশু, লিয়াকতকে নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টায় এগিয়ে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে। বিল পাড়ি দিয়ে দূরবর্তী গ্রামে ওঠে তারা।সে যাত্রায় বেঁচে যায় লিয়াকত।তবে জখম সারতে সময় লাগে অনেক।
দলনেতার অনুপস্থিতিতে সাময়িক ভেঙে পড়ে মুক্তি যোদ্ধারা।তারপর সব কিছু সামলে নেয় তারা।দলের হাল ধরে শুভ্রাংশু।তার নেতৃতে মুক্তি যোদ্ধারা একের পর এক দখল করে নেয় থানা ও আঞ্চলিক মিলিটারি ক্যাম্প।পাকিস্তানীরা পিছু হটে আশ্রয় নেয় গোপালগঞ্জের প্রধান ক্যাম্পে। চার দিক থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। ভেঙে পড়ে তাদের মনোবল।
শুভ্রাংশুর বীরত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দলে, ফিরে আসে লিয়াকত।মুক্তি যোদ্ধাদের মনোবল দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। বন্ধু শুভ্রাংশুর মুখে ফুটে উঠে খুশির হাসি।কিন্তু হাসি ফোটেনা কেবল লিয়াকতের মুখে। শুভ্রাংশুর গগন চুম্বী জনপ্রিয়তা তার কাছে অসহ্য মনে হয়।এতে তার গৌরব ম্লান হয়ে আসে।হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে লিয়াকত।
তার পর একদিন আসে সেই প্রত্যাশিত দিন।যার অপেক্ষায় নয় মাস ধরে প্রহর গুনছিল, বাংলার প্রতিটি মানুষ।১৬ই ডিসেম্বর, পাক সেনারা আত্ম সমর্পণ করে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে।বাংলার মানুষ পায় বহু প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা। সেই শুভ দিনে, স্বাধীন দেশের স্বাধীন মাটিতে ঘটে যায়, ইতিহাসের সব চেয়ে কলঙ্ক জনক ঘটনা।
লিয়াকত কয়েক জন সহচর নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায়,সহসা হাজির হয় শুভ্রাংশুর বাড়ীতে।শুভ্রাংশু কেবল দুপুরের খাওয়া শেষ করেছে।অসময়ে তাদের আসতে দেখে, কিছুটা অবাক হয়ে যায় সে।লিয়াকতকে উদ্দেশ্য করে সে বলে-
কি খবর, কোন দুঃসংবাদ?
না সব ঠিক আছে।আমাদের সাথে এখনই এক বার তোমাকে বাইরে যেতে হবে।
কেন, কোন জরুরী দরকার?
হ্যাঁ,সে সব পরে বলবো।
শুভ্রাংশু বিন্দু মাত্র দেরি না করে, বেরিয়ে যায় তাদের সাথে।লিয়াকত সামনে, শুভ্রাংশু পিছনে।কাঁচা রাস্তা ধরে হাটতে থাকে তারা।রাস্তা চলে গেছে ,গ্রাম পেরিয়ে সোজা বিলের দিকে।
আমরা কোথায় যাচ্ছি,কেন যাচ্ছি কিছুইতো বললে না তুমি?
এখনই সব জানতে পারবে।তোমার সাথে আমার হিসাবটা মিটিয়ে ফেলতে চাই।
কিসের হিসাব?
সাধু সাজার চেষ্টা করো না।আমার অবর্তমানে তুমিইতো হিরো সেজে বসেছিলে।
এ সব তুমি কি বলছো?
হ্যাঁ, ঠিকই বলছি।এই দাঁড়িয়ে কি দেখছিস।বেঁধে ফেল শালাকে।
পিছন থেকে দুই জনে ধরে ফেলে তার দুই বাহু।শুভ্রাংশু সমস্ত শক্তি দিয়ে ছিটকে ফেলে দেয় তাদের।তার পর ছুটতে থাকে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে।পিছন থেকে রাইফেল তাক করে, গুলি ছোড়ে লিয়াকত।একটি গুলি এসে লাগে শুভ্রাংশুর ঘাড়ে।এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় তার দেহ। ঘাড় চেপে ধরে, প্রাণ পণে ছুটতে থাকে সে। ডাকাত!ডাকাত বলে, পিছন থেকে তারা ধাওয়া করে তাকে।
সামনে রাস্তার পাশে একদল শ্রমিক, কোদাল হাতে কাজ করছিলো।তারা ডাকাত,ডাকাত চিৎকার শুনে, ছুটে আসে শুভ্রাংশুর দিকে।শুভ্রাংশু তাদের প্রাণ পণ চিৎকার করে বোঝানোর চেষ্টা করে,যে সে ডাকাত নয়।কিন্তু তার কথা, তারা বিশ্বাস করে না।কোদাল দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে তাকে।
শুভ্রাংশুর বাবা ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে,বার বার মূর্ছা যান। উচ্চ স্বরে বিলাপ করতে থাকেন-আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে, তাদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।
কিন্তু, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।’’ছেলের শোকে তিনি উন্মাদ হয়ে যান।যুদ্ধে গিয়ে ছেলে মারা গেলে, তো সে শহীদ হতো।তিনি হতেন বীর শহীদের পিতা।গর্বে বুকটা তার ভরে যেত।তাকে দেখে সবাই বলতো, ঐ তো শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাবা। তাকে সবাই কত সম্মান করতো। ফুলের মালা পড়িয়ে দিতো গলে।তার ছেলে স্বর্গ থেকে দেখে তৃপ্তির হাসি হাসতো।আর আজ, কি পেল সে?হায়রে ভাগ্য!হায়রে নিয়তি!তার পর হতভাগ্য পিতা,ছেলের শোকে একদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।শুধু বাংলার আকাশে বাতাসে ভাষতে থাকে একটি প্রশ্ন-“আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার হবে না?
স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরে, আজও তথা কথিত লিয়াকতেরা বীর দর্পে ঘুরে বেড়ায় বাংলার মাটিতে। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য, হয়তো বা রাষ্ট্র প্রদত্ত খেতাব ও পেয়ে যায় তারা । আর শুভ্রাংশুর মতো মুক্তিযোদ্ধারা, হারিয়ে যায় ইতিহাসের অতল গহ্বরে। তাদের কথা কেউ মনেও রাখে না।