মনপড়া

ঐশ্বরিক (মার্চ ২০১৭)

সেলিনা ইসলাম
  • ১৫

আমি যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই? অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও প্রতিটি মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁদের মনটাকে পড়ার চেষ্টা করি। এটা যেন একটা বদাভ্যাসে পরিণত হয়েছে! মাঝে মাঝেই কপাল কুঁচকে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী সবার চোখে চোখ রাখি। সবার মুখভঙ্গি দেখে অনুমান করার চেষ্টা করি তাঁর বর্তমানকে। যদিও এই কাজে নিজেকে কখনো পারদর্শি ভাবতে পারিনি। বরং এই বদাভ্যাস আমাকে কষ্ট দিয়েছে বহুবার। জীবনে আমি নিজেই বহুবার মানুষ চিন্তে ভুল করেছি! যাকে মনে হয়েছে ভালো পরবর্তীতে দেখে গেছে সে খারাপ। আবার যাকে ভেবেছি সুখী পরে দেখা গেছে গহীন দুঃখের সাগরে পড়ে সে কিনার খুঁজে চলেছে! কষ্ট হলেও জানিনা সবার কষ্ট ব্যথা,সুখ দুঃখ ভেবে এক রকম আনন্দ খুঁজে চলি। এই বিকৃত আনন্দ...! হ্যাঁ বিকৃতই তো...। এই আনন্দ খুঁজে খুঁজে অনেক সময় নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ভাবি এই ছোট্ট জীবনে মানুষের আসলে চাওয়ার কী আছে? আর পাওয়ার আশাই বা কি!? এই একটা খোঁজই মুখ দেখে মন পড়ার অভ্যাসটাকে অনেক বেশি জেঁকে ধরেছে।

আমার পাশ দিয়ে যখন কোন শিশু হেঁটে যায়? তাঁর ঠোঁটের মিষ্টি হাসি পড়ে বুঝে নিতে পারি। সে কতটা ভালো আছে। এমনই একদিন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। আমার পাশে পাশে স্ট্রলারে একটা আঁট দশমাস বয়সের শিশুকে বসিয়ে স্ট্রলার ঠেলে ঠেলে হেঁটে যাচ্ছে একজন যুবতি মেয়ে। স্ট্রলারের গতি মাঝে মাঝেই থমকে যাচ্ছে! মাঝে মাঝে হেলেদুলে ডানে বাঁয়ে ছুটে যাচ্ছে! তারমানে মেয়েটি নিজেকে সামাল দিতে পারছে না। আর তাই মাঝে মাঝেই আমি স্ট্রলারটাকে পিছনে ফেলে সামনে চলে যাচ্ছি। এক সময় পিছন ফিরে শিশুটির মুখের দিকে তাকাতেই আমার মনের ভীতরে মেঘ জমতে শুরু করল! বাচ্চাটার দু গাল বেয়ে বৃষ্টি অঝরে ঝরেছে কিছুক্ষণ আগে! সে বৃষ্টি শুকিয়ে গেলেও একটা স্পষ্ট চিহ্ন রেখে গেছে। এবার তাকালাম ওর চোখের দিকে...! ব্যথাভরা দুটো লাল চোখ! যা আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে ওর কষ্টের পরিমাণ। যার ছোঁয়া এসে ঝাঁপটা দিল আমার মনের ভিতে। ঝাপটাটা এতো জোরালো ছিল যে আমি কেঁপেই উঠলাম। মুহূর্তেই এক ঝটিকায় তাকালাম স্ট্রলার টেনে নিয়ে যাওয়া মেয়েটার দিকে! মেয়েটার চোখদুটো ঢুলু ঢুলু,লাল হয়ে ফুলে একেবারে জবাফুলের মত হয়ে গেছে। মেয়েটা অনেক কেঁদেছে! ওখানেই আমি থমকে দাঁড়ালাম! ছবির মত ভেসে উঠলো আমার ভুলের ছায়াছবি-

মনে পড়ে একটা সময়ে বন্ধু মহলে সবাই মাঝে মাঝেই,একেবারে হাত দুইখানা আমার সামনে বাড়িয়ে ধরে বলত "এই নে সায়ান আমার হাত দেখে আমার ভাগ্য বলে দে!" একবার বন্ধু সাজ্জাদ খুব মন খারাপ করে বসে আছে। পাজি সোহেলটা ওকে একরকম টেনে হিঁচড়ে আমার কাছে এনে বলে "এই সায়ান সাজ্জাদের হাত দেখে বলে দে তো,ওর এবারের ইন্টার্ভিউতে চাকরিটা পাবে কিনা! শোন শোন যদি তোর বলা কথা সত্যি না হয় তোরে কিন্তু খুন করব।" পাশ থেকে রিমি ফোড়ং কাটে "আর যদি সত্যি হয়ে যায়!?" রিমিকে ক্ষেপানর জন্য স্বর্ণা বলে উঠে "তাহলে তোর বিয়েতে সবাই গিফট ছাড়া যাবো!" সবাই একসাথে হো হো করে হেসে দেয়। কিন্তু সাজ্জাদের মুখে কোন হাসি নেই। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে সেদিন ঠিক আজকের মত আমার মনে ব্যথার মেঘ জমেছিল। ওদেরকে কীভাবে বুঝাই আমি আসলে কোন হাত টাত দেখে ভাগ্য বলতে পারিনা। আমি শুধু বন্ধুদের মনোযোগ কাঁড়ার জন্য মজা করে যাই।

চাকুরীর যে আকাল পড়েছে। তাতে যে হাজারে হাজারে সাজ্জাদরা ধুঁকে ধুঁকে হতাশায় ভুগছে। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি জানি ওর আর্থিক অবস্থা কেমন। সেদিন সাজ্জাদের মুখে হাসি আনার জন্য? ওর মনটা ভালো করে দেবার জন্য? কিছু মনগড়া মিথ্যে বলেছিলাম। বলেছিলাম-"ওর এবারের চাকরিটা হবে না। তবে বিদেশে যাবার ভিসা হবে। সাজ্জাদ খুব শীঘ্র আমাদেরকে ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেবে।" আমার কথা শেষ হতেই সাজ্জাদ আমার দিকে কেমন দৃষ্টি মেলে তাকিয়েছিল! ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমি যেন ওর মনটা পড়ে ফেললাম! আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় ঘণ্টা বাজিয়ে বলে দিল সাজ্জাদ আমাকে যেন বলছে "বন্ধু মসকারা করিস আমার এই অবস্থা নিয়ে!? অভাবের জ্বলন্ত আভার স্পর্শ তুই কীভাবে বুঝবি ধনীর দুলাল!?" আমি ওর মনের ভাষা ওর চোখে দেখতে পেয়ে ভীষণ লজ্জিত হয়েছিলাম। আমার সমস্ত শরীর মন থরথর করে সেদিন কেঁপে উঠেছিল! আমাকে ধিক্কার জানিয়েছিল এই মজা করার জন্য। কিন্তু আমার সেই কথা যে সত্যি হয়ে যাবে আমি কোনদিন ভাবতে পারিনি। সত্যিই সাজ্জাদের সেই চাকরিটা হয়নি। হতাশা,অভাব অনটন আর বৃদ্ধ বাবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে? আমাদের বন্ধু সাজ্জাদ আত্মহত্যা করেছিল। ও যে এভাবে আমাদেরকে ছেড়ে যাবে ভাবতে পারিনি। সেই থেকে হাত দেখার যে মিথ্যে অহংকার আর ফাজলামো আমার,তা আর কোনদিন করিনি। তবে ইদানীং সবার মন পড়তে পারি আমি। কিন্তু কাউকে কিছু বলি না। ভয় হয় ভীষণ...। শুধু ওদের কষ্ট অনুভব করে যাই।

আমার ঠিক পাশ কেটে যেন একটা দমকা হাওয়া ছুটে গেলো। আমার ভাবনার তার টাং করে ছিঁড়ে যায়! কী হল!? সামনে তাকিয়ে দেখি সেই যুবতি মেয়েটা স্ট্রলারটা নিয়ে শাঁ শাঁ করে অনেক দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে। বাচ্চাটার কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে বাচ্চাটা ওর সাথে কী ঘটতে যাচ্ছে তা যেন টের পাচ্ছে! আমি যখন মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম আমি দেখেছি সে চোখভরা অজস্র ঘৃণা! ওর চোখ দেখে ওর মনের ভীতটা পড়ে নিলাম! সমস্ত মন জুড়ে ওর এই যে বেঁচে থাকা তার প্রতি তীব্র অনীহা! ওর জীবনের প্রতি ওর কোন ভালোবাসা নেই...!

ভালোবাসা নেই!? ঠিক এমন কিছুই যেন আমি সাজ্জাদের চোখে দেখেছিলাম। আমি চমকে উঠলাম! দেখি মেয়েটি স্ট্রলারটাসহ ধীরে ধীরে রাস্তায় নামছে! ওর কোনদিকেই খেয়াল নেই। যেন মনে হচ্ছে কেউ ওকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওর কাছে ওর নিজের কোন কন্ট্রোল নেই! "হায় আল্লাহ...! একী করছে মেয়েটা!?" সামনে তাকাতেই আমার সমস্ত শরীর হিম হয়ে আসে। ঠিক ওদের বিপরীত দিক থেকে হর্ন দিতে দিতে একটা বাস ছুটে আসছে। আমি ততক্ষণে দৌড়ে একদম স্ট্রলারের কাছে এসে গেছি। বাচ্চাটার দিকে তাকালাম। ওর চোখ বলছে "আমার মাকে তুমি ধরে রাখো। আমার মাকে তুমি মরতে দিও না!" মনে হল সাজ্জাদ আমার দিকে হাত বাড়িয়ে চিৎকার দিয়ে বলছে "সায়ান...আমাকে ধর...! প্লিজ আমাকে বাঁচা সায়ান।" আমি আর কিছুই ভাবতে পারিনি...। এক হাতে স্ট্রলারটা ধরলাম খুব শক্ত করে। আর আরেকহাতে মেয়েটিকে ধরতে গেলাম। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে! প্রচণ্ড জোরে একটা ধাক্কা খেলাম! আমি এক ঝটকায় রাস্তা থেকে সাইড ওয়াকে পড়লাম! বিকট একটা শব্দ হল...! কি যেন একটা দলা পাকিয়ে আমার বুকের উপর এসে পড়েছে। সেদিকে আমার একটুও খেয়াল নেই। আমি রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি স্ট্রলারটা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে একেবারে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। মেয়েটার মাথা এবং শরীর ভারী টায়ারের ভারে থেঁতলে গেছে। মগজ আর রক্তে সারা রাস্তা ভরে গেছে। আমার মুখে চোখে গরম রক্ত ছিটকে এসে পড়েছে।

"আহহহহঃ...বাচ্চাটাকেও আমি বাঁচাতে পারলাম না!" কথাটা মনে হতেই আমি চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠি। এমন সময় শুনতে পাই একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ! আমার বুকটা ভীষণ ভারী মনে হয়। কী যেন নড়াচড়া করছে! দুহাতে আলতো করে ধরে আমি উঠে বসি। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করি। দেখি ব্লাঙ্কেটে মোড়া বাচ্চাটা আমার কোলের উপর উপুড় হয়ে কেঁদে যাচ্ছে! এটা কখন,কীভাবে হল!? এটা কীভাবে সম্ভব হল!? আমার মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না। আমার সবটুকু শক্তি দিয়ে বাচ্চাটাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে কেঁদে যাই। শিশুটি যেন মাকে হারানোর বেদনায়,এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যাবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কেবলই কেঁদে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুস্মিতা সরকার মৈত্র বদাভ্যাস - বদভ্যাস, চিন্তে - চিনতে, আঁট - আট, কাঁড়া - কাড়া, মসকারা - মস্করা, অঝর - অঝোর। আপনার বোঝার সুবিধার জন্য। আমিও আমার নিজের লেখায় অনেকসময় দেখেও মিস করে যাই। কেউ বলে দিলে সুবিধা হয়।
"অঝরে” এবং অঝোরে (দুটো শব্দই সঠিক) মসকারা (মশকারা ব্যাঙ্গ করে বলা ) মস্কারা বলে কোন শব্দ নেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা জানবেন।
সুস্মিতা সরকার মৈত্র Golper bisoybostu valo laglo. Kintu aro porisor hoyto dabi kore. Kichu Sentence jeno sesh Howar agei joti chinho pore giyeche. ? Mark o koyek jayegay okaron laglo. Besh kichu banan vul. Sob miliye mone Holo golpota arektu monojog dabi kore. Arektu somoy, arektu Editting golpotar aro valo kore tulto bole amar mone hoi. Vote roilo. Suveccha o.
ছোট গল্পে সাধারণত গল্পের বিস্তারিতভাবে কিছু উল্লেখ থাকে না। শুধু মেইন টপিকটাতেই ফোকাস দেয়া হয়। আর বাক্য শেষ হওয়ার আগে যদি ৩টা ডট থাকে তাহলে সে বাক্য শেষ হয় না ধরে নেয়া হয়। সেখানে কিছু বলার থাকে ভেবে নেয়া হয়। আর ? মার্ক নিজেকের সাথে কথা বলার সময় ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও এখানে বিস্ময়কর চিহ্নও দেয়া যেত। বানান আসলে কোনটা ভুল তা উল্লেখ করে দিলে বুঝতে সুবিধা হত। সুস্মিতা সরকার মৈত্র সময় দিয়ে গল্প পড়ে মন্তব্য দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Lutful Bari Panna দুর্দান্ত একটা গল্প। ছোট্ট একটা ছবি- কিন্তু এত নিখুঁত!!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সতত শুভকামনা
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ প্রথম দিকে দর্শন আর শেষ দিকে এসে ঘটনার আবেশ--।। মুগ্ধ হলাম আপু।।
অনেক ধন্যবাদ ভাই শুভকামনা নিরন্তর
সুবিদ আলি মোল্লা ঐশ্বরিক ভাবনাটা গল্পে ঠিক এলো না ৷ ভাববেন ৷শুভ কামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে।
মোঃমোকারম হোসেন আসাধারন ভাল লিখার জন্য ভোট রেখে গেলাম আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা।
এম ইমন ইসলাম কষ্টের মাঝেও হাঁসি ফুটলো শেষে! শুভ কামনা রইলো। একটা বিষয়, এক সাথে দুটি বিরাম চিহ্ন দেখলাম! হয়তো অসতর্কতাবশত হয়েছে। ভোট দিতে কোন কার্পণ্য করবো না! আমার পাতায় উকি দিতে ভুল করবেন না।
অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
আহা রুবন মোটামুটি লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল।
Fahmida Bari Bipu আপা, গল্পের বিষয়টা বেশ হৃদয়গ্রাহী মনে হয়েছে। এই সংখ্যার বিষয়বস্তর সাথে খুব মানানসই। তবে আপনার কাছে প্রত্যাশা আরো বেশি। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপা সময় দিয়ে পড়ার জন্য। ছোটগল্প লিখতে চেয়েছি। হয়ত প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। কি আর করা দেখা যাক সামনে কি করি। শুভকামনা রইল।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী অন্যের গল্প কবিতা গুলো একটু পড়তে চেষ্টা করুন। ভালো লাগার উপরে ভিত্তি করে তাকে মন্তব্য করুন এবং ভোট দিন। দেখবেন নিজের লেখার মান বাড়বে এবং এক সময় তরুন প্রজন্মকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন। শুভকামনা রইলো।
জনাব আমি আমার লেখার মান নিয়ে ভাবছি এইটা কে বলল আপনাকে!? আর আমি যে কারো লেখা পড়ছি না বা পড়ি না এটাই বা কে বলল? আপনার লেখায় মন্তব্য না করলে ধরেই নিয়েছেন যে আপনার লেখা পড়া হয়নি। আর যেহেতু আপনার লেখা পড়া হয়নি তাই অন্যের লেখাও পড়া হয় না আমার! এভাবেই অনুমান করে এই মন্তব্য করেছেন তাই না? আপনার কবিতা পড়েছি -প্রথমেই নজরে এলো নিয়ম ভেঙেছেন "প্রতিটি কবিতা হতে হবে অনধিক ২০ লাইন"। আপনি এই সাইটে নতুন এসেছেন তাই সত্য তুলে ধরে মন্তব্য করতে চাইনি। কারণ আমি আপনার লেখার ও মন্তব্যের সাথে পরিচিত নই। সুতরং আপনাকে জানতে হলে আপনার লেখা ও মন্তব্যকে আমার জানতে হবে। আমি তাই-ই করছিলাম। আপনার এই মন্তব্য আপনাকে জানতে অনেকখানি সহযোগিতা করল। ধৈর্য ধরুন এবং অন্যকে তার নিজের মত করে চলতে দিন। আশাকরি অবশ্যই একদিন ভালো কিছু সৃষ্টি করতে পারবেন।
সেটা আপনি ভুল বোঝছেন। যে আমার লেখায় মন্তব্য না করার জন্য আমি বলছি আমারটা পড়েন নাই। মন্তব্য করেন তাতে কিছু আসে যায় না, তবে ১জন লেখক কিছু লেখেন পাঠক সমাজের কাছ থেকে কিছু ভালো মন্দ জানার জন্য। আমি অনেক জনকে আপনার মত একই কথা বলছি। আর এ জন্য ভুল বোঝবেন না। আর দ্বিতীয়ত ১টা লেখা ২০ লাইন হতে হবে এমন কোনো কিছু প্রতিযোগিতার নিয়মাবলিতে পায়নি! শুধু পেয়েছি লেখাটা অনধিক ৫০০০ শব্দের মধ্যে হতে হবে। যা হোক আমার অনেক কিছু শিখার আছে। আর আপনি, জাহাঙ্গীর ভাই, হাসনা হেনা আপু সহ আরও কয়েকজন আমার কিছু ভুলত্রুটি ধরে দিয়েছেন তাতে আমি অনেক খুশি। আশা করি এর পর থেকে তেমন ভুল হবে না। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
কবিতা ৫০০০ শব্দের মধ্যে নয় গল্পের জন্য আর ২০ লাইন কবিতার জন্য।
http://golpokobita.com/golpokobita -এখানে ডানদিকে দেখুন

২৭ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪