সে ছিল যাযাবর লিপ্সায় নিমগ্ন, আকাশে দলছুট পীতবর্ণ হাস যেমন ; নক্ষত্রের বহু তলে পয়োধির কোল ঘেঁষে অদেখা আলোক রশ্মির ক্রমাগত চুম্বন, সে ছিল সিএফসি গ্যাসের মৃত্যুজাল মুক্ত সজীব কচি, গর্বহীন অথচ গর্বের কুহেলিকা টান, গর্ভচ্যুত অথচ গর্ভজাত নিষ্পাপ ।
সে এই তো এই মন সেই কোন অনম্র প্রারম্ভে।
সময়টা ফিরে ফিরে আসে এমন ভাবনা ছিল মনের ভ্রান্তি। সময়ের আসা যাওয়া নেই, কেবল স্থিতি তার শুরু থেকে শেষ। মন মিশে গেলো যেমন মিশে থাকে সাগরে আকাশের ছাপ; নোনা মেশা সংসার জলে ধীরে ধীরে মন এক দ্রাব্য লবন।
বিভীষিকা অতটা হণ্যে হয়েও পাবে না ঘন অরণ্যে, যতটা সভ্য পথে। রোজ সকালটা বিকেল হবে কি আদৌ সে ভাবনায় কাটে অমুল্য বেলা; ভাবতে ভাবতেই মনটা সমস্যার এক মৃত তারায় আটকে যায়, কাকচোখঘন কালবেলা হয়ে ওঠে প্রতিটি দিন - প্রতিটি রাত , কখন নির্দিষ্ট সীমায় বন্দী অচেনা, অনির্দিষ্ট এবং অফুরন্ত শংকা।
মিথ্যের বেসাতি রঙ্গ হাটে , আর রঙ্গহাট আজকাল সকল পথে; সারাদিন সহ্যসীমার বহিঃপ্রাচীর দিয়ে হেঁটে হেঁটেও বেঁচে থাকার স্বার্থকতা নিয়ে প্রেয়সির কোমল বুকে আরেক রঙ্গ লীলা- এটা নির্ভেজাল; আইন কানুনের বেশ্যা লোলুপ বিভ্রান্তি নেই, ক্ষমতা আর বিত্ত নিয়ে পৃথিবীর গুহ্যদ্বারে বক্র বাশ চালনা নেই তবে মনের সুললিত সুখ কখনও আর রৈখিক ও নিছিদ্র হয়না- ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস ঢুকে পড়ে কদাচিৎ যখন পূর্বাভাসে থাকে ঘাটতি ।
ঝড় থেমে যায়, ঝড় আসে, মন কেঁদে ওঠে, মন হাসে বদলে যায় সকালের রোদের মত বিকেলের পারপার্শ্বিকতাও; অথচ স্বার্থবাদের জয় হয়, মিথ্যের হাসি উলঙ্গ জোনাকির মত জ্বলে ক্রমাগত, সভ্য চোখগুলো অনুজীব হয়ে কিলবিল করে ধর্ষিতার রক্তাক্ত যোণীমুখে।
যাযাবর মন আজ সহম বিবর্জিত, গর্ভজাত নিষ্পাপতা বড্ড দূর্বলতা হয়ে ওঠে বলেই মনের দেয়ালে সীবনের চিহ্ণ। জোড়াতালি আর কত? অথচ বেঁচে থাকার চেয়ে বড় ব্লাক হোল আর কিছূ কি আছে? বেঁচে থাকা চাই, প্রতিটা ক্ষণে-পদে যা ঘটে তা অংকের বাইরেই হোক, তবুও।
ছোট কোমল হাত যখন ভিখারীর হাত হয়ে সামনে এসে ঝুকে যায় মানুষ হয়েও মানুষ হবার জন্য মনটা ক্ষণিক লজ্জিত হয়, কারও কারও হাত যে উঠেই যাচ্ছে আকাশ ছেড়েও নক্ষত্র সীমায়।
মামুন ম. আজিজ
সুমির মন্তব্য পড়ে মনে হয় , গদ্য কবিতা সুন্দর হয়না কিন্তু এটা হয়েছে। আসলে হয়েতা এই অর্থ বোঝাতে চায়নি। প্রশংসাই করেছে সে সেটা বুঝেছি। ...একটু ফান এ নিলাম। ধন্যবা
প্রজ্ঞা মৌসুমী
আগের সংখ্যাতে আপনার কবিতায় মন্তব্য করা হয়নি। ভালোলাগা বা আপনার প্রকাশ ভাবনা নিয়ে ঠিক কি লিখব গুছিয়ে উঠতে পারিনি। এবারো ভাবছি...একটা জীবন্ত কবিতা। উপমা আর শব্দের ব্যবহার মনোযোগ কাড়ার মত। আপনার কবিতাগুলো পড়লে মনে হয় আপনি অনেক সময় দেন। অনেক কাঁটা-ছেটা করেন। কবিতায় পারফেকশন/ পূর্ণতা দেয়ার একটা চেষ্টা থাকে যেটা ভালো লাগে। এই কবিতাও ভালো লাগল। " গর্ভচ্যুত অথচ গর্ভজাত নিষ্পাপ" / "নোনা মেশা সংসার জলে ধীরে ধীরে মন এক দ্রাব্য লবন" এরকম অনেক লাইন ভালোলাগার ঘরে আসা-যাওয়া করছে। অনেক শুভকামনা
আদিব নাবিল
ওরে ব্বাপস.. কবিতা! ধীরে ধীরে গতিসঞ্চার, মাঝখানে চরম উত্তেজনা, তারপর আস্তে আস্তে শৈথিল্য অর্জন। ব্যবহৃত শব্দের প্রকৃতি থেকে আপনার কবিতার চলনপথ বিশ্লেষন করলাম। প্রশংসা করলে একঘেয়ে লাগবে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।