লিজা,মুনি্ন,হ্যাপি ও শায়লা সহ বান্ধবীরা কলেজের মাঠে আড্ডায় কথা বলছে। হঠাৎ লিজাকে মন খারাপ দেখে সবাই তাকে একটি গল্প বলতে অনুরোধ করলো। কিন্তু প্রথমে সে রাজি না হলেও শেষ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হলো।
বনের আগুন সবাই দেখে মনের আগুন কেউ দেখেনা। আমি কেন নিজের ক্ষতি নিয়ে বেঁচে থাকবো। নিজেকে শান্তনা দেবার মত পথটুকু যদি রুদ্ধ হয়ে যায় কি লাভ এধরাতে আলোর মুখ দেখে ? পরের দেয়া আঘাত সহন যায় কিন্তু আপন জনের বা আত্নীয় স্বজনের আঘাত দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। কি করবো, আমার বেচে থেকে আর কি লাভ। প্রতিটি সেকেন্ডে সেকেন্ডে দুকড়ে মুছড়ে ক্ষত বিক্ষত হওয়ার চাইতে একবারে জীবনাবসান সকল সমাধান হয়ে যেতে পারে। আমি আর থাকতে চাইনা, চাইনা এত সুন্দর পৃথিবীর মাধুরে আমার নগ্ন পদচিহ্নে পবিত্রতা নষ্ট করতে। হে পৃথিবী আমাকে ক্ষমা করো আমাকে ক্ষমা করো। কথাগুলো ঈশিতার মনের কথা। তখন রাত বারটা বাজে, সিলেট থেকে ছাতকের উদ্দেশ্যে রেলগাড়িটা যাত্রা শুরু করেছে প্রায় ত্রিশ মিনিট আগে। রেল-লাইনটা ঈশিতার বাড়ির পাশ দিয়ে সমান্তরালে ছাতকে চলে গেছে। ঈশিতা আজ কদিন থেকে কেমন যেন আনমান হয়ে কি ভাবে। তার চেহারায় বিকট বিষন্নতার চাপ। কেউ অনুভব করে ফেলতে পারে মনে করে সবার অলক্ষ্যে ঈশিতা লোকাড়ালে অশ্রু ফেলে আর ভাবে এর শেষ কোথায়। কোন কোন সময় মানুষের কাজের বা ভাবের ভঙ্গি লোকানো যায় না। ঈশিতার বড় ভাবি ঈশিতাকে অনুস্মরণ করছেন সর্বক্ষন কিন্তু ঈশিতা ঢের পায়নি। ভাবি জানেন ঈশিতার কাছে জানতে চাইলে সে সু-উত্তর দেবেনা ভেবে তার অলক্ষ্যে তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন তার হয়েছেটা কি, কিংবা কি কারণ। ঈশিতা রাতে আলাদা রুমে থাকে। আজ কেন জানি বড় ভাবির ঘুম আসছেনা, তিনি ভাবছেন সংসারে এই গানি টানার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার স্মৃতির ইতিহাস। বিয়ের দুবছর পর শাশুড়ি মারা যান। ঈশিতার বয়স তখন ছয় আর মুহিনের বয়স মাত্র চার। মায়ের মত দায়িত্বটুকু কাঁেদ নিয়ে ঈশিতা ও মুহিনের লালন পালন স্বামী সংসার সব কিছুই তাকে আঞ্জাম দিয়ে সময় পার করতে হচ্ছে, হয়। তিনি ভাল করে জানতেন সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে। একজন ভাল নারীর আদর্শ তার নিজের সংসার সুখের স্বর্গে পরিনত করা। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে তিনি বিছানা থেকে উঠে বসে রইলেন চুপ করে। ঈশিতার রুমের দরজা খুলা হয়েছে তিনি বুঝতে বাকি নেই। দরজা খুলে ঈশিতা বাহিরে পা দিয়েই গভীর অন্দকারে দ্রুত দৌড়াতে শুরু করেছে। মাথার উড়নাটা পিছন দিকে বাতাসে উড়ছে। বাংলো ঘরের পিছনের রাস্তা দিয়ে রেল-লাইনে উঠা যায়। বাংলা ঘরের কোণায় রাখা একটি বাশের খুটিতে ঈশিতা বিষম জোরে দাক্কা খেলে বাশটা প্রচন্ড শব্দ করে পড়ে গেল মাটিতে। ভাবি আর বসে থাকতে পারলেন না। তিনিও দরজা খুলে বাহিরে এসে ঈশিতা বলে হাক ছুড়লেন। কোন জবাব নেই, ঈশিতাও নেই। তড়িৎ গতিতে বাশের শব্দ আচ করে বাংলোর পিছনের পথে রেল-লাইনের দিকে দৌড়ালেন। গভীর অন্দকারে দৌড়াতে দৌড়াতে ঈশিতা ইতিমধ্যে রেল-লাইনে পৌছে টায় দাড়িয়ে আছে। রাতের নির্জনতায় দ্রুত গতিতে রেলগাড়িটা আসছে। বড় ভাবি এদিক সেদিক তাকিয়ে তিনিও দৌড়াচ্ছেন। দৃষ্টি রেল-লাইনের উপর পড়তেই তিনি চমকে উঠলেন। সর্বনাশ! রেল-গাড়ির হেড লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ঈশিতা রেল লাইনের মাঝখানে দাড়িয়ে আছে। গাড়ি আসছে গতিতে। ভু-করে রেলগাড়ির ঘুম ভাঙ্গানো একটি হুইসেল ভেজে উঠলো। কিন্তু ঈশিতার একটুও টনক নড়েনি। সে স্পাত মনোবলে জীবনের শেষ দেখার অপেক্ষায় মুক্ত হতে চায়। অথচ সে জানে না এই ভীরুতার বা অজ্ঞতার মাঝে কোন শেষ নেই, নেই কোন সমাধান। আত্ত হত্যা বা জীবনাবসান কোন ঘটন অঘটনের সুরাহা করতে পারে না। সত্যকে প্রকাশ না করলে মিথ্যা মাথাছাড়া দিয়ে সত্যের বুকে চেপে বসে। কয়েকটা সত্য নিয়ে কথা বলছি তেতো হবে জেনেও। উলঙ্গতা একটা সত্য,যৌনতা একটা সত্য,মিলন একটা সত্য,পুরুষ দ্বারা মিলনে নারীর সতিচ্ছেদ ঘটে,গর্ভবতি হয় বাচ্চা জন্ম দেয় এগুলো নিরেট সত্য। তাই বলে চর্ম চোখের লজ্জায় এই সত্যগুলো পরিত্যাগ করলে মানুষ আসলেই তার মৌলিক প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত থাকে। কিন্ত কোন ছল চাতুরি বা অনিয়মে উপরোক্ত সত্যগুলো পদপৃষ্ট হউক তা কাম্য নয়। প্রতারণার কবলে কোন নারী তার সতিচ্ছেদ ও সতিত্ব সভ্রম ভূ-লুণ্ঠিত করুক সভ্য সমাজে আশা করা দুরস্কর। পুরুষের কামভাব লালসার শিকার হয়ে একজন অবলা নারী শিশু কিশোর কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়ে অভিশপ্ত জীবন নিয়ে বেঁেচ থাকুক এটা কোন সমাজ বোদ্ধা জ্ঞানপাপীদের জন্য সুখকর নয়। সবার স্বাধীনতা আত্তস্বাধীনতা সময়ের সত্য প্রকাশ যার যার মৌলিকতার ব্যবহার সর্বজন সম্মত ও বিধি নীতির আলোকে বৈধ ভাবে করুক তাই কামনা সর্বমহলে। একটু মনতৃপ্তির কামনায় কি পেলাম আর কি হারালাম যদি বিচার বিশ্লেষন করার বুদ্ধিমত্তা না থাকে তা হলে সারা জীবন কান্নার অন্তরালে হারাবোই সন্দেহ নেই। আর মাত্র একশত গজ দূরে রেলগাড়িটা। ঈশিতার আত্তহুতির কি কারণ বড় ভাবি কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। ভাবি প্রান পনে দৌড়াতে দৌড়াতে সবে মাত্র রেল লাইনে উঠলেন। স্বজোরে একটি দাক্কা দিয়ে ঈশিতাকে নিয়ে রেল-লাইনের বাহিরে পড়ে গেলেন সিনেমার অভিনয় কায়দায়। রেলগাড়িটা দ্রুত ঈশিতা ও ভাবিকে অতিক্রম করে চলে গেল গন্তব্যে। ঈশিতা কিছু বুঝার আগেই স্বজোরে ঈশিতার গালে কয়েকটা চড় তাপ্পড় মারলেন ভাবি। এবং কেন আত্তহত্যার পথ বেছে নিল জানতে চাইলেন। ঈশিতা বলতে চায় না শুধু মুখে কাপড় ঘুজে ধুক ধুক করে কাঁদে। ধমক দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে এলেন। শাসনের সমাপ্তি দিয়ে এখন আদর করে জানতে চাইলেন কি হয়েছে তার। ঈশিতা অবশেষে মুখ খুলে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল ভাবি আমার সর্বনাশ। নাহিদ জোর করে আমার ইজ্জত কেড়ে নিয়েছে, আমি এখন গর্ভবতি। ভাবির মাথায় বজ্রপাত, মানে নাহিদ তার আপন ছোট ভাই। নিজেকে সামলে রেখে বললেন কি ভাবে হলো বল। ঈশিতা বলল আমার সাথে সে প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়। সে দিন তুমি ভাইয়ার সাথে শহরে গেলে নাহিদ আমাদের বাড়িতে আসে এবং বাড়িতে কেউ না তাকায় সে দরজা লাগিয়ে জোর করে আমার সর্বনাশ ঘটায়। আমি লজ্জায় কাউকে বলিনি। আর বললে আমাদের সমাজের যে রকম বিচার ব্যবস্থা! একজন নারীর ইজ্জত,সভ্রম সতিত্বের দাম ধরা হয় দশ থেকে পনের হাজার টাকা অথবা পঞ্চাশ ষাট বার কান ধরে উঠ বসা করে ক্লান্ত থাকা। গ্রামের অন্ধ অজ্ঞ মাতব্বররা কখনো ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের পতিতা ব্যবসাতে বাধ্য করে ছাড়ে। কখনো ধর্ষন কারীদের আক্রমনে নির্যাতিতার পরিবারে লোকের উপর ষ্টিমরোলার চলে, জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হয়। তাই শরম থেকে মরণ ভাল পথ বেচে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ভাবিরে কোন পাপে আমার স্বপ্ন সুন্দর স্বাদের জীবন আর বড় সম্পদ সতিত্ব হারিয়ে গেল ? হাউ মাউ করে ঈশিতা কাঁদে আর ভাবির মুখের দিকে তাকায়। ভাবির কন্ঠ স্তদ্ধ, বিচার করার মস্তিস্ক রায় শুন্য। বিবেক তাড়নায় সমস্থ দেহে অগি্নগিরির উৎপাত আর প্রতিশোধের গর্জন। না তা হয় না, হতে পারে না। আমি ঈশিতার সর্বনাশের বিচার করবই। আমার ভাই বলে আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি না। একজন ধর্ষক একজন বদমাইশ আমার ভাই হতে পারে না। এবং বিচার করব এমন বিচার যা এযাবৎ কালে এমন বিচার ইতিহাসে আর কখনো হয়নি। যেমন দোষ তেমন সাজা। যৌন কামের তাড়নায় দেহকে তৃপ্তি দিতে গিয়ে ঈশিতার সভ্রম ধ্বংশ হয়েছে তার সেই যৌন লিঙ্গ ছহিচালামতে থাকতে পারে না। অপরাধী কে নজির বিহীন শাস্তি আমি দেবই। এদিকে নাহিদ ঈশিতাকে ধর্ষন করে শাশিয়ে গেছে কেউ যেন জানতে না পারে। ভাবি নাহিদের ফোনে ফোন করে নাহিদকে তার বাড়িতে আসতে বললেন। তখন পরের দিন রাত বারটা বাজে। তিনি জানেন নাহিদ আসবেই। এদিকে ঈশিতাকে বললেন ঈশিতা তুমি কি এর বিচার চাও ? ঈশিতা হ্যা আমি বিচার চাই। তাহলে আমি যা বলব তুমি তাই করবে প্রমিজ। ঈশিতা দ্বিধাদন্ধে পড়লে ও ভাবির কথা তাকে মানতে হবে। ঈশিতা হ্যা তাই করব। ভাবি প্রমিজ,ঈশিতা প্রমিজ। তাহলে শোন নাহিদ আজ আসছে আমাদের বাড়িতে সে এলে তুমি কিছু বঝতে দেবে না এবং আজ তাকে স্বেচ্ছায় সঙ্গ দিতে তুমি তাকে আমন্ত্রন করবে। তোমার সাথে একটি ব্লাড রাখবে। এবং সময় মত তার পুরুষ লিঙ্গটা কেটে আমার হাতে তুলে দিতে হবে। ঈশিতা বললো এ কি বলছো ভাবি। ভাবি ধমক দিয়ে বললেন আমি যা বলছি তাই তোমাকে করতে হবে। যেনে রাখ "আইন যেখানে ন্যায়ের শাসক সত্য বলিলে বন্ধি হই,অত্যাচারিত হয়ে যেখানে বলিতে পারি না অত্যাচার" সেখানে অন্যায়ের প্রতিশোধ অন্যায় দিয়ে করতে হবে নাহলে এ সমাজ ধ্বংশ হয়ে যাবে আস্তে আস্তে। নারীদের শক্ত হতে হবে,যুলুম এলে প্রতিরোধ করতে হবে। জীবনকে মৃতু্যর দুয়ারে ঢেলে বেঁচে থাকার কোন মানে হয় না। বাঁচতে হলে সংগ্রাম করতে হবে। এই শয়তানের শাস্তি দেখে আরো অনেক শয়তান সংশোধিত হবে। অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্টার জন্য অস্বাভাবিক কোন পদ্ধতি বা প্রন্থা অবলম্ভন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতার শামিল বটে আইন নিজেই অপরাধ জগতে নিমজ্জিত। আইনের দোহাই আজ বাস্তবায়নে সোনার হরিণ। কয়েকটা মিথ্যা দিয়ে একেক টা সত্যকে ধ্বংশ করে ফেলা যায়। অযুহাত দেখিয়ে সমাধান হয় না, সমাধানের জন্য ফয়সালার প্রয়োজন। ঈশিতার গায়ে প্রতিশোধের রক্ত টগবগে উঠলো। রাতে নাহিদ ঠিকই ঈশিতার বাড়িকে এলো। ভাবি নাহিদকে আদর যত্ন করে খাওয়া দাওয়া করালেন। এবং ঈশিতার পাশের রুমে ঘুমাতে দিলেন। এর ফাকে ঈশিতা নাহিদকে মনতুষ্টি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সফলতায় আসীন। রাত দুইটায় ঈশিতা রুমের দরজা খুলে দিলে নাহিদ এসে তাকে জড়িয়ে নোংরামীর জগতে ভেসে গেল। সে জানে না তার ভাগ্য ও অপবিত্র কামভাব তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, কোথায় ঢেলে দিচ্ছে। নাহিদ এক সময় ঈশিতার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে প্রস্তুতি নিয়ে বিছানার উপর সর্ব শক্তি দিয়ে ঈশিতার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে। আর সময় সুযোগে ঈশিতা ব্লাড দিয়ে এক পোচে নাহিদের পুরুষ লিঙ্গটা দু-টুকরো করে দেয়। নাহিদ চিৎকার দিয়ে উঠে আমাকে বাঁচাও। পাশের রুম থেকে বড় বোন চলে এসে বললেন তুমি নিজেই বাঁচো। আজ কেউ তোমাকে বাঁচাবে না যেমন সে দিন ঈশিতাকে ও কেউ বাঁচাতে আসেনি। স্বাদ করে জীবনের তৃপ্তি নাও আর অনুভব করো দূর্ভলতার সুযোগে কারো জীবন নষ্ট করলে এক সময় নিজের দূর্ভলতার কারণে নিজের জীবন নষ্ট হবে। কুলাঙ্গার তুই ভাই না হয়ে অন্য কেউ হলে আমি এতক্ষণে তোর প্রাণ ও কেড়ে নিতাম। জানিয়ে দিতাম এ পৃথিবীকে এখন অন্যায় দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সময়। নাহিদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে ঘটনা জানতে পেরে কেউ খুশি কেউ দুখি। সংবাদ মাধ্যমে পর দিন চাউর করে দেশের আনাচে কানাছে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লো ধর্ষনের শাস্তি পুরুষ লিঙ্গ কর্তন। নাহিদকে ডাক্তারী করিয়ে বাঁচানো গেলে ও ঈশিতার জীবন বাঁচানো গেল না সে পর দিন সবার অজান্তে বিষ পান করে আত্ত হত্যা করে।
এতক্ষণ লিজা গল্পটি বান্ধবীদের শোনাচ্ছিল। সবাই শুনে হতবাক। এবার মুনি্ন বলল তোর নিজের খবর কি তাই বল। লিজা: সে আর কি ? সরলতায় জীবনটা তার পায়ে ঢেলে দিলাম কিন্তু সে আমাকে ভুল বুঝে ছেড়ে গেল।
ভালবাসা ছেড়ে যায় না,ভালবাসা মুছা যায় না,ভালবাসার মৃতু্য নেই। সে ভুলে গেছে তাতে কি, তুই সারা জীবন স্মরণ রাখ বলল প্রিয়া লিজাকে। শায়লা বলল আমরা সবাই ভুল করি যখন কাউকে মন দেই। আর সরল হয়ে বা অতিমাত্রায় ভক্ত হয়ে মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলি। এজন্য সরলতার পাশাপাশি বিচক্ষণ ভাবে যে কাউকে বুঝে মন দেয়ানেয়া করলে বোকার মত শেষে কাদতে হত না। মুনি্ন বলল বুঝলাম ঠিক, কিন্তু নিখুত অভিনয়ে অবিশ্বাসের কিছু ধরা পড়েনা আর তাই প্রেম করে যে কেউ ঠকা খাচ্ছে। সরলতা যেখানে বিশ্বাস ঘাতকতা সেখানে বলে উঠলো হ্যাপি। শিমু বলল এবার প্রেম টেমের ক্লাশ বাদ দিয়ে আসল ক্লাশে চলো। সবাই ক্লাশ রুমে ঢুকে পড়ায় মন দিলো।
২২ ডিসেম্বর - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪