।।১।।
মেয়েটির চোখে ছিল অন্যরকম এক উন্মাদনা যা বারবার আমাকে টানত। তার দৃষ্টিতে ছিল অসাধারণ এক ক্ষমতা যা যে কারো দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারত। বাধ্য করত তাকে তার দৃষ্টির আঙিনায় থাকতে। আমাকেও সে আগ্রহী করেছিল তার দৃষ্টিতে। আমিও সেই দৃষ্টি ফেরাতে পারিনি কিন্তু পরিবেশ বিবেচনায় দৃষ্টির ভেতর তৈরি করেছি বাধা।
আমি যার কথা বলছি সে সমাজের নিম্নস্তরের একজন। যাদের সমাজের উঁচুতলার মানুষেরা শুধুই পিষে মারতে সিদ্ধহস্ত। মানুষ হয়েও যাদের ন্যায্যমূল্য দিতে সমাজ নারাজ। আমি সেই স্তরের একজন প্রতিনিধির কথা বলছি। মেয়েটি ছিল একজন গার্মেন্টস কর্মী কিন্তু আমি তাদের গার্মেন্টস কর্মী বলিনা, তারা একজন শিল্পী যে দুটো হাত সুন্দরভাবে ব্যবহার করে কাপড়ের উপর ফুটিয়ে তুলে কারুকাজ, যেখানে অনেকগুলো হাতের ছোঁয়ায় অনেকগুলো ছোট অংশ একত্রে জড়িত হয়ে জন্ম নেয় মানুষের সভ্যতার নিদর্শন, মানুষের লজ্জা নিবারণের আচ্ছাদন, মানুষের পোশাক। আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি সে ঐ প্রতিষ্ঠানেই কর্মরত ছিল। আমি অফিসে নিযুক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই লক্ষ্য করতে থাকি তার চাহনি। কাজের ফাকে বারবার সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো, আর আমার চোখে চোখ পরতেই সে মুচকি হেসে অন্য দিকে তার দৃষ্টি সরিয়ে নিত। আমি লক্ষ্য করলাম তার চেহারা, কথা বলার ভঙ্গি বা আচার আচরণ অন্যান্য গার্মেন্টস কর্মীদের মত নয়। একদিন তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম তার নাম কি ও গ্রামের বাড়ি কোথায়? সে জানাল তার নাম শোভা এবং গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তার কথায় কোন আঞ্চলিকতার টান ছিল না যা আমার নজর এড়ায়-নি। তারপর আমি আর কথা না বাড়িয়ে তাকে কাজে ফেরত পাঠাই। কিছুদিন পর কোম্পানি আমাকে তাদের নতুন একটি ফ্যাক্টরিতে বদলি করে। আমিও মেয়েটির সাথে কোন যোগাযোগ না রেখে চলে আসি।
।।২।।
আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত তখন অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে আমার মোবাইলে। আমি রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে মেয়েলি কণ্ঠস্বর আমার পরিচয় জানতে চাইল, আমি কোন ভণিতা না করেই আমার পরিচয় দিলাম। তারপর অপর প্রান্ত থেকে বলল “আপনি হয়ত ব্যস্ত, আমি যদি রাতে আপনাকে কল দিই তাহলে অসুবিধা হবে?” আমি বললাম “অসুবিধা কিছুটা হয়ত হবে তবে আপনার পরিচয় পেলে ভালো অসুবিধার কথা তুলে রাখা যেত।” কিন্তু সে তার পরিচয় না দিয়েই লাইনটি কেটে দিল।
বেকারের সাইনবোর্ড পিঠ থেকে সরিয়ে চাকরিজীবীর সাইনবোর্ড পিঠে ঝুলানোর পর থেকে আর রাত্রি জাগা হয় না। জীবন হয়ে পরেছে রুটিন-বন্ধী, রুটিন ভঙ্গ করলেই বিপদ। সময়মত ঘুমানো সময়মত জাগা, সময়মত অফিসে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি সবই এখন সময়াবদ্ধ। ঐদিন কারো ফোনের অপেক্ষায় না থেকে ঘুমিয়ে পরেছিলাম নির্দিষ্ট সময়েই। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিয়েই দেখি সেই নম্বর থেকে রাত সোয়া বারোটাই ৬টি মিসকল। আমি কল দিলাম কিন্তু প্রথম কলে রিসিভ করলনা। তারপর আবার কল দিতেই সে রিসিভ করে মিষ্টি স্বরে বলল,
-হ্যালো
-কাল রাতে কল দিয়েছিলেন কিন্তু আমি ধরতে পারিনি বলে দুঃখিত।
-দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই আপনি হয়ত ক্লান্ত ছিলেন তাই ফোন ধরতে পারেননি।
-আচ্ছা আপনি এবার আপনার পরিচয়টুকু দিন।
-আমার পরিচয় দিলেই-কি আপনি চিনবেন?
-যদি নাইবা চিনব তাহলে কথা বলব কেন?
-আচ্ছা আমার পরিচয় কিছুদিন পর দিব আপনার সামনে উপস্থিত হয়েই।
-আমাকে বিভ্রান্তির মাঝে রেখে আপনার কি লাভ?
-সব চাওয়া লাভ হিসাব করে হয়না।
অফিসের সময় চলে যাচ্ছে দেখে আমি আর কথা না বাড়িয়ে বিদায় বলে ফোন রেখে দিলাম। কিন্তু আমার মস্তিষ্ক থেকে তাকে রাখতে পারলাম না। আমার সাথেই সে চলাচল করতে শুরু করল। মস্তিষ্কের হেড-অফিস থেকে আমার নিউরনগুলোই তার পরিচয় জানতে চেয়ে বারবার আমাকে বার্তা পাঠাতে লাগল। অফিসে লান্চ টাইমে সে আবার আমাকে ফোন করে জানতে চাইল লান্চ শেষ করেছি কিনা। অফিস থেকে কখন বাসায় ফিরব ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু বললনা তার পরিচয়। তারপর থেকে নিয়মিতই তার সাথে কথা হত। হয়ত অফিস থেকে ফিরে বা সে হয়ত আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিত। আমার কাছ থেকে জানতে চাইত আমার সবকিছু কিন্তু তার ব্যাপারে জানতে চাইলেই সে আমাকে পাঠিয়ে দিত বারমুডা ট্রায়াংগেলের রহস্যঘেরা অঞ্চলে।
তার পরিচয় জানতে না পারাই তার প্রতি ফোন করায় আমি কোন আগ্রহ পাইনি তাই কখনো ফোনও করিনি।
।।৩।।
আমি তখন অফিসে, আছি খোশ মেজাজে। হঠাৎ সেই নম্বর থেকে ফোন।
- হ্যালো, কেমন আছেন?
বললাম “ভালো নেই” তারপর ভাব নিয়ে বললাম “ব্যস্ত আছি এখন কথা বলা যাবে না”।
- আচ্ছা কাল আপনার সময় হবে, আমি দেখা করব আপনার সাথে। তাতে আপনি আমার পরিচয়টুকুও পাবেন। তবে আমাকে দেখার পর আপনার হার্ট-বিট বন্ধ হয়ে যাবেনা সেই গ্যারান্টি চাই।
- আপনাকে দেখার আগে যদি হার্ট-বিট বন্ধ না হয় তবে দেখার পরেও হার্ট-বিট বন্ধ হবেনা সেই গ্যারান্টি দেওয়া গেল। তাহলে কোথায় দেখা করবেন?
- আপনার অফিসের সামনে। কাল আমি এসে আপনাকে কল দিব। আমাকে আপনি আপনার অফিসে নিয়ে যাবেন।
আমি সপ্ত আসমান থেকে মাটিতে নেমে এসে প্রশ্ন করলাম “আমার অফিসে মানে!! আমার অফিসে কেন? আর আমার অফিস চিনবেন কিভাবে?”
- “কালই নাহয় বাকি কথা হবে। ভালো থাকুন এতটুকু সময়”। এতটুকু বলেই সে কেটে দিল তার লাইন।
ওর কথাগুলো আমাকে চিন্তার সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে গেল, আমার অফিসে সে এসে কি করবে তা আমি ভেবে পেলাম না। আর কোন মেয়ে মানুষ অফিসে এসে আমার সাথে দেখা করবে অফিসের কেউ তা শুনতে পেলে আমারতো চাকরিতে লাল কালি পরবে। চিন্তিত মনে আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম পরের দিনের জন্য।
পরেরদিন সকাল ৯টায় আমার মোবাইলে তার কল আসে আমি রিসিভ করতেই বলল
-আপনি বাহিরে আসেন আমি ফ্যাক্টরির গেটের সামনে।
-আপনি তাহলে চলে এসেছেন! আমি আপনাকে কিভাবে চিনব?
-আপনি বাহিরে আসলেই আমাকে চিনতে পারবেন?
আমিই গেলাম বাহিরে। তাকে দেখার পর আমার হার্ট-বিট পুরোপুরি বন্ধ না হলেও কিছুক্ষণের জন্য হয়ত থেমে গিয়েছিল যদিও তা আমার নিরবচ্ছিন্ন শ্বাসপ্রশ্বাসে কোন ব্যাঘাত ঘটায়-নি। সে আর কেউ নয় সেই শোভা। যা দৃষ্টিতে খেলা করত অদ্ভুত উন্মাদনা। বাধ্য করত তার দৃষ্টির সীমানায় থাকতে। আমাকে দেখেই বলে উঠল “কেমন আছেন স্যার?”
আমি প্রশ্ন ছুড়লাম “আপনি এখানে আসলেন কেন?”
জবাবে জানাল সে তার বাসা পাল্টে এই ফ্যাক্টরির কাছে চলে এসেছে এখন তার একটি চাকরির প্রয়োজন। যেহেতু সে আগের ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসেবে কাজ করছিল তাই এখানে একজন লাইন-চীফকে ডেকে তার হাতে শোভাকে তুলে দিই এবং আমাকে সে আগে থেকেই চিনে এটা বলতে তাকে নিষেধ করে দিই। তারপর সারাদিন তার কোন খবর নিইনি।
।।৪।।
রাতে যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন ওর ফোন।
-আপনিতো সারাদিন আমার কোন খবর নিলেন না, রাগ করছেন?
-না, রাগ করার মতো কি ঘটেছে বলে তো মনে করতে পারছিনা। তো এখানে কেমন লাগছে আপনার?
-ভালো লাগার জন্যইতো এসেছি, কিন্তু কেউ যদি ভালো থাকতে না দেয় তাহলে কিভাবে ভালো থাকব?
-কি বলতে চাচ্ছেন?
-আমাকে আপনি আপনি করে পর করে দিবেন-নাতো, অফিসের অনেককেই দেখছি তুমি করে ডাকছেন আর আমাকে!!
-আচ্ছা ঘুমাতে যাচ্ছি, পরে কথা হবে।
-আচ্ছা ঘুমান। তবে আপনার সাথে কিছু কথা ছিল আমার।
-কি কথা?
-আপনার ঘুমানোর মুহুর্ত্বে বিরক্ত করতে চাইছিনা।
-বলুন, সমস্যা হবেনা।
-আপনিতো আমার সম্পর্কে কিছুই জানেননা।
-জানানোর প্রয়োজনবোধ করেননি তাই জানা হয় নি। আমার আর জানার প্রয়োজন নেই।
-আমি ভয়ে আপনাকে কিছুই জানায়নি।
-কিসের ভয়? যদি ভয়ই পাবেন তাহলে ফোন করেছিলেন কেন?
-আপনি আমার সাথে যদি আর কথা না বলেন সেই ভয়ে বলিনি। আজ আমি আপনাকে সব বলব। যদি শুনতে রাজি থাকেন।
- শুনতে পারি তবে এর পর আর আমাকে ফোন দিবেন না।
-আচ্ছা পরে দেখা যাবে, আগে আপনি শুনুন।
আমি শুনতে রাজি হলে সে বলতে শুরু করে।
-গার্মেন্টসে যে ধরনের পরিবারের মেয়েরা কাজ করে আমি সেই ধরনের পরিবারের মেয়ে নই। আমার বাবা একজন সরকারী চাকরিজীবী। মা একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। আমরা দুই বোন। আমিই বড়। আমি তখন এস এস সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছি। তখন একটি ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয় যাকে আমি মাঝে মাঝে কলেজের পাশের চায়ের স্টলে বসে থাকতে দেখতাম। তার কথাবলা হাটা চলা সবকিছুই আমাকে আকৃষ্ট করত। এভাবে দেখতে দেখতেই তার প্রেমে পড়ে যাই। সে একটি গার্মেন্টসে কাজ করত যা আমি তাকে ভালবাসার আগে জানতাম না। বাবা মাকে ওর কথা বলার পর তারা সরাসরি জানিয়ে দেয় কোন গার্মেন্টস কর্মীর সাথে আমার সম্পর্ক হতে পারেনা। তাই বাধ্য হয়ে পালিয়ে গিয়ে আমরা বিয়ে করি এবং গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় এসে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে দুজন উঠি।
অনেকক্ষণ বলার পর সে কিছুক্ষণের জন্য নীরব হলো। তারপর আবার বলা শুরু করল।
-প্রথম কয়েকমাস ভালই যাচ্ছিল। তারপর ওর ভেতর পরিবর্তন টের পেলাম। সে আমাকে সব ব্যাপারে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে। কাজ শেষে বাসায় ফিরে অনেক রাতে আবার কোনদিন ফিরে না। প্রশ্ন করলেই রেগে যায় আর বলে “ডিউটি ছিল নাইট ডিউটি, আর এখন থেকে প্রতি রাতেই নাইট ডিউটি হবে ইচ্ছে হলে বাসায় ফিরতেও পারি আবার নাও ফিরতে পারি, তুইতো নবাবের বেটি তুই গার্মেন্টসে চাকরির কি বুঝবি? ” ঐদিনই সে আমাকে প্রথম তুই বলে সম্বোধন করে। তারপর আমি তাকে বলি “আমিও গার্মেন্টস এ কাজ করব অন্য মেয়েরা পারলে আমিও পারব”। সে কোনভাবেই আমাকে গার্মেন্টস এ চাকরি করতে দিতে চায় না, কেন চায়নি তা পরে জানতে পেরেছিলাম। আমি নাছোড় থাকায় সে আমাকে নিয়ে গার্মেন্টস আসে এবং আমিও তার সাথে গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করি। এখানে এসেই আমি চিনতে পারি তার ভেতরে মানুষটিকে, সে এখানে অন্য একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে। তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই সে ক্ষ্যাপে যায়। একসময় সে আমাকে একা রেখে ঐ মেয়েটিকে নিয়েই নতুন সংসার শুরু করে এবং অন্য কোথাও চলে যায়।
তারপর কিছুক্ষণ নীরব, আমি বুঝতে পারি সে তার চোখ মুছছে। কিছুক্ষণ পর আবার সে বলা শুরু করে।
-তারপর থেকে আমি একাই থাকি। আমি ওর সাথে কোন যোগাযোগ আর করিনি। যে আমার সরল ভালবাসায় বিষ ঢেলে দিয়েছে তার সাথে কোন সম্পর্ক আমিও রাখতে চাই না। বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার মুখ আমার নেই। তাই গার্মেন্টসেই পরে রয়েছি বেঁচে থাকার আশায়। আপনাকে প্রথম দেখার দিন থেকেই কেন যেন আপন মনে হয়। তাই আপনি চলে আসার পর আপনার কলিগের কাছ থেকে আপনার নম্বরটি নিয়ে ফোন করি। এখন আমার সাথে আপনি কথা বলবেন কিনা তা আপনার ব্যাপার।
তারপর দুপাশে নীরবতা। অনেক্ষন পর আমি নীরবতা ভাঙলাম।
-আপনার স্বামীর সাথে আর যোগাযোগ হয়নি?
-সে আমার স্বামী নয়, তাকে স্বামী পরিচয় দিতেও আমার ঘৃণা করে। সে সরলতার সুযোগ নিয়েই আমার সাথে প্রেম করেছিল এবং আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল। তার সাথে আমি আর কোন যোগাযোগ করি না। আমার পরিবার থেকেও আমি এখন বিচ্ছিন্ন। যাকে পাওয়ার আশায় সব ত্যাগ করেছি সে এখন আমাকেই ত্যাগ করেছে।
-এখন আপনি কি করবেন? সারাজীবন একাই থাকবেন?
-যতদিন থাকতে পারি ততদিন হয়ত থাকব অথবা নিজেই একদিন চলে যাব ওপারে।
আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। তাই ফোনটি রেখে দিলাম।
ভালবাসা কাচের মতো, যখন ভালো থাকে তখন তা মসৃণ আর যখন ভেঙে যায় তখন তাকে স্পর্শ করতে গেলে কারো হাত পা কেটে যাওয়ার ভয় থাকে। আমি কোন ভাঙা ভালোবাসায় নিজেকে জড়াতে চাইনি।
ঐরাতে আমার আর ঘুম হয়নি। পরদিন সকালে অফিসে গিয়েই তার খোজ করলাম। কিন্তু সে আসেনি। তার মোবাইলে কল দিলাম তা বন্ধ। আমার মনে খেলা করছে তখন অজানা আশংকা, নিজেকে মনে হচ্ছিল একজন অপরাধী। তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি শুধুই জানিনা কোথায় যাব। ওর ঠিকানা আমার জানা নেই।
আজ আষাঢ়ের ২৩ তারিখ। বাহিরের আকাশ আজ থমথমে, কিন্তু আমার মনে হলো আমার মনের ভেতরের রূপটি যেন আকাশ আপন মনে নিজের গায়ে এঁকে নিয়েছে। হয়ত কিছুক্ষণের ভেতরই বৃষ্টি নামবে। অথবা আমার ভেতর লুকিয়ে থাকা কোন কষ্টে আকাশ অশ্রু ঝরাবে।
কিন্তু সেই বৃষ্টি কি সরাতে পারবে কারো মনের কষ্ট, ভেজাতে পারবে কারো মনের মরুভূমিতে জেগে থাকা প্রতিটি ধূলিকণাকে? যদি সে কারো কষ্ট না সরাতে পারে, যদি সে মরুভূমিতে না জাগাতে পারে সবুজ অরণ্য তাহলে তাকে কি বৃষ্টি বলা যাব? যে বৃষ্টি কারো মনকে আন্দোলিত করতে পারে না তাকে বৃষ্টি বলা যায় না। তাই এই আষাঢ়ে বর্ষা হয়নি।
১৮ মে - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪