তোমার জন্য অপেক্ষা করছিল হেমন্তের শেষ বিকেলের রোদ কাঁপছিল আঘ্রাণের ধানের শীষে জমানো শিশির , অবশেষে তুমি এলে জোছনার আড়িপাতা এক নিঝুম সন্ধ্যায় নকশিকাঁথা ওমে … অতঃপর কথা বলে, কাকচক্ষু জল যুগল ভ্রু’র পিঁয়াজ-কাজল আর দশ দিগন্ত আলো করে আসে এতটুকু হেম আলো আধারিতে ভাসাই প্রথম প্রেমের ভেলা । মেঘে মেঘে এ লুকোচুরি খেলা কেউ দেখবে বলে কাকের মতো দু’চোখ বন্ধ করে গুঁজে দেই শনপাতা-ছাওয়া ঘরের চালে এতটুকু প্রেম, কখনোবা বালিশের নীচে, বুক পকেটের গভীরে অতঃপর সাতরাজার ধনের মতো চুপিসারে খুলে দেখি বার বার । অজানা আশঙ্কায় কখনো রাখি জানালার কার্নিশে, আবার ভাবি আচানক বৃষ্টিতে যদি যায় ভিজে জীবনের একান্ত অর্জন ! অথবা কোন রত্নচোর যদি হানা দেয় অচম্বিত! আমার রাজনীতিবিদ বাবাকে আরো বেশী ভয় ... তার চোখে পড়ে যদি নিশ্চয় বানাবেন প্রেমের ককটেল ! আর সহপাঠি বন্ধুরা যদি বুঝে ফেলে? বুঝে ফেলে যদি রাস্তার লোক ? এইসব ভেবে প্রেমটুক রাখি পাতার ভাঁজে আঁচলের গিঁটে । মা ঠিক জানে অতটুকু প্রেম জ্বলে ভাল ওতে রান্না হয় ভাত সিদ্ধ হয় একাকী রাত! লজ্জাবতী লতার মতো শরমের রঙ লুকোবার এতটুকু স্থান খুঁজে হই হয়রান ! অনেক ভেবে বের করি বুদ্ধি রেখে দেই সযতনে বুকের গভীরে, অন্তরের অন্তরে- মন হয় উৎসুখ; অতঃপর বদলায় মুখের রঙ ধরা পড়ি বারে বারে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ক্যায়স
বরাবরের মতই অনবদ্য লেখনী দিয়ে মুগ্ধ করেছেন কবি।নিঃসন্দেহে ভালোবাসা সংখ্যার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা । অনেক অনেক ভালোলাগা ও আপনার প্রাপ্য ভোট দিয়ে গেলাম। সময় হলে আমার পাতায় একবার ঘুরে আসবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।