কাল মনে হয় অতন্দ্র বর্ষনের কালবেলা ছিল- মেঘ ভেঙ্গে জন্ম নেওয়া জলের রাত, প্রাচীন শ্যাওলায় আচ্ছন্ন ভগ্নপ্রাসাদের জরাজীর্ণ জানালার পাশে আমি.. অন্ধকার ভেদ করে যেন দৃষ্টি গিয়ে ছুয়ে আসে দুরের সমুদ্র, কখনো মেঘলা রূপালী আলোয় ঝলসে ওঠে চারিদিক। আমি আর কিছুই দেখিনা- শুধু জলের শব্দ আর বাতাসের কবিতা; বাইরের প্রকৃতিকে আগলে রাখে এক চিলতে সিক্ত সবুজ আঁধার- অজস্র বৃক্ষের সমাধি এই প্রাচীন প্রাসাদের চারপাশ, নিজেকে কেন জানি বড় নিঃসঙ্গ মনে হয়, নির্জন প্রাসাদের একলা রাজকন্যা.. আর তাই কবিতার অতন্দ্রিতা হয়ে বসে থাকি, অন্ধকারে আঁকি অচেনা নক্ষত্রের মুখ!
আমার সমস্ত সত্তার মাঝে জলের ছবি, কান পেতে শুনি তারই সুরেলা কণ্ঠ- আকাশের মেঘমালা ভূল করে চলে আসে প্রাসাদের ধরাছোয়ায়, ভালোবাসা একে যায় বর্ষার রূপ.. আমি আর অবিরত জল- আর কেউ নেই, কিছু নেই পৃথিবীতে। অনুভূতি জলকনার ছদ্মবেশে এসে পড়ে প্রাচীন এই সপ্নালয়ে; বিষন্নতারও তাই আজ কবিতা হতে মন চায়। মনে পড়ে যায় প্রিয় কারো মুখ, কিছু কথা..হাসি..গান... আর ভালোবাসা- যার মত করে ভালোবেসেছিলে তুমি, তারপরও এই বর্ষার রাতে অদৃশ্য নক্ষত্রলোক দেখি আমি একা! তারপর সমস্ত বৃষ্টি-বেদনার অবসানে নেমে আসে মৃত্যুর নীরবতা, আমার প্রাসাদ পৃথিবীর জানালায় মৃদু বর্ষাস্নাত বাতাস.. মিথ্যে হয়ে যায় কল্পনা, থেমে যায় সময় সমুদ্র- আমার হৃদয়ে তখন ভোরের শর্ষে সুবাস, যদিও আরো একটি নীলচে সবুজ বর্ষারাতের অপেক্ষায় থাকি সন্তর্পনে...॥
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খোরশেদুল আলম
অতন্দ্র বর্ষনের কালবেলা/ জলধারা মোহনা // বর্ষা সংখ্যা হওয়ায় কবি কবিতার নাম সহ কবিতার লাইন মনে হয়,সুন্দর লেখা যেমন //আমার সমস্ত সত্তার মাঝে জলের ছবি,/কান পেতে শুনি তারই সুরেলা কণ্ঠ- // বর্ষার জন্য উপযুক্ত কবিতা। খুব ভালো।
রেজওয়ানুল হাসান
দৃশ্য থেকে দৃশ্যে ছুটিয়েই কবি খ্যান্ত হতে চান। জোড়করে দৃশ্য চিত্রায়িত করেন মগজে তার শব্দ জাদুতে। সেই হিসাবে কবি সার্থক চিত্রকল্প বুনতে পারার খেলায়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।