তামাদী স্মৃতির ইতিহাস ক্রমাগত ঘাঁটলে হয়ত দ্যাখা মিলবে এক ছিন্ন হওয়া গভীর হলুদে দলিল। সেটায় মুদ্রাক্ষরে সাঁটা রয়েছে গরীব হয়ে জন্মানো পাপের কিছু নয়, তবে গরীব হয়ে মৃত্যু বরণ করাটা এক মহাপাপ।
তবে সব চাবিতে যেমন সব তালা খোলেনা, তেমনি লক্ষ্মীদেবীও হয়ত সব জায়গায় বসবাস করেননা।
সন্ধ্যের মায়োপিয়া গ্রস্থ চোখে দূরের কুয়াশাচ্ছন্ন জানালায় আমি দেখি, পদ্মাসনে চেপে লক্ষ্মীদেবী পাখা মেলেছেন ঐ সুদূর পশ্চিম দিগন্তে । আমাদের এই সবুজ জাদুঘরে রেখে গ্যাছেন ঝাঁঝাঁ দুপুর, চৈত্রের তেজ, আর বিষাক্ত অ্যামৌনিআ গন্ধের বাতাস স্পর্শ জল।
এখানে আজও এক্সিবিশন চলে, না দেখা জাদুঘরের অলিতে-গলিতে দ্যাখা মেলে বুনোহাঁসের পালকে লেগে থাকা শিশিরের তাজা রক্ত, ক্ষীণ আলোয় দেয়ালে ঝুলে পড়া মৃতদেহ, নীল পেরেকে দরজায় আটকানো বোধহীন জিবের ফুটো হতে অবলীঢ় হয় ফোঁটা- ফোঁটা অরুণোপল অশ্রু । প্রদক্ষিণে ঘুরতে আসা রেবতীরা ব্যস্ত থাকে সংলগ্ন ওয়াল্টজে । তাদের আপ্যায়নে বন্দি রসুই ঘরে প্রস্তুত হয় বাগীশ্বরীর আঙ্গুল কাটা কিছু রোস্ট।
তোমরা বল পরিশ্রম সৌভাগ্যের মূল, আর আমি বলি যারা সঠিক প্রকারে দুর্নীতি এবং অত্যাচারের ভৈরবচক্রে বসতে জানেন লক্ষ্মীদেবীও তাদের পকেটেই বসবাস করেন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।