এক.
ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাবার মত প্রবাদ উৎরানো কোন স্বপ্ন নিয়ে তার বসবাস নয়, এভারেস্ট চুড়ায় ধ্বাজা ধরে বিজয়ীনীর বেশে অধোরে সুস্মিত ঝর্ণা প্রবাহে সূর্যের ঝলক পড়বে এমনতর কোন বাসনায় ডুবে দিনের সাগরে কাল পরিক্রম করে না সে নারী, তবুও আজন্ম যে সরল অভিলাষ খানা তার হৃদয়ে প্রভাত আর সাঁঝে উদয় অস্ত হয়ে খেলা করে নিয়ত তা কি পূরণ হবার নয়!
এমনই অপূর্ণ ভীতি নিয়ে দিন রাত বসবাস একাকী এই ছোট ঘরে শ্রাবন্তীর। লেখাপড়ায় সে বেশ ভালেই তবুও আজকাল মন বসে না। সে একখানা আপন পরিবার চায়, সংসার চায়, আপন বলার মত অনেকগুলো সম্পর্ক চায়। সেই ছোট বেলায় বুঝে ওঠার শুরুতেই মা মা করে মনের মাঝে হাহাকার ঢেউ হয়েছিল। তারপর কোন একদিন আরেকটু বড় হলে খুঁজেছিল বাবাকেও। কাউকে পায়নি। পেয়েছিল কেবল এই ছোট্ট ঘরে আরও দু’জন অনাথ। তারই মত, তারই বয়সী, একজন সালমা আর অন্যজন রাহেলা। তারার তিনজন এক পরিবার হয়ে উঠেছিল, একে অন্যের বড্ড আপন। মা বাবার অপূর্নতা একটি অদৃশ্য থলিতে কখন তারা বন্দী করে ফেলেছিল, তারা নিজেদের এক পারিবারিক বন্ধনে জড়িয়েছিল, এতিম খানার নানান দুর্দশা ক্ষণে, ক্ষুধার্ত প্রাণে যাতনাগুলোও তারা ভাগাভাগি করে নিতে শিখে ফেলেছিলো। ভাগাভাগি করে নিয়েছিল প্রতিটি সুখের ক্ষনও হৃদয়ে হৃদয় মিলিয়ে।
তবুও অমাবশ্যার আঁধারে গহিন একাকীত্বে মিশে যেত যখন মন, নীহারিকার মত মন আকশে একটি পরিবারের আকাঙ্খার ছায়া ছায়া রূপ ধরা দিত। তারা গোপনে একে অন্য হতে আড়াল করে চোখের জল ফেলত আর কোন একদিন কোন এক পরিবারে মিশে যাবে, কারও বউ হবে, কারও পুত্রবধূ, কারও চাচী, কারও ভাবী...কত কত সম্পর্কের সূতোয় প্যাঁচিয়ে যাবে জীবন-সেইরূপ স্বপ্ন মাঝে বিভোর হতো। সে প্যাঁচ খুলতে খুলতেই কেটে যাবে কত কাল, কত সুখের পায়রা গুলো আটকে যাবে সূতোর প্যাঁচে। তাদের চোখের সামনেই এমিখানা হতে কত মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলো।
একদিন শ্রাবন্তীও দেখলো তার চোখের সামনে বিয়ে হয়ে গেলো প্রথমে রাহেলার , তার এক মাস পরেই সালমারও। তারা মাঝে মাঝে আসে, তাদের সেই কৃষ্ণগহ্বর ঠোঁটে এখন সুখের মহাবিশ্ব। গায়ে গতরে বেড়েছেও খানিক। হিংসে হয়েছিল শ্রাবন্তীর, সে সুখের হিংসে, সে স্বপ্নে বিভোর হবার হিংসে, সে নিজের জন্য একটি অনুরূপ পরিবারে আবদ্ধিত হবার অপেক্ষার হিংসে। সে হিংসে সপ্ত রঙে বর্ণিল। সে হিংসে চোখে নির্দোষ বারিপাতও ঘটায়।
তারপর বহুদিনের দুজন সঙ্গী স্বামীদের হাত ধরে চলে যাবার পর নিঃসঙ্গতা দেহের অলিগলি দিয়ে টর্নেডোর মত মুহূর্তে ঢুকে তছনছ করে দেয় সকল ভাবনা, সুখ স্বপ্ন, পরিবারের সাধ। অপেক্ষা বড় দীর্ঘ নদীর স্রোত মনে হয় শ্রাবন্তীর কাছে।
দুই.
আমানের চেহারাতেই একটা বলিষ্ট ভাব ছিল, যেন আগুনে পোড়া লোহা, নিরুত্তাপ এখন কিন্তু সেখানে দৃঢ়তা স্পষ্ট। সুপুরুষের যে চিত্র মনে মনে দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে এঁকেছিল শ্রাবন্তী, তার সাথে মিলিয়ে নেয়াটা খুব সহজ হয়ে গেলো প্রথম দেখাতেই। আমানেরও শ্রাবন্তীর লম্বাটে চিবুকের দুটো তিল, নতুন ওঠা গোলআলুর মত রূপসী চাপা বর্ণ আর টানা টানা চোখে স্বপ্নের ঢেউ দেখে ভালো লেগে গেলো। এতিম খানার কর্তৃপক্ষ আমানের চাকুরীটিকেও প্রাধান্য দিলো। কোম্পানীটি দেশের উপরের সারির দিকেই আসন নিয়ে টিকে আছে, সেখানে জুনিয়র একাউন্টটেন্ট হিসেব বছর দুয়েক হয়েছে কাজ করছে। বেতন যা পায় দুজনার সংসার বেশ চলবে। কর্তৃপক্ষ পারলে সেদিনই বিয়ে দিয়ে এক এতিমের দায়িত্ব হতে মুক্তি নেয়। আমান একদিন দেরী করতে চাইলো। সাথে কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসবে জানালো।সেভাবেই ঠিক হলো সব।
সেই সকাল পেরোনোর আগেই শ্রাবন্তী স্বপ্ন পূরণের স্বপ্নে নিকট ভবিষ্যত ভাবনায় ডুবে গেলো। একবার মনে হলো আমান ছেলেটির সাথে একদিন পরেই তার বিয়ে, কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসায় সে মিষ্টি হেসে নির্লজ্জের মত একবাক্যে সম্মতি দিয়ে দিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে একবার তার সাথে কথা কি বলা যেত না? সেই বা কেমন, একটা মেয়েকে, একটা অনাথ, অচেনা, একটু কি কিছু জানার কিছু জিজ্ঞাসার ছিল না। কি জানি? আমানকে মন তো ভাল বলেছে। মনের উপর নির্ভর করেই তো টিকে আছে। তবুও মন কত কিছুই ভাবে মানুষের। কেনো ভাবে! কী দরকার! কত স্বপ্নের অভিলাষ পুর্নতায় সে বদলাতে যাচ্ছে, একটি পরিবার হবে তারও, এইতো আর মাত্র একটি দিন পর, মাত্র একদিন। সে মনে মনে কত কিছু ভেবে রেখেছে, সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত খুশি হওয়া যাবে না। অন্য মেয়েরা কী ভাববে, সে তো এখন সবার সিনিয়র বলতে গেলে এখানে। সে মুখকে গোমড়া করার চেষ্টা চালায়। মনের চোখে মুখে তবুও হাসি ঝরে, ঝরতেই থাকে। খালি ভাবতে থাকে, একটি পরিবার, অনেক আপন জন, আর মাত্র একটি দিন।
তিন.
সব অনুষ্ঠান ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলো। এতিমখানার কর্তৃপক্ষ এরমধ্যে আমানের অফিসে এবং প্রদত্ত ঠিকানায় গিয়ে যাচাই করে নিয়েছিল। সেটা শ্রাবন্তী জানে। জেনেছে অফিসে আমানের গুনকীর্তনে মুখরিত হয়েছে সেখানের লোকজন। সেই বিষয়টা গর্ব হয়ে মনে একটা আলাদা সাগর তীর গড়ে ঢেউয়ের খেলায় মত্ত হয়েছিল।
তবুও এতদিনের এতিমখানার দিকে শেষবার তাকিয়ে এক ফোঁটা চোখের জল বিগত সকল নারীর মত সেও না ফেলে পারে নি। এই তো সহজাত নারী রূপ। এইতো বিদায়ের রূপ। এক পরিবার ছেড়ে অন্য পরিবারে যাওয়ার সময চিরায়ত বাঙালী নারীর চিত্র। আজ সত্যি মনে হয় এতিমখানাও তার এক পরিবারই ছিল বটে। এক বিশাল পরিবার। তার জন্য কত গুলো মেয়ে চোখে জল ঝরাচ্ছে। তারা ছুটে এসে তার হাত ধরে বিদায় জানাচ্ছে। একটা কষ্টও হচ্ছিল। দ্রুত উঠে গেলো আমানের সাথে তার আনা ফুল সাজানো গাড়ীতে।
ঘন্টাখানেকের মধ্যে আমান আমানের বন্ধুরা পৌঁছে গেলো শ্রাবন্তীকে নিয়ে আমানের ছোট ফ্ল্যাট, অফিস থেকে পাওয়া। আগোছালো ছাপ কিন্ত ছিমছাম। প্রশম দর্শনেই ভালো লাগল শ্রাবন্তীর। খুব বেশি কিছু নেই, তার মানেই হলো নিজের মত করে সাজানো সহজ হবে। স্বপ্নকে বাস্তবে নামিয়ে আনা সহজ হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটিও কথা হয়নি তার তার স্বামীর সাথে। শুধু আমান একটি বার এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তুমি খুশি তো?’ সে কেবল অবোধের মত মাথা নেড়েছিল।
আমানের দু বন্ধু স্ব স্ত্রীক এসেছিল। তারা গোলাপ আর গাঁদা ফুলে সরল ভাবে সাজানো বিছানায় বসিয়ে দিয়েছিল শ্রাবন্তীকে। কানে কানে কিছু অভিজ্ঞতার কথাও শুনিয়ে দিয়ে গেলো। সকলের ব্যবহারে তার মত এক অনাথ মেয়ে যারপরনাই খুশি হবে সেটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিক ঘটনাই ঘটল।
তারপর অনেকটা সময় কেটে গেছে। বন্ধু আর বন্ধু পত্নিরা চলে গেছে। সন্ধ্যার কাল পেরিয়ে কাল ঢুকে গেছে তমসার জঠরে। আমানও মেইন দরজা আটকে দিয়ে এসে নব বধূর সাথে সহজ হতে বিছানায় গিয়ে পাশে বসেছিল।
শ্রাবন্তী এই প্রথম ব্যাপক লজ্জায় কুঁকড়ে যেতে লাগল। সে হারিয়ে যেতো লাগল নিজের মাঝে। তবুও একটা শক্ত হাত তার হাতটা খুঁজে নিয়ে লুকিয়েছিল হাতের মুঠোয়।
... সে কাঁদবে না হাসবে বুঝতে পারছিল না। বিয়ের শুরু হতে কিছুটা অবাক হচ্ছিল বটে। কিন্তু নিজের মত করে সেসব অসঙ্গতি ভেবে নিচ্ছিল। ভেবে নিচ্ছিল আমানের ঢাকায় হয়তো কেউ থাকে না। কিন্তু বিয়েতেও এত তাড়াহুড়া কেনো, তাও ভেবে নিচ্ছিল এমন কোন কারণ যা তার জানা নেই হয়তো। কিন্তু আমানের হাতের মুঠোয় নিজের কোমল হাতখানি রেখে আমানের বলিষ্ট কণ্ঠে যখন সেই সব উত্তর সব পেয়ে গেলো তখন সে ভীষণ ব্যথিত হবার সুযোগ খোঁজার পায়তারা অবস্থায় আবিষ্কার করলো আপন মনকে। চোখের জলের বাঁধ সে রুখতে পারলো না।
সে বুঝে উঠতে পারল না, এমন ভালো একজন স্বামীতো সে পেলো কিন্তু অনেক সম্পর্কের বুনটে গড়া তার সেই কাঙ্খিত পরিবার! নিজের ভাগ্যের প্রতি একসাথে আনন্ত এবং উপসাস দুটোই সে অনুভব করলো। একজন প্রেমময়ী স্বামীর রূপে যেন আমান, অন্যদিকে আমান নিজেও তার চেযে যেন বড্ড বেশি নিঃস্ব, বড্ড বেশি অনাথ। তার মায়া না হয়ে কি উপায়! তার নিজের তো কোন জন্ম পরিচয় নেই আর আমানের সব আছে, সব ছিল, তবুও আসলে কেউ নেই।
চার.
আমান তাকে সব বলে গেলো যতটা দ্রুত বলা সম্ভব এই বাসর রাতের উজ্জ্বল প্রহরগুলো বিনষ্ট না করে। সে জানাল, তার জন্মের সময় মা মারা গিয়েছিলেন। সে ছিল বাবা মার একটু বেশি বয়সের সন্তান। বড় দুই ভাই আর দুই বোনের সবার ছোট যে বোন তার সাথেই তার বয়সের পার্থক্য ১৩ বছর। সেই ভাইবোরা তার জন্ম মেনে নিতে পারে নি। কোনদিন তাকে ছোট হিসেবে তারা কোন আদর ¯েœহ করেনি। ভাবখানা এমনই ছিল যেন এই আমানের জন্যই কেবল তারা মাতৃহারা হয়েছে। সব দোষ যেন ছোট সেই শিশু আমানের একার। কাজের লোকের কাছে মানুষ হয়েছে। ভাবীরাও দূর দূর করেছে। কিন্তু বাবা সদা পাশে ছিলেন। বাবার কারণেই অনার্স পড়তে পেরিছিল। বাবা তাকে ঢাকায় পড়তে পাঠিয়েছিল। সেটাই আরও কাল হয়েছিল। বড় ভাইদুটো অত শিক্ষিত ছিল না। একজন মেট্রিক পাস আরেকজন মেট্রিক ফেল। গ্রামে ব্যবসা পাতি ছিল তাদের ভালোই। কিন্তু ছোট ভাই শহরে পড়ছে, তার পেছনে বাবা খরচ করছে এসব তাদের সহ্য হতো না।
এদিকে বৃদ্ধ বাবাও তখন বেশ অসুস্থ। বাবা দ্বিতীয়বারের মত হার্ট এট্যাক করলেন। আমানের বড় দুইভাই ঢাকায় নিয়ে আসলো বাবাকে। ফন্দীটা তারা তখনই করেছিল নাকি আরও আগের সে আমান জানতে পারেনি। কিন্তু ফন্দীটা কাজে লেগেছিল তাদের। হার্টের ওপারেশন করতে হবে এমন বুঝিয়ে বাবাকে ওপারেশনের কাগজে সই করানোর নামে সব জমি জমা দুই ভাই আরবোন নিজেদের নামে লিখে নিয়েছিল। তারপর বাবাকে বলেছিল, ওপারেশন এই বয়সে করা ঠিক হবে না জানিয়েছে ডাক্তাররা’, তাই বাবাকে গ্রামে ফেরত আনলো।
ঘটনা জানাজানি হলো পরের মাসেই যখন বাবা আমানের জন্য টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বললেন তখন। ভাইয়েরা স্পষ্ট বলে দিলো টাকা তারা পাঠাবে না। বাবা বললেন, ‘আমার টাকা আমি পাঠাবো তোমরা মানা করার কে?’। দু ভাই আর তাদের দুই বোন জামাই ছুটে এলো, তারা হাসলো। বাবার কাছে আসল ধোঁকা ফাঁস হলো। তিনি তখন আমানকে ডেকে পাঠালেন। বুঝতে পেরেছিলেন সময় ঘনিয়ে এসেছে।
আমানের হাত ধরে অনেক কাঁদলেন, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে বলে গেলেন, ‘বাবা আমান, আমি তোমার গুনাহগার, আমার সম্পত্তির কিছুই তোরে দিয়া যাইতে পারলাম না, তোর ভাইয়েরা সব ধোঁকা দিয়া লিখা নিছে, আমারে তুই ক্ষমা করিস ,তবে মনে রাখবি আমি তোরে শিক্ষা দিসি যা তোর অন্য ভাই বোনেদের দিবার পারি নাই, আমার বিশ্বাস তুই এই শিক্ষার মান রাখবি, তোর এই ভাইগোর পরিবার দরকার নাই, শিক্ষাই তোর পরিবার...’
বাবা মারা যাবার পর মুহূর্ত থেকে আমানও অনাথ। সেই যে বাবাকে কবর দিয়ে ঘর ছাড়ল, ঢাকায় চলে এলা আজও পর্যন্ত ওমুখো হয়নি সে আর। তিন মাস পরেই অনার্স ফাইনাল শেষ হলো তার। বেশ কষ্ট হয়েছিল সে সময়, টিউশনি করে চলতে হতো। তারপর চাকুরী বদছে বেশ কয়েকটা। মনে মনে পরিবার জিনিসটা প্রতি সেই কষ্টের দিনগুলোতে একটা বিদ্বেষ তৈরী হয়েছিল।
বাসর রাতে সেই হাত ধরা অবস্থায় শ্রাবন্তীকে সে অকপট মনে জানাতে ভোলে নি-পরিবার কেন্দ্রিক সেই সব বিদ্বেষই তাকে পরিবারহীন অনাথ শ্রাবন্তীকে বিয়ে করার
মানসিকতায় টেনে নিয়েছে। সে চেয়েছে তার মত তার স্ত্রীরও কেউ রবে না। তারা দু’জন মিলে হিংসে বিদ্বেষ , অর্থ লোলুপতা বিহীন এক সুখি পরিবার গড়বে।
শ্রাবন্তীর চোখটা মুঝিয়ে হাতখানা আরেকটু নামিয়ে চিবুকের তিলে হাত বুলাতে বুলাতে আমান বললো, ‘শ্রাবন্তী , কেঁদো না, দেখো আমি বুঝতে পারছি, তুমি একটা পরিবার চেয়েছিলে, হয়তো তেমন পরিবার আমি তোমাকে দিতে পারলাম না, কিন্ত আমার বাবার শেষ কথাটা আমি ভুলিনি আজও, তোমাকে আমি আরও লেখাপড়া করাতে চাই, আমি চাই তুমি আমি আর আমাদের শিক্ষা মিলে আমাদের আপন পরিবার হবে, আমরা লোভ মুক্ত হবো...’
শ্রাবন্তী চোখ তুলে তাকালো আমানের দিকে তারপর মিষ্টি, খুব মিষ্টি একটা হাসি সুন্দর ঠোঁটটাতে ধারণ করে আমানের হাতখানা টেনে নিলো বুকের কাছে। তার কাছে মনে হলো তার স্বপ্নের পরিবার, সর্ব সুখের সংসার সে পেয়ে গেছে আমানের ভালবাসায়।