এই রে ভুলে গেছি সব বলতে! যাবার আগে বলবি না! রানু আর সাজুকে খেতে বসিয়েছিলাম মাত্রই- শুনলাম তুই চলে যাচ্ছিস পশ্চিমে, কেন যাচ্ছিস? এত তাড়া কেনো তোর? এত বছর পর এসেই এত যাই যাই কেন! আদুরে গোপন ভোর না আসতেই তুই চলে যাবি বুলু!
যাস নে, থাক। আমরা ভোর হবার আগেই শিউলি তলায় যাবো। সারাদিন ঝুম বৃষ্টিতে হাতবদল করবো ছায়া মাখা তোর আর আমার হাত। আধাঁর অবসরে উড়ো পাতার মত বিরতিহীন ছুটির গল্প বলবো একপেশে- তুই দেখে নিস, আমি থামতে চাইবো না। একলা কাঁচের দেয়াল আয়নায় আমার মুখ বদলে তোকে দেখবো নিজস্ব ছায়ায়, রোজ। আমাদের কথা, আমাদের ব্যাথা, চুপকথা- সিড়ির ফাঁকে, অনুচ্ছেদের মাঝে জমে জমে সুখ হবে ডাকবাক্সে।
যদি এখন অনেকদূর চলে গিয়ে থাকিস ট্রেন কিংবা বাসস্টান্ডে একাই। ফিরে আসিস না। চলে গিয়ে ফিরতে নাইরে বোকা, অমঙ্গল হয়। পশ্চীমে গিয়ে চিঠি লিখিস। আমি খুলে দেখবো চেনা ডাকবাক্স গোপনে। উত্তর দেবার চিঠির পাতা, হলুদ খাম রেখে দেবো যত্নে। চিঠি লিখিস পশ্চীমে গিয়ে।
নিউইয়র্ক বা বোস্টনের ঘুম ঘুম বৃষ্টিতে ঘুমিয়ে যাস নে, চিঠি লিখিস। ফিরে আসার কথা লিখিস। আমি সেই দূর পথে, দূর পথের ট্রেন কিংবা বাস স্টান্ডে দাঁড়িয়ে থাকবো একা একা। আমার ভেতরে থাকবে উদাস ভালোবাসা, চোখে তোর ফিরে আসার জল, সুখের-। আমার গায়ে থাকবে লাল শাড়ি, অল্প রোদ সারাদিন, সারাদিন থাকবে ছুটি। জমানো কথা জমে জমে সুখ হবে ডাকবাক্সে। তুই ফিরে আসিস।
দূরে গিয়ে, পশ্চীমে গিয়ে চিঠি লিখিস।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।