আমি নাগরিক পথ-ঘাঁট, বাসস্থান, ইট কাঠ পাথর পিচে নয় সাদা কালো, রঙিন কবিতা দিয়ে মুড়িয়ে দিতে চাই। যেখানে ঘরময় যৌথ পরিবার, যৌথ সুখ, যৌথ সমাচার যেখানে পচা মাংসের গন্ধে বুঝতে হয় না ‘পাশের ফ্ল্যাটে স্বামী কতৃক স্ত্রী খুন‘।
আমি সেই সময়কে ফিরিয়ে আনতে চাই, যেখানে- প্রতিবেশী বলে একটা সম্প্রদয় ছিল, মহল্লা, পাড়া নামক কিছু গোষ্ঠী ছিল।
আমি ভুল করেও আর দেখতে চাই না একটা পোস্টার, যার শিরোনাম -অমুক হত্যার বিচার চাই ! -অমুক শক্তি নিপাত যাক !
আমি সেই সব ‘দিন-আনে দিন-খায় নাগরিকদের দিকে, তাদের কালিমাখা ভাতের হাড়ি থেকে গরম সোঁদা গন্ধ নিয়ে যাব- নিয়ে যাব হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত অভিজাত নগরীর জরায়ু-কূপে।
খুব দুপুরে ছোট হয়ে আসা ফেরিওয়ালার ছায়ার মত, হাই তোলা- নেড়ি কুকুরের মত, স্কুল মাঠে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরী! চেন পড়ে যাওয়া- বিরক্ত রিক্সাওয়ালার মত, বিষম রোদে, চিটচিটে ঘাম-দুর্গন্ধময় বাস্তবতাকে শোনাবো- একটা প্রণয়ের কবিতা। মানবিক শহরের সব ডাস্টবিন গুলো- পরিপূর্ণ করে দিব ক্লান্তিহীন রঙের কিছু রঙ্গিন ফুল দিয়ে।
যে শহরে, স্ট্রীট ল্যাম্পের আলোই ভাগ্যাহত জনগোষ্ঠীর আব্রু ! যে শহরে, অহেতুক লাল-হলুদ-সবুজ বাতির আকস্মিক সংকেতে- হঠাৎ কেঁপে উঠে, একটি ঘুমন্ত শিশু! সে শহরকে- আমি খুব আয়োজন করে দিতে চাই- একটা “স্বাধীনতা পদক” দলিল করে দিয়ে যাব হার ভাঙা খাটুনি, ফুল বেচা শিশুর শৈশব !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।