চেতনাহত মুক্তি

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

জাফর পাঠাণ
  • ৩৪
  • ২৮
বুক বেঁধেছিল ওরা-
কৃষক, শ্রমিক, মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা,
বুক বেঁধেছিল ওরা-
অবহেলিত, বঞ্চিত, শোষিত, অত্যাচারিত মানুষেরা।
বুক বেঁধেছিল ওরা-
মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতা বঞ্চিতরা,
বুক বেঁধেছিল ওরা-
মুক্তির চেতনা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধারক ও বাহকেরা।
বুক বেঁধেছিল ওরা-
একদিন হব স্বাধীন গাইবো মুক্ত বিহঙ্গের গান।
দেখিব নিষ্পাপ শিশুর পরিতৃপ্তির হাসি
দেখিব হারানো ছেলেকে খুঁজে পাওয়া মায়ের হাসি।
কিন্তু হায়-
মুক্তির চেতনায় স্বপ্নে দেখা এই কি সেই দেশ-
যেথায় মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভিক্ষার ঝুলি, গায়ে ছিন্ন বস্ত্র
যেথায় ন্যায়ের ঝান্ডাধারীদের হতে হয় সর্বশান্ত।
কিন্তু হায়-
মুক্তির চেতনায় স্বপ্নে দেখা এই কি সেই দেশ-
যেথায় গুম, হত্যা, সন্ত্রাস, দূর্ণীতিই নীতি
যেথায় রাষ্ট্রযন্ত্রের যাঁতাকলে মানবাধিকারের আকুতি।
কিন্তু হায়-
মুক্তির চেতনায় স্বপ্নে দেখা এই কি সেই দেশ-
যেথায় প্রতিদিন রক্ত ঝরে ভীনদেশী হানায়
যেথায় দেশপ্রেমের চেতনা প্রতিনিয়ত মুখ লুকায়।
ভাঙ্গা তীরে দাঁড়িয়ে তবুও বুক বাঁধি-
দাঁড়াবে বাংলাদেশ, দাঁড়াতেই হবে একদিন
যেদিন ভেসে যাবে দালালেরা, ভেসে যাবে শোষকেরা
মুক্তির ঝাণ্ডা হাতে একদিন দাঁড়াবেই দেশপ্রেমিকেরা ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৃন্ময় মিজান আমিও আশাবাদী হতে চাই কবির মত।...ধন্যবাদ।
প্রথমে আশা পোষন তারপর বাস্তবায়ন।আশার বাস্তবায়নে এখন আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমিকদের দলে নাম লেখাতে হবে।যুদ্ধ শুরু করতে হবে এখনই ।এই যুদ্ধ আপনাকে আমাকে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে।পরন্ত বেলায় পাঠক সঙ্গি পেয়ে ভালোই লাগছে।....আপনাকেও ধন্যবাদ।
আমাদের আশাগুলো শানিত তরবারি হয়ে উঠুক...আসন্ন যুদ্ধে বিজয়ী হোক সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা....
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মিশ্রিত শুভেচ্ছা আপনাকে।
নিলাঞ্জনা নীল শেষের দিকে এসে আশা টা ভালো লাগলো......
আমার “চেতনাহত মুক্তি”সাম্রাজ্যে বিচরন করা সর্বশেষ দর্শনার্থী আপনি ,কি দিয়ে যে আপনাকে আপ্যায়ন করি ঠিক ভেবে পাচ্ছিনা ! যাক দর্শনার্থীর দর্শন ভালো যে লেগেছে এতেই তৃপ্তির ঢেকুর তুললাম।আর দর্শনার্থীর প্রতি রইল গাছে হেলান দেয়া শুভেচ্ছা।
আহমেদ সাবের এত দিনের জমানো জঞ্জাল এক দিনে কি যাবে রে ভাই? চল্লিশ বছর ধরে প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে দালালদের আমরা সিন্দাবাদের দৈত্যের মত ঘাড়ে তুলেছি। ওরা কি অত সহজে নামবে? বেশ বলিষ্ঠ কবিতা। আপনার মত আমারও আশা - "মুক্তির ঝাণ্ডা হাতে একদিন দাঁড়াবেই দেশপ্রেমিকেরা"।
সাবের ভাই, দৈত্য তো পরাজিতই হয়েছে। সিন্দাবাদের ঘাড়ে চেঁপে আছে নাছোড়বান্দা ভূত।
আহমাদ মুকুল ভাইজান, দশ বছর সৌদি আরব ছিলাম। দৈত্যদের কর্মকাণ্ড নিজের চোখে দেখা। কোনদিন সুযোগ পেলে বলার আশা আছে।
নব্যজঞ্জালে দেশ আক্রান্ত !সীমান্ত হত্যা,অপসংস্কৃতি,হিন্দি দ্বাড়া মার্তৃভাষা আক্রান্ত,মাদক দ্বাড়াযুব সমাজ ধ্বংস,পানি আগ্রাসনের মাধ্যমে শস্য-শ্যামলা বাংলাকে মরুভূমিকরন আর অর্থনৈতিক শোষণের মাধ্যমে জাতিকে পরনীর্ভরশীলকরন ।এইতো কস্টে অর্জিত মার্তৃভূমির বর্তমান চিত্র ।কোনটা বেশী প্রয়োজন ?দেশ উন্নয়ন নাকি জাতি বিভক্তিকরন ?হত্যার বদলে হত্যা নাকি ক্ষমা ?পুরো জাতি এখন আমার ভাই-বোন,মা-বাবা । যদি হত্যাই সমাধান হয়ে থাকে তাহলে সবাই একদিন দেখতে পাবে এ জাতি নতুন শোষকের কাছে পরাধীন !কবিতার মর্মার্থ অন্তরস্হে জানাই সংগ্রামী অভিবাদন ।
মোঃ আক্তারুজ্জামান পাঠান সাহেবের বলিষ্ঠ ডাক সময় উপযোগী এবং যথার্থ.............. প্রত্যাশা পূরণ হোক এই কামনা করি।
প্রত্যাশা পূরণে সবাইকে সম্মিলিত কলম যুদ্ধ চালাতে হবে ।একা ছেড়ে দিলে প্রত্যাশা প্যারালাইজড হয়ে যাবে ।ধন্যবাদ মুল্যায়নের জন্য ।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম কিন্তু হায় মুক্তির সে স্বাদ আজ লুটোপুটি খাচ্ছে দুইটি অবোধ বালিকার চি---- কুত----কুত --- খেলা নিয়ে চুলোচুলির মধ্যে । কবিকে ধন্যবাদ তার আফসোসের জন্য । এই আফসোস কোটি হৃদয়ের । অথচ আমরা এমনই নির্বোধ যে সব কিছু জেনে, শুনে, বুঝে আবার সেই তাদেরকেই আমাদের অভিভাবকের আসনে বসাই । আপনার সাথে আমি ো আশাবিদী - যেদিন ভেসে যাবে দালালেরা, ভেসে যাবে শোষকেরা, মুক্তির ঝান্ডা নিয়ে একদিন দাড়াবেই দেশ প্রেমিকেরা । কবিকে আবরো ধন্যবাদ ।
মন্দের ভালোতো বেছে নিতে হবেই ।দেশবিরোধী কর্মকান্ডের বিরোধীতা করুন সাদা চোখে ।যে দল সমর্থকই হইনা কেন দেশবিরোধী এবং অন্যায়ের বিরোধীতা করতেই হবে ।ধন্যবাদ ।
সেলিনা ইসলাম দাঁড়াবে বাংলাদেশ, দাঁড়াতেই হবে একদিন / যেদিন ভেসে যাবে দালালেরা, ভেসে যাবে শোষকেরা / মুক্তির ঝাণ্ডা হাতে একদিন দাঁড়াবেই দেশপ্রেমিকেরা ।...সুত্য তুলে ধরেছেন কবিতায় ...খুব সুন্দর লিখেছেন শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
আপনাদের উৎসাহ আর প্রেরনাই হোক আমার পথ চলার নির্দেশক ।কবিতাটি ভালো লাগার জন্য শুভচ্ছা রইল পাশাপাশি শুভ কামনা ।
কস্ট করে মধ্যে রাত্রিতে দেওয়া শুভেচ্ছার জন্য আরো একবার ধন্যবাদ ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি Apnar kobita pore ......mpne pore gelo...'' sons akti mujibureri theke lokho mujiberi kontho ..........Roni'' pathan vai rokto gorom hoye gelo...apnar kobitar abohe........dhonnobad apnake...........
রক্ত গরম হলে হাই প্রেসারে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা থাকে ভাই ।যখনই গরম হবে রক্ত তখনই মাথায় অবশ্যই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ঢেলে দিবেন ।আপনাকে আমরা হারাতে চাই না ।এক মুজিবে এক দেশ ,লক্ষ মুজিব চাই না তাহলে লক্ষ দেশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।এক মুজিবেই সন্তুন্ট থাকেন ভাই ।কৃতিত্ব ভাগ করবেন না ।
Babul Vai ami Mujiber KONTHO ar kotha bolechhe......apnar konth sei dhoni prokasher kotha bolechhi. ...Mujib nijeo bolechhilen '' amar kombol ta koi....? '' jai hok abar suvechha rilo apnar jonno nirontor........
কম্বল গায়ে দিয়ে সেই চোরেরা কিন্তু দিব্বি আরামে আছে !
মামুন ম. আজিজ কিন্তু কবে?...সুরেলা কবিতাখানা্ বেশ
স্বাধীনতা যেমন দিন তারিখ ঠিক করে আসেনি তেমনি মুক্তির ঝান্ডা হাতে দেশপ্রেমিকেরাও ক্ষন ঠিক করে আসবে না ।দুঃখের পরেই সুখ,ভাটার পরেই জোয়ার,দিনের পরেই আলো ।সবুরে মেওয়া ফলে ।কবিতাখানায় এখনো সুর দেওয়া হয়নি এখানেও একটু অপেক্ষা করতে হবে ! শত হলেও আপনি আমার থানার বাসিন্দা ।
Abu Umar Saifullah সাবাশ! ভালো লাগলো
সংক্ষিপ্ত প্রশংসা কিন্তু গভীর ।ধন্যবাদ ।
ম্যারিনা নাসরিন সীমা আপনার কবিতায় স্বাধীনতার আগের কথা আছে স্বাধীন বাংলার দুর্দশার কথা আছে আবার ভবিষ্যতের সোনালি স্বপ্নের দিকনির্দেশনা আছে ! চমৎকার !
অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ তিনটি ধাপ দিয়ে কবিতাটি সাজানো হয়েছে ।আপনার অনুসন্ধিৎসু মনের প্রশংসা না করে পারছিনা ।আর সবকিছু খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার গুনটিতো সংরক্ষিত আছেই ! কি বলেন ঠিক বলিছি না? মাথায় জাতীয় পতাকা জরানো দেশপ্রেম শুভেচ্ছা রইল ।

০১ সেপ্টেম্বর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী