ভবিতব্য

আমি (নভেম্বর ২০১৩)

মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন
  • ১৫
  • ৪১
সেন্ট জোসেপস হাই স্কুল।

ক্লাস থ্রি থেকে যাহোক জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে আসছিলাম, কিন্তু সেভেনে এসে ল্যাংচানো শুরু করতে হল।
বাবা রিটায়ার্ড করল। সামান্য বেতন, কাজেই সামান্য পেন্সন। আমাদের ছয় ভাই এক বোন নিয়ে বাবা মার নয় জনের সংসার। আমার স্কুলের বেতন বছরের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ হয়ে গেল। মাসের দশ বারো তারিখ এসে যায়- হাজিরা খাতায় আমার নাম ওঠে না। শেষে ক্লাস টিচার বিরক্ত হয়ে- অথবা হয়তো বাধ্য হয়ে- আমাকে হেডমাষ্টারের কাছে যেতে বলেন। আমি যাই।

‘সার, আমার নাম ওঠেনি,’ আমি বলি।
‘বেতন দিয়েছ?’ মৃদু স্বর। আমার স্কুল জীবনে আমাদেরমত ‘স্বাভাবিক’ স্বরেও তাকে কথা বলতে শুনিনি- কখনই না। ছ’ফুটের কাছাকাছি হৃষ্টপুষ্ট মানুষটাকে একবার ছাড়া আমি আর কখনো রাগতে দেখিনি।

‘না,স্যার।’
ইটালির মানুষটার লাল মুখ আরো লাল হয়ে ওঠে। তাকে চিন্তিত দেখায়। ‘ঠিক আছে, ক্লাসে যাও। বেতন দিয়ে দিও।’
প্রতি মাসেই সেই একই ঘটনা, একই আলাপ।

...পরীক্ষার পরে রেজাল্টের দিনে সবাই রেজাল্ট পেয়েছে- আমি ছাড়া। স্যার বের হয়ে গেলে আমি গেলাম হেডস্যারের রুমের দিকে। বারান্দায় বেশ কিছু ছেলে দাঁড়িয়ে আছে, রুমে একজনও নেই। হেডস্যার তার বিশাল টেবিলের ওপাশে বসে আছেন। টেবিলের উপরে মাছের ভাগারমত রেজাল্টের ভাগা। একটু দূরে নিজের টেবিলে খাতাপত্র নিয়ে বসে আছেন কেরানি স্যার। ভিতরে ঢুকলাম।’

‘কোন ক্লাস?’
‘সেভেন।’
‘রোল?’
‘পনের।’
‘পঁয়ত্রিশ টাকা,’ স্যার আমার রেজাল্ট টেনে বের করতে না করতেই কেরানি স্যার জানিয়ে দিলেন।
হেডস্যার আমার মুখের দিকে তাকালেন। ‘পঁয়ত্রিশ টাকা...।’ তিনি তাকিয়েই থাকলেন।
‘টাকা নাই।’ আসলেও পঁয়ত্রিশটা পয়সাও আমার কাছে নেই।
স্যারের মুখ লাল হয়ে উঠল। ‘টাকা দিয়ে দিও।’ আমার হাতে সবুজ রঙের কাগজটা দিতে দিতে বললেন।
আমি কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে বের হয়ে এলাম। চোখের পানিতে কাগজটা ভিজে না যায়...।

সরাসরি না হলেও আমার একজন চাচা এই স্কুলের টিচার। কিন্তু স্কুলে আমি কোন দিন তার কাছে ব্যক্তিগত কোন কাজ বা কথার জন্য যাইনি বা তিনিও আসেননি। আমাদের জানানো না হলেও আমরা কোন একভাবে জানতাম- ব্যক্তিগত কোন কাজের জায়গা স্কুল নয়। তবে ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে সেটা অবৈধ নয়।

আমি কখন চিন্তাও করিনি যে, তাকে দিয়ে সুপারিশ করালে হয়তো আমার বেতন মাপ হতে পারে। সেটা আমার বাবা চিন্তা করে দেখেছিল কিনা তা আমি জানিনা। এটা একটা মিশনারি স্কুল- একমাত্র খৃশ্চান ছাত্রদের জন্যই বিনা বেতন আর নানান রকমের সুযোগ। সেটাই আইন- আর আইনের বাইরে কেউ নয়। কিন্তু সুদুর ইটালি থেকে যে মানুষটা মানুষের ‘উপকারের’ জন্য এদেশে এসেছেন, তিনি যদি আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে কোন মানুষের উপকার করতে চান তাহলে তাকে বিরত রাখার কোন আইনও সম্ভবত রাখা হয়নি। অথবা হয়তো রাখা হয়েছিল...।

ক্লাসের সামনে রাস্তার পাশে মাঠে আমার ক্লাসের সাত আটজন দাঁড়িয়েছিল।

‘কিরে, রেজাল্ট পেলি?’ কাছাকাছি হতেই দেবাশীষ বলল। তাদের চোখে মুখে উৎকণ্ঠার অবসানের চিহ্ন। যেন আমার নয়, আমি তাদের রেজাল্ট আনতে গিয়েছিলাম। আমি কোন কথা না বলে কাগজটা তার দিকে বাড়িয়ে দিলাম।

তারা অনেক আগেই আমার হাতে এটা দেখেছে। মনে হতে পারে প্রশ্নটা বোকারমত। কিন্তু শতশত বছর ধরে চলে আসা লৌকিকতাগুলো বোকারমত কিছু হতে পারেনা। ইংরেজদের ‘গোইং ফার?’এরমত এটার জবাবেও যা খুশি কিছুএকটা বলা বা করা যেতে পারে। হ্যা- এমনকি না বলা, উপেক্ষা করে সোজা হেটে চলে যাওয়া, মাথা নাড়া, হাসা কাঁদা, মুখ ভ্যাংচানো, চিৎকার করা বা গল্প জুড়ে দেওয়া- মানসিকতার সাথে খাপ খায় এমন যে কোন কিছু করা সমর্থন যোগ্য, কোন দোষ ধরা হয় না। আমাদের লৌকিকতা আমাদের মানসিকতাকে... অন্তরকে বাদ দিয়ে নয়।

সবাই একসাথে গেটদিয়ে বের হলাম। বাম দিকে একটু দূরেই খাঁন জাহান আলী রোড। সেটা পার হলেই ডান পাশের পথটা গুরুট্রেনিং স্কুলের সীমানার পাশ দিয়ে মিয়াঁপাড়ার দিকে পথ চলে গেছে। সেদিকেই বেশীরভাগ ছেলের বাড়ি।

ডান দিকে বেশ অনেকটা দূরে লোয়ার যশোর রোড। সেদিকে ষ্টেটব্যাংক আর মিউনিসিপ্যাল পার্ক। তবে অতদূরে আমাদের ক্লাসের কেউই থাকে না। তার আগেই এই পথটার প্রায় মাঝামাঝি করনেশন গার্লস স্কুলের সামনে ডান দিকের রাস্তা দিয়ে সাউথ সেন্ট্রাল রোডে যাওয়া যায়। দেবাশীষদের বাড়ি- বড়মাঠের কাছ থেকে কমার্স কলেজের পিছন দিয়ে যে পথটা এসে সাউথ সেন্ট্রাল রোডে মিশেছে তার উল্টো দিকে। সে আর তার ভাই বাসুদেব আমাদের একই ক্লাসে পড়ে।

আমার খুব একটা বাছ বিচার নেই। আমাকে যেতে হবে কয়লাঘাটার কাছে মিউনিসিপ্যাল ট্যাংক রোডে। মোটামুটি সরল রেখারমত রাস্তাটার উত্তর প্রান্ত সাউথ সেন্ট্রাল রোডে আর বিপরীত প্রান্ত খান জাহান আলী রোডে মিশেছে। যে পথই ধরি না কেন আমাকে প্রায় সমান পথ হাটতে হবে। তবে শহরের ভিতরের দিকে হওয়ায় আর নানান কাজে যাওয়া আসা করি বলে স্কুল যাওয়া আসার ক্ষেত্রেও সাউথ সেন্ট্রাল রোডই আমার পছন্দের। কাজেই বাসুদেবদের সাথে আমার বেশীরভাগ আসা হত। ওরা না থাকলে মাঝে মধ্যে আমি খান জাহান আলী রোড হয়ে আসতাম। তুতপাড়া কবরখানার একটু আগে আতাউলদের আর একেবারে কবারখানার বিপরীত দিকে একটা গলির ভিতরে রফিকুলদের বাড়ি।

পাতলা ছিপছিপে ফর্সা আর নম্র স্বভাবের আতাউলের সারা মাথার চুল ক্লাস এইটে উঠতে না উঠতেই কোন এক অজ্ঞাত কারণে সাদা আর কালোয়- যাকে বলে গ্রে আকারে পরিনত হয়।

গাট্টাগোট্টা শ্যামলা রফিকুলের চুল ছিল কুঁচকুঁচে কাল, নিঁখুতভাবে ছাটা আর সম্ভবত হেয়ার ক্রিমট্রিম মাখত। মোটকথা চুলের যত্ন নিত। পোশাক পরিচ্ছদ পরিপাটি। তার আচরণে বোঝা যেত তারা বেশ বড়লোক। তবে কারো সাথে তাকে কোন সময়ই কোন ধরণের বড়াই করতে দেখিনি। সে একরকম হঠাত করেই আমাদের ক্লাসে ভর্তি হয়। কয়েক দিনের ভিতরেই সে আমার সাথে ভাব জমিয়ে ফেলে।

তার তুলনায় আমি ছিলাম একেবারে বিপরীত। তেল পানি না পড়া একমাথা এলোমেলো চুল, যা নিয়মিত কাটা হতোনা। স্ত্রীকরা তো দূরের কথা, আমার পোশাক ঠিকমত ধোওয়াও হতনা। ছাত্রের চেয়েও কোন বাড়ির কাজের ছেলের সাথেই আমার মিল ছিল বেশী।

রফিকুল ক্লাসে পড়াটা একটু কম পারত, আর আমি পারতাম একটু ভাল। সম্ভবত পড়াশোনার দিক দিয়ে বাড়িতে তার উপরে চাপ ছিল একটু কম। আর আমার বাড়িতে পড়ালেখার ব্যাপারে চাপ একবারে ছিলই না। বাবার মনোভাব সম্ভবত এটাই ছিল- পড়লে পড়, না পড়লে না পড়। যখন বই খাতা কলম স্কুলের বেতন দিতে পারত তখনও। স্যাররা স্কুলে যা পড়াতো, সেটা আমি খুব সহজেই মাথায় ঢুকিয়ে নিতে পারতাম।

সেই রফিকুল আমাকে শিখিয়ে দিল, পড়া না পারলে স্যারের মার কীভাবে হযম করতে হয়।
‘স্যার যখন মারতে যাবে তখন বুক ভরে দম নিয়ে শক্ত করে আটকে রাখবি, দেখবি ব্যাথা লাগবে না।’ সে বলেছিল।
‘তাই?’
‘হ্যা।’
আমাদের বেশিরভাল স্যারই মজবুত বেত নিয়ে ক্লাসে আসতেন। কিন্তু পড়া না পারার কারণে কখনোই তা কারো গায়ে পড়েনি। পড়া না পারার জন্য কোন মারধর ছিলনা। ছিল কথা, আর আমরা কথাকে মারের চেয়েও বেশী ভয় করতাম।

একমাত্র কেরানি স্যার ছিলেন ব্যতিক্রম। অন্য স্যারের বদলে কখনো ক্লাস নিতে পাঠানো হত। তার কাজ ছিল সময় পার করা। ইচ্ছা হলেই তিনি যাকে খুশি একটা বলির পাঁঠা বানিয়ে টেবিলের কাছে ডেকে এনে দুই আঙ্গুলের ভিতরে পেন্সিল ভরে আঙ্গুলের মাথা এক সাথে চেপে ধরে পেন্সিল মোচড়াতে শুরু করতেন। খুব একটা যন্ত্রণা দিতেন না। নিজের কাজের দিকে তাকাতেন না, অন্য দিকে তাকিয়ে নিরবে কাজ করে যেতেন। একটু উঃআঃ মুখ দিয়ে বের হলেই ছেড়ে দিতেন।

একদিন আমাকে নিয়ে পড়লেন। ‘গন্ডগোল করিস কেন? এদিকে আয়।’ বুকপকেট থেকে পেন্সিল বের করলেন।
আমি অবাক। আমি একটাও শব্দ করিনি। যাই হোক গেলাম। শুরু হল পেন্সিল ঘোরানো। স্যার নিজের কোলের উপরে রাখা একটা খাতার দিকে চোখ রেখে হাতের কাজ করে যাচ্ছেন, উঃআঃ শোনার জন্য প্রস্তুত। আমি পেন্সিলের কাজ দেখছি। ধরে রাখা আঙ্গুলে চাপ বাড়ল। পেন্সিলের ঘষায় চামড়া উঠে গেল। আমার দিক থেকে কোন শব্দ নেই। তার ধারণার চেয়ে বেশী সময় পার হওয়ার পরে আমার হাতের দিকে তাকাতে হল, আর সাথে সাথেই আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘যা।’ আমার জ্বলতে থাকা হাত নিয়ে আমি ফিরে এলাম...।

আমি আমার স্কুল জীবনে কোন প্রাইজ পাইনি- একবার ছাড়া। তবে সেটাও আমার প্রাইজ নয়, খুব বেশী হলে বলা যেতে পারে আমাদের প্রাইজ।

স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় উপরের ক্লাসের সাথে আমাদের ক্লাসের ফুটবল প্রতিযোগিতার দিন ষ্টেডিয়ামের সামনের মাঠে খেলা দেখতে গেলাম। একজন খেলোয়ার কম, আর আমি ছাড়া আমাদের ক্লাসের আর কেউ নেই। আমাকে ধরে টানাটানি শুরু করল ওরা। ফুটব্লের ফ’ও জানিনা, নেমে হবে কঁচু! বিপক্ষদল হাসাহাসি শুরু করল। আমরা দশজন হই বা বারোজন, ওদের এগারোর কাছে আমরা কিছুই না। অন্তত এটাই তাদের ধরনা।
‘নেমে পড়।’ গোরা স্যার হুংকার দিয়ে উঠলেন।
নেমে পড়লাম। সারা খেলায় আমি পায়ে একবারও বল ছুয়েছি কিনা সন্দেহ, কিন্তু আমরা জিতে গেলাম। ওরা নানান ভাবে প্রতিবাদ করতে লাগল, কিন্তু রেফারি গোরা স্যার কানেই তুললেন না কিছু। তাদের তুলনায় আমরা ভাল খেলেছিলাম। বলতে গেলে দশজন নিয়েই আমরা তাদের হারিয়েছি।

পুরষ্কার বিতরণীর দিন সন্ধ্যার পর গেলাম দেখতে। ষ্টেজ থেকে সামান্য একটু দূরে মাঠের ভিতরে ক্লাসের কয়েকজনের সাথে আধো অন্ধকারে বসেছি। আমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমার উপর কারো নযর পড়তে পারে, কাজেই আমার পরনে আমার আটপৌরে পোশাক। ধূলা ভরা পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল।

প্রাইজ দেওয়ার সময় যারা প্রাইজ পাবে তারা ষ্টেজের সামনে উবু হয়ে বসেছে। নাম ডাকা হচ্ছে আর একেকজন করে ষ্টেজে উঠে ডিসির হাত থেকে প্রাইজ নিয়ে নেমে আসছে। ঘোষণা করা হল, ক্লাস সিক্সের ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন। কোন নাম বলা হয়নি। একজন দাবিদার উঠে দাড়াল। ডিসির হাতে একটা কাপ দেওয়া হল, কিন্তু ছেলেটা বসে পড়েছে। আবার ঘোষণা। ডিসি অপেক্ষা করছেন।
‘ক্লাস সিক্সের কেউ নেই?’ আমার পিছনের দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের জটলার ভিতর থেকে গোরা স্যার হুংকার দিয়ে উঠলেন।
‘এই যে স্যার, এ খেলেছে।’ আমার চারপাশের তিন চারজন মহাশত্রু আমাকে ঠেলে তুলে দিল।
‘যা।’ স্যার বললেন।
‘আমি যাব, স্যার !’
‘যাবি না তো কী করবি? যা। ডবল মার্চ।’
এই ভিড়ের ভিতর দিয়ে ডবল তো দূরের কথা, সিঙ্গেলও সম্ভব নয়। যাইহোক এগিয়ে চললাম। ডিসি কাপ হাতে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

আমার বেশবাস নিয়ে আমি কখনই হীনমন্যতায় ভুগিনা। কোন রকমের জড়তা ছাড়াই আমি প্রাইজ নিলাম।
‘তুমি কি ক্যাপ্টেন?’শেকহ্যান্ডের পরে আমার হাত না ছেড়ে তিনি জানতে চাইলেন।
‘না। তবে খেলেছি।’ আর কোন কথা হল না আমাদের।

বাবার কাছ থেকেএক মাসের বেতন আর ভর্তির টাকা পেলাম। ক্লাস এইটে ভর্তি হলাম। আবার সেই প্রতি মাসে আর রেজাল্টের দিনে হেডস্যারের কাছে যাওয়া।

নাইনে উঠলাম। বাবার কাছ থেকে আবার এক মাসের বেতন আর ভর্তির টাকা এলো। স্যার কাগজ কলম হাতে নিয়ে জানতে চাইলেন কে কোন বিষয় নিতে চায়। আমার পালা এলে বললাম- বিজ্ঞান। লিখে নিলেন তিনি। নতুন ক্লাসে রোল হল সতের। ঠিক করলাম, এতদিন যা করেছি তা করেছি, বিজ্ঞান নিয়েছি এখন থেকে ম্ননপ্রাণ দিয়ে পড়াশুনা করব...।

জানুয়ারি মাসেই হেডস্যার এ জি ব্রুনোর বদলে এলেন আরল্যান্ডো স্যার। ইনিও ইটালির। ছিপছিপে। রাসভারী। কথা বলেন পরিষ্কারভাবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তার কোন কুন্ঠা নেই।

পরের মাসের দশ তারিখে যেতে হল হেডস্যারের কাছে।
‘...বেতন দিয়েছ?’
‘না। টাকা নাই।’
‘টাকা না থাকলে স্কুলে পড়া যাবেনা।’
‘টিসি দিয়ে দিন।’ আমার কন্ঠেও কোন জড়তা নেই।
‘বিকালে এসে নিয়ে যেও।’

বিকালে যাওয়ার পরে নিজ হাতে টাইপ করে আমাকে টিসি দিয়ে দিলেন।

মাস খানেক পরে জানতে পারলাম আমাদের ফিজিকাল ট্রেনার গোরা স্যারকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

তারও মাস কয়েক পরে খবর পেলাম ব্রুনো স্যার আবার ফিরে এসেছেন। অরল্যান্ডো স্যার বিদায়...।
আমার আর গোরা স্যারের পিন্ডি চটকানোর জন্যই কি তিনি এসেছিলেন !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক চমৎকার ঝড়ঝড়ে প্রানবন্ত একটা কিশোর গল্প পড়লাম....দাদা অসাধারণ লিখেছেন...খুব ভালো লাগলো...
তানি হক কিশোর কালের দারুন গল্প ... ইস্কুল জীবনের সুখ দুখ খুব ভালো লাগলো ।। আসলে ওই সময় টুকু জেনো ইস্কুল... স্যার... আর দুরন্ত সময় এটার মধ্যেই কেটে যায় ।। খুব ভালো লাগলো অয়াহিদ ভাই গল্পটা । একদমই ভিন্ন টাচের গল্প পেলাম এবার আপনার কাছে । আমার সালাম ও ধন্যবাদ জানবেন । ভালো থাকবেন ।
মোজাম্মেল কবির একেকটা দৃশ্যে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম... অসাধারণ লেখা।
খোরশেদুল আলম দারুণ বর্ণনায় একজন ছাত্রের মতো স্কুল ক্লাস থেকে প্রতিটি অলিগলি ঘুরে এলাম। চমতকার, খুব ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা।
এফ, আই , জুয়েল # স?ভাবে জীবনযাপন করে কোনোকালেও মৌলিক প্রয়োজনগুলো ঠিকভাবে পুরন করা সম্ভব হয়ে উঠে না । পরাধীন সময়ের এ জাতীর করুন দুরঅবস্থার কিছুটা ইঙ্গিত চলে এসেছে । সবকিছু মিরিয়ে বেশ শিক্সনীয় । শেষের দিকে এসে মারাত্মক ধাঁধাঁর ধাক্কা দেয়া হয়ে গেল ।।
ঐশিকা বসু লেখাটি খুব ভাল লাগল।
হোসেন মোশাররফ 'আমাকে টিসি দিয়ে দিলেন' ...বেশ দুঃখজনক বটে ......

০৪ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪