অবারিত ব্যর্থ দেশপ্রেম

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

এ কে এম মাজহারুল আবেদিন
  • ৩৩
  • 0
  • ২০
অবারিত সবুজের পাশে পারিনা দাড়াতে,
জানালার কপাট খুলে নিঃসীম সবুজের পানে
একমনে চেয়ে থাকি শুধু,
চোখের কোণে কি টলমল করে ওঠে
একবিন্দু জল?
জল না আঁখিজল?

দিগন্ত ছোয়া বিস্তীর্ণ মাঠের পাশে পারিনা দাঁড়াতে,
উঠোনের এক কোণে বসে
দিগন্তকে দেখি, মাঠকে দেখি,
আবারও কি টলমল করে ওঠে আখিজল?

অবুঝ শিশুর মত কান্না ঠেলে আসে
হৃদয়ের দিকবিদিক ছুয়ে |
নিজেকে দেখি, সবুজ দেখি,
আনমনে চোখ বুজে আসে |

নিমগ্ন অন্ধকারে ভেসে আসে সেই স্মৃতি,
নিমগ্ন অবহেলায় চিত্কার করে সেই স্মৃতি,
প্রান্ত কাঁপিয়ে ভেসে আসা আর্তনাদ,
নারীর, শিশুর,যুবকের,বৃদ্ধের,
আর
অসংখ্য দগ্ধ জমিনের |

ভেসে আসে গুলির আওয়াজ,
ভেসে আসে গ্রেনেড, মর্টার শেল,
আর,
অসংখ্য আনন্দ চিত্কার |

হঠাত,
ভয়ংকর শব্দ আবার,
একটি প্রাণ ফাটা আর্তনাদ,
ভেসে আসে, ভেসে আসে,
একটি ছবি,
একটি ছিন্নভিন্ন - পা

চোখ মেলে তাকাই,
দেখি,
দিগন্ত ছুয়ে দিয়েছে আমার চিবুক,
মাঠ আমায় প্রাণ খুলে হাসতে করছে অনুরোধ,
সবুজ চাইছে শুধুই স্নেহ |

হাত নেমে আসে কোলে,
হ্যা, কোলে, যেখান থেকে নিচে কিছুই নেই,
আমার ডানে, বামে, সামনে, পেছনে,
কোথাও, কিচ্ছু নেই |
মাথার উপরে ছাদ নেই,
পেটে খাবার নেই, সংসার নেই,
কিচ্ছু নেই |

আছে শুধু
ঠিক কোলের নিচেই আমার মা, আমার মাটি,
আর,
পয়তাল্লিশ বছর পরে আছে শুধু,
বিফলে যাওয়া,
দেশপ্রেম |
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নিলাঞ্জনা নীল অসাধারণ একটি কবিতা দিয়ে দেশপ্রেম সংখ্যা ভ্রমন শেষ করলাম:)
এ কে এম মাজহারুল আবেদিন অসংখ্য ধন্যবাদ সবাই কে | নাহিদ ভাই, ওই ভুল গুলো ইচ্ছা কৃত নয় | আমি ফোনেটিক্স উসে করে লিখি | আমি জানিনা কেন আমি সব যতি চিন্হ গুলো পাই না |
পাঁচ হাজার অনেক ভাল লাগল আপনার কবিতা।
বশির আহমেদ অসম্ভব ভাল লাগার মত কবিতা । হতাশ হবেন না ভাই দেশ প্রেম কভু বিফলে যায়না । একদিন না একদিন এর ফল জাতি পাবেই ।
খন্দকার নাহিদ হোসেন চমৎকার কবিতা। কবিকে বাহবা চোখ বুজেই দেওয়া যায়। তবে লিখবার সময় আর একটু সতর্ক কবিকে হতে হবে। যেমন- আঁখিজল নাকি আখিজল কিংবা পারিনা হবে পারি না...। তবে এসব বড় তুচ্ছ বিষয় কবিতার আবেগের কাছে। বড় ভালো লাগলো। জয় হোক কবির কলমের।
এ কে এম মাজহারুল আবেদিন সাবের ভাই, সময়ের অঙ্কটা আমি মিলিয়ে দিচ্ছি | স্বাধীনতার ৪০ বত্সর পূর্তি গেল এই বছর | আন্দোলনের শুরু ১৯৫২ থেকে, স্বাধীনতার আন্দোলনের সবচে গুরুতর সময়টা শুরু হয় ১৯৬৫ পর থেকেই, ১৯৬৬ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে আমার কবিতার মুক্তিযোদ্ধার আন্দোলন শুরু হয় | আমার এই লেখাটা আমার খুব কাছের একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনকে নিয়ে| অসংখ্য ধন্যবাদ |
আহমেদ সাবের অনেকগুলো কষ্টের চিত্রকল্পে – “ভেসে আসে গুলির আওয়াজ,”, “একটি ছিন্নভিন্ন – পা”, “পেটে খাবার নেই”। “পঁয়তাল্লিশ বছর পরে আছে শুধু, / বিফলে যাওয়া, / দেশপ্রেম” – পঁয়তাল্লিশ বছরের হিসাবটা মিলাতে পারলাম না। আমাদের স্বাধীনতার বয়স চল্লিশ আর আপনার বয়স আটাশ। সুন্দর, আবেগময় এবং ভাল লাগার কবিতা।
এ কে এম মাজহারুল আবেদিন অনেক ধন্যবাদ প্রমি, অনেক দিন পর আপনার কমেন্টস পেয়ে ভালো লাগলো বন্ধু |
ফাতেমা প্রমি ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম
এ কে এম মাজহারুল আবেদিন প্রজাপতি এবং তানভীর ভাই, অনেক ধন্যবাদ |

০২ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪