ছিটকে পড়া কোনো এক উল্কা পিন্ডর মতো বিক্ষুদ্ধ লাভা থেকে আমার জন্ম দীর্ঘকাল সুপ্ত ছিলাম মৃত্তিকা মায়ায় অতঃপর জৈব রাসায়নিক বিবর্তনে কৃষ্ণগহ্বরে বয়ে গ্যাছে অনেকটা উর্বর সময় ক্ষয়ে গ্যাছে পৃথিবীর আদৎ পড়ত।
এক নির্ভেজাল প্রাণের দাবী নিয়ে একদিন নদীর কাছে নদী এসেছিলো প্রশান্ত মোহনায় অথচ শুভঙ্করের ফাঁদ পেতে সংঘাতে জড়ায় চালায় মানবতা বিরোধী পৈশাচিক সন্ত্রাস যুদ্ধের নামে চলে গণহত্যা দুরন্ত সহবাস।
লক্ষ লক্ষ নারীর সতীত্ব মন্থন করে একে একে হায়নার শুক্রাণু ভেসে আসে হালদার পেটে, কুমীর পোকার মতো সাঁতার কেটে কেটে সাথে নিয়ে এক গোছ নাড়ির বাধন অবশেষে স্থির হয় এ্যাপোলোর মিশন সেই থেকে সৃষ্টির আদি উৎসবে নন্দিত আমি পেলব নিকেতনে তিল তিল বেরে ওঠা।
একাত্তরের এক ভয়াল রাতের গল্প বলি শোনো ধর্মের কল বাতাসে নড়ে দেখেনি কেউ কখনো তবুও ধর্মের নামে দেশ রক্ষার পায়তারা চলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ সোনার বাংলা হলো কালো জানোয়ারে সয়লাব, ধর্ষিত হলো কত শত সধবা সতী নারী তাদেরই একজন কিশোরী বধু কল্পনা যৌনদাসী রুপে নিয়ে যায় তাকে পাষন্ড পাকসেনা, একাত্তরের মেরী তিনি বীরাঙ্গনা আমার মা ছিলেন তিনি আজও আছেন উজানতলী গাঁ। যৌনতার উৎসব চলে তাঁর মন ভাঙ্গা গতরে নগ্ন কলঙ্কের ভ্রূণ আসে সতীর শূন্য উদরে নিজেকে হারিয়ে যখন আমায় পেলেন খুঁজে বোধের অসীমে কষ্ট সহেন কান্নায় মুখ বুজে বিতৃষ্ণতায় কোকিয়ে ওঠে যন্ত্রনার নীল চোখ অচেনা পয়সার মতো লেনদেন তাঁর শোক আমায় নিয়ে তবু সাঁতার দিলেন হটুজলে নেমে বুক পানিতে স্বপ্ন দ্যাখেন ভাঙ্গা চশমার ফ্রেমে।
উচ্চতার আবরণে বালা লজ্জা সংকোচ ভুলে ঢেকে রাখেন ঘৃনার পাহাড় ছেঁড়া আঁচলে আমি তাঁর উল্কা পিন্ড স্বপ্নের কাঁচা সোনা অস্পৃশ্য আঁত্মার অস্তিত্ব কান্নার রক্তকণা।
আমি আস্তিক নাস্তিক জেনা জুলুম কিছু বুঝিনা তিনি আমার মেরী মাতা সর্বস্ব ঠিকানা জানতে চাইনা কি পরিচয় কেবা জন্মদাতা একাত্তরের যীষু আমি ইশ্বর আমার পিতা।
মাকে নিয়ে যারা প্রহসন করে তাদের বলি শোনো জাতীয় পর্যায়ে বীরাঙ্গনারা সন্মান পায়না কেনো? জানি বীর প্রতীকে ভূষিত যাঁদের হয়েছে অঙ্গহানী অথচ কখনো কেউ কি দেখেছো তোমরা কত বীরাঙ্গনার স্তন কাটা বুকে আজও রক্ত শুকায়নি?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।