দুঃস্বপ্নের জাল কেটে সোনালী ভোরের প্রতীক্ষা

ভোর (মে ২০১৩)

জাকিয়া জেসমিন যূথী
  • ১৮
  • ১০৭
এক বুক অভিমান ছুঁয়ে আজ লিখতে বসেছি। অনেক অনেক অনেক দিন পরে। শব্দ থেমে ছিলো কতদিন বুকের পাজরে। আচ্ছা, শব্দ কি থেমে থাকে! শব্দের কি পথ চলতে হয়! কত শত প্রশ্ন বুকের ভেতরে থম ধরে পরে রয়!
ঝলমলে কিশোরী সুখের চঞ্চলা উল্লাসিত চোখমুখের দীপ্তি আজ সহসা দৃশ্যমান হয়না। অভিমান ভরে দু’চোখ বেয়ে নামে জল। কদাচিৎএকটা দু’টো শব্দ ফুঁড়ে আসে হৃদয় কপাট ভেঙে। বহুদিন বাদে অন্ধকার ফুঁড়ে আলোয় বেরিয়ে এসে শব্দেরা দিক হারায়। মুখ থুবড়ে মরে আলোর বন্যায়।
সেই এক ঘর, বিছানা, বালিশ। আর এক টুকরো আকাশ। মনের বাতায়ন। যত ব্যথা বেদনা, যত এক চিলতে হাসি আনন্দ তার আনাগোণা ঐ এক চিলতে আকাশে। অথবা, সেই এক ঘর চারকোণা দেয়ালে।
কতকিছু বলার থাকে। কত কথা জমা হয়। সময়ের পরতে পরতে। প্রতিটি মুহুর্তে। এক থালাভালোবাসা অথবা, পাতলা চাদরে মোড়ানো সুখ-স্বপ্ন মনের নিভৃত কোণে অন্ধকারে বাঁধে বাসা। মাকড়শার জাল বুনে বুনে ভরে যায় ভেতরটা। কত রকম নকশা তৈরী হয়!
এক বুক অভিমান ছুঁয়ে লিখবো বলে বসে আছি। আছিই। উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা যে হারিয়ে গেছে! সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাতে কি চেয়েছি! চেয়েছিলাম শুধু কলম ধরে জীবিকার সন্ধান! হায়রে জীবিকা! সব এখন স্বপ্ন! দূর আকাশের তারা!
একটা ডায়রী। আর কলম। এই দুটি জড় মন আমার জীব সত্তাকে মাঝেমাঝে নাড়া দিয়ে যায়। আঙ্গুল যে আর চলে না! মাঝেমাঝে থেমে থাকে নির্জীব প্রাণহীণতায়! অবুঝ অভিমানে। আহারে আমার চারটা লেখার আঙ্গুল!! এসিডের তপ্ত রসের প্রবাহ ক্ষমতার দম্ভ চূরমার করে দেয়!
একটা ছোট্ট সংসার। স্বামী-স্ত্রীর নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় মোড়ানো। শিশুর কলকল ধ্বনিতে মুখর। স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে যায়।
‘নারীত্বের পরিস্ফুটন’ সে তো পুরুষেরও গৌরব। ভালোবাসায় থাকে কি প্রাচীর কোন চাওয়া পাওয়ার? সব আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ মিলন ভালোবাসায়!
এক দলা অন্ধকার! অদৃশ্য দানব হাতে কিছু একটা ছুটে আসা!ওফ! নাআআআআ!!!! চিৎকার!!!!
ঐ চেনা দুঃস্বপ্ন থেকে আজ মুক্তি চাই!!! একটা সোনালী ভোরের অপেক্ষায় আছি! আয় এক দলা সোনালী ভোর...আমার দু’চোখ বেয়ে কবে নামবি নিশ্চিন্ত ঘুমের টহল!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ খুব সংহত এবং তীব্র লেখনী। কারো স্বপ্নই এসিডে ঝলসে না যাক।
সূর্য N/A বাক্য গঠন বলি আর বুনন, তোমার আগের গল্পগুলোর চেয়ে এটা অনেক আলাদা হয়েছে এবং অনেক ভালো হয়েছে গঠন। এভাবেই এগিয়ে যাও।অনেক ভালো লাগলো।
এমন একটা মন্তব্য হাজার পূন্য করার পরে ভাগ্যে জোটে। সূর্য ভাই, অশেষ ধন্যবাদ।
স্বাধীন অনেকটা কাব্যিক, সুন্দর গল্প। ভাল লাগল।
ধন্যবাদ, স্বাধীন। শুভকামনা রইলো।
শেখ একেএম জাকারিয়া এক বুক অভিমান ছুঁয়ে আজ লিখতে বসেছি। অনেক অনেক অনেক দিন পরে। শব্দ থেমে ছিলো কতদিন বুকের পাজরে। আচ্ছা, শব্দ কি থেমে থাকে! শব্দের কি পথ চলতে হয়!কত শত প্রশ্ন বুকের ভেতরে থম ধরে পরে রয়। গল্প হয়েছে কি না এই মূহুর্তে বলছি না তবে এত সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লাগলো ..‘নারীত্বের পরিস্ফুটন’ সে তো পুরুষেরও গৌরব। ভালোবাসায় থাকে কি প্রাচীর কোন চাওয়া পাওয়ার? সব আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ মিলন ভালোবাসায়! এক দলা অন্ধকার! অদৃশ্য দানব হাতে কিছু একটা ছুটে আসা!ওফ! নাআআআআ!!!! চিৎকার!!!! ঐ চেনা দুঃস্বপ্ন থেকে আজ মুক্তি চাই!!!
আপনি আমার লেখা পড়েছেন এটাই বড় কথা, জাকারিয়া ভাই।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ভাল লাগলো আপনার প্রয়াশ খানি.......আঙ্গিকে আর একটু টানলে মন্দ হতো কি?...........জুই আপনাকে অনেক শুভকামনা...............
আঙ্গিক আরেকটু টানা? অণু'ই রাখতে চেয়েছিলাম।
তাপসকিরণ রায় galper che beshee kabyamay mane holo--khub bhalo laglo,bon!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, তাপসকিরণ রায়। ভালো থাকবেন।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম ছোট্ট গল্পটা বিষ মরিচের মত ঝাঝালো । পরিসর আরো একটু বড় হলে আরো ভাল লাগত ।
অণুগল্প বড় হয়ে গেলে কিভাবে চলবে?
Lutful Bari Panna চমৎকার একটা অণুগল্প। এমন একটা মেয়ের ভেতরটা দারুণ দক্ষতায় তুলে এনেছো।
পান্না ভাই, অনেক দিন পরে আপনার সাথে কথোপকথন। কেমন আছেন?

১৭ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পদত্যাগ”
কবিতার বিষয় "পদত্যাগ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫