সাদা স্বাধীনতা ও রক্তাক্ত সম্পর্ক

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

গুল্লা সানোয়ার
  • ৩২
  • 0
  • ২৮
১৯৩৭ সাল।শুধু মুলতান নয় আশেপাশের সবগুলো রাজ্যেই হাহাকার।যার হোতা এই ইংরেজজাতি।সাদা চামড়ার মানুষগুলো এমনই,মানুষকে কষ্ট দিয়ে মুখে মুখে সান্ত্বনা আওড়ায় আমাদের জিনিস সাতপাঁচ করে আমাদের বুঝায় ।পরের ধনে পোদ্দারি করার মজাই আলাদা তাই যদি না হবে তো মানুষ এমনটা করে কেন!না এইখানে আর বুঝি থাকা যায় না।খুব বিষিয়ে উঠলাম।ভেবেছিলাম সারাটা জীবন এই মুলতানেই কাটিয়ে দেব।তা আর হল না সব দিক থেকে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।আর তাবেদারি নয় এরচে ভাল নিজের বাবার জমি খুঁড়ে চাষবাস করে বাঁচি।এইসব দলিল দস্তাবেস,হিসেব,চিঠি আর ভাল না।এইসব অবাঞ্ছিত হ্যাপা কাটিয়ে উঠতে হয়রান হয়ে যাচ্ছিলাম।তাছাড়া নিজের বউ ফেলে অন্য রমণীর দিকে চোখ গিয়েছিলো,আমার অবশিষ্ট মান সম্মান গিন্নীর কাছে আর খোয়ানো সমীচীন মনে করিনা।
যদিও এতে আমার থেকে ওই লাস্যময়ী রমণীয় রমণীর দোষ বেশি।
কিছু একটা ঘটে গেলে এইসব দোষ গুণের দর কষাকষি খাটবে না।তখন আম ছালা নিয়ে টানা টানি করে কিছুই হবেনা।ময়মনসিংহে চলে যাব শুনে আমার বউ এতে বেঝায় খুশি।তাহলে ও কি আঁচ করেছে?কি জানি করা অস্বাভাবিক না যতটা অস্বাভাবিক আমার আচরণ যে কেউ বিষিয়ে উঠবার কথা।মানুষ হিসেবে যথেষ্ট খারাপ হলেও ভাল একটা ভাল খোলসের ভেতরে আবদ্ধ থাকাতে সমাজের চোখ থেকে অনেকটা দুরেই ছিলাম বলতে পারি।সভ্যতার চরম দিনে যখন মানুষের ভালোবাসাবাসি প্রেম পিরিতি হাতে গুনা যায়,মানুষ প্রেম করাকে পাপের কাতারে দাঁড় করাতো সামাজিক দোষে বিচার করতেও ছাড়ত না,তখনকার আমলে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।তাও এই সেই বিয়ে না আমার জীবনের সমস্ত কাঠখড় পুড়িয়ে বিয়ে করেছি। আবার এখন ঘাড়ে নতুন ভূত।মাঝে মাঝে নিজেকে তিরস্কার করতে দ্বিধা করিনা, আবার ভালোবাসার চেয়ে বড়,বুকের নড়ন চড়নের চেয়ে দামী একজীবনে কীইবা আছে!নিজেই যুক্তি গড়ি আবার ভাঙি।
এই বয়সে নিজের কপালে আর চুনকালি মাখতে চাইনা।এ ছাড়াও যথেষ্ট কারণগুলো একেক করে আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল।
তখন মুলতানের অধিকাংশ মানুষ নাখেয়ে ধুকছে এইসব দেখেও ভাল লাগেনা।
আমরা চলে আসব সব ফেলে এই কথা শুনে আজিজের মাথায় বাজ নয় পুরা আকাশই ভেঙে পড়লো।
আমাদের কোয়াটারের সামনেই একটা ঝুপড়িতে থাকে ওরা
পারিবারিক সদস্য বলতে গেলে আমাদের সমানে সমান বউ আর এক ছেলে।
ও সারাজীবন আমার পায়ের কাছেই বেঁচে থাকতে চায়।মুলতানের মায়া কাঁটাতে পারলেও আজিজ পাঠানের মায়া কাটিয়ে ফেলে আসতে পারলাম না ।তা ছাড়া ময়মনসিংহে আমাদের জমিজমা চাষ দেখাশোনা করবার লোকও দরকার এইসব ভেবে সব কিছু ইস্তফা দিয়ে চলে আসলাম।

আজিজ পাঠানের দুবেলা একমুঠো খেতে পারলে এই দেশে সরকার কে বা কারা সরকার হবে এই নিয়ে মাথা ব্যথা নেই।
এই দেশের সবুজে ও ঠিকই মাতৃত্বের মমতা খুঁজে পেল।একজন পাঠান মুজুর কীভাবে সাচ্চা একজন কৃষক বনে যায় তা এই প্রথম আমি নিজ চোখে বিশ্বাস করলাম।
ওর মন কতটুকু টানে জানি না,মুলতানের ডাগর ডাগর চোখ দুটো আমাকে ঠিকই মাঝে মাঝে নিষিদ্ধ ভাবনায় ঠেলে দিতে থাকলো।বুকের ভেতর এই আনচান ভালোবাসা কিনা ঠাহর করতে পারলাম না।ভালোবাসা হলে সেটা যে দোষের নয় এইসব সাতপাঁচ ভেবে নিজের দিকে একটা যুক্তিও দাঁড় করলাম।আবার ছেলের দিকে তাকিয়ে সেইসব যুক্তিতর্ক ভেঙে খানখান করে ফেলি।দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলি।মানুষের বৃদ্ধ হলে বা হবার প্রাক্কালে নাকি একবার ভীমরতি হয়,আমারও হল তাই।বুকের ভেতর উর্বর সেই সব শিহরণ বালিশচাপা দিয়ে রাখলাম।
নিজের কাঁচা পাকা চুলের দিকে তাকিয়ে ক্ষান্তই দিলাম।হাজার বিপত্তি না ভাল লাগা হাজারো অভিযোগের ভেতর নিজের দেশকে ভালোবাসাই বাঞ্ছনীয়।কিন্তু আমার মন মুলতানেই পড়ে থাকতো। সেই একজোড়া চোখ আমার ভাবনায় উথাল পাথাল ঢেউ খেলে যেত।মুলতানের আর্থিক মঙ্গা ছিল তাও ভাল, এখানে মানুষের ভালোবাসার মঙ্গায় চরমভাবেই বিষিয়ে উঠতে থাকলাম। ময়মনসিংহ তখন খুবই ছোট একটা শহর কিন্তু অতিষ্ঠটায় ভরপুর।রাজা রাজ্য প্রথা আমার গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা।
প্রতিবেশীদের কাছে নিজের দেশে অনেকটা পরবাসী হয়েই কাঁটাতে থাকলাম দিনকাল ।আজিজ পাঠানও
এইখানে লোক ভাল না,ওর অভিযোগ বলতে এই একটাই। বাঙলাভাষা অনেকটা শিখে ফেলেছে যদিও।
ভাষার গুরুত্বই সব?মানুষ মানুষকে আপন করে নিতে এতো কষ্ট কেন?ও অন্যজাতি এটা তো আর ওর দোষ নয়।ও অন্য একটা দেশে জন্ম নিয়েছে এটা কি খুব বড় অপরাধ?এই রকম কঠোর মনোভাব নিয়ে কোন জাতি কী বেড়ে উঠতে পারে! আমার জানা নেই।
একটা রিক্সার গ্যারেজ করে দিয়েছিলাম ওকে।ভালই চলতেছিল। বর্ষাকালে খেয়া বাইত।ওকে আমি একটা জায়গাতে খুব হিংসে করতাম ও ছিল সত্যিকারে একজন সত্যবাদী মানুষ। কিন্তু এইদেশে সে টিকতে পারলনা।আসলে টিকতে পারলো না কোথাও।হঠাৎ একরাতে বাড়ি ফিরল না। তিনদিন হাজার চেষ্টা চরিত্র করেও যখন থিতিয়ে উঠেছি তখনই চারদিকে লাশ লাশ রব।পাশের এলাকায় ডোবায় তার লাশ পাওয়া গেল।
প্রমান ছাড়া কাউকে তলফ করেও কিছু করতে পারলাম না।সব সময় আমার মনে হতে থাকলো আজিজ পাঠানের মতো আমিও এক বিদেশী এই দেশে অথচ এই নাকি আমার চৌদ্দ পুরুষের দেশ।
সেই শোকে তার বউটাও বেশি দিন বাঁচল না।
ছেলেটাকে নিজের ছেলে করে নিলাম স্কুলে যেতে থাকলো।বয়সে আমার ছেলের চেয়ে ছোট হলেও ও শক্তি সাহসে আমার ছেলের চেয়ে কয়েক হাজার গুণ।পাড়ার ছেলে পুলেরা ওর ভয়ে থিতিয়ে থাকতো, ও কাউকেই পরোয়া করতে জানে না।আমিও খুব ভালবাসতাম জহরকে।একবার ডিপুটির জরুরী তলবে আমাকে কলকাতায় প্রয়োজন পরে তিন মাস পর ফিরে এসে দেখি জহর পুরোটাই বদলে গেছে।নায়েবের লোক লোভ দেখিয়ে তার উঠন্ত বয়সের দুরন্তপণাকে দস্যিপনা করে করে ফয়দা লুটছে এতো দিনে ।কী এমন বয়স ওর খুব হলে ১৪ ।
আমিও পিড়াপীড়ি করলাম না বড্ড অভিমান হল আমার। ও চলে গলো। শুনলাম একবছর পর বিয়েও করলো।বাজারের দক্ষিণ দিকটাতে থাকতো নায়েবে তাবেদারি করতো।
এদিকে ইংরেজরা চলে গেলে দেশ ভাগের কথাও গুঞ্জনে গুঞ্জনে ভেসে বেড়াতে থাকলো।
যদিও আমি অনেকটা মিইয়ে গেছি তবে এই কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না জহরকে দূরে কোথাও অপারেশনে পাঠিয়ে ওর বউকে গুম করেছে নায়েব।খারাপ খায়েশ মিটিয়েছে।জহর পাখা ভাঙা পাখির মত ছটফট করছিল।শুনতে পেলাম ওর বউয়ের বাচ্চা হবে।সত্যি বলতে কি আমি আমি সাহসে শক্তিতে নায়েবের সাথে পেরে উঠবার দুঃসাহস করতে পারি এমনটা আমার সংগতি ছিলনা ।
জহরের প্রাণনাশেরও বড় একটা সম্ভাবনা আমি নিজেও জানতাম ব্যাপারটা।যে আমি জহরকে নিয়ে আসলাম সেই আমাকেই আবার এই দেশ থেকে চলে যাবার কথা বাতলে দিতে হল।

দেশও ভাগ হয়ে গেল। একজন পাকিস্থানি পাঠানকে মনে রেখে কাদবার কে আছে!একদিন হঠাৎ করে মাস কয়েক পরে ওর বউ ফিরে এলো।যার বউ সেই তো নেই।মানুষগুলো নীরবে নাটকের অংকগুলো দেখতে থাকলো।যেসমাজ অন্ধকারে চুনকালি মাখায় সেই সমাজ আলোতে চুনকালিকে সমাজশূলে না চড়িয়ে ক্ষান্ত হয়না।কদিন আমাদের বাড়িতেই ছিল লোকের তুপাতুপিতে অসহ্য হয়ে সেও একদিন কোথায় যেন চলে যায়,কেউ কেউ বলতে ছিল বেদে নৌকায় চলে গেছে।
আবার দেশ ভাগাভাগী রব উঠলো চারকিক।
৭১ সালের তাণ্ডবে আমাদের রাজবাড়ি এলাকাটা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হল।বড় বড় মাথাগুলোই কাঁটা পড়লো।আবার দেশ ভাগ আবার হাহাকার আবার মানুষে মানুষে হেঁচড়া হেচড়ি।
পাক হানাদার বাহিনী বেশ শক্তভাবেই ঘাঁটি করে বসলো।এইদেশের রাজনিতিকদের উপর অতিষ্ঠ হয়ে রাজাকার হয়ে গেলাম।চারদিকের হুল্লুর আর আমার পরিবার পরিজনদের বাঁচাতে এটাই ছিল আমার মোক্ষম রাস্তা।
ওরা যেন যুদ্ধ করেতে আসেনি মা বোনদের ইজ্জতের হুলি খেলতে এইদেশে এসেছে। আমার একমাত্র মেয়ের কথা মনে করে আমি বারবার শিহরিত হয়ে যেতে থাকলাম যেন। আসলে আমি নিজে একজন সৎ মানুষ হয়তো বা ছিলাম না,নয়তো নিজের মেয়েকে বাঁচাতে এরচে সহজ কোন পথও আমার জানা ছিলনা।
নাসরিন একদিন কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে এসে প্রলাপ করতে করতে বলল চাচাজান আমার মেয়েকে বাঁচান। মোল্লা আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে।সেই নাসরিন জহরের স্ত্রী আবার পচিশ বছর পর সেই একই নাটকের আরেক অংক যেন আমার সামনে।যুদ্ধের জলন্ত আগুন দেখে আমার মনে ভেতর আগুনের স্তুপ খা খা করলেও সে আগুন তরলই থেকে গেলো কাউকেই পোড়াতে পারলাম না।
অন্তত নিজেকে যদি একটু পুড়িয়ে মানুষ করতে পারতাম তাও কম পাওয়া ছিলনা আমার জন্য।
খুব সাহস করে মেজরের সাথে দেখা করতে গেলাম যদিও তার সাথে আমার দেখা হয়নি সে নাকি কোন বাঙালির সাথে দেখা করে না।অনেক পিড়াপীড়ির পর দুপুর পর তার কুঠিতে এসেই নাসরিনের মেয়ের নাম খুঁজে খুঁজে নদীকে খুঁজে পেলাম।মেয়েটা আমাকে দেখেও ভয়ে কুঁকড়ে কাঁদতে থাকলো
আর আমি দূর থেকেই শুনতে ছিলাম ও বলতে ছিল ওর বাবা পাকিস্থানি। আমাকে ছেড়ে দিন বলে বলে কাঁদতে ছিল।।আমার মনে ভেতর ক্রমশই আমি ভেঙে যাচ্ছিলাম।অনেক আগেই আমার এই ভেঙেপড়া দরকার ছিল।
অন্তত একটা ভাল কাজ তো জীবনে করি এর জন্য আমার মৃত্যু হলে হোক আমি যতটা শুনেছিলাম ততটা খারাপ লোক মেজরকে মনে হল না তার চোখে মুখে অনেকটা সদয় ভাব দেখলাম কী জানি আমি তো তাদেরই লোক সেই ভেবে হয়তো বা।কিন্তু আমি জানি আমি আর এদের সাথে নেই,যুদ্ধে যাব ভাবছি। মনের ভেতর অমানুষিক মন ভেঙে গেছে।
মেজরকে বললাম যে মেয়েটা গত রাতে ধরে এনেছে ও বড় অসহায় ওর রক্তে পাকিস্থানি রক্তই বইছে।আপনি মেয়েটাকে দয়া করুন।আমার জীবনে এতো নত কখন হয়েছি বলে মনে পড়েনা।মেজর যন্ত্রচালিতের মত দাঁড়িয়ে আমার হাত ধরেই বলল চাচাজান ও কে কোথায়?
আমাকে চিনতে পাড়ছেন না আমি জহর।ছোট কামরাটার ভেতর পৃথিবীর সমস্ত নীরবতা যেন সময়কে জমাট বাঁধিয়ে দিল।আমিও যেন কেমন হয়ে গেলাম নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না।হ্যাঁ সেই সাহসী ছেলেটাই পাকিস্থানে ফিরে যেয়ে অসীম সাহস শক্তি বুদ্ধি বলে আজ সে আবার এইদেশে মেজর হয়ে ফিরে এসেছে।আমি আবার নতুন করে চিনলাম সেই জহর পাঠানকে।এমনটাও কী হয়!আমার সমস্ত শরীর জমাট বেঁধে আছে যেন।
আমরা দুজনেই দৌড়ে অদূরের ব্যারাকে নদীকে পেলাম।
আমি পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম যেন ভাবতে পারছিনা কিছুই এই ভেবে বাবার হাতে মেয়ের ইজ্জতের খুন কখনও কেউ কোনোদিন ভাবতে পারবে বলেও আমার মনে হয়না।সেটা ওরাই হয়তো ভাল জানে,কার কতটুকু পাপ ছুঁয়ে গেছে।আমি কেন রাজাকার হলাম এই অপরাধে জহর আমাকে একটা গুলি করে দিলে কি সব শেষ হয়ে যাবে?আমার যাবতীয় জীবনের পাপ কি মুছে যাবে।হায় বড় দেরি হয়ে গেছে ভাল হয়েও ভাল হতে পারলাম না !নিজেকে কোথাও হয়তো লুকাতে চাচ্ছিলাম আমি।আমি যেন ঝাপসা চোখে দেখতেছিলাম ছাদটা আমার মাথায় পড়ছে। না পড়েনি। মাটিও ফাটে নি,যেখানে আমি নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে পারি।

এখনও সেই যুবক আমি আর আমার চারপাশের সেই বেহিসেবী যৌবনের কথা মনে পড়ে।এই বুড়ো সময়ে আমার সেইসব থেকে আর কিছুই চাওয়ার নেই।
আমার মত একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার নতুন করে কীইবা পাবার আছে!যা আমার চাইবার,চাইও না আর।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
প্রজাপতি মন ভাল লাগলো অনেক.
গুল্লা সানোয়ার dhonnobad sobaike ntun bosorer suvessa !!
রোদের ছায়া লেখার ভঙ্গিটা বেশ ভালো লাগলো......আরো ভালো লেখা পাব এই আশা রাখছি.
মোঃ আক্তারুজ্জামান ১৯৩৭ থেকে ১৯৭১ দীর্ঘ সময়টাকে অল্পকথায় সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন| খুব ভালো লাগলো|
গুল্লা সানোয়ার ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ভালবাসা নেন !
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি একজন মুক্তি যোদ্ধার এরচে বলার আর কি থাকতে পারে। তবে আমাদেরও তো তাদের জন্য অনেক কিছু করার আছে এটা আমরা বরাবর ভুলে থাকতে চাই। মুক্তি যোদ্ধাকে স্যালুট জানাই। ভালো লাগলো আপনার লেখা...ধন্যবাদ আপনাকে।
আহমেদ সাবের বিশাল সময় এবং ভৌগলিক ক্যানভাসে আঁকা চমৎকার একটা চিত্র। এ ধরনের গল্পের শেষ সব চরিত্রগুলোকে মেলানো বেশ কষ্টের হলেও এ গল্পটা সে দিক দিয়ে উতরে গেছে। ভাষার কারুকাজ নান্দনিক। গল্পকারের আরও গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।
গুল্লা সানোয়ার ধন্যবাদ তানভীর আহমেদ। ও সকলকেই ধ্যনবাদসহ ভালোবাসা দিলাম।আপনার মন্তব্যে খুবই উৎসাহিত হলুম।আপনাদের লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।ব্যস্ততায় তেমন পড়া হয়ে উঠে না চেষ্টা করি !!
তানভীর আহমেদ আপনার লেখাটা পড়ে দ্রুত একবার আপনার বয়স দেখে নিলাম। তারপর হতভম্ব হতে হলো। সাহিত্যিক ভাষায় যে খুবই উচ্চাঙ্গের ভাষা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন তা বলব না। তবে ভাষাগতক্ষেত্রে যতটুকু দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তা অনেককে খুব সহজেই ছাপিয়ে যাবে অনায়াসে। এবার আসি বাকি প্রসঙ্গে। দীর্ঘ সময়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে এক বড় জটিল গল্প। কাহিনীর আঙ্গিকগত বিন্যাস, ঘটনার পটভূমিগত বৈশিষ্ট্য এবং সর্বপরি মনোবিশ্লেষণের অপূর্ব ভঙ্গিমাটি অসাধারণ। গল্পটিকে সাহসী উচ্চারণ না বললে মনের ভাব লুকোনো হবে। অনেকটাই স্রোতের বিপরীতে লেখা। যদিও মূলস্রোতে গল্পটি স্থানান্তরিত হয়েছে। তারপরেও এই ধরণের লেখা অনেকেই লিখতে সাহসী হবে না। আবারও বলছি বড় জটিল এবং সাহসী লেখা। আপনাকে পাঠক হিসেবে তেমন একটা দেখা যায় না। আশা করি পাঠক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে কার্পণ্য করবেন না। অজস্র শুভকামনা আপনাকে।

০৬ আগষ্ট - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪